নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাহদী নূর

মাহদী নূর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশু শ্রম নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগ কি সঠিক হবে?

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪





শুধু বাংলাদেশ নয় বরং প্রায় সব দেশেই শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করাই উচিৎ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিশু শ্রম নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগ আদৌ সঠিক কিনা সেখানেই আমার প্রশ্ন!



প্রথনেই বাংলাদেশের আইনে শিশু বলতে কি বোঝায়?

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর

২(৬৩) ধারায় "শিশু" অর্থ চৌদ্দ বৎসর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি;



অন্যদিকে জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ এর

২.১ ধারায় শিশু বলতে আঠারো বছরের কম বয়সী বাংলাদেশের সকল ব্যক্তিকে বুঝাবে। দেশের প্রচলিত কোন আইনে এর ভিন্নতা থাকলে এই নীতির আলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে সামঞ্জস্য বিধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।



উভয় আইনে

কিশোর-কিশোরী বলতে ১৪ বছর থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে বুঝাবে।



সুতরাং শিশু শ্রমিক বলতে ১৪ বছরের কম সকল শিশুকে বোঝাবে।



বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৩৪৷ (১) ধারা অনুযায়ী

কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না৷



এখন এই আইন প্রয়োগ করার পূর্বে আমাদের কিছু তথ্য জানা দরকার। ইউনিসেফের এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় ৬৮ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ৮৩ ভাগ গ্রামে ও ১৭ ভাগ শহরে বাস করে। যাদের বেশীরভাগ কৃষি কাজ করে থাকে।

এই শিশুদের প্রত্যেকে নিজের ও পরিবারের খাবার জোগাড়ের তাগিদে কাজ করে থাকে। তাহলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৩৪৷ (১) ধারা প্রয়োগ করতে গেলে অনাহারে মারা যাবে বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে শিশু শ্রমিকরা।



শিশু শ্রমের মূলে দারিদ্রতা। সারাদেশে ৪৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করছে। সংখ্যার হিসেবে এটা হচ্ছে ৫ কোটি ৬০ লাখ। এরমধ্যে ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষ হতদরিদ্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ চরম দরিদ্র। সুতরাং শিশু শ্রম রুখতে হলে আগে দারিদ্রতাকে রুখতে হবে। এজন্য সরকারকে দারিদ্রতা দূরীকরণে ভুমিকা রাখতে হবে। এছাড়া শিশু শ্রমিকদের পুনর্বাসনে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।



নতুবা শিশু শ্রম আইনের প্রয়োগ করা হলে তা হবে মানবতা বিরোধী।শুধু বাংলাদেশ নয় বরং প্রায় সব দেশেই শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করাই উচিৎ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিশু শ্রম নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগ আদৌ সঠিক কিনা সেখানেই আমার প্রশ্ন!



প্রথনেই বাংলাদেশের আইনে শিশু বলতে কি বোঝায়?

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর

২(৬৩) ধারায় "শিশু" অর্থ চৌদ্দ বৎসর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি;



অন্যদিকে জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ এর

২.১ ধারায় শিশু বলতে আঠারো বছরের কম বয়সী বাংলাদেশের সকল ব্যক্তিকে বুঝাবে। দেশের প্রচলিত কোন আইনে এর ভিন্নতা থাকলে এই নীতির আলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে সামঞ্জস্য বিধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।



উভয় আইনে

কিশোর-কিশোরী বলতে ১৪ বছর থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে বুঝাবে।



সুতরাং শিশু শ্রমিক বলতে ১৪ বছরের কম সকল শিশুকে বোঝাবে।



বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৩৪৷ (১) ধারা অনুযায়ী

কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না৷



এখন এই আইন প্রয়োগ করার পূর্বে আমাদের কিছু তথ্য জানা দরকার। ইউনিসেফের এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় ৬৮ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ৮৩ ভাগ গ্রামে ও ১৭ ভাগ শহরে বাস করে। যাদের বেশীরভাগ কৃষি কাজ করে থাকে।

এই শিশুদের প্রত্যেকে নিজের ও পরিবারের খাবার জোগাড়ের তাগিদে কাজ করে থাকে। তাহলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৩৪৷ (১) ধারা প্রয়োগ করতে গেলে অনাহারে মারা যাবে বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে শিশু শ্রমিকরা।



শিশু শ্রমের মূলে দারিদ্রতা। সারাদেশে ৪৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করছে। সংখ্যার হিসেবে এটা হচ্ছে ৫ কোটি ৬০ লাখ। এরমধ্যে ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষ হতদরিদ্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ চরম দরিদ্র। সুতরাং শিশু শ্রম রুখতে হলে আগে দারিদ্রতাকে রুখতে হবে। এজন্য সরকারকে দারিদ্রতা দূরীকরণে ভুমিকা রাখতে হবে। এছাড়া শিশু শ্রমিকদের পুনর্বাসনে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।



নতুবা শিশু শ্রম আইনের প্রয়োগ করা হলে তা হবে মানবতা বিরোধী।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

ভোরের সূর্য বলেছেন: বাংলাদেশে আইন আছে কিন্তু আইনের প্রোয়োগ নাই। আইনের প্রোয়োগ থাকলে অনেক অপরাধ একদম প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে যেত।

শিশু আইন প্রোয়োগের পাশাপাশি আমাদের নিজেদের কে সচেতন হতে হবে। আপনি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে আপনার লেখা প্রকাশ হবার ১ঘন্টার মধ্যেও আপনার লেখায় কেউ কোন মন্তব্য দেয়নি। শিশুশ্রম যে কতটা অমানবিক সেটা মনে হয় আমাদের মানুষের বিবেকে রেখাপাত করেনা তাই এই বিষয়কে কেউ গুরুত্বও দেয়না।

আমাদের দেশের কিছু অপরাধ আছে যেগুলো আইন করে বন্ধ করা যায় না। এটি হচ্ছে সামাজিক অপরাধ এবং এটা সামাজিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে।

আমাদের দেশে শিশু শ্রমের সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ শিশুদের কাজ করা। লক্ষ্য করে দেখবেন আমাদের পায় বাড়িতেই যেই কাজের মেয়েটা কিংবা বা ছেলেটা থাকে তাদের ৯০%ভাগই শিশু যাদের বয়স ১০-১২ বছর। এদেরকে আমরা অল্প কিছু খাবার কিংবা কাপড়ের বিণিময়ে খাটিয়ে নিই কিন্তু আমরা ভেবে দেখিনা যে একই পরিবারে অন্য একটি একই বয়সের বাচ্চা কতই না আদরযত্নে মানুষ হচ্ছে।কি অবলিলায় একটি ১০ বছরের বাচ্চাকে অর্ডার করি এই যাতো চা করে নিয়ে আন কিংবা ভাত রান্না বসিয়ে দে। অথচ একই বয়সের আমার নিজের বাচ্চা কে এভাবে বলতে পারবো? আসুন আমরা নিজেরা একটু মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে এসব শিশুদের কে দেখি। নিজেদের বাসাবাড়ী কিংবা অফিস কারখানায় শিশুশ্রম বন্ধ করি। আর শিশুশ্রম আইন প্রোয়োগে সহযোগিতা করি।

আর হ্যা অবশ্যই আপনার পয়েন্টটাও গুরুত্বপূর্ণ শিশু শ্রম রুখতে হলে আগে দারিদ্রতাকে রুখতে হবে। তবে শুধু এটা সরকারের ঘারে চাপিয়ে দিলে হবেনা। বরং এখানে আমাদের সাধারন মানুষের অনেক বড় দায়িত্ব আছে এবং আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.