![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ মাটি ছিনিয়ে নিতে কত বার ঝড় উঠেছে এ মাটি ভাসিয়ে দিতে কত বার বান ডেকেছে কত যে বুকের পাজর আড়াল করে রুখল সে ঝড় কত যে শোণিত ঢেলে ঊষর মাটি প্রাণ পেয়েছে মাটিতে জন্ম নিলাম মাটি তাই রক্তে মিশেছে
আপনি যদি খুলনা-যশোর কিংবা কখনো কখনো এর আশে পাশের কোন অঞ্চলের সব্জি বাজারে কিংবা হাটে ঢোকেন তাহলে দেখবেন বাজারের কোথাও কেউ গাছের ডালের মত কিছু সাজিয়ে বসে আছে। অথবা, আপনি যদি এই অঞ্চলের কোন বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান, খাওয়ার সময় আপনি হয়ত আপনার পাতে/খাবারের প্লেটে (গ্রামাঞ্চলে কোন খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন থাকলে আগে কলা পাতা কিংবা পদ্ম পাতায় খাবার পরিবেশন করা হত, সম্ভবতঃ সেখান থেকেই পাত শব্দটি এসে থাকতে পারে। কলা পাতা কিংবা পদ্ম পাতায় খাওয়ার প্রচলন না থাকলেও পাত শব্দটি খুলনা অঞ্চলে এখনো প্রচলিত) দেওয়া ঘন ডাল, আলুর দম, মাছের ঝোল, কিংবা মাংসের মধ্যে দেখতে পাবেন গাছের ডালের মত কি যেন দেওয়া হয়েছে। এই ডাল দেখে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এটি হল এক ধরনের মসলা যা চুই বা চুই ঝাল বা চই নামে পরিচিত। খুলনা-যশোর অঞ্চলে বিশেষ করে হিন্দু পরিবারের রান্নায় এই চুই ঝালের যেন বিকল্প নেই। মাংস ও ডাল রান্না তো যেন চুই ছাড়া সম্ভবই নয় তাদের কাছে। আপনি খুলনার কোন কোন খাবারের দোকানে খেতে গেলেও পেতে পারেন এই চুই ঝালের স্বাদ। নামেই বোঝা যায় এটি স্বাদে ঝাল, কিন্তু এই ঝাল একটু আলাদা। এর রয়েছে একটি আলাদা গন্ধ যা তরকারি বা রান্না মাংসে আনে আলাদা এক আমেজ। আরো মজার ব্যাপার হলো খাওয়ার পর এই ঝাল বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়না অর্থাৎ এটা খেয়ে যদি আপনার ভীষন ঝাল লেগে যায়, মাত্র কিছুক্ষন পরেই সেটা চলে যাবে।
চুই গাছ
চুই ঝালের গাছ দেখতে অনেকটা পান গাছের মত। এর পাতাও খানিকটা পান পাতার মত। খুলনার গ্রামাঞ্চলের বিয়েতে বর পক্ষকে বোকা বানাতে কনে পক্ষ কখনো কখনো পানের পরিবর্তে চুই গাছের পাতা দিয়ে পান সেজে দেয়। বিক্রেতাদের তথ্য মতে, যশোর অঞ্চলে এর চাষ হয় বেশী। এই চুই গাছ লাগানো হয় ক্ষেতে কিংবা কখনো কখনো কোন বড় গাছের গোড়ায় চারা লাগিয়ে একে গাছেও তুলে দেওয়া হয়। মসলা হিসাবে এর শাখা, শেকড় উভয়ই ব্যবহার করা হয় তবে পাতার ব্যবহার নেই। শাখার চেয়ে শিকড়ের ঝাল বেশী। এজন্য শিকড়ের চুইয়ের দাম ও বেশী। আগে বাজারে চুইয়ের দাম কম থাকলেও এখন এর দাম বেশ চড়া। প্রতি কেজি শাখা চুই ২০০-৩০০ টাকা, শেকড় বা গোড়ার দিকের প্রতি কেজি চুইয়ের দাম ৩০০-৪০০টাকা পর্যন্ত। এই চড়া দামের কারনেই এই অঞ্চলের অধিকাংশ গরীব মানুষের মসলার তালিকা থেকে চুই ঝাল ও বাদ পড়তে শুরু করেছে।
চুই-রাজ হাঁসের মাংস
(সবগুলো ছবি নিজের তোলা)
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫২
মহলদার বলেছেন: কাগু কি বললেন তা তো বুঝলাম না।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫৩
আমি এক যাযাবর বলেছেন: নানাবাড়ি গিয়ে অনেক খেয়েছি। ভাল লাগল।
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫৬
মহলদার বলেছেন: নানা বাড়ি কোথায়?
