নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েক কোটি আফ্রিকানদের হত্যা করেছিল সভ্য পশ্চিমারা, সম্পদের লোভে, এই মাত্র কয়দিন আগে

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৩

সৈন্যরা যুবকদের তাদের নিজের মা ও বোনদের হত্যা বা ধর্ষণ করতে বাধ্য করত। রাবারের লোভে উন্মত্ত হয়ে উঠা ইউরোপিয়ানরা রাবার সংগ্রহের জন্য স্থানীয়দের জন্য কোটা বেধে দিত, ব্যর্থ হওয়ার শাস্তি মৃত্যু। রাবার সরবরাহ করতে অস্বীকার করলে পুরো গ্রাম মুছে ফেলা হত। একবার এক গ্রামের পুরুষদের মাথা কেটে গ্রাম পলিসেডে বা লোহা বেড়ায় ঝুলিয়ে দিয়ে নারী ও শিশুদেরকে পলিসেডে একটি ক্রসের আকারে ঝুলানোর আদেশ দেয়া হয়েছিল। একটি বর্ণনা আছে,
কাটা হাতের ঝুড়ি, ইউরোপীয় পোস্ট কমান্ডারদের পায়ের কাছে রাখা হত যা কিনা ছিল কঙ্গো ফ্রি স্টেটের প্রতীক। সৈন্যদের বলা হত হয় রাবার দাও নয়ত কাটা হাত। কাটা হাত এক ধরণের মুদ্রায় পরিণত হয়েছিল। সৈন্যরা কতটা হাত সংগ্রহ করেছিল তার ভিত্তিতে তাদের বোনাস প্রদান করা হত।
কিছু ক্ষেত্রে কোন কোন গ্রাম পাশের গ্রামে আক্রমণ চালাত কাটা হাতের জন্য, রাবারের কোটা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়লে।

1884–85 সালের বার্লিন সম্মেলনে ইউরোপীয় দেশগুলো পুরো আফ্রিকা ভাগাভাগি করে গিলে ফেলার ব্যবস্থা করে, অনেকটা কেক কাটার মত করে। বেলজিয়ানদের দ্বিতীয় রাজা লিওপোল্ডের ভাগে পরে বর্তমান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কঙ্গো। ১৮৮৫ থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত যেটি ফ্রি স্টেট নামে পরিচিত।
রফতানির জন্য প্রাকৃতিক রাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে নরপিশাচ লিওপোল্ড, অনেকের মতে প্রায় দেড় কোটি কঙ্গোলিজদের হত্যা করে।

তার নৃশংসতা থেকে শিশুরা রেহাই পায়নি। "শিশু উপনিবেশ"তৈরি করা হয়েছিল লিওপোল্ডের নির্দেশে। অনাথ কঙ্গোলিজ শিশুদের অপহরণ করে পাঠানো হত ক্যাথলিক মিশনারি স্কুলে কাজ করার জন্য কিংবা সৈন্যে পরিণত হওয়ার জন্য। রোগে মারা যেত অর্ধেক, হাজার হাজার শিশুরা মারা যেত শিশু উপনিবেশের যাত্রা পথে।
সারা পৃথিবীতে সভ্য পশ্চিমাদের অত্যাচারের কাহিনী লিখে শেষ করা যাবে না। পশ্চিমাদের উন্নতিতে সারা দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষের রক্ত মিশে আছে। যা আমাদের দেশের সাদা চামড়াদের তল্পিবাহকরাও ভালোভাবে জানে। আমাদের দেশেও নাকি ব্রিটিশ নীলকররা নীলের চাষ না করলে বিশেষ করে বাংলাদেশের কৃষকদের হাত কেটে ফেলত।

সারা পৃথীবিতে হাজার হাজার মানুষ মারা গেলেও এই তল্পিবাহকদের বিবেক অন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু একটা সাদা চামড়ার কিছু হলেই আহাজারি শুরু করে সভ্যতা গেল বলে।
ফরাসীরা ১৫ লাখ আলজেরিয়ানকে হত্যা করেছিল, উপনিবেশ গড়তে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর আলজেরিয়ানদের ফ্রান্সে আনা হয়েছিল, যুদ্ধে বিধ্বস্ত ফ্রান্স গড়ে তোলার জন্য। এখন আলজেরিয়ান কিংবা আফ্রিকান কিংবা মুসলমানেরাই ফরাসীদের সভ্যতার জন্য হুমকিস্বরূপ। আলজেরিয়া ছাড়াও আরো অনেক দেশ ফরাসীদের অত্যাচার সহ্য করেছে কয়েক শ বছর। এই ফরাসীরা এখন আমাদের শেখাচ্ছে ফ্রিডম অব স্পিচ আর শেখানের পন্থাটি উপনিবেশবাদের কথা মনে করিয়ে আমাদের কিন্তু সেটি বুঝতে পারেনা কিছু কুলাঙ্গার বা সাদা চামড়াদের তল্পিবাহক।

