![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ মাটি ছিনিয়ে নিতে কত বার ঝড় উঠেছে এ মাটি ভাসিয়ে দিতে কত বার বান ডেকেছে কত যে বুকের পাজর আড়াল করে রুখল সে ঝড় কত যে শোণিত ঢেলে ঊষর মাটি প্রাণ পেয়েছে মাটিতে জন্ম নিলাম মাটি তাই রক্তে মিশেছে
মহাশোল মাছের নাম যখন প্রথম শুনি তখন ধারণা করেছিলাম শোল মাছের চেহারার সাথে মাছটির চেহারার বোধহয় সাদৃশ্য আছে। কিন্তু পরে যখন এর ছবি দেখি তখন ভুলটা ভাঙে। আরো পরে যখন নিজের চর্মচক্ষু দিয়ে মাছটাকে দেখি তখন খানিকটা উত্তেজনা বোধ করেছিলাম এটা ভেবে যে বাংলাদেশের এক অতি বিরল এবং মহাবিপন্ন মাছ নিজের চোখে দেখছি। মাছটিকে প্রথম দেখি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র, ময়মনসিংহের একটি মৎস্য মেলায় ২০০২ সালে। তারপর আর দেখার সুযোগ হয়নি কারণ মাছটি বর্তমানে দেশের সব জেলাতে চোখে পড়ে না। গত ২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এই দুই বছরে সুনামগঞ্জে মাছটির দেখা পেয়েছি মাত্র তিন বার। মাছটি যে বিরল তা সহজেই অনুমেয়। সে কথায় পরে আসছি, আগে এর পরিচয় জানা যাক-
মহাশোল মাছটি অঞ্চলভেদে মহাশের, মাশোল, টর, চন্দনা মাশোল প্রভৃতি নামে পরিচিত। Cyprinidae পরিবার আর Cypriniformes বর্গের অন্তর্গত মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Tor tor । ইংরেজিতে এর নাম Tor mahseer । এর দেহ লম্বা, মুখ অধোমুখী, মাথা অপেক্ষাকৃত ছোট। মুখ ছোট, ঠোঁট পুরু। দু’জোড়া স্পর্শী বিদ্যমান। ম্যাক্সিলারি জোড়া অপেক্ষাকৃত লম্বা। দেহের বর্ণ উপরের দিকটা বাদামী সবুজ, পেটের দিকটা রূপালী। পৃষ্ঠ পাখনা লালচে। শ্রোণী এবং পায়ূ পাখনা কমলা বর্ণের। বাচ্চা বয়সে পুচ্ছ পাখনার গোড়ায় একটি কালো দাগ থাকে। লম্বায় সর্বোচ্চ ১৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নেত্রকোনায় কংস ও সোমেশ্বরী এবং সিলেট ও সুনামগঞ্জের পাহাড়ী নদীগুলিতে এই মাছ পাওয়া যায়। তবে খুবই কম। কাপ্তাই হ্রদেও আগে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যেত। বর্তমানে বেশ বিরল। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) কর্তৃক ঘোষিত বাংলাদেশের মহাবিপন্ন মাছের তালিকায় ইতোমধ্যে জায়গা হয়েছে মাছটির।
তথ্য সহায়তাঃ Fresh Water Fishes of Bangladesh-A.K. Ataur Rahman, ইন্টারনেট।
ছবিঃ লেখক।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৯
মহলদার বলেছেন: খুলনা অঞ্চলে আমাদের ঠাকুদাদাদের আমলে মাছটি ছিল বলে আমার ধারনা। আমার বাবার কাছেও কখনো মাছটির নাম শুনিনি। মাছটি হাওর/বিল-বাওড়ে বেশী পাওয়া যেত একসময়। খুলনা অঞ্চলে বিল-বাওড় তো বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে চিংড়ি চাষের কারনে।
কেমন আছ?
