নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাতভর বৃষ্টি

দিনভর গান

মাহবুব মোর্শেদ

মাহবুব মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেট ও জাতীয়তাবাদ : বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের তথাকথিত বিশ্বাসঘাকতা ও ক্রিকেট প্রেমিকদের হাহাকার

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২৮

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কইছিলেন মেলা আগে, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য- এই আমাদের ভারতবর্ষ। ভারতবর্ষ তখন রাষ্ট্র আছিল না। আছিল, ইংরেজের ইনডিয়ান এমপায়ার। ভারতবর্ষ যে শতখণ্ডের বিভাজিত হইতে পারে, এইটা নিয়া চিন্তক, বিদ্বৎ সমাজের মধ্যে টেনশন আছিল। তাই তারা ভারতবর্ষের সংস্কৃতি একই সংস্কৃতি বইলা প্রচার করছিলেন। আর এই ধরনের শ্লোগান তৈরি কইরা বাজারে ছাড়ছিলেন। ইনডিয়ান প্রচার মাধ্যমে এখনও কবি রবীন্দ্রনাথের সুরে সুরে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ধূয়া উঠে। বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দে মাতরমও উঠে। ইকবালে, জারে জাহাঁ ছে আচ্ছাও গাওয়া হয়। ভারতবর্ষ থেকে ভারত হইতে গিয়া কোনো রাষ্ট্র আসলেই সম্ভব হইছে কি না, সেইটা আনে হুয়া কালই বাতাবে। কিন্তু দুষ্ট লোকে বলে, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের হাইথট ধারণা এই কর্পোরেট মিডিয়ার যুগে কেউ খায় না। তাই ভারতের ঐক্যের প্রতীক নাকি ইনডিয়ান ক্রিকেট আর বোম্বাই সিনেমা। ইনডিয়ান ক্রিকেট ও বোম্বাই সিনেমাই নাকি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ঐক্য মজবুত কইরা রাখছে। কথাটায়, নাটক আছে, তার থেকে বেশি আছে সত্য। ক্রিকেটের সঙ্গে জাতীয়তাবাদের সম্পর্ক না থাকলে ইনডিয়ান দল হারার পর ধোনীর বাড়িতে হামলা হয় না। আবার টুয়েনটি টুয়েনটিতে জিতার পর সেই ধোনী আবার সম্রাট হয়ে যায় না। বিজ্ঞাপনে, আহারে বাহারে ক্রিকেট তারকা আর বোম্বাই তারকাদের শোর দেখলে বুঝা যায়, ইনডিয়ান কর্পোরেট জাতীয়তাবাদ কই যাইতেছে। ভারতে এখন সিং অ্যান্ড সোনিয়াই কিং ও কিং মেকার। কাল এইখানে আদভানী আসতে পারে আবার সিতারাম ইয়াচুরিও আসতে পারে। কিন্তু ভারতে বাদশাহ বলতে বচ্চন, কিং বলতে শাহরুখ, মহারাজ বলতে সৌরভদের বুঝানো হবে। কর্পোরেটের বাদশাহীতে এনারাই নয়া ভারতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

সে তুলনায় আমরা মেলা পিছায়ে, বাংলাদেশের মানুষের ঐক্যের সমস্যা নাই। তাই জাতীয়তাবাদের প্রচারণাও ঢিলাঢালা। তবু জাতীয়তাবাদ আছে। আমাদের সিনেমা আর ক্রিকেটের অবস্থা মোটামুটি একই। সেই কবে একবার জিতছিল, মনে করা দুষ্কর। তবু নতুন খেলা শুরু হইলে মাইনষের মনে যে উচ্ছাস দেখি সেইটা দেখলে ভাল লাগার কারণ থাকে। কিন্তু বুঝা যায়, এইটা ইনডিয়ান মিডিয়ার বাংলাদেশী প্রভাব। লোকে ক্রিকেট ভালবাসে বটে। দল ভাল খেলুক তাও চায়, কিন্তু দল তো রেডি না। তাই একটু সাফল্যে মানুষের শোরগোল ক্যাটগুলারে টাইগার বানায়ে ছাড়ে। ক্যাট যখন টাইগার উপাধি পায়, তখন তার অবস্থা কী হয়? সে শিকার করে? আমার মনে হয়, মাছের কাঁটা খুঁজতেও ভুলে যায়।

আমাদের হইছে সে অবস্থা। কতদিন ধইরা দেখতেছি, আশরাফুলের দল হারতেছে তো হারতেছেই। উন্নতির কোনো লক্ষণ নাই। দলে কোনো রদবদল নাই। হাবিবুল বাহার থেকে কাপালি পর্যন্ত বহু খেলোয়াড়রে বসাইয়া রেখে বা লো প্রোফাইলে খেলানো হইতেছে। এ নিয়া খুব বড় কথা হয় নাই। এখন ওরা আইসিএলে গেল। অমনি গেল গেল রব পইড়া গেল। ওরা যদি এখনই ফেরে তাইলে কি ওদের দিয়া খেলানো হবে?

