নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

@ @

মাহমুদ০০৭

@ @

মাহমুদ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প - ফাঁদ

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭



পরোটা হাতে রাস্তায় হাঁটছে ছোট্ট এক ছেলে, দূর হতে একটি কাক তাকে লক্ষ্য করল। পরোটা ধরা আঙ্গুল গুলো আলগা ভাবে ধরা, যেন কোনরকমে ঝুলে আছে। কাকটি ছোঁ মেরে টান দিতেই তাই গোটা পরোটা চলে এল ঠোঁটের আগায়, উড়ে সোজা চলে গেল তার ডেরায়, তার বউ তখন ডিমে তা দিচ্ছে। তেলে চুপচুপা হয়ে গেছে ঠোঁট, বউয়ের ঠোঁটের কাছে পরোটা রাখতেই, টাকুস- টুকুস করে সে কিছু খেয়ে নিয়ে বিরক্তিতে ঠোঁট ঘুরিয়ে নিল। একরত্তি পরোটার দশরত্তি তেলে তার মেজাজ চড়ে গেছে।''বাদাইম্মা ব্যাটা কুনানকার, এতখন পর এই নি লইয়া আইছস?'' বউয়ের গজগজাতিনে কাকটি মন মরামরা হয়ে গেল ; দেহি আর কি পাওন যায় - বলে কাকটি আবার উড়াল দিল। উড়ে যেতে যেতে কাকের মাথার ক্যানভাসে পিকাসিয় আঁকিবুঁকি চলতে থাকে ..............

শহরে এলাম কয়দিন? ২ সপ্তাহ? এরি মাঝে বউ কেমন বাজখাঁই হয়ে গেছে! বউয়ের ছোট ভাই, নাম তংবং, তাকে কেমন হাঙ্গামায় ফেলে রেখে চলে গেল! আহারে শালা আমার! বড় ভাল ছিল! তার ঘ্যানর ঘ্যানরেই শহরে আসা। আহা! সে কত কিছু জানত, কত কিছু চিনত ! কত শহর, কত গ্রাম সে ঘুরে বেরিয়েছে। কয়েক দিন পর পর গ্রামে আসত আর শহরের কথা বলত, হা করে সবাই সবটুকু গিলে নিত। বুড়োরা বলত, ভালাই গুল পারে! তার সাথে ও কি কম কথা! শুনতে শুনতে কাকের শব্দেরা সব হারিয়ে যেত, বউয়ের চোখ দুটো বড় বড়! শেষে ঝোলা থেকে ছাড়ত আসল কথা,
দুলাভাই!
শহরে চলেন,একবার গেলে আর আইতে মন চাইব না, কসম! হেরপরও ভালা না লাগলে আমি নিজেই আবার আপনেগো এইখানে দিয়া যামু। লাজুক চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকত বউ, বউ তখন এমন মুখরা ছিল না। শালা বলে যেত, না অয় চলেন আমার লগে, কয়দিন ঘুইরা আবার আমার লগে আয়া পড়বেন। ভালা লাগলে থাকবেন, নাইলে না।শালার সব কথাই কাক ঠোঁটের আগায় ধরা চালের কণার মত উড়িয়ে দিত। কেন যাবে সে শহরে হ্যা, কেন যাবে?

এ গ্রাম তার দেশ, এখানের সবকিছুই তার নিজের। কা কা করলেই এখানে সলিমের বউ উঠোনে এটা - ওটা ছিটিয়ে দেয়। কুট কুট করে খায় কাক আর শালিক, তা দেখে সলিমের বউ মুচকি হাসে। ব্যাপারির বাড়ীর পিছনের জঙ্গলে পড়ে থাকে হরেক রকম মাছ, মাছ গুলোর কি টেস্ট, কি গন্ধ! কাকেরা এই মাছে এক ঠোঁকর, ওই মাছে আরেক ঠোঁকর। সবাই মিলে চলে ঠোকরা - ঠুকরি খেলা। বাচ্চা মুরগি বাটে পেলেই ছোঁ মেরে খাওয়া, কি মজা! ঘাসের ভিতর লুকিয়ে থাকা পোকাদের চট করে তুলে নেয়া, পোকারা তখন ঠোঁটের চিপায় উথাল - পাতাল নড়ে - চড়ে। নদীর উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় টলটলা পানিতে নিজেকে দেখে তার বড্ড ভাল লাগে। এসব ছেড়ে - ছুড়ে কেন শহরে যাবে সে? অ্যাঁ?