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৮
গৌতম রায় বলেছেন: আমার বাড়ি কংশের তীরে। কংশ নদীতে এই মাছ কখনও পাওয়া গেছে বলে শোনা যায় নি। পিতা বা পিতামহরাও নাকি কংশে কখনও মহাশোল দেখেন নি। তবে সোমেশ্বরীতে একসময় প্রচুর পাওয়া গেলেও এখন আর পাওয়া যায় না। কয়েক বছরে যদি একটার দেখা মেলে তখন তা পত্রিকার খবর হয়। আমি নিজে মহাশোল দেখার জন্য একবার বিরিশিরি-দুর্গাপুর গিয়েছিলাম- কিন্তু ভাগ্য যে খারাপ তা তো বুঝতেই পাচ্ছেন!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪৭
মহলদার বলেছেন: দাদা, কংস ও সোমেশ্বরীর রেফারেন্স নিয়েছি আতাউর রহমানের বই থেকে। ওখানে আমার খোঁজ করার সুযোগ হয়নি। আর এই সব মাছ পত্রিকার খবরে আসার সম্ভাবনা কিন্তু কম। বড় কোন মাছ ধরা পড়লে সেটা পত্রিকার খবর হয়। এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৫০ সেন্টিমিটারের রেকর্ড আছে, কিন্তু আমার দেখা সর্বোচ্চ সাইজ ১ ফুটের মত। আমি একটি মাছ সংগ্রহ করেছি এবং সংরক্ষণও করেছি আমাদের অফিসে। চলে আসুন সুনামগঞ্জ আরেকবার।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩০
অলস ছেলে বলেছেন: মোচঅলা
একবার ভেবেছি খেতে কেমন হবে জিজ্ঞাসা করে দুষ্টামী করবো, কিন্তু যেহেতু বিরল প্রজাতির তাই এটা করা ঠিক হবেনা ভেবে বাদ দিলাম।
বাংলাদেশে সবই বিপন্ন হবে। মানুষের জীবনের যেখানে আনাপরিমাণ মুল্য নেই। তবুও ধন্যবাদ আপনাকে। কিছু মানুষকে নিজেদের কাজগুলো করে যেতেতো হবে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৬
মহলদার বলেছেন: মোচ কিন্তু অহন নাই।
আমারও খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি কিন্তু স্থানীয় লোকজনের কাছে শুনেছি স্বাদ নাকি সেইরম!!
একদিকে এদের রক্ষা করা দরকার বলে আমরা গলা ফাটাতে থাকব আর অন্যদিকে আমরা আমাদের পরিবেশে ঢালতে থাকব দগদগে গরল.....
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩১
গরম কফি বলেছেন: নাম শুনেছি দেখার ভাগ্য হয়নি । কাওয়ার ভাগ্য!!! মাওলা সব তোমার হাতে !!!!
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩১
গরম কফি বলেছেন: নাম শুনেছি দেখার ভাগ্য হয়নি । খাওয়ার ভাগ্য!!! মাওলা সব তোমার হাতে !!!!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৯
মহলদার বলেছেন: যাক, নামটা যে শুনেছেন সেটাও কিন্তু কম ভাগ্যের ব্যাপার না।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা খাইনাই কখনও। মাছটা সুন্দর।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০১
মহলদার বলেছেন: এর স্বাদও নাকি সেইরম। তবে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৬
রাজিব খান০০৭ বলেছেন: comment by: অলস ছেলে বলেছেন: মোচঅলা
একবার ভেবেছি খেতে কেমন হবে জিজ্ঞাসা করে দুষ্টামী করবো, কিন্তু যেহেতু বিরল প্রজাতির তাই এটা করা ঠিক হবেনা ভেবে বাদ দিলাম।
হুমমম
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০২
মহলদার বলেছেন: মোচ কিন্তু অহন নাই।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৯
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: প্রথম দেখলাম, চমৎকার মাছটা।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৩
মহলদার বলেছেন: ঠিক, চমৎকার মাছটা।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪০
দূর্ভাষী বলেছেন: ভালো আছি দাদা, আপনি কেমন আছেন, সুনামগঞ্জেই আছেন এখন ও
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৬
মহলদার বলেছেন: ভাল। তুমি তো এদিক আস মাঝে মাঝে, দেখা করো সময় পেলে।
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫১
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: আমিও জানতাম এটা বিরল প্রজাতির মাছ, তবে এটা আমি ২০০৭ বা ২০০৮ এ আগোরা সুপার শপে বিক্রী হতে দেখেছি, এই নামেই। তখন অবাক হয়েছিলাম, আর ভেবেছিলাম এখন হয়ত চাষ হয় এটার। এ ব্যাপারে কিছু জানে কি?
