নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিল অমিল নিয়েই আমাদের পথ চলা

Mahmood Khan

আবু শরীফ মাহমুদ খান

আমি যে ভাবে ভাবি অনেকেই সেভাবে ভাবেন না আবার অনেকেই সে ভাবে ভাবেন এই মিল অমিল নিয়েই আমাদের পথ চলা লেখা লেখি করি অনেকদিন সেই ৮২ সাল থেকে। অজারভারে লিখতাম খালেক স্যারের হাত ধরে। এরপর অনেক পত্রিকায় লিখেছি লিখছি হয়ত আরও লিখব।

আবু শরীফ মাহমুদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কান চুলকানোর অসুখ !

২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

অটোমাইকোসিস বা কান চুলকানো একটি অসুখ যাতে আক্রান্ত হয়ে আপনি কটনবাড দিয়ে কান চুলকাতে বাধ্য হন। দীর্ঘ সময় ধরে যারা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করছেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।



কান চুলকানি হয় ছত্রাকজাতীয় জীবাণু থেকে। এর মধ্যে অ্যাসপারজিলাস নাইজার দায়ী ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ এবং ক্যানডিডা অ্যালবিকানস দায়ী ১০ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে। এ ছাড়া ডারমাটোফাইট ও একটিনোমাইসেসের মাধ্যমেও কখনো কখনো রোগটি হতে পারে।



উপসর্গ

১। কান বন্ধ হয়ে আছে—এমন উপলব্ধি;

২। কানে অস্বস্তি;

৩। কান থেকে ধূসর, সবুজ, হলুদ বা সাদা রঙের নিঃসরণ বেরিয়ে আসতে পারে;

৪। জমা হতে পারে ভেজা খবরের কাগজের মতো ময়লা।



চিকিৎসা

১। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কান পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

২। ছত্রাকবিনাশী ওষুধ যেমন— নাইস্টাটিন ক্রিম, ক্লোট্রিমাজল, ইকোনাজল ও জেনশিয়ান ভায়োলেট ব্যবহার করতে হবে। ওষুধগুলোর সঙ্গে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে হাইড্রোকর্টিসন যুক্ত থাকলে তা ড্রাগের প্রতি টিস্যুর অতিসংবেদনশীলতা রোধ করে এবং কানে জ্বালা করার ভয় কমায়। ক্রিম বা ফোঁটা আকারে এগুলো ব্যবহার করা যায়। দুই সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করলে রোগটি ফিরে আসার আশঙ্কা কমে যায়।

৩। অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে।

এ ছাড়া কানে যদি ব্যথা শুরু হয়, তা হলে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের চিকিৎসাও করণীয় হয়ে পড়ে। খুব সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা না করলে কানের পর্দায় অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। অটোমাইকোসিস রোগটি বহিঃকর্ণের। কিন্তু কানপাকা রোগীদের অর্থাৎ, মধ্যকর্ণের প্রদাহের কারণে যাদের কানের পর্দায় ছিদ্র থাকে, তাদের কানেও মিশ্র সংক্রমণ হতে পারে।



প্রতিরোধ

১। রাস্তা ঘাটে কান পরিষ্কার করা লোকদের কাছে কান পরিষ্কার না করা।

২। মাঝেমধ্যে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দেখে নিতে হবে।

৩। ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখাতে হবে।

৪। কান চুলকানোয় দেশলাইয়ের কাঠি, মোড়ানো রুমাল, মুরগির পালক, চাবি ও কটনবাডের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে



দেহ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

আজনবী বলেছেন: অনেক ভাল লাগল আপনার পোষ্টটি। জনসচেতনতা মূলক পোষ্ট। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। কান চুলকানি প্রসঙ্গে আমার দেয়া পোস্ট দুটি দয়া করে পড়বেন এবং মূল্যবান মন্তব্য জানাবেন। দু'টোই কিন্তু ফান পোষ্ট।

জেনেনিন কিভাবে ডিজিটাল সিস্টেমে কান চুলকাবেন এবং কানের ময়লা পরিস্কার করবেন।

প্রসঙ্গঃ কান চুলকানি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.