নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিল অমিল নিয়েই আমাদের পথ চলা

Mahmood Khan

আবু শরীফ মাহমুদ খান

আমি যে ভাবে ভাবি অনেকেই সেভাবে ভাবেন না আবার অনেকেই সে ভাবে ভাবেন এই মিল অমিল নিয়েই আমাদের পথ চলা লেখা লেখি করি অনেকদিন সেই ৮২ সাল থেকে। অজারভারে লিখতাম খালেক স্যারের হাত ধরে। এরপর অনেক পত্রিকায় লিখেছি লিখছি হয়ত আরও লিখব।

আবু শরীফ মাহমুদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুঁড়ামাছের গুনাগুন!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩





(১) বয়স ৪০-এর উপরে আমাদের শরীরে ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। গুড়ামাছে তা অত্যন্ত কম। তাই বয়স্করা গুড়ামাছ খাবেন।



(২) গুড়ামাছে আছে প্রচুর আমিষ, ভিটামিন, খনিজদ্রব্য, আয়রন, ভিটামিন-সি, নিয়াসিন, ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন-এ।



(৩) শিশুদের রাতকানা রোগ ঠেকাতে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ মলা, ঢেলা ও গুঁড়ামাছ খাওয়ান। শিশুদের ভবিষ্যৎ ভালো দৃষ্টিশক্তির জন্য গুঁড়ামাছ খুবই দরকার।



(৪) বাড়তি বয়সী শিশুদের প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এসকরবিক এসিড, ভিটামিন বি-৩, ভিটামিন-ডি-এর জন্য গুঁড়ামাছ উপকারী।



(৫) গুঁড়ামাছে প্রচুর প্রোটিন আছে। দরিদ্র দেশে অল্প টাকায় আমিষের অভাব পূরণ করে তা পুষ্টিহীনতা দূর করতে সাহায্য করে।



(৬) যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের জন্য ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ গুঁড়ামাছ ব্ল্যাডপ্রেসার কমায়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।



(৭) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খনিজ লবণ সমৃদ্ধ গুঁড়ামাছ উপকারী।



(৮) হৃদরোগী ও স্ট্রোকের রোগীর জন্যও তা উপকারী। বৃদ্ধাদের জন্যও বেশ উপকারী।



(৯) গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী মায়ের জন্য গুড়ামাছ উপকারী।



(১০) খাদ্যে অরুচি এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে গুড়ামাছ বেশ সুস্বাদু উপাদেয় খাদ্য।



গুড়ামাছ কোনগুলোঃ গুঁড়ামাছ দুই রকমের-



(১) খুব গুঁড়ামাছ কাচকি, মলা, ঢেলা, দাড়কিলা, আউন্যা, চান্দা, বজুরী, ছোট ইছা (চিংড়ির বাচ্চা)।



(২) একটু বড় প্রকৃতির পুঁটি, টেংরা, গনিয়া, কাটা মেনী, চাপিলা, টাকি, চেলা, বাইন, বেতরাঙ্গি, পাবদা, শিং, মাগুর, কৈ, হইল্যা, খইয়া। তবে বাংলাদেশের এলাকাভিত্তিক নানা স্থানে নানা নামে গুঁড়ামাছ পাওয়া যায় নানা রকম।



দেহ

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

নীলতিমি বলেছেন: ভালো জিনিস শেয়ার করার জন অজস্র ধইন্যা ! :)

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

আবু শরীফ মাহমুদ খান বলেছেন: অন্য পোষ্টগুলাতে ঘুরানদিলে ধইন্যা হইতাম আরো :) :)

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

সিড বলেছেন: আমি চেসটা করি গুড়া মাছ খাওয়ার, এই পোসট পড়ে আরো বেশি খাওয়ার চিনতা করছি। :P

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

গ্রামের মানুষ বলেছেন:
আগে আমাগো গ্রামে পুকুরের পানি কইম্মা গেলে বহুত গুরা মাছ পাওয়া যাইতো। এত বেশী পাওয়া যাইতো যে খাইতে খাইতে অরুচী ধইরা যাইতো।

তখন বউ ঝি রা গুরা মাছ কুইট্টা হালকা লবন আর হলুদ মাখাইয়া রোদে শুকাইয়া শুটকী বানাইয়া নিতো। তারপর মাটির হাড়িতে ভইরা রাইখ্যা দিত অনেক দিনের জন্য।

কিন্তু হায় আফসোস!!!!

খেতের পোকা মারার বিষ পুকুরে চোয়াইয়া আইস্সা গুর মাছগুলারে শেষ করছে

আবার আফ্রিকান মাগুর, থাইল্যান্ডি রূপচান্দা (আসলে পিরানহা) চায়ের পুকুর থেইক্কা বাহির হইয়া সাধারণ জলাশয়ে গিয়া সব গিল্লা খাইছে।

আমরা মানুষেরা শুধু ফাও খাইতেই পারি, যত্ন নিতে পারি না। কেউই তো পুকুরে গুরা মাছ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলো না এক ফরহাদ মাজহার ছারা।

গুরা মাছের জাত এমন এক জাত যে একটু যত্ন নিলে পুকুরে পুকুরে খলবল করবো এই মাছ। সবাই একটু মন লাগালেই হইবো। আর কিছু করন লাগবো না।

না হইলে বাইচ্চা কাইচ্চাগোরে শুধু বর্মীইয়া রুই, পঁচা লেগুনের পাঙ্গাশ আর নাইলে মনোসেক্স তেলাপিয়া খাইয়াই ঝুরাইতে ঝুরাইতে বড় হইবো।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

আবু শরীফ মাহমুদ খান বলেছেন: হাচা কইছেন গো
একদম মনের কথা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.