তবুও একদিন কাকটিকে শহরের কথা ভাবতে হল। শহর হতে বিশাল মোচলা এক আদমি এল, দড়ির মত শক্ত পাকানো,সবাই তাকে শফিক সাহেব বলত,শফিক সাহেব শুধু হাসত। তার সাথে সবসময় থাকত দু - তিন জন লোক, তাদের ঠোঁটের কোনায় হাসি ঝুলে থাকত।শফিক সাহেব বললেন, এবার আর কারো দুঃখ থাকবে না, সবাই হাসবে। সলিম, মফিজ, আবুল, আলমগীর, করিম আর ওদের সাথে থাকা ১০ - ২০ জন লোক শফিক সাহেবের প্রতিটা কথায় হাসত,তালি দিত, হাত কচলাত। তারপর তাদের টিনের চালা ইটের দালান হয়ে গেল, সলিমের বউকে তখন ছাঁদে দাঁড়িয়ে হাসতে দেখা যেত। তাদের হাসি সকালের রোদের মত যেখানে - সেখানে লেপ্টে যেতে লাগল। সিকদার বাড়ির ২ যুবক একদিন ইরেজার দিয়ে শফিক সাহেবের হাসি মুছে দিল।পরের দিন তারা পেটের নাড়িভুঁড়ি নিয়ে নদীর পাড়ে পড়ে রইল। তখন শকুন - শকুনিরাও গ্রাম ছেড়ে চলে গেল।
আতশবাজির মত মিলিয়ে গেল ব্যাপারি, পিছনের জঙ্গলে মাছ আর থাকে না। সিকদার পাড়ার লোকেরা একে একে কোথায় যেন চলে গেল।তখন থেকে কাকেরা মুরগী দেখে না, গরু দেখে না, মেঘের দিকে চেয়ে থাকা রাখাল - বালক রাও একদিন কই উবে গেল! খোলা জায়গাগুলো সব ইটের ভিতর, সাইনবোর্ডে মালিক আবুল মফিজদের নাম।

যে সব বাড়ির উঠোনে কাকেরা টুক টুক করে খেত, এমন অনেক উঠোনই বিশাল - বিশাল পুকুর হয়ে গেল।দোয়েল, টুনি , ফিঙে বসা গাছগুলো এক নিঃশ্বাসে মাটিতে নুয়ে পড়ল। দেখতে - দেখতে সব প্রাইভেট কোম্পানি হয়ে গেল! যারা ব্যবসা বুঝে তারা শফিক সাহেবের সাথে হাসতে লাগল। হাহাহা, হো হো হো। শফিক সাহেব বললেন, নদীর পাঁড়ে মিল করতাছি ভাইসব! কোন চিন্তা নাই। বেকার থাকবে না কেউ। টাকা কামাবে সবাই! কাকেরা অবাক হয়ে দেখল, মিলের মেশিনের হা করা মুখ নদীর মত পানি বের করে। তখন অনেক টিউবওয়েলে পানি নেই, জমির পানিতে চলে এল নুন,ভেঙ্গে গেল অনেক ধানের শীষ ।এ পানি খেয়ে কাকের মার পালক পড়ে যেতে লাগল,হঠাৎ একদিন দপ করে শ্যাষ! এভাবে আরো অনেক কাঁক মরে গেল । খালের পানি শুকিয়ে গেল , তার কাদা- মাটিতে থাকে মরা চিংড়ি। নদী ও ধীরে ধীরে মাছ দেয়া কমিয়ে দিল। তখন জেলেরা হারিয়ে গেল , কামার - কুমোর পালিয়ে গেল । একদিন নদীর পানিতে কাক তার ছায়া দেখতে পেল না। পানি যে কাকের চেয়েও কালো!

