বন্ধু তোরা কেমন আছিস ??

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৫

স্কুলের শেষ দিনের পর, অনেকেরই হয়তো সেই গলায় গলায় বন্ধুত্বের উপর মরীচিকার আস্তর পরে যায় । ক্লাসের ব্যাক বেঞ্চার হয়ে প্রিয় বন্ধুদের সাথে হয়তো কখনোই বসার সুযোগ হয়ে ওঠে না। হোমওয়ার্ক না করার অপরাধে, স্কুলের করিডোরে বন্ধুরা মিলে কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাকার সেই স্মৃতিও পুনরুদ্ধার হয় না।

স্কুলের প্রিয় স্যারের ক্লাসে, প্রথম বেঞ্চে বসার আনন্দটুকু হয়তো কখনোই আর ফিরে আসে না। সবচেয়ে অপ্রিয় স্যারের ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার চিন্তাগুলো আর মাথায় চারা দিয়ে বসে না। একসাথে চৌরাস্তায় আড্ডা, টিফিন ভাগাভাগি করে খাওয়া কিংবা ব্যাগ থেকে বন্ধুর টিফিন চুরি করে খাওয়ার সেই পৈশাচিক আনন্দ আর কখনোই ফিরে আসবে না।

তোর কাকে পছন্দ হয়েছে ? চল যাই। আজকে তোকে বলতেই হবে। বন্ধু-বান্ধবীর প্রেয়সীকে প্রেমের প্রস্তাবে সাহায্য করা সেই এক একটা হারামিকে আর কখনোই সেভাবে কাছে পাওয়া যায় না।

অপরাধ কিংবা বিপদে বন্ধুর জন্য ঢাল হয়ে যাওয়া সেই মানুষগুলোকে সবাই স্কুল লাইফেই পায়। যদি কেউ না পেয়ে থাকে, তবে সে অভাগা । স্কুল ফাঁকি দিয়ে সবাই মিলে একসাথে বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ উপভোগ করতে স্টেডিয়ামে যাওয়া কিংবা বিলিয়ার্ড খেলার সৌভাগ্য দ্বিতীয়বার হয়তো ফিরবে না।

ক্লাসের সামনে বসা সেই অস্বাভাবিক প্রকৃতির মেধাবী বন্ধুগুলোকে কাগজ ছুঁড়ে মারা বা ঠুয়া মারার দৃশ্য, চোখের সামনে ভেসে উঠলেই খানেক সময় ধরে হাসতে থাকি। হঠাৎ মনোমালিন্য হলেই, বন্ধুকে দুশমন বানিয়ে হেনস্তা করার পর, স্কুল ছুটির সময় গিয়ে সরি বলার সেই কম্প্রোমাইজ, আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পর্ক রয়েই যেত।

স্কুলের ক্লাসরুম, ওয়াশরুম, বারান্দা, সিঁড়িকোঠা হলো ছাত্র-ছাত্রীদের এক একটি স্মৃতির ভান্ডার। প্রতিটি দেয়াল বলে দেয়, এক একটি ছেলে-মেয়ে কোনো অংশেই নজরুল-রবীন্দ্রনাথ থেকে কম না।

আর এসব কারণেই বোধ হয়, স্কুল জীবন সেরা । এক কথায়, জীবনের বর্ণিল মূহুর্ত , প্রত্যেকের জীবনের মোমেন্টগুলো স্কুল থেকেই পাওয়া।

০ টি +০/-০