![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।
সাহু সিজদা বা ভূলের সিজদাহঃ
নামাজে যদি কোনও ওয়াজিব তরক হয়ে যায় তাহলে আপনাকে অবশ্যই সাহু সিজদা দিতে হবে। তা না হলে আপনার নামাজ হবে না। সাহু সিজদার এ মাসালাগুলো ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সালামের আগে ও পরে উভয় অবস্থায়ই সাহু সিজদাহ করা যায় । বহু হাদীস থেকে বেশ কটি হাদীস নিচে দেয়া হলো......
তিনটি কারণে নামাযে সাহু সিজদা দিতে হয়
১) নামায বৃদ্ধি হওয়া।যেমন, কোন রুকু, সিজদা বা বসা ইত্যাদি বৃদ্ধি হওয়া।
২) কোন রুকন বা ওয়াজিব কম হওয়া।
৩) সন্দেহ হওয়া।
আমি সরাসরি হাদীসগুলো উল্লেখ করলাম ।কেউ শুধু একটি হাদীস বা ঘুরিয়ে একাধিক হাদীসের উপরও আমল করতে পারে ।
দয়া করে ঐক্যের খাতিরে ফতোয়াবাজী করবেন না ।
সহীহ আল বুখারী : ১১৫১-১১৬০ মোট ১০টি হাদীস বর্ণিত হয়েছে ।
১১৫১ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু বুহায়না (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সালাত (নামায) রাসূল ﷺ দু' রাকা'আত আদায় না করে বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। মুসল্লিগণ তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেলেন। যখন সালাত (নামায) সমাপ্ত করার সময় হল এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম, তখন তিনি সালাম ফিরানোর আগে তাক্বীর বলে বসে বসেই দু'টি সিজ্দা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন।
১১৫২ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু বুহায়না (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ লাহ্ যুহ্রের দু' রাকা'আত আদায় করে দাঁড়িয়ে গেলেন। দু' রাকা'আতের পর তিনি বসলেন না। সালাত (নামায) শেষ হয়ে গেলে তিনি দু'টি সিজ্দা করলেন এবং এরপর সালাম ফিরালেন।
১১৫৩ আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ যুহ্রের সালাত (নামায) পাঁচ রাকা'আত আদায় করলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, সালাত (নামায) কি বৃদ্ধি করা হয়েছে? তিনি বললেন, এ প্রশ্ন কেন? (প্রশ্নকারী) বললেন, আপনি তো পাঁচ রাকা'আত সালাত (নামায) আদায় করেছেন। অতএব তিনি সালাম ফিরানোর পর দু'টি সিজ্দা করলেন।
১১৫৪ আদম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী ﷺ আমাদের নিয়ে যুহর বা আসরের সালাত (নামায) আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। তখন যুল-ইয়াদাইন (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূল ﷺ! সালাত (নামায) কি কম হয়ে গেল? নাবী ﷺ তাঁর সাহাবীগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, সে যা বলছে তা কি ঠিক? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি আরও দু রাকা'আত সালাত (নামায) আদায় করলেন। পরে দু'টি সিজ্দা করলেন। সা'দ (রাঃ) বলেন, আমি উরাওয়া ইবনু যুবাইর (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি মাগরিবের দু' রাকা'আত সালাত (নামায) আদায় করে সালাম ফিরালেন এবং কথা বললেন। পরে অবশিষ্ট সালাত (নামায) আদায় করে দু'টি সিজ্দা করলেন। এবং বললেন, নাবী ﷺ এরূপ করেছেন।