ওদের সদব্যবহার হবে? বাংলাদেশ দল উন্নতি করবে?

ক্রিকেটে নানা দেশের দলগুলা, নির্বাচকরা, স্পন্সর, ব্রডকাস্টার অমুক তুমক মিলে যে কর্পোরেট রাজ তৈরি করছে তার বিরুদ্ধে অলটারনেটিভ ক্রিকেট তো দাঁড়ানো দরকার। হারজিতের খেলার সাথে জাতীয়তাবাদের এত মাখামাখির দরকার কী? সবাই তো আমরা জানি, জাতিকে মাতাইলেও মূল কথা হইলো বিজনেস। এইখানে আইসিএল বিজনেস করলে আমাদের সমস্য কোথায়?

হাবিবুলদের দশবছরের জন্য বহিষ্কার করে বিসিবি খুব খারাপ কাজ করছে। তারা নিজেদের ব্যর্থতার প্রতিশোধ নিছে এই ক্রিকেটারদের ওপর। অথচ এই ব্যর্থতার জন্য তাদেরই উচিত আছিল, পদত্যাগ করা এবং মাঠে ও ম্যানেজমেন্টে সাম্প্রতিক ব্যর্থতাকে শিকার করা।

বিসিবি যদি হাবিবুলদের চ্যালেঞ্জটা নিতো, তারা যদি জাতীয় দলকে প্যারালালি শক্তিশালী কইরা সামনের খেলাগুলাতে সাফল্য আনতে পারতো তাইলে একটা ভাল ফল হইতো। আমার ধারণা, হাবিবুলরাও চ্যালেঞ্জটা নিতে পারে। ঢাকা ওয়ারিয়র্স যদি আইসিএলে ভাল খেলে তাইলে আমাদেরই সুনাম। আমরা চাই তারা খেলুক। ভাল খেলুক। ব্যর্থ নির্বাচক আর ম্যানেজমেন্টের আওতার বাইরে যদি তারা সাফল্য দেখাইতে পারে, তাইলে দেশের মানুষ এদের নিয়ে নতুন করে ভাবতে। যারা দশ বছরের জন্য বহিষ্কার করছে। তারাই তখন দশ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কারাদেশ তুইলা নিতে পারবে।

আমি খেলা বিষয়ে সম্পূর্ণ বেখবর একজন লোক। জীবনে কোনো খেলা দেখি না। এ পর্যন্ত পত্রিকার খেলার পাতার কোনো আইটেম পড়ি নাই। কিন্তু খেলা কথাটা আমার ভাল লাগে। খেলাচ্ছলে কিছু জিনিশকে দেখতে পারলে আখেরে ভাল হয়, এইটা বুঝি। এইটাও বুঝি স্পোর্টের সাথে মেলা মানুষ জড়িত যারা কোনো জিনিশকেই স্পোর্টলি নিতে পারে না। প্লেফুলনেস তাদের মধ্যে থাকে না। ফলে, খেলা নিয়া নানা রকম গেম চলতে থাকে। এইগুলা ঠিক না।

খেলা বিষয়ে মুর্খ একজন লোক হিসাবে আমার ভুল-ভ্রান্তি ধরায়ে দিলে উপকৃত হবো।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১৪/-৫

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৩

মদন বলেছেন: একমত

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৫

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৬

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন +++
আইসিএল কেন অপাংক্তেয় হবে এটা আমার প্রশ্ন । আইসিএল এ খেলা খেলোয়াড় কেন জাতীয় দলে খেলতে পারবে না ? আইসিসির তো কোন রুলিং নাই ।

*ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আমাদের দুই পয়সা দামটাও দেয় না
*বাংলাদেশে এসে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে তাদের লেগে গেছে ৭ বছর , এর মাঝে অন্য দলগুলোর সাথে ২/৩ টা করে সিরিজ খেলা হয়ে গেছে ।
*বাংলাদেশ ভারত সফর করতে পারে না , নানা অজুহাতে ভারতীয় বোর্ড সফর মুলতবি করে ।