ধন্যবাদ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৪
মহলদার বলেছেন: এটা চাষের কোন তথ্য আমার হাতে নেই। গতবছর কোন এক ব্যাপারীর কাছে জেনেছিলাম জ্যান্ত মাছ পেলে নাকি তারা ঢাকায় পাঠায়। অনেক দাম পাওয়া যায়। হাওর অঞ্চলে প্রতিদিন যে কি পরিমানে মাছ ধরা পড়ে এবং সেগুলো ঢাকা, সিলেট, অন্যান্য জেলা ও দেশের বাইরে যায় তা দু'একটা র্ফিস ল্যান্ডিং সেন্টারে গেলে কল্পনা করা যায়। হাজার হাজার টন। এত মাছের মধ্যে হয়ত কিছু থাকতেও পারে। তবে তা অনেক কম। সচারচর চোখে পড়ে না।
ধন্যবাদ আপানকেও।
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৪
সায়েম মুন বলেছেন: নাম শুনেছি আর স্বাদের কথাও শুনেছি।
বাস্তবে দেখিনি শুধু ছবি দেখেছি আর
স্বাদের কথা শুনেছি
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৮
মহলদার বলেছেন: আপনার তো তাহিরপুর থাকাকালীন দেখার কথা, অবশ্য সচারচর চোখে পড়ে না এটি। কাজের সুবাদে বাস্তবে দেখার সুযোগ হয়েছে, না হলে হয়ত হত না।
১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১৩
দূর্ভাষী বলেছেন: দাদা এখন আর যাওয়া হচ্ছে না ওদিকে, বর্তমান চাকুরী রিজাইন করেছি, তাই শেষ মুহুর্তের রিপোর্টিং এবং ফাইল গোছগাছে ব্যস্ত। ২৮ ফেব্রুয়ারি রিলিজ নিচ্ছি।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৯
মহলদার বলেছেন: তাই নাকি। আচ্ছা নুতন কোথায় কি করতে যাচ্ছ মেইলে জানিও। ভাল থেক।
১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১৯
আকাশচুরি বলেছেন: আপনার সুবাদে বিরল মাছগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ হয় আমাদের
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩৩
মহলদার বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩২
নীল ভোমরা বলেছেন: খাইতে ক্যামন?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩৫
মহলদার বলেছেন: সেইরম!! (সৌভাগ্য হয়নি, বিপন্ন এদের খাওয়ার ইচ্ছাও হয়না, শুনেছি শুধু)
১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪২
অলস ছেলে বলেছেন: আপনার দেয়া দ্বিতীয় ছবিতে মাছের চারটা মোচের কথা বলেছি। আরো ভালোভাবে ছবিটা দেখে মনে হলো দুইটা মোচ আর দুইটা দাড়ি।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫৫
মহলদার বলেছেন: হা হা হা দেখেন তো কেমতে কি!! আমি ভাবলাম আমার ছবিটা দেখেই বোধহয়....(ঘুমাতে যাবার আগে ব্যাপক হাসলাম)।
১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:১৭
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: আমরা আগোরা থেকে যেটা কিনেছিলাম সেটা লম্বায় আড়াই থেকে ৩ ফিটের মত ছিল, এবং দেখতেও এই মাছের মত। আর যদি মেমরি বিট্রে না করে , তাহলে, আগোরায় বলেছিল কাপ্তাই থেকে পাওয়া।
এবং এটা একাধিকবার কেনা হয়েছিল বলেই মনে পড়ে। (আমার আব্বাজান ভাটির দেশের লোক, মাছের উপর কিছু নাই )
আপনার কাজে লাগতে পারে ভেবে জানালাম
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৩২
মহলদার বলেছেন: হ্যাঁ কাপ্তাই লেকের রেফারেন্সটা পেয়েছি। তবে এখন কম পাওয়া যায় এটাও জেনেছি।ওখানে নাকি বড় বড় সাইজের বিভিন্ন দেশী মাছ পাওয়া যায়। মহাশোল ও তাহলে বড় পাওয়া যেতে পারে। যাক, আপনার তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। খোঁজ নিতে হবে বিষয়টা সময় পেলে। অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:২৬
বিডি আইডল বলেছেন: মহা নাম শুইনা তো ভাবলাম মহা ব্যাপার স্যাপার!!