১১৫৫ আবদুল্লাহইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ দু' রাকা'আত আদায় করে সালাত (নামায) শেষ করলেন। যুল-ইয়াদাইন (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূল ﷺ ! সালাত (নামায) কি কম করে দেয়া দেওয়া হয়েছে, না কি আপনি ভুলে গেছেন? রাসূল ﷺ জিজ্ঞাসা করলেন, যুল-ইয়াদাইন কি সত্য বলছে? মুসল্লীগণ বললেন, হ্যাঁ। তখন রাসূল ﷺ দাঁড়িয়ে আরও দু' রাকা'আত সালাত (নামায) আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন এবং তাক্বীর বললেন, পরে সিজদা করলেন, স্বভাবিক সিজ্দার মতো বা তাঁর চেয়ে দীর্ঘ। এরপর তিনি মাথা তুললেন।
১১৫৬ সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) সালামা ইবনু আলকামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ ইবনু সীরীন) (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, সিজ্দায়ে সহুর পর তাশাহ্হুদ আছে কি? তিনি বললেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর হাদীসে তা নেই।
১১৫৭ হাফ্স ইবনু উমর (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী ﷺ বিকালের কোন এক সালতে দু' রাকা'আত আদায় করে সালাম ফিরালেন। মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, আমার প্রবল ধারনা, তা ছিল আসরের সালাত (নামায)। তারপর মসজিদের একটি কাষ্ঠ খণ্ডের কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং উহার উপর হাত রাখলেন। মুসল্লীগণের ভিতরে সামনের দিকে আবূ বক্র (রাঃ) ও উমর (রাঃ) ও ছিলেন। তাঁরা উভয়ে তাঁর সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন। তাড়াহুড়া-কারী মুসল্লিগণ বেরিয়ে পড়লেন। তারা বলাবলি করতে লাগলেন, সালাত (নামায) কি কমিয়ে দেয়া হয়েছে? কিন্তু এক ব্যাক্তি, যাকে নাবী ﷺ যূল ইয়াদাইন ডাকতেন, জিজ্ঞাসা করল আপনি কি ভুলে গেছেন, না কি সালাত (নামায) কমিয়ে দেওয়া হয়েছে? তিনি বললেনঃ আমি ভুলিনি আর সালাত (নামায)ও কম করা হয়নি। তখন তিনি দু' রাকা'আত সালাত (নামায) আদায় করে সালাম ফিরালেন। তারপর তাক্বীর বলে সিজ্দা করলেন, স্বভাবিক সিজ্দার ন্যায় বা তার চেয়ে দীর্ঘ। তারপর মাথা উঠিয়ে আবার তাক্বীর বলে মাথা রাখলেন অর্থাৎ তাক্বীর বলে সিজ্দায় গিয়ে স্বভাবিক সিজ্দার মত অথবা তার চাইতে দীর্ঘ সিজ্দা করলেন। এরপর মাথা উঠিয়ে তাক্বীর বললেন।
১১৫৮ কুতাইবা ইবনু সা'য়ীদ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু বুহাইনা আসা’দী (রাঃ) যিনি বনূ আবদুল মুত্তালিবের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তাঁর থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ যুহ্রের সালাত (নামায) (দু' রাকা'আত আদায় করার পর) না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। সালাত (নামায) পূর্ণ করার পর সালাম ফিরাবার আগে তিনি বসা অবস্থায় ভুলে যাওয়া বৈঠকের স্থলে দু'টি সিজ্দা সম্পূর্ণ করলেন, প্রতি সিজ্দায় তাক্বীর বললেন। মুসল্লীগণও তাঁর সঙ্গে এ দু'টি সিজ্দা করল। ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে তাক্বীরের কথা বর্ণনায় ইবনু জুরাইজ (রহঃ) লায়স (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