শরীর ও আত্মার সবকটা জানালা যখন বন্ধ হয়ে গেল , কা্ক তখন গ্রাম ছাড়ার ডিসিশান নিল।

তংবং বলল , কোন সমস্যা নাই দুলাভাই , আগ্রাবাদের সর্দারের লগে আমার ভালা খায় - খাতির , দেইখেন আপনেরে কেমুন তূয়াজ করে ! তারপর একদিন কাক দম্পতি শালা সমেত শহরে চলে এল । যখন এল , তখন দুপুর। তংবং ওদেরকে একটা ডাস্টবিনে নিয়ে এল । খেতে খেতে তংবং মুরগীর মাংসের একটা টুকরার দিকে তাদের কে ইঙ্গিত করল।
- খায়া দেহেন আপা - দুলাভাই ! এই ডারে গ্রিল কয় ! কি নেই ডাস্টবিনে! হরেক পদের খাবার। অনেক দিন পর কোন ঝুট - ঝামেলা ছাড়াই কাক দম্পতি পেট টা ভরে খেল । কি সোয়াদ প্রতিটা খাবারের!
তুই বুঝি রেগুলারই ভালা - মন্দ খাস ? আহ্লাদী কন্ঠে ভাইকে জিজ্ঞেস করে কাকের বউ।
তা আর কইতে - তৃপ্তি ভরা মুখে শালা বলল।
পেট ভরে খেয়ে তিন জনেরই মনে তখন ফুরফুরা ভাব।

আহা , তুমি যদি আগেই আমার ভাইয়ের কথা হুন তা। এদ্দিন হুদ্দাই কষ্ট পাইলাম ! - কাকের প্রতি আবদারে অভিযোগ হানে বউ ।প্রত্যুত্তরে কাক চোখ টিপ দেয়! তংবং খুশিতে কয়েকবার কা - কা ডাকার পর বলল, চলেন দুলাভাই ! সর্দারের কাছে যাই। তারপর তিন জনই হেলে দুলে উড়তে লাগল , কিছুদূর গিয়েই একটা বৈদ্যুতিক তারে চড়ে বসল তংবং।
' আহেন এনে একটু জিরাই। তার খালি দুলব , সিরাম মজা দুলাভাই ! আসলেই। সম্পূর্ণ অন্যরকম অনুভুতি হল কাকের। লিলুয়া বাতাস পুরো গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে সবার মন টা আউলা করে দিল।
শালা গান ধরল -
দুনিয়াটা মস্ত বড়
খাও - দাও ফুর্তি কর!
হঠাৎ বিকট শব্দে কখন যে তার ছেড়ে রাস্তার পাশের বিল্ডিঙটায় চলে এল কাক বলতেও পারল না । ঝাড়া ২ - ৩ মিনিট কি হল কিছুই স্মরণ করতে পারল না সে। বাপের জন্মেও সে এমন শব্দ শুনেনি। ইতিমধ্যে অনেক গুলো কাক ডেকে ডেকে নরক গুলজার করে ফেলেছে। সম্বিত ফিরে পেয়ে ডান দিকে তাকাতে ই বউকে দেখতে পেল, তখনো বেচারি কাঁপছে। তারপর শালার কথা খেয়াল হল, তংবং কই? এদিক - ওদিক তাকিয়ে চোখ টা রাস্তার দিকে যেতেই সোজা নিচে নেমে এল সে , রাস্তায় তার আদরের শালা মরে লেপ্টে আছে । হতবাক হয়ে সে তংবং এর দিকে তাকিয়ে থাকে - কি হইতে কি হইয়া গেল!
এই আহো যাই গা - বউয়ের ডাকে বাস্তবে ফিরে কাক।
কই যামু ? - বউকে জিজ্ঞেস করে কাক । তার মাথা এখনো কাজ করছে না ।
- কই যামু মানে ? এহনো বাসা পাই নাই , সন্ধ্যা হইয়া যাইব একটু পর । কই থাকুম আমরা!
- কিন্তু তোমার ভাই ? ওর লাশের কি হইব!
- মাথা - মুথা দেহি পুরাই গেছে তুমার! ওর ব্যবস্থা সিটি কর্পোরেশন করব ।
- তুমি ক্যামনে জান ?
- আমার ভাই ই একদিন কইছিল খিয়াল নাই ? রাস্তার কাউয়ার লেইগা সিটি কর্পোরেশন আর মাইনসের লেইগা আনজুমানে মফিদুল ! ওহন লও , খাড়াই থাইক্কা কাম নাই।
এভাবে হুট করে মরে তংবং বড়ই ফ্যাসাদে ফেলে দিল । এখন ওরা কই যায় , কি করে !? এদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে , অস্থির হয়ে উড়ার গতি বাড়িয়ে দেয় দুজনেই।
মরার আর টাইম - টিবল পাইল না! আমাগো সিস্টেম কইরা দিয়া না ওয় মরতি ! - গজ গজ করে বলতে থাকে বউ।
ভাগ্যক্রমে সন্ধ্যা হওয়ার আগেই একটা ডাবগাছের দিকে তাদের নজর গেল , খালি আছে।সেখানেই নীড় বাধল ওরা । পরদিন সকাল না হতে না হতেই তাদের ডাবগাছে ডেরা বাধার খবর মহল্লার সর্দার বংচং এর কানে গেল । মহল্লাবাসী এতে দারুণ ক্ষ্যাপা , উইড়া আইসা জুইড়া বইছে! খেলা নি!
হালার পেটা পুটা সবডি গাইল্লা লামু - ঘোষণা দেয় এক যুবক জিদ্দি কা্ক ।
সর্দার তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে ।