এই বোর্ডকে খুশি করার জন্য বিসিসিবির কেন উঠে পড়ে লাগা ?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আমি তো এইগুলা কিছুই জানি না। স্রেফ গত কয়দিনের খবরগুলায় চোখ বুলাইছি।
আপনাদের সমর্থন পেয়ে বুকে বল পাইলাম।
অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৯

অরণ্যচারী বলেছেন: আমি মনে করি খেলোয়ারদের দোষ ২০ ভাগ আর বোর্ডের দোষ ৮০ ভাগ। সুন্দর পোস্টের জন্য প্লাস।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪১

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৯

ফারহান দাউদ বলেছেন: আপাতত ভুলভ্রান্তি দেখতেসি না,পুরা ব্যাপারটাই ইনডিয়ান বোর্ডের বানানি,,নিজেরা আইপিএল করতে পারবো কিন্তু আইসিএলে খেললে অন্য দেশের সেরা খেলোয়ারগুলারে ভিষ্কার করা লাগবো,পুরাই মামার বাড়ির আব্দার,আড় মেরুদণ্ড ছাড়া আইসিসি সেইটার লগে নাচতে আর নাচাইতে ওস্তাদ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৩

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: তাইলে ভিতরে ভিতরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খেলতেছে?
আজব!

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫১

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: বুঝলামনা ... বিসিবি দশ বছরের বহিষ্কার আদেশ দেয়ার আগেই তো খেলোয়াড়রা অবসর নিয়া ফেলছে ... তাইলে আর বহিষ্কারে মন খারাপ কেনো ... বহিষ্কার উঠায়া নিয়া তাগোর অবসরপত্র গ্রহন করে নিলেও তো তারা আর দেশের হইয়া খেলবেনা ... এখানে কি দেশের হইয়া খেলা বা খেলতে পারা বা খেলতে না দেয়াটা কোন ফ্যাক্টর?

আজকে আমরা হাবিবুলরা বহিষ্কার হইছে দেখে কিজন্য ক্ষুব্ধ হইতে পারি? বাংলাদেশ দল ওরকম ভালো ভালো খেলোয়াড়দের সার্ভিস আর পাবেনা বইলা? সেইটা তো ঐ খেলোয়াড়রাই আগের দিন দিবেনা বইলা অবসরগ্রহন কইরা ফেলছে।

তাইলে তো আমাদের মাতমের কিছু নাই।

বিসিবি বহিষ্কার করুক আর না করুক, বটমলাইন হইলো, ঐ সাতজন খেলোয়াড় আর কোনদিন বাংলাদেশের হইয়া খেলবেনা।

প্রশ্নটা তাহলে কোথায়? খেলোয়াড়রা ক্ষেপলেন কেনো? দেশের হইয়া খেলার সুযোগ হারানোর জন্য? মোটেও না?

খেলোয়াড়রা ক্ষেপছে কারণ দেশের লীগে তাগোর আর খেলার সুযোগ নাই বইলা। আইসিএলের পাশাপাশি দেশী লীগেও তো আয় করার সুযোগ ছিলো!

এইটা পুরোপুরি একটা অর্থকেন্দ্রিক কাইজ্জা বিসিবি আর খেলোয়াড়দের মধ্যে। খেলোয়াড়রা তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ দেখছে, বিসিবিরে পানিতে চুবাইয়া গেছে, যদিও সেই স্বাধীনতা তাদের আছে, তাদেরকে আমরা আমজনতা দোষ দিতে পারিনা, কিন্তু বিনামেঘে এমন বজ্রপাতে বিসিবি তো আর ভদ্রলোকের মতো হাসিমুখে থাকবেনা। তারা ইট খাইছে, এখন পাটকেলের যোগাড় করছে।

খেলোয়াড়রা যদি অর্থ আয়ের পথ বাড়ানোর কারণে বিসিবিকে বাঁশ দিতে পারে, তাহলে বিসিবি কেন তাদের নিজেদের আয়োজিত লীগে ঐ খেলোয়াড়দের ব্যান কইরা তাদের অর্থ আয়ের পথ বন্ধ করতে পারবেনা?

