নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৃষ্টিকর্তা

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪




একটা ছবি প্রদর্শনি গ্যালারিতে পাশাপাশি দাড়িয়ে ছবি দেখছিলেন দুজন।

১ম জন আবেগের সাথে বললেন, গোধুলি বেলার ঢাকার ছবিটি দারুন, এক ধরণের বিষন্নতা ছেয়ে আছে ছবিটি জুড়ে যা মনকে প্রশান্ত করে।

ইসলামি বেশভুষার ২য় জন দাড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে বলেন, কম্পিউটার জেনেরেশন আর্ট কিংবা ডিজিটাল আর্টেও এখন এধরণের ছবি তৈরি করা সম্ভব।

এই দুজন সমেত অফিসের অন্যান্য এমপ্লয়িদের এই আর্ট গ্যালারিতে আগমন, অফিসের নির্দেশনাতেই।

হুজুর মানুষদের শিল্প কলার জ্ঞান এরকমটিও হয়, ১ম জন অসন্তোষ প্রকাশ করে বললেন।

সেক্যুলার টাইপের ১ম জনের, এমনিতেই ইসলামি বেশভুষার মানুষদের ব্যপারে এক ধরণের এলার্জি আছে।

এরকম একটা দারুন ছবি ডিজিটাল আর্টে কোনভাবে সম্ভব নয়, কল্পনা শক্তিতে ঘাটতি থাকলেই এধরণের আর্টের ব্যপারে এরকম বাজে মন্তব্য করা যায়। - ১ম জন তার অসন্তোষ প্রকাশ করেই চললেন।

এই ছবিটি পেছনে একটি সুন্দর মন লুকিয়ে আছে, যিনি কিনা ইট পাথরের মধ্যেও গোধুলি বেলাটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন দারুনভাবে, যা হৃদয়কে ছুয়ে যায়। সুর্যের ম্লান আলো ছুয়েছে সবকিছুকেই, পুরো জগতটিই যেন মেতেছে রংয়ের খেলায়।

এই ছবির সৃষ্টিকর্তার কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়, আর আপনি বলছেন এটি কম্পিউটার জেনেরেটেড, হুজুরদের আই কিউ সম্পর্কে অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন, আমার মনে হয় অভিযোগ করা হয় বাস্তবতার নিরিখে।

২য় জন তার শান্ত ভাব বজায় রেখে বললেন, আপনি কি ১০০% নিশ্চিত ছবিটি কম্পিউটার জেনেরেটেড নয়।

এমনি সময় বাইরে মাগরিবের আজানের ধ্বনি শোনা গেল।

২য় জন এবার কিছুটা রেগেই বললেন, আপনার সাথে আর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না, আপনার খোদা আপনারের ডাকতেছেন, গিয়া সেজদা দেন।

১ম জন কথা না বাড়িয়ে গ্যালারির বাইরে এসে দাড়ালেন নামাজের প্রস্তুতি নিতে।

গোধুলি বেলার ম্লান আলো সারা ঢাকা শহর জুড়ে অপূর্ব মায়াময় পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। অদ্ভুদ সেই সৌন্দর্য্য।

১ম জনের হৃদয় অাপ্লুত হল মহান আল্লাহর প্রসংশায়।

তারপর দীর্ঘস্বাস ফেললেন তিনি, তার করুনা হল ১ ম জনের পেছনে।

একটা সাধারন ছবির পেছনে লোকটি একজন সুন্দর মনের সৃষ্টিকর্তা খুজে পায়, কিন্তু এই যে দৃশ্যমান সৌন্দর্য্য, এবং এমনতর আরো অনেক সৌন্দর্য্য যা ছড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে তার পিছনে কোন কোন সৃষ্টিকর্তাকে কোন রহমানকে খুজে পায়না হতভাগারা।






মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: bulls eye...

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৪

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

ওমেরা বলেছেন: ভাল লাগল ধন্যবাদ ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৩

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো বুঝিয়েছেন, ভালো লাগলো পড়ে।

সৃষ্টির স্রষ্টার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা রাখতেই হবে।
মানুষের সৃষ্টিশীল কিছু দেখে উৎসাহিত করাও দোষের কিছুনা হয়তো।

শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪১

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.