' আমিই দেখতাছি খাড়া । বিষয়টা কি আগে মালুম অই । '' - সর্দার বলে । দুপুরের দিকে সর্দার আট - দশ জন জোয়ান কাউয়া নিয়ে ওদের বাসার দিকে উড়াল দিল । এর মধ্যেই সরদার যা ভাবার ভাবছে -''আগে হালার লেঞ্জা দেহন লাগব । হালার ব্যাকিং - বুকিং কি ! নাইলে ত আমারে না জানাইয়াই হুট কইরা কেউ বাসা বান্দনের হিম্মত করে না ! ২ - ৪ বাতচিতেই ওজন মাইপ্পা লাইতে হইব । শুরুতেই গরম গরম ডায় -লগ দিতে হইব! "

কাকের বাসায় ঢুকে তাই সর্দার কাকাঙ্কার দিয়ে উঠল - তোরা কারা?
আসলেই ত! আমরা কারা!! - কাক মনে মনে বলে উঠে ।
-আমরা কাউয়া ! - সর্দারকে বলে কাক ।
- হালার ভাই ! মদস্টিক কুনানকার !! আমরা হগলেই ত কাউয়া ! আমরা মানুষ নি ! কোত থিকা আইছস তুই ?
এর মধ্যে সর্দার টের পেয়ে গেছে কাকটা পুরাই ফাউল । সর্দার মনে মনে হেসে ঠিক করল - কথার চোটে ওকে মুতিয়ে ছাড়বে! তারপর সিরাম ছ্যাচা দিয়ে এ পাড়া ছাড়া করবে। কাকের গুবলেট অবস্থা দেখে এবার কথা বলে উঠল কাকের বউ।
' আমরা আইছি ....
কাকের বউয়ের দিকে নজর যেতেই সর্দার বাকরুদ্ধ হয়ে গেল ।সুন্দরী মনোহরিনী ! যৌবন সারা দেহে চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। মুহূর্তেই তার গলার মরদ পারদ হয়ে গেল! এরপর বউ বলে যায় আর বংচং তার দিকে তাকিয়ে থাকে। ওর চোখ দুটো তখন নেশায় কাই। '' ইরাম খাটি জিনিস জীবনেও দেহি নাই, এক্কেরে মাখখন !'' - মনে মনে বলে বংচং।
'' কুনু সমস্যা নাই । আইছ ভালাই করছ । গেরামে মানুস থাহেনি ! তোমা গো কেউ কিছু কইবনা। তোমরা ইনেই থাকবা ।''
- সব শুনে সে বলে।