তবে বিসিবির মাথামোটা কর্মকর্তারা আরো ভালো সমাধান আনতে পারতো। একটু আইসিসি আর বিসিসিআইয়ের সাথে কূটনীতি চালাইতে পারলেই হইতো।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৪৯

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আরও কিছুটা পরিষ্কার হইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৩

তপন চৌধুরি বলেছেন: খেলতে না পারলে তো খেলোয়ারদে দোষ দেওয়া যাবে না৷ বিসিবি এই জন্য পুরা দায়ি৷ এইসব খেলোয়ারেরা তাদের সাধ্যমত চেস্টা করেছে আর প্রশিক্ষনের অভাবে হেরেছে৷ যেই দুয়েকটা খেলা জিতেছে তা প্রতিপক্ষ ছেড়ে দিয়েছে বলেই জিতেছে৷ এইসব খেলোয়ারেরা যারা অতীতে দেশের জন্য যা করার করেছে আর এখন যখন তারা অপাংতেয় পরিনত হয়েছে ও তাদের কেরিয়ার নিয়ে চিন্তা করেছে তখন বিসিবি চুক্তির অজুহাত তুলে মনে করছে যা খুশি তাই করতে পারে৷ দর্শকরা যদি ক্রিকেট খেলা বর্জন করে সাথে বর্তমান (যারা ব্যান হন নাই) খেলোয়ারেরাও যদি না খেলে তাহলে বিসিবি কিছুই করতে পারবে না৷ বিসিবি ক্রিকেটর নাম করে ওনাদের পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমন আর শপিং করে বেড়িয়ছে৷ দেশ হারলে বিসিবির কিছু এসে যায় না৷ আসুন দর্শকরা বিসিবিকে বর্জন করি৷

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫১

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আসলেই কি ছেড়ে দিয়েছে বলেই জিতেছে?

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৪

অচেনা সৈকত বলেছেন: আপনার সাথে ১০০% সহমত।আমিও আপনার মত খেলা বিষয়ে বেখবর। ক্রিকেট খেলাটা বুঝি কিন্তু বসে খেলা দেখাটা হয়ে উঠে না।
কিন্তু আপনার মতামতে জোর সমর্থন জানাচ্ছি। আমারও এটাই মনে হয়েছে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫২

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমি অবশ্য খেলাটাও বুঝি না। রান হয়, ছয় চার হয় এইগুলা বুঝি।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৪

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: তবে আরেকটা কথা ,বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এত বেশি কমিটমেন্টলেস যে তাদের পক্ষেও আমি নাই । বোর্ডের উপর ক্ষোভের কথাটা বললাম

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: খেলোয়াড়রা টাকার প্রতি কমিটেড আর আমরা চাই তারা দেশের প্রতি কমিটেড হউক। আসলে দরকার আছিল খেলার প্রতি কমিটেড হওয়া। তাইলে তারা ভাল টাকা পাইতো। দেশও ভাল খেলা পাইতো।

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: জ্বিনের বাদশা,প্রশ্নটা কিন্তু বিসিবি বা খেলোয়ার নিয়া না,আমার কোনদিকেই সহানুভূতি নাই। হাবু বা নাফিস না খেইলা বাংলাদেশের ভাল ছাড়া খারাপও হয় নাই। আমার কথাটা হইল,কেন ভারতীয় বোর্ড নিজেদের ইচ্ছামত অন্য বোর্ড বা আইসিসিরে চালাইবো আর সেইটার সাথে ক্যান বিসিবি বা অন্যরা নাচবো?

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১০

ফারহান দাউদ বলেছেন: আর খেলোয়ারদের দিকে সহানুভূতি ক্যান নাই সেটা মেহরাব বইলা দিসে,বাংলাদেশের খেলোয়ারদের খেলা দেখলে মনে হয় গেসে ঘুরতে আর দাঁত কেলাইতে হারার পরে,লজ্জাশরমও নাই,তারা যে ১৫ কোটি মানুষের প্রতিনিধি এইটা তাদের মাথায় থাকেনা,তুলনায় পয়সা কিন্তু কম কামায় না। কয়দিন আগে টাকা নিয়া চিল্লানিতে ইংল্যান্ড বোর্ড হিসাব দেখাইসিলো যে হার্মিসন গত মৌসুমে এত বাজে খেলসে যে তার ১টা উইকেটের জন্য সে ৭ লাখ টাকার উপরে পাইসে। আমার ধারণা,যে প্লেয়ারগুলা গেসে তাদের একেকটা উইকেট বা রানের জন্যও খুব ১টা কম টাকা বিসিবি'র যায় নাই। আর এখন তারা ভাব ধরতাসে,না জানি কত দামী প্লেয়ার।

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৩

কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: আশ্রাপুলে নাকি আগেই জানান দিসিলো?
হেয় নাকি কইসিলো কয়েকজন যাইতে পারে মগর আমার জাওনের ইচ্চা নাই?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হা হা হা।

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৩

ভোরের কুয়াশা...ফয়সাল বলেছেন: সবই টাকার খেলা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আসলেই?

