![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।
প্রচন্ড গরমের কারণে বৃদ্ধ লোকটি রাস্তার একপাশে ঢলে পড়লেন। আমি ছাতা মাথায় হাটছিলাম। দাড়িয়ে গেলাম। ছাতা মেলে ধরলাম বৃদ্ধ লোকটির মাথার উপর। বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে ছিলাম। কিছুটা সূস্থ্য বোধ করলে বৃদ্ধ লোকটি আমায় শুধালেন বাবা তোামার কষ্ট হচ্ছে, আমি এখন ঠিক আছি। বৃদ্ধ লোকটি একটি রিকশায় চড়লেই আমি স্থানটি ত্যাগ করলাম।
ঐদিন রাতে বাবাকে বহু বছর পরে স্বপ্নে দেখলাম, দুপুরের কড়া রোদে বাবা পুকুর পাড়ে বড়শি পেতে আছেন, আর আমি তার মাথার উপর ছাতা মেলে ধরে আছি। বাবা তোার কষ্ট হচ্ছে, তুই ঘরে যা। ঘুম ভেংগে গেলেও, বাবার কথাগুলো বাজতে থাকল আমার কানে, অঝোরে কাদলাম। মনটা হালকা হল। বিভিন্ন পেরেশানিতে খুবই অস্থির লাগছিল কয়টা দিন।
বৃদ্ধ লোকটির কথা কয়টিই কি যোগসূত্র হয়েছিল, অনেকদিন পর বাবাকে স্বপ্নে দেখার, আর যা কিনা কিছুটা হলেও প্রশান্তিও এনে দিয়েছিল আমার জীবনে।
২৫ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১১
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: আজকাল ছাতা নিয়ে কেউ বের হতে চায় না। কেউ নিলেও শুধু নিজের সুরক্ষার কথা ভেবেই ছোট-খাট ফোল্ডিং ছাতা নিয়ে বের হয়। জানি না কোন দিকে যাচ্ছি।