.................  উড়তে উড়তে আর ভাবতে ভাবতে আজ অনেকদূর চলে এল কাক । জায়গাটা কোথায় ? এক কাক কে জিজ্ঞেস করে জানল জায়গাটার নাম দেওয়ান বাজার । সে এখন দুপাশের বিল্ডিং এর সারির মধ্যবর্তী এক টা সরু জায়গা দিয়ে উড়ছে । এ কয়দিনে বেশ কিছু ব্যাপার জানা হয়ে গেছে তার । বিল্ডিঙের রান্নাঘরের পেছনের কার্নিশে টুকটাক খাবার পাওয়া যায়। সে অনেক ছোট ছেলেকে দেখেছে রান্না ঘরের জানালা দিয়ে চুরি করে খাবার ফেলে দিতে । এসব চিপা - চাপা জায়গাগুলো কাঁকের জন্য বেশ সুবিধার । ভিড় - বাট্টা কম এখানে । টাইমিং করে চলতে পারলে গেঞ্জাম ছাড়াই কম - বেশ কিছু খাবার মেলে । এরকম একটি কার্নিশে সে একটা মাছের টুকরা পেল। গুপ গুপ করে খেতে খেতে তার নাকে চমৎকার একটা সুগন্ধ ধরা দিল । বিপরীত দিকের বিল্ডিঙের রান্নাঘর হতে গন্ধটা আসছে । সেখান হতে কিছু সুগন্ধ নিজের দিকে টেনে নিল সে। শহরের মানুষের এ জিনিষটা তার খুব ভাল লাগে। রানতে গেলেই মাতাল গন্ধ ছড়ায় ! পারে বটে ! এবার কাক তার চোখদুটো ঐ রান্না ঘরের দিকে ঘুরাল । দেখল এক মহিলা রান্না করছে আবার তার দিকে ও তাকিয়ে আছে ! হঠাৎ সে মহিলার একটা হাত উঁচু হতে দেখল। সতর্ক হয়ে গেল কাকের সারা শরীর । ব্যাপার কি - কিছু ছুড়ে মারবে নাকি?

মানুষের এই ব্যাপার টা কাকের খুব খারাপ লাগে। খাবার সময় , বা এমনিতেও মানুষ কাককে বড্ড ডিস্টার্ব করে । দেখলেই খালি তাড়ায় । কিছুতেই স্থির হতে দেয় না । মহিলা ঠিকই কাকের দিকে কিছু একটা ছুড়ে মারল । সতর্ক থাকায় কাক সরে গেল । জিনিসটা কার্নিশে পড়ল । ওমা ! এ ত মাছের টুকরা । একটু আগের টেনে নেয়া গন্ধ মাছের টুকরা হতে আরো স্পীডে বেরুচ্ছে । টুকরাটায় তেল চকচক করছে ।গরম । কাক চটপট খেয়ে নিল । দারুণ একটা তৃপ্তি পেল খেয়ে , সেই শহরে আসার প্রথম দিনের মত । খাওয়া শেষে আবার ওই রান্নাঘরের দিকে তাকাল । দেখল মহিলা টা তার দিকে তাকিয়ে হাসছে । মন টা বড় ভাল হয়ে গেল কাঁকের । অনেকদিন হয়ে গেল তার দিকে তাকিয়ে কেউ হাসেনি । বউ ও না । সলিমের বউয়ের কথা মনে পড়ল । কেমন খিলখিল করে হাসত !
বাসায় এসে দেখে বংচং এসে বসে আছে , বউ রিন রিন করে যেন কি বলছিল - তাকে দেখেই থেমে গেল। থামলেও , নিজেই যেন ফুর্তিতে উছলে পড়ছে এরকম মনে হল তার ।