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: আশরাফুল এখন ব্যাপক মজায় আসে আমার ধারণা,কারণ এখন যতই বালছাল খেলুক তারে সহজে বাদ দিবে না,খেলোয়ারই কম।

১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:২৯

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: ফারহান, ইন্ডিয়ার ক্রিকেটবোর্ড তো এখন ক্রিকেট জগতের আম্রিকা ;) ... উনারাই তো চালান আমরা চলি :(... বিসিবির কাছে আমি বিসিসিআইএর চোখরাঙানি উপেক্ষা করার গাটস আশা করিনা ;) ... দেখে বেচারাদের অবস্থা, দুইদিন পরপর বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস কি করা হবে সেটা নিয়া যেভাবে প্রশ্ন উঠে, সেখানে বিসিবির আন্তর্জাতিক বলয়ে খুব একটা ভাব নিয়া চলতে পারার কথা না ... যে যা বলে তাতেই হুঁ-হাঁ করে কোনমতে চলা লাগে বেচারাদের ... সেজন্যই মনে হইলো, বিসিবির আরেকটু কূটনীতি করার দরকার ছিলো

তবে যারা আইসিএলে খেলতে গেছেন তাদের দশ বছর বহিষ্কার হবার ব্যাপারে আমার কোন ক্ষোভ নাই ... লাথিটা তারাই আগে মেরেছেন ... অবসর নিছেন ... এখন দেশের লীগে তাগোর টাকা কামানোর পথ বন্ধ হইছে, তাতে আমার কি? ;)

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৩২

শিলা আহেমদ বলেছেন: ক্রিকেট খেলা খুব একটা বুঝি না। তবে এটা বুঝি দেশের মান সম্মান টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৪৩

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আমার তো মনে হয় এখানে রাজনীতিটা খেলছে আইসিএল ... আমাদের প্লেয়ারদের ফর্মের যা অবস্থা, ঢাকা ওয়ারিয়র্স যে খুব একটা জমাইতে পারবেনা খেলা, সেইটা কমবেশী আমরা সবাই বুঝি ... তারপরও বাংলাদেশ থেকা একসেট প্লেয়ার নিয়া যাওয়ার কারণ কি ... তাও একেবারে জায়গামতো হাত দিয়া ... জাতীয়দলের পূলের খেলোয়াড় ...
আমার একটা অবজারভেশন হইছে এইটা দিয়া আইসিএল আইসিসিরে এবং পরোক্ষভাবে বিসিসিআইরে এক হাত দেইখা নিলো ... বাংলাদেশের মতো একটা টীমে যদি আরেকটু জোরে টান দিতে পারতো তাইলে আইসিসির একটা টেস্ট দল আরকি গুড়াগুড়া হইয়া যায় ... বাংলাদেশ দল বইলাই আর কইছু থাকেনা ... এখনই সেই অবস্থা হইয়া গেছে কিনা কে জানে ... বাংলাদেশের মতো মার্কেট হারানো আইসিসির জন্য একটু হইলেও ধাক্কার ব্যাপার ... তখন আইসিসি খানিকটা হইলেও বিসিসিআইয়ের উপর নাখোশ হবে

এই ব্যাপারটাই বিসিবি'র উচিত ছিলো আইসিসি আর বিসিসিআইয়ের সাথে আলাপ করা ... যেন, আইসিএলের যদি এমন কোন বদউদ্দেশ্য থাইকা থাকে তাইলে যেন সেইটা সফল না হয় ... মানে, এযাত্রা বাংলাদেশী প্লেয়ারদের ছেড়ে দিয়া আগামী বছর থিকা কড়া আইন প্রয়োগ করা হবে এমন কোন নীতি তৈরী করা ...

আর খেলোয়াড়দের উপর যেইটা রাগ লাগছে সেইটা হইলো তারা বিসিবিরে সময় দিলো কোথায়? ঢাকঢাকগুড়গুড় কইরা সব কইরা শেষ সময়ে আইসা অবসর নিলো ... তাদের উচিত ছিলো শুরুতেই বিসিবিরে এ্যাপ্রোচ করা যে দেখো আইসিএল থেকা এমন ভালো অফার আসছে, এখন তোমরা কোন বোঝাপড়া করতে পারো কিনা দেখো ... সেইটা না কইরা উনারা যেটা করলেন সেটাতে সম্পর্ক ভাঙবেই

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০১

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এখন তো আর কিছু করার নাই। নাকি আছে?
আপনাদের আলোচনা থেকে ঘটনা পুরা বুঝলাম। কিন্তু কিছু করার নাই এইটাই মনে হইতেছে। আসলেই কী তাই?