আগোরায় মনে হয় দুইনম্বরী মাছ খাওয়াইছে...ছাত্রজীবনে মেস ম্যানেজার থাকার সময় দেখছি বাজারের সব বড় কার্প ভোরে কিনে নিত হোটেলওয়ালারা...রুই এর পিস বানাইতে
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৪৭
মহলদার বলেছেন: হ্যাঁ, মহা ব্যাপারই বটে। এর সর্বোচ্চ সাইজের রেকর্ড আছ ১৫০ সে.মি. মানে প্রায় ৫ ফুটের মত। চিন্তা করেন তো ৫ ফুট সাইজের মাছ, এখন অনেকটা স্বপ্নই তো তাই না? নদীতে ধরা পড়ত এরকম বিশাল বিশাল সাইজের মাছ, বাজারে পাওয়া যেত অহরহ, অনেক কম দামে। লোকেরা হাট-বাজার থেকে এসব মাছ কিনে বাড়ি ফিরত। ব্যাগের উপর দিয়ে মাছের লেজটা একটু বেরিয়ে থাকত।কল্পনা করেন তো ব্যাপার টা।
আগোরার বিষয়টা জানিনা তবে শহরের হোটেলগুলোতে এখনও বেশীরভাই মাছই হয়ে যায় রুই।
১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩৯
মাহবুব সুমন বলেছেন: আপনার এই "মাছ ব্লগ" গুলো অনন্য। দারুন লাগে।
এই মাছ জীবনেই দেখি নাই
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৪
মহলদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৪১
বন্ধনহীন বলেছেন: বাংলাদেশের মাছ নিয়ে আমার যথেষ্ট উৎসাহ আছে। এ নিয়ে আপনার সাথে কথা বলার ইচ্ছে আছে।
রাইনবোট্রাউট এর উপর কি বাংলাদেশে কোন গবেষনা হয়েছে? এ মাছ কি বাংলাদেশে চাষ করা যায়?
খুশি হবো যদি আপনি আমাকে একটা মেইল করেন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৪৯
মহলদার বলেছেন: মাছটি বাংলাদেশের নেটিভ স্পেসিস নয়। আর এটার আমদানিও আমাদের দেশে কখনো হয়নি আমার জানামতে। বাংলাদেশে এর গবেষণা ও চাষ সংক্রান্ত কোন তথ্য খুঁজে পেলাম না। আপনাকে মেইল দিচ্ছি। ধন্যবাদ।
২০| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:০৩
গৌতম রায় বলেছেন: আমি আজকে মীনাবাজার থেকে দুই কেজিরও বেশি ওজনের মহাশোল মাছ কিনে আনলাম। কিন্তু দাম রাখলো মাত্র ২০০ টাকা কেজি। ওরা বারবার বললো এটা মহাশোল মাছ, ময়মনসিংহ থেকে কিনে এনেছে। কিন্তু যে মাছ এতো দুর্লভ, তার দাম কি মাত্র ২০০ টাকা? তাই দ্বিধায় আছি।
২১| ২৩ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৫১
গৌতম রায় বলেছেন: স্যরি, ২০০ না, ২৭১ টাকা কেজি।
২৪ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৩২
মহলদার বলেছেন: দামটা একটু কমই মনে হচ্ছে। দুই কেজি ওজনের গ্রাসকার্প ও তো প্রায় এরকম দাম পড়ে, তাও আবার মীনা বাজার এর মত বাজার। আমি এক ব্যাপারীর কাছে জেনেছি প্রায় ৪০০ টাকার মত কেজি এর। খেয়াল করে দেখুন তো এর মুখে কি দাঁড়ি দেখা যায়? মহাশোল মাছের মুখে ছোট ছোট দাঁড়ি থাকে ৪টি।
২৪ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৩১
মহলদার বলেছেন: হ্যাঁ, বিষয়টা এখন জানতে পেরেছি খোঁজ খবর নিয়ে, সেটা হল মহাশোল ময়মনসিংহ অঞ্চলে চাষ হয়। ওগুলো পুকুরে চাষ করা মাছ, এজন্য দাম কম। নদীতে যেগুলো ধরা পড়ে সে গুলো ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত (সাইজ অনুযায়ী) কেজি পড়ে। অবশ্য কারা কোন জায়গায় চাষ করে এর সুষ্পষ্ট তথ্য পাইনি। তবে চেষ্টা করলে জানা যাবে।