কি মিয়াভাই , এহনো শহরের বাও - বুও বুঝো নাই ? - সর্দার বলে।
''দুই দিন বাদে ছাও বাইর হইব । এমুন টাইমে বউ গো বেশি খানা পিনা দেয়ন লাগে । হুনলাম তেমুন নাকি খাবার - টাবার জোগাড় করতে পার না ? ''
এ কথা শুনে বউয়ের দিকে তাকাল কাক । বউ অন্য দিকে চোখ ফিরিয়ে নিল।

- শহরে কি খানার অভাব আছে মিয়া ! একটু চালাক - চতুর হও। কেউ কিছু কইলে আমারে কইবা । যাক আইজ কিছু খাওন লইয়া আইলাম তুমার বউয়ের লাইগা । আমাগো মহল্লায় আইছ আমাগো এক টা দায়িত্ব আছে না!
সর্দার চলে যাবার পর বউ মুরগীর মাংসের একটা টুকরা বের করে দিল - চিকেন কারী ! - সর্দার আনছে , খাও !

কাকের প্রথমে খেতে মন চাইল না । সে ঠিক করল সে টুকরাটাকে পা দিয়ে লাথি দেবে, তারপর মুখ ঘুরিয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। ঠিক তখনই খিদায় পেট টা মোচড় দিয়ে উঠল তার। সে মাথা নিচু করে খেয়ে নিল।

দুই দিন পর সে প্রথমবারের মত বাবা হল। সর্দার আর তার লোকেরা বাসায় অনেক খাবার আনল। এই কয়দিন তার আর বাইরে বেরুনোর দরকার হল না। বাচ্চা আর বাচ্চার মাকে দেখেই সে দিন পার করল। এই সময়টুকু তার অনেক সুখের মনে হল। বাচ্চা টা কেমন কুত কুত করে , কত নরম , কত অসহায় ! মা যখন তার কচি ভিতর খাবার ভরে দেয়, তখন এই দৃশ্য টা দেখতে তার বড় ভাল লাগে । তার তখন মার কথা মনে হয় । মাও একদিন তাকে ডানা দিয়ে আগলে রাখত । বাচ্চাটা একটু বড় হতেই তাকে খাবারের খোঁজে বেরুতে হল । বিধিবাম , সে যেখানেই যায় , কাঁকেরা তাকে তাড়িয়ে দেয়। কোন খাবার মুখে নিলেও চার পাঁচ জন ঘিরে ধরে তাকে, ঠোকর মেরে মেরে খাবার ছিনিয়ে নেয়।কাকের কান্না পায়।
সর্দারকে কমু সব! - ওদেরকে বলল কাক।
যা যা ! বল গা - তুই কি করবি আমরা দেহুম। - কাকেরা ভেঙচিয়ে হেসে নেচে ঠোঁট কেলিয়ে বলে।
মন খারাপ করে সে তখন বাসায় চলে আসে। বাসায় এসে দেখে বংচং! সর্দার বলে উঠে, কি মিয়াভাই! তুমারে এমুন পেরেশান লাগে ক্যান ?
- এর একটা বিহিত করন লাগব সর্দার। যিনেই যাই তুমার পুলাপাইন খাড়াইতে দেয় না, আমার মুখের খাবার কাইড়া নিছে, সারাদিন কিছু খাই নাই - বলতে বলতে কেঁদে ফেলে কাক।
আহা! - বংচং দুঃখে চুক চুক করে। আমি হগলতেরে কইয়া দিমু,বোঝনা,তুমি ত গাইয়া! তাই হগলে একটু মশকরা করে! ইয়াং পুলাপাইন, ফাজিল একেকটা, কথাও হুনেনা! যাউজ্ঞা টেনশন লই ও না, আমি কইয়া দিমুনে, আইজ তোমার বউয়ের লাইগা কাটলেট আনছি।তুমিও দুগা খায়া লইয়।- একথা বলে সর্দার চলে যায়।
কাটলেট খেতে খেতে কাক বলে - আমি বাইরে গেলেই বংচং আইয়া পড়ে, না ?
- ক্যান, তুমার লগে জোড়া নি, তুমি থাকলেও কি না থাকলে ও কি! ওই ব্যাডা কি তোমারে ডরাইয়া আইব ? - বউ মুখ ঝামটা মেরে বসে ।
কথা ঠিক। সর্দার মানুষ ! আমি কোন রাজার পুত , আমারে জিগান লাগব ! - মনে মনে এ কথা ভেবে ঘুমিয়ে পড়ে কাক।