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫৭
জেরী বলেছেন: আজই ১ম দেখলাম
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫৯
মহলদার বলেছেন: সুযোগ হলে চেখে দেখবেন ।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:০৪
বিন্দু উদ্ভিদ বলেছেন: ভাল লাগলো, নতুন কিছু জানলাম, পরবর্তীতে দেশে গেলে অবশ্যই এর স্বাদ নেব।
শুভকামনা রইল।
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:১১
মহলদার বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভ কামনা আপনার জন্যও।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২৩
শয়তান বলেছেন: ইন্টারেস্টিং
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩৩
মহলদার বলেছেন: সত্যিই ইন্টারেস্টিং যারা জানেন না তাদের কাছে।
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২৪
মাহিরাহি বলেছেন: ঢাকায় কি কোথাও পাওয়া যায়?
স্বাদ নিতে ইচ্ছে করছে।
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩৩
মহলদার বলেছেন: ঢাকায় কোথাও পাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই।
৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২৪
হোরাস্ বলেছেন: জিভে পানি এসে গেল।
অনেক আগে ছোট থাকতে যশোরে বেশ কিছু বছর কাটিয়েছি। কিন্তু এই বস্তু কখনও খাওয়া হয়নি। হয়ত ভবিষ্যতে হবে।
+
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩৪
মহলদার বলেছেন: আপনার ইচ্ছা পূরণ হোক।
৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩১
ব্লগ ৪১৬ বলেছেন: দারুনতো। খাইতাম চাই। নিবেন নি আমারে আপনাগো বাড়িতে। চুই-রাজ হাঁসের মাংস খাওনের বিয়াফক সখ লাগতেছে।
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩৬
মহলদার বলেছেন: আমি নিশ্চিত আপনাকে যদি একবার খাওয়াতে পারি আপনি আবার ছুটে যাবেন খুলনায় শুধু চুই ঝাল-মাংস খাওয়ার জন্য।
৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০০
প্রবাসী মন বলেছেন: মহলদার সাহেবের বাড়ি কোথায়? আমি খুলনার, বছরে একবার দেশে যাওয়া হয় এবং যথারীতি চুই-ঝাল দেওয়া মাংস খেয়েও আসি আবার বগলদাবা করে নিয়েও আসি। এ এক আজব চিজ ভাই। তবে এর গুণাগুন অনেক, কোন খারাপ প্রতিক্রিয়া নেই। বেশ ঊপকারী।
যারা খান নাই, অবশ্যই একবার চেকে দেখবেন।
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০৫
মহলদার বলেছেন: আমিও খুলনার। আমাদের বাড়িতে মাংস ছাড়াও সাধারণ তরকারিতেও চুই ব্যবহার হয় সারা বছর।
১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫২
নীল লাল সবুজ বলেছেন: আমি খেয়েছি সাতক্ষীরায়। চমৎকার!
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৫
মহলদার বলেছেন: আসলেই চমৎকার।
১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:২৪
নামহীনা বলেছেন: কমছে কম ২০/২৫বার যশোর গেছি, খুলনা/সাতক্ষীরা ও। যাগো কাছে বেড়াতে গেছি তারা না খাওয়াইলে আমি জানবো কেমনে?