১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৪৫

তপন চৌধুরি বলেছেন: বিক্রী হয়ে গেছে কি হয় নি সেটা বড় কথা না, তবে দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিশাবে আমাদের জানার অধিকার আছে কে কত টাকা আয় করেছেন কোন খেলা থেকে৷ বিসিবির কর্মকর্তারাও কত আয় করেন তা জানাতে হবে৷ একটা ম্যাচ (যেমন New Zealand) খেলার পর কত আয় হয়েছে তার হিশাব খবরের কাগজে দিতে হবে ইত্যাদি৷

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৩

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এনাদার ইম্পর্ট্যান্ট পয়েন্ট টু বি নোটেড।

১৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১০

তুষ।র বলেছেন: অনেক ছোট আছিলাম। কোন নামকরা কৌতুক অভিনেতা চিকাৎসার টাকা না পায়া মরতে ছিল। টিভিতে আবেদন। আমি বড়দের জিগাইলাম এত বড় শিল্পি টাকা নাই কেন?

দেশপ্রেম, দারিদ্র, বিশ্বায়ন, একনাগাড়ে হেরে যাওয়া, খেইলা টাকা কামানো, আবার খেইলা না টাকা কামায়ে পড়ে ডাইল খাওয়ার লাইগা টাকা ধার --- সবি ঘটে আমগো দেশে... শালার জীবন!!!!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫১

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আজব পরিস্থিতি।

১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪

আজহার ফরহাদ বলেছেন: আইসিএলের বিষয়টা এমন দাঁড়াইসে যে আইসিএল ড্রাগের ব্যাবসা করে, অসামাজিক কায়কারবার চলে, তাই সকলে মিলা গাইল পাড়ো।

তো এখন লিগ আর ইন্টার স্কুলটারে চাঙ্গা করলেইতো চলে। ঘরে ঘরে ক্রিকেটার ঘুমায়, যারা গেসে তো গেসে কোন আঘাটের জল খাইতে তাগো নিয়া আবার টানাটানি শুরু হইলো।

ভালা পোস্ট। আরাম পাইসি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫৩

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: থ্যাংকস আজহার। আজকে শ্রী লংকান ক্রিকেট বোর্ডের নিউজটা দেখে শান্তি পাইলাম।

২০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫৪

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ইমোটিকন তো তেমন বুঝি না। গিয়া গিয়া দেখতে হয় কোনটার মানে কী।

২১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:০৩

নৈঃশব্দ্যের কথন বলেছেন: "খেলোয়াড়রা টাকার প্রতি কমিটেড আর আমরা চাই তারা দেশের প্রতি কমিটেড হউক। আসলে দরকার আছিল খেলার প্রতি কমিটেড হওয়া। তাইলে তারা ভাল টাকা পাইতো। দেশও ভাল খেলা পাইতো।"

প্রশংসা করছি এই বক্তব্যের।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১১

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:১০

শ্রেয়া বলেছেন: আপনি যদি খেলার বিষয়ে বেখবর হন,তো আমি হইতেছি গিয়ে,অখবর,কুখবর ধরনের,কাজেই এইখানে গন্ডগোল পাকাবো না,্ওইখানে হাসি পাইছিল আসলে উপর এর মন্তব্য টা পরে!!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫০

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: কাজটা ঠিক করো নাই। বাংলা তো দেখি লেখতে পারো।

২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:২২

ফাহমিম বলেছেন: গেছে ভালো করছে।খেলা তো লাগবো।টাকা তো কামানো লাগবো।

আর বিসিবি তে কি পরিমান গিরিঙ্গিবাজি চলে তার হাল্কাপাতলা আমার দেখা আছে।সুস্থ থাকা সম্ভব না ওই পরিবেশের মধ্যে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:০৫

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এই অবস্থা?
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৪

ত্রিভুজ বলেছেন: লেখাটা অনেকদিন পর দেখলাম... প্রিয় পোস্টে গেল ।

২৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫০

রেজাউর রহমান বলেছেন: অনেক দিন আসেন না এখানে। ভুলে গেলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.