১১৫৯ মু'আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেনঃ যখন সালাত (নামায)-এর জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন শয়তান পিঠ ফিরিয়ে পালায় যাতে আযান শুনতে না পায় আর তার পশ্চাঁদ-বায়ূ সশব্দে নির্গত হতে থাকে। আযান শেষ হয়ে গেলে সে এগিয়ে আসে। আবার সালাত (নামায)-এর জন্য ইকামত দেওয়া হলে সে পিঠ ফিরিয়ে পালায়। ইকামত শেষ হয়ে গেলে আবার ফিরে আসে। এমন কি সে সালাত (নামায) রত ব্যাক্তির মনে ওয়াস্ওয়াসা সৃষ্টি করে এবং বলতে থাকে, অমুক অমুক বিষয় স্মরণ করো, যা তার স্মরণে ছিল না। এভাবে সে ব্যাক্তি কত রাকা'আত সালাত (নামায) আদায় করেছে তা স্মরণ করতে পারে না। তাই, তোমাদের কেউ তিন রাকা'আত বা চার রাকা'আত সালাত (নামায) আদায় করেছে, তা মনে রাখতে না পারলে বসা অবস্থায় দু'টি সিজ্দা করবে।
১১৬০ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ ল্লহা্ বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সালাত (নামায) দাঁড়ালে শয়তান এসে তাকে সন্দেহে ফেলে, এমনকি সে বুঝতে পারে না যে, সে কত রাকা'আত সালাত (নামায) আদায় করেছে। তোমাদের কারো এ অবস্থা হলে সে যেন বসা অবস্থায় দু'টি সিজ্দা করে।
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নামায আদায় করালেন। তিনি ভুল করলেন, তারপর দুটি সিজদা করলেন, তারপর তাশাহহুদ পাঠ করলেন, তারপর সালাম ফিরালেন।
মিশকাত (১০১৯)।
আবূ ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব। মুহাম্মাদ ইবনু সীরন অন্যান্য হাদীস আবূ কিলাবার চাচা আবূল মুহাল্লাব হতে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি এ হাদীসটি খালিদ আল-হাযযা হতে, তিনি কিলাবা হতে তিনি আবূল মুহাল্লাব হতে বর্ণনা করেছেন। আবূল মুহাল্লাব-এর নাম আব্দুর রহমান। তাকে মুয়াবিয়া ইবনু আমরও বলা হয়। আব্দুল ওয়াহহাব আস সাকাফী হুশাইম ও অন্যান্যরা এ হাদীসটি খালিদ আল-হায্যা হতে তিনি আবূ কিলাবা হতে পূর্ণটাই বর্ণনা করেছেন। ইমরান ইবনু হুসাইনের অপর বর্ণনায় আছেঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের তৃতীয় রাক'আতে সালাম ফিরালেন। এক ব্যাক্তি উঠে দাঁড়াল, তাঁর নাম ছিল খিরবাক।
সিজদা সাহুর পর তাশাহহুদ পাঠের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতের অমিল আছে। একদল বলেছেন, সিজদা করার পর তাশাহহুদ পাঠ করবে, তারপর সালাম ফিরাবে। অপর দল বলেছেন, সিজদা সাহুর পর তাশাহহুদ নেই, সালামও নেই। সালাম ফিরানোর পূর্বে সিজদা করলে তাশাহহুদ পাঠ করবে না। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক এই মতের সমর্থক। তারা উভয়ে বলেছেন, সালাম ফিরানোর পূর্বে সিজদা সাহু করলে তাশাহহুদ পাঠ করবে না।
ইমাম তিৱমিযি (রহ•) সাহু সিজদাহৱ আলোচনা করতে গিয়ে মোট নয়টি হাদিস বর্ননা করেছেন ৷ যাৱ মধ্যে সিজদাহ সালামেৱ আগে বা পরে উভয় বর্ননাই ৱয়েছে! এছাড়া ইবনু মাযাহও ৮/ ৯টি হাদিস বর্ননা করেছেন ৷ বুখারি ও মুসলিম সহ এ বিষয়ে প্রায় ৫০টিৱ মত সহিহ হাদিস বর্নিত হয়েছে কুতুবে সিয়াহ সিত্তায়!
وَإِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ، فَلْيَتَحَرَّ الصَّوَابَ فَلْيُتِمَّ عَلَيْهِ، ثُمَّ لِيُسَلِّمْ، ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ»
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের মাঝে যখন কারো নামাযের ব্যাপারে সন্দেহ হয়ে যাবে, তখন তার জন্য উচিত এ ব্যাপারে চিন্তা ফিকির করা, তারপর নামায পূর্ণ করে সালাম ফিরাবে তারপর দুই সিজদা করবে। {সহীহ বুখারী-১/৫৮, হাদীস নং-৪০১, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৭২}
عَنْ عَبْدِ اللهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «السَّهْوُ أَنْ يَقُومَ فِي قُعُودٍ , أَوْ يَقْعُدَ فِي قِيَامٍ , أَوْ يُسَلِّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ , فَإِنَّهُ يُسَلِّمُ , ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , وَيَتَشَهَّدُ , وَيُسَلِّمُ»
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ভুল হল এই যে, নামাযী ব্যক্তি বসার বদলে দাঁড়িয়ে যাওয়া। অথবা দাঁড়ানোর বদলে বসে যাওয়া, বা [তিন বার চার রাকাতওয়ালা নামাযে] দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেয়া। তাহলে এমন ব্যক্তি সালাম ফিরানোর পর দুই সেজদা করবে,তারপর তাশাহুদ পড়ে সালাম ফিরাবে। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-২৫৬৫}
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ ছাড়াও হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের রাঃ, হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ, হযরত সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস রাঃ প্রমূখ সাহাবাগণ থেকে সালাম ফিরানোর পর সাহু সেজদা করা প্রমানিত। {শরহু মাআনিল আসার, হাদীস নং-২৫৬৪}
عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لِكُلِّ سَهْوٍ سَجْدَتَانِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ»،
হযরত সাওবান রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ প্রত্যেক ভুলের কারণে দুই সিজদা দিতে হবে সালাম ফিরানোর পর। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১০৩৮, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১২১৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২৪১৭}
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ شَكَّ فِي صَلَاتِهِ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ»
হযরত আব্দুল্লাহ বিন যাফর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যার নামাযে সমস্যা হয়ে যায়, সে যেন দু’টি সেজদা করে সালাম ফিরানোর পর। {সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-১৫৫০}
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَجَدَهُمَا بَعْدَ السَّلَامِ ، وَقَالَ مَرَّةً: " إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَجَدَ السَّجْدَتَيْنِ فِي السَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ "
হযরত আলকামা রহ. থেকে বর্ণিত: হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. বলেন: রসূলুল্লাহ স. সালামের পরে দু’টি সিজদা করেছেন। কখনও বলেন: রসূলুল্লাহ স. সালামের পরে দু’টি সিজদায়ে সাহু করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ: ৩৫৭০)
হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের রাবী।
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لاَ أَدْرِي زَادَ أَوْ نَقَصَ ـ فَلَمَّا سَلَّمَ قِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ قَالَ " وَمَا ذَاكَ ". قَالُوا صَلَّيْتَ كَذَا وَكَذَا. فَثَنَى رِجْلَيْهِ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، فَلَمَّا أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ قَالَ " إِنَّهُ لَوْ حَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ لَنَبَّأْتُكُمْ بِهِ، وَلَكِنْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ، أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ، فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي، وَإِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَتَحَرَّى الصَّوَابَ، فَلْيُتِمَّ عَلَيْهِ ثُمَّ يُسَلِّمْ، ثُمَّ يَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ ".( رَوَاه الْبُخَارِىُّ فِىْ بَابِ التَّوَجُّهِ نَحْوَ القِبْلَةِ حَيْثُ كَانَ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. বলেন: রসূলুল্লাহ স. নামায পড়লেন। রাবী ইবরাহীম রহ. বলেন: আমার জানা নেই, তিনি বেশী করেছেন বা কম করেছেন। সালাম ফেরানোর পরে বলা হলো: ইয়া রসূলাল্লাহ! নামাযের মধ্যে কি নতুন কিছু হয়েছে? তিনি বললেন: তা কী? তাঁরা বললেন: আপনি তো এরূপ এরূপ নামায আদায় করেছেন। রসূলুল্লাহ স. তখন দু’পা ঘুরিয়ে কিবলামুখী হলেন এবং আরও দু’টি সিজদা করলেন। এরপর সালাম ফিরালেন। অতঃপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেন: যদি নামায সম্পর্কে নতুন কিছু হতো, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দিতাম। কিন্তু আমি তো মানুষ; তোমরা যেমন ভুল করে থাক, আমিও ভুল করি। সুতরাং আমি কখনও ভুল করলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিবে। আর তোমাদের কেউ নামাযে সন্দেহে পড়লে সে যেন নিঃসন্দেহ হওয়ার চেষ্টা করে এবং সে অনুযায়ী নামায পুরো করে। অতঃপর সালাম ফিরিয়ে দু’টি সিজদা আদায় করে। (বুখারী: ৩৯২)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَشْعَثُ، عَنْ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِهِمْ فَسَهَا، فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ تَشَهَّدَ، ثُمَّ سَلَّمَ»، «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ»، قال الحاكم فى المستدرك هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ،
হযরত ইমরান বিন হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম স. তাদেরকে নামায পড়ালেন এবং ভুল করলেন। ফলে তিনি দু’টি সিজদা করলেন অতঃপর তাশাহহুদ পড়লেন তারপরে সালাম ফিরালেন। (তিরমিজী-৩৯৫, ইবনে খুযায়মা-১০৬২, আবু দাউদ-১০৩৯, ইবনে হিব্বান-২৬৭০, মুসতাদরাকে হাকেম-১২০৭)
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «فِيهِمَا تَشَهُّدٌ»
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. বলেন, সিজদায়ে সাহুর সালামে তাশাহহুদ রয়েছে। (ইবনে আবি শাইবা-৪৪৯৩)
হাদীসটির স্তর : সহীহ, মাওকূফ। এ হাদীসের রাবীগণ সকলেই বুখারী-মুসলিমের রাবী।
حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّهُ «سَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ، فَتَشَهَّدَ فِيهِمَا، ثُمَّ سَلَّمَ»
হযরত ইবরাহীম নাখঈ রহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি দু’টি সিজদায়ে সাহু করলেন তারপরে তাশাহহুদ পাঠ করলেন। অতঃপর সালাম ফিরালেন। (ইবনে আবি শাইবা-৪৪৯৪)
حَدَّثَنَا شَبَابَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، وَحَمَّادٍ، أَنَّهُمَا قَالَا: «يَتَشَهَّدُ فِي سُجُوَدِ السَّهْوِ، ثُمَّ يُسلِّمُ»
হযরত হাম্মাদ বিন আবি সুলায়মান এবং হাকাম বিন উতায়বা রহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, সিজদায়ে সাহুতে তাশাহহুদ পাঠ করবে অতঃপর সালাম ফিরাবে। (ইবনে আবি শাইবা-৪৫০০)
হাদীসটির স্তর : সহীহ, মাকতু’। এ হাদীসের রাবীগণ সকলেই বুখারী-মুসলিমের রাবী।
عَنْ عَبْدِ اللهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «السَّهْوُ أَنْ يَقُومَ فِي قُعُودٍ , أَوْ يَقْعُدَ فِي قِيَامٍ , أَوْ يُسَلِّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ , فَإِنَّهُ يُسَلِّمُ , ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , وَيَتَشَهَّدُ , وَيُسَلِّمُ»
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ভুল হল এই যে, নামাযী ব্যক্তি বসার বদলে দাঁড়িয়ে যাওয়া। অথবা দাঁড়ানোর বদলে বসে যাওয়া, বা [তিন বার চার রাকাতওয়ালা নামাযে] দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেয়া। তাহলে এমন ব্যক্তি সালাম ফিরানোর পর দুই সেজদা করবে,তারপর তাশাহুদ পড়ে সালাম ফিরাবে। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-২৫৬৫}
©somewhere in net ltd.