০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৩
মহলদার বলেছেন: ইস! তাইলে আপনার ব্যাড লাক খারাপ।
১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৪৯
সায়েম মুন বলেছেন: গাছ আলু ( না জানলে--লতানো গাছ অন্য কোন শক্ত গাছকে পেঁচিয়ে উপরে উঠে যায়। পাতার গোড়ায় একটি করে আলু ধরে যা দেখতে/ সাইজে গোল আলু টাইপের। গোড়ায় অর্থাৎ মাটির নিচে কয়েক কেজি ওজনের একটি আলু হয়। খেতে একটু মিঠা মিঠা ভাব-শুধু সবজি বা মাংসের সঙ্গে রান্না করা হয়। উত্তরাঞ্চলে দেখা যায়। অন্য এলাকায় আছে কিনা জানিনা) টাইপের গাছ। আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম আর বর্ণনা শুনে খেতে ইচ্ছে করছে
০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৩
মহলদার বলেছেন: গাছ আলু খুলনা অঞ্চলেও পাওয়া যায়। ছোটবেলায় আগুনে পুড়িয়ে অনেক খেয়েছি(পাতার গোড়ায় যেটি ধরে)। আর মাটির নিচের আলু এখানে বাজারে বিক্রিও হয় বেশ, বিশেষ করে শীতের মৌসুমে। আমার প্রিয় একটি জিনিষ এটি। এর নিচের দিকের অংশটি বেশী মজা লাগে আমার কাছে। রান্না করে রেখে দিলে জমে যায়। মাংস দিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে মাছ ও চিংড়ি দিয়ে প্রতি বছরই খাওয়া হয়। গলদা চিংড়ি আর সাথে চুই ঝাল দিয়ে রান্না করলে এর জুড়ি নেই।
১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১১
নুশেরা বলেছেন: চুকনগরের চুই দিয়ে খাসির মাংস রান্নার কথা পড়েছিলাম ব্লগে। আজ বুঝলাম চুই কী বস্তু। ইংরেজি নামটা জানাবেন কি, ভিয়েতনামি দোকানে পাওয়া যায় কিনা খুঁজে দেখবো।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:২৩
মহলদার বলেছেন: ঠিক ধরেছেন, চুকনগরের আব্বাসের হোটেলের খাসির মাংসের কথা অনেকেই জানে। চুই এর ইংরেজি নামটা আমি এই মুহুর্তে জানাতে পারছি না বলে সত্যিই দুঃখিত। পরে জানলে জানাবো এই পোষ্টেরই মন্তব্য ঘরে।
১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:১২
ভুরিদত্ত বলেছেন: ডিএইচএলে পাঠান
২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:২৩
মহলদার বলেছেন: তার চেয়ে বরং চুই ঝাল খাওয়ার জন্যই একবার দেশে ঘুরে যান। দেশে আসাও হলো, নুতন জিনিষ খাওয়াও হলো ।
১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:১৯
হেমায়েতপুরী বলেছেন: খাইতে মন্চায়।
২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:২৪
মহলদার বলেছেন: চলে যান খুলনার চুকনগরের আব্বাসের হোটেলে।
১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৮
আশেক ইব্রাহীম বলেছেন: আরে আমরা যে মাঝে মাঝে ভৈরবের পারে পিকনিক করি সে তো শুধু আলুর দমের ভেতর চৈ-ঝাল চিবানোর জন্য। যে না খেয়েছে সে অভাগা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩৮
মহলদার বলেছেন: যে না খেয়েছে সে অভাগা ।
১৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২১
মেহবুবা বলেছেন: আমরা বলি চই ঝাল ।
আমারও অনেক প্রিয় ।
আমি চাইছি ঢাকায় আর তার অনতিদূরে এ গাছ লাগাতে , ভুলে গিয়েছিলাম ।
আপনার পোষ্ট পড়ে মনে পড়ল ।
পোষ্ট প্রিয়তে থাক , ঝাল ঝাল সুস্বাদু চই ঝাল ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৩
মহলদার বলেছেন: তাড়াতাড়ি লাগিয়ে ফেলেন। আমার ধারনা বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মাটিতেই এটা হবে। তবে গোড়ায় বর্ষার পানি জমলে কিন্তু শেষ। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৫
যুধিষ্ঠির বলেছেন: খুলনার লোক বুঝি????
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫৪
মহলদার বলেছেন: ঠিক ধরেছেন জনাব। আপনিও কি তাই?
১৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫
কবির চৌধুরী বলেছেন: জিভে পানি এসে গেল
২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
স্বাক্ষর শতাব্দ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট; http://en.wikipedia.org/wiki/Long_pepper
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫১
মোতাব্বির কাগু বলেছেন: