![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুলিশের জরিপে আ.লীগ ১২৮, বিএনপি ৪৯
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ২৩৫টির মধ্যে আওয়ামী লীগ ১২৮ এবং বিএনপি ৪৯টিতে জিততে পারে। ৩৮টি পৌরসভায় দুই পক্ষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। পুলিশের এক গোপন জরিপে এ কথা বলা হয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ২০০ থেকে ২২০টি পৌরসভায় জেতার কথা বলছে।
জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে এই জরিপ চালানো হয়। ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট নেওয়া হবে। এতে ২০টি দলের ৯৪৩ জন প্রার্থী দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শুধু মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর পৌরসভায় নির্বাচন হবে ৭ জানুয়ারি, যা পুলিশের এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জরিপের ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের এই তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি প্রথাগত জরিপ নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে যেটুকু তথ্য প্রয়োজন, ততটুকুই তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। এতে এলাকার সার্বিক অবস্থার পাশাপাশি প্রার্থীদের প্রতি ভোটারদের মনোভাবের বিষয়টিও ফুটে উঠেছে। তার ভিত্তিতেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
২০০-এর বেশি পৌরসভায় জেতার ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাত বিভাগের সাতজন সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি দলের সরেজমিন পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কয়টা পৌরসভায় জিততে পারে, তা বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি এভাবে সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলতে চাই না। আমার মতে, বেশির ভাগ পৌরসভাতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতবেন। সরকারের বিস্ময়কর উন্নয়নের পক্ষে মানুষ আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে। কারণ, মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতির কথা তারা যেমন ভোলেনি, তেমনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও দলের নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য মানুষকে বিক্ষুব্ধ করেছে।’
তবে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ও পুলিশের জরিপকে একেবারেই মানতে চান না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ। তিনি বলেন, সরকারের তুষ্টির জন্য পুলিশ বাহিনী এই জরিপ করেছে। অতীতেও যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের জন্যও পুলিশ এ ধরনের জরিপ করেছে। কিন্তু ধানের শীষের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশের জরিপে অনেক স্থানে সরকারদলীয় প্রার্থীদের সম্ভাব্য পরাজয়ের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দলীয় কোন্দল ও বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে অনেক স্থানে দলের অবস্থান ভালো থাকলেও তাদের প্রার্থীরা হেরে যেতে পারেন। কয়েকটি স্থানের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, দলীয় প্রার্থীরা নিজের দলের জন্য কাজ না করে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। অনেক স্থানে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদেরা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বদলে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন ও সহায়তা দিচ্ছেন। আবার অনেক স্থানে ক্ষমতাসীন দলের সাবেক ও বর্তমান সাংসদ পৃথক প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। কয়েকটি পৌরসভার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, চাপের মুখে ওই সব পৌরসভার বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও তাঁদের সমর্থকেরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় ক্ষমতাসীন দলের কোনো কোনো প্রার্থী হারতে পারেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, জরিপে আসা সব তথ্যই থানার পুলিশের মাধ্যমে সংগ্রহ করা। এতে প্রতিটি পৌরসভা ধরে ধরে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। কোন পৌরসভায় কোন প্রার্থী জিততে পারেন, কেন পারেন, তাও বলা হয়েছে। পুলিশের জরিপে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী তিনটি করে পৌরসভায় জিততে পারে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০টি পৌরসভায় জিততে পারেন।
জরিপের ব্যাপারে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, জরিপে যা-ই আসুক, সেটা বড় কথা নয়; নির্বাচনটি যেন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, সেটাই বড় কথা। কারণ, গত নির্বাচনের পর থেকে সরকার বৈধতার সংকটে ভুগছিল। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সেই সংকট নিরসনের দিকে এগিয়ে যাবে। আবার বিএনপিও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
সজিব হাওলাদার বলেছেন: পুলিশ!আবার তোরা মানুষ হ!
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাংলাদেশ পুলিশ লিগতো পুরানা কথা!

আইজি সাব বা তাগোর বড় বড় কত্তাদের কথায় শুনলে মনে হয় দলীয় নেতার বকতিমা শুনছি