কঙ্গোতে নৃশংসতা

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এখন আমাদের কি করতে হবে সেটাও বলেন।
তৈরী হই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২২

মাহিরাহি বলেছেন: সাদা চামড়াদের তল্পিবাহক হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সাদা চামড়াদের কিছু হলেই সভ্যতা গেল বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। সভ্যতায় অবদান পৃথিবীর কালো মানুষদেরও আছে।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৯

আমি সাজিদ বলেছেন: বেশ যুক্তিসঙ্গত একটা লেখা

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩০

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

Beckford এর বিশেষজ্ঞদের মহাদেশে আফ্রিকার কাছে ব্রিটেনের ঋণ আনুমানিক বহু ট্রিলিয়ান পাউন্ড।

আফ্রিকা এবং এর ক্যারিবিয়ানের আবাদ ছাড়া আবাদ আমরা জানি যে আধুনিক পৃথিবীটির অস্তিত্ব থাকত না।

দাস ব্যবসায় এবং চিনি, কফি, সুতি এবং তামাক থেকে প্রাপ্ত লাভগুলি গল্পের একটি ছোট্ট অংশ মাত্র।

কী গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে কীভাবে এই শিল্পগুলি থেকে আসা টান এবং ধাক্কা পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতিকে গড়ে তুলেছিল । ইংলিশ ব্যাংকিং, বীমা, শিপবিল্ডিং, পশম এবং সুতির উত্পাদন, তামা এবং লোহার গন্ধ এবং ব্রিস্টল, লিভারপুল এবং গ্লাসগো শহরগুলি দাসদের প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ পরিশ্রমে গড়ে উঠেছিল।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: ডিজিটাল নিরাপত্তা টাইপের আইনই তাহলে সঠিক, নাকী ?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

মাহিরাহি বলেছেন: বুঝলাম না।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩২

মাহিরাহি বলেছেন: পশ্চিমের সম্পদ আফ্রিকার শোষণের উপর নির্মিত হয়েছিল - The Guardian

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪০

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: লেখক বলেছেন: বুঝলাম না। দুষ্টামি করলাম ভাই :| ফ্রিডম অব স্পিচের বিপরীত হচ্ছে আমাদের মতো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। তো বলছিলাম দুনিয়ায় প্রায় সব আধুনিক মডেলই উপনিবেশবাদীদের করা। তার অনেকগুলাই ভালো। সুতরাং, না চাইলেও ফলো না করে উপায় নাই, কারণ আমরা তার চেয়ে ভালো কিছু করে দেখাতে পারি নাই। উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, এসব সবসময়ই অপছন্দের। কিন্তু তাদের অনেক মডেল গ্রহণ না করে উপায় নাই

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৩

মাহিরাহি বলেছেন: সবচাইতে খারাপ লাগে যখন আমাদের দেশের তথাকথিত শিক্ষিতরা পশ্চিমাদের অন্ধভাবে অনুসরণ করে অনেকটা নগ্নভাবেই।

স্পষ্ট বর্ণবাদী আক্রমণে আইফেল টাওয়ারে দুই আরব মহিলাকে ছুরিকাঘাত করা হল। পেটির মৃ্ত্যুর কয়দিন পরেই।

খুব একটা উচ্চবাচ্য নেই।

এই অক্টোবরেই কোন কারণ ছাড়াই টরন্টো-অঞ্চলের একটি মসজিদ তত্ত্বাবধায়ককে নির্লজ্জভাবে হত্যা করে কানাডায় এক সাদা উগ্রবাদী Guilherme (William), অনেকেই জানেনা।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: একটু লক্ষ করলেই দেখা যায় যে দুনিয়াজুড়ে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর আসছে, যেখানে ইসলামকে দায়ী হিসেবে সম্পৃক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
হো চি মিন, যিনি ইউরোপে বেশিরভাগ যুদ্ধ কাটিয়েছিলেন, তিনি অধস্তন জনগণের প্রেস গ্যাংগ্রিং হিসাবে দেখেননি।