২২| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৩৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি সেদিন তিন কেজি ওজনের একটা মহাশোল কিনেছিলাম অগোরা থেকে। মাছটার দুটো দাঁত অনেকটা মানুষের দাঁতের মত দেখতে! পেটের মধ্যে অনেক তেল। আমার কাছে ভাল লাগেনি খেতে। দেখতে সুন্দর
২৪ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৩৪
মহলদার বলেছেন: তাই নাকি, খেতে তেমন স্বাদ না? আমি অবশ্য কখনো খাই নি।
২৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৩৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: মুখে দাড়ি আছে!
২৪ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৩৫
মহলদার বলেছেন: হ্যাঁ, খুব ছোট দাঁড়ি। পরে কখনো কিনলে খেয়াল করেন.....। তবে অনেক সময় এটা ছিড়েও যেতে পারে।
২৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩৭
গৌতম রায় বলেছেন: একটা বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ কিনে এনে খেয়ে ফেলেছি বলে কিছুটা অপরাধবোধে ভুগছিলাম। আপনার বক্তব্য কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরালো। ধন্যবাদ।
২৫ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৩৩
মহলদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
২৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৩০
মো: আবু জাফর বলেছেন: আমি কি এই মাছের পোনা পেতে পারি ?
২৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৪১
অপ্রিয় বলেছেন: মাছটি আসলে প্রবাহিত পানির (স্ট্রীম) নদী বা গর্জের মাছ। মিষ্টি পানির লেক বা হাওরেও পাওয়া যায়। এখন চাষ হয় মিষ্টি পানির এলাকায়।
একটা জিনিষ বুঝলাম না। মহাশোল ভারতের বিখ্যাত অ্যাংগ্লিং ফিস (ছিপ-বড়শি প্রেমিদের প্রিয় ও বাহবা পাওয়া শিকার)।. অনেক বৃটিশ ভারতবর্ষে আসতো মহাশোল শিকারে, যেমন আসত বাঘ সিংহ শিকারে। পাহাড়ী গর্জ বা হাওর এলাকায়। এর ইংরেজী নাম (হিন্দি থেকে) Mahseer বা মহা শির যার হিন্দি অর্থ বড় মাথা। সব মহাশিরেরই দেখলাম মাথা ও মুখ অনেক বড়, শুধু আমাদেরটাই মাথা ও মুখ ছোট। বিষেষজ্ঞরা কি বলেন?
২৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২১
মনে নাই বলেছেন: আজকে প্রথম আলোতে নিউজটা দেখে মহাশোল মাছ খুজতে গিয়ে আপনার ব্লগটা পেলাম। আমিও ভেবেছিলাম এই মাছ দেখতে শোল মাছের মত হবে, কিন্তু না, কোন মিলই নাই।
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/514168/à¦à¦à¦à¦¿-মহাশà§à¦²à§à¦°-দাম-৫০-হাà¦à¦¾à¦°-à¦à¦¾à¦à¦¾
২৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৮
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লেগেছে। পোস্টে প্লাস রইলো। জিম করবেট পড়তে যেয়ে বেশ কয়েকবার এই মাছের উল্লেখ পেয়েছি। ভদ্রলোকের বেশ প্রিয় মাছ ছিলো এটি।
শুভেচ্ছা জানবেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৮
দূর্ভাষী বলেছেন: দাদা, খুলনা এলাকায় এ মাছটা কি নামে পরিচিত, আর পাোয়া যায় কি না, জানাবেন দয়া করে।