![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “আল্লাহ তাআলা মৃত্যুকে সৃষ্টি করে ৭০ হাজার জিঞ্জীর দ্বারা আবদ্ধ করে ৭০ হাজার পর্দার আড়ালে রেখে দিয়েছিলেন। সেই জিঞ্জীর এত বড় ছিল যে একটা তেজী ঘোড়া সহস্র বছর পাড়ি দিলেও তার একটি প্রান্ত অতিক্রম করতে পারবে না। ফেরেশতাগণ কেউই জিঞ্জীরের শব্দে ভয়ে মৃত্যুর কাছে যেতো না। সুতরাং মৃত্যু যে কি জিনিস তারা সেটা জানতো না। একদিন আল্লাহ তাআলা সকল ফেরেশতাদের ডেকে মৃত্যুকে পর্দার আড়াল থেকে উন্মোচন করলেন। কিন্তু ফেরশতাগণ মৃত্যুর ভয়ানক আকৃতি দেখে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকলেন। তার পর মহান আল্লাহ হাজার বছর পর ফেরশতাদের জ্ঞান ফিরিয়ে দিলেন।”
ফেরেশতাগণ জিজ্ঞেস করলো, “হে আল্লাহ এর থেকে বড় কিছু কি আপনি সৃষ্টি করেছেন।”
তখন মহান আল্লাহ তাআলা বললেন, “আমি মৃত্যুকে সৃষ্টি করেছি এবং আমি এর চেয়েও বড়।”
অতঃপর আল্লাহ তাআলা আজরাঈল (আঃ) কে বললেন, “হে আজরাঈল! আমি তোমাকে মৃত্যুর উপর ক্ষমতাবান করলাম।”
তখন আজরাঈল (আঃ) বললেন, “হে আল্লাহ! আমার কি এমন ক্ষমতা আছে যে আমি মৃত্যুকে আয়ত্তে রাখতে পারি?”
তখন আল্লাহ তাআলা আজরাঈল (আঃ) কে মৃত্যুর চেয়েও সহস্র গুন শক্তি প্রদান করলেন। ফলে আজরাঈল (আঃ) মৃত্যুকে স্বীয় ডান হাতের মুঠোয় আবদ্ধ করে ফেললেন। আর তখন থেকে আজরাঈল (আঃ) এর নাম হল মালাকুল মউত অর্থাত্ মৃত্যুর অধিপতি। তারপর মালাকুল মউত আল্লাহর কাছে আবেদন করলেন, “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন তা আমি আসমান ও জমিনের সর্বত্র ঘোষনা করতে চাই।”
আল্লাহ তাআলা মালাকুল মউতকে অনুমতি দান করলে তিনি বজ্র নিনাদে তা ঘোষনা করলেন। সুতরাং আমাদের কারো মৃত্যু হলে আমরা যাতে আজরাঈল (আঃ) কে না দোষারূপ করি। কারণ তিনি যে আমাদের জান কবজ করবেন তা আল্লাহর আদেশে আগেই ঘোষনা করে দিয়েছিলেন।
আজরাঈল (আঃ) এর ৪টি মুখ ও ৪টি পাখা আছে। সম্মুখ দিক দিয়ে ভালো মানুষদের জান কবজ করেন, ডানদিকেরটি দিয়ে পাপী, বাম দিকেরটি দিয়ে মুনাফিক এবং পিছনের ভাগ দিয়ে কাফির-মুশরিকদের জান কবজ করেন। এছাড়াও উনার আছে ৪টি বিশাল পাখা। প্রত্যেক পাখায় অসংখ্য পালক আছে। আর প্রত্যেক পালকে এই পৃথিবীতে যত মানুষ আসবে তাদের হাত মুখ গজায়। জান কবজ করার পর আবার তা বিলুপ্ত হয়ে যায়। তিনি ৭ম আসমানে বিরাজমান। তিনি যে আসনে বিদ্যমান আছেন তার টেবিলের পায়ার সংখ্যা ৭০ হাজার। সপ্ত-সমুদ্রের পানি উনার মাথায় ঢালা হলেও সেই পানির এক ফোঁটাও তাঁর শরীর দিয়ে বেয়ে মাটিতে পরবে না।
একবার চিন্তা করুন, এই বিশাল আকৃতির ফেরেশতা একদিন আমাদের কাছে আসবেন। আর বিবাহিতদের বিধবা করবেন, পিতামাতাকে সন্তানহারা করবেন। ছেলেমেয়েদের এতিম করবেন। এখন নামাজ পড়বেন কি না আপনারাই ভালো বোঝেন। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।”
রেফারেন্স ১:: “মরনের পরে বেহেশত ও দোযখে কি হবে?” (রচনায়: মাওলানা ফজলুল করিম, এম.এম.
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১২
এম এ এইচ মিনা বলেছেন: আমিন
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০০
বেলা চৌধুরী বলেছেন: কঠিন কথা। ভয়াবহ ব্যাপার।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৪
এম এ এইচ মিনা বলেছেন: হ্যাঁ , কবরের আযাবও খুব ভয়াবহ
আল্লাহ আমাদের সকল গুনাহ থেকে বাচার তওফিক দিন আমিন
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
কানা ফকীর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। মালাকুল মওত বলা উচিত। আজরাঈল(আঃ) কথাটা কুরআন ও হাদিস দারা প্রমানীত নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
মোঃ সাইফুল ইসলাম রানা বলেছেন: allah amader maf korun