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০১

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: লেখক বলেছেন: সবচাইতে খারাপ লাগে যখন আমাদের দেশের তথাকথিত শিক্ষিতরা পশ্চিমাদের অন্ধভাবে অনুসরণ করে অনেকটা নগ্নভাবেই।

স্পষ্ট বর্ণবাদী আক্রমণে আইফেল টাওয়ারে দুই আরব মহিলাকে ছুরিকাঘাত করা হল। পেটির মৃ্ত্যুর কয়দিন পরেই।

খুব একটা উচ্চবাচ্য নেই।

এই অক্টোবরেই কোন কারণ ছাড়াই টরন্টো-অঞ্চলের একটি মসজিদ তত্ত্বাবধায়ককে নির্লজ্জভাবে হত্যা করে কানাডায় এক সাদা উগ্রবাদী Guilherme (William), অনেকেই জানেনা।

- নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে মুসলিমরা। প্যাটির মৃত্যুর সত্যি ঘটনাটি এখন অনেকেই জানে। যেখানে নবীকে কোন অপমানই করা হয় নি সেভাবে, সেখানে আমরা জোরপূর্বক একে নবী-অপমান বানিয়ে অন্য ঘটনাগুলোকে ঢেকে দিচ্ছি। মুসলিমদের নিরাপত্তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি কিভাবে বিভাজন তৈরি করা যায়। দুনিয়াজোড়া ইসলামোফোবিয়া বেড়ে গেছে। আমরা সেই ইসলামোফোবিয়া কমানোর কোন চেষ্টা না করে তাকে আরো ইনফ্লুয়েন্স দিচ্ছি। ফলে যেকোন ঘটনায় ইসলাম এবং মুসলমানদের সম্পৃক্ত করার সুযোগ পাচ্ছে বাকিরা। আমরা তাদের সুযোগ কেন দিবো যেখানে আমরা দেখছি সবগুলোকে ইসলামের সাথে যুক্ত করা হচ্ছে? কেন বারবার আমরা একই কাজ করছি? প্রশ্ন জাগে আমরা কি আদৌ মুসলিম কি না।

৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সাদা চামড়া কালা চামড়া । জাত অজাত উচু নিচু কবে যাবে দুনিয়া হতে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩১

মাহিরাহি বলেছেন: শোষণ করা আর শোষিত হওয়ার সমস্যা!

৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৪

জনৈক অপদার্থ বলেছেন: কলোনি হওয়াতে এরুপ সমস্যা আমাদেরো ছিলো। কল্পনা করে দেখুন, আমাদের যদি মসলিন থাকতো, এটাই আমাদের জন্য অনেক বড় একটা শিল্পে পরিণত হতে পারত।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

মাহিরাহি বলেছেন: দেশ দখল করে ওরা শুধু মুনাফার কথা ভেবেছে, দেশের মানুষের কথা ভাবেনি। তবুও কিছু মানুষ ব্রিটিশদের প্রশংসা করে।

১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সম্পদের লোভে এর চেয়ে কঠিন নির্মম হত্যা কান্ড হয়েছে ভবিষ্যতে হবে।কিন্তু ধর্মের নামে এমন হত্যা কান্ড বর্তমানে মুসলমানরাই করে।

১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ব্লগে অনেককেই দেখছি ফ্রান্সের 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা'র প্রেমে এক্কেবারে গদগদ! সারাবিশ্বের মানুষের উপরে এভাবে অত্যাচার করে, চুরি ডাকাতি করে নিজেদের দেশের উন্নয়ন করে এখন সবাই একেবারে সন্ত পল হয়ে বসেছেন!

স্যার, আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম। ভালো আছেন তো?

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ খুব ভাল আছি।

চাকুরি আর ফ্রিল্যান্সিং দুটো নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়।;

১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে সবার মন্তব্য পড়লাম। ভালো লাগলো।

১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫১

রাােসল বলেছেন: Where is the shameless( senior person) self declared educated & much more well behaved commission agent.

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৬

রাােসল বলেছেন: Where is the shameless( senior person) self declared educated & much more well behaved commission agent.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.