এর পর কয়েকদিন হুবুহু একই ঘটনা ঘটল। সে কোথাও খাবার পায় না , বেহুদা এদিক - সেদিক ঘুরে ঘুরে ঘরে এলেই দেখা মিলে বংচং এর। সে বুঝে গেছে সব বংচং এর চাল , ঘরের বউয়ের কাছে বেপদা মরদ বানাবার ফন্দি । একদিন বাসায় এসে দেখল বউয়ের গলার নিচের তিলে সর্দারের ঠোঁট লেগে আছে! তাকে দেখে দুজনেই অপ্রস্তুত হয়ে গেল।
- '' বুঝলা , তুমার বউয়ের গলার নিচে ছোট পোক আটকাই গেছিল , মাইয়া মাইনসের শইল ত , পুক - টুক বেশি বহে ! বাইর করলাম !! আজ সর্দার চড়ুই পাখির মাংস এনেছে।
সর্দার চলে গেলে মাংসের একটা টুকরা কাকের দিকে ঠেলে দিয়ে বলে , খা , বাদাইম্মা, খা!
'' কেমুন জামাই আমার , আমার কথা বাদই দিলাম , নিজের পুলার লেইগাও কিছু আনতে পারে না । -
কাক ছেলের দিকে তাকাল । এর মধ্যে ছেলে কিছুটা বড় হয়েছে । ঘুমিয়ে আছে এখন সে।
ক্যান !তুমার ত বংচং আছে ! -কাক ফোঁস করে উঠে।
ও ! হিংসা লাগে, না? এই বেডা না থাকলে কি অবস্থা হইত আমাগো, একবার ভাবছ? না খাইয়া মরণ লাগত !
কাঁক কিছু বলে না । রাত গভীর হলে সে বউকে এ পাড়া ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাবার প্রস্তাব দেয় ।
- কও কি ! এত ভালা জায়গা ছাইড়া যামু কিল্লাইগা ? -বউ চোখ উলটে ফেলে ।
- থাকুম না । তোমার দিকে বংচং এর নজর পড়ছে । আমি বুঝি এইসব । - কাক বলে ।
- হেইডা ত আমিও বুঝি। কিন্তু কই যাইবা? অন্য হানেও কি এমুন সুন্দর জায়গা পামু ? তুমি কি রেগুলার খাওন জোগাড় করতে পারবা ? ইনে ত না খাইয়া থাকন লাগে না , ডিস্টার্ব করে না , অন্য হানে যদি ক্যাচালে পড়ি ?
ঠিক ! কাক তখন গভীর ভাবনায় ডুবে পরে। এর মধ্যে শহরের অনেক জায়গায় ই ত ঘুরল সে । সব জায়গাতেই কম্পিটিশন । আর কম্পিটিশন মানেই আমি গাইয়া ভুতের হার! - বিরক্ত হয়ে ভাবে সে।

অন্য জায়গাতেও গেলে যে সে স্বর্গ পেয়ে যাবে এমন নয় ।সুন্দরী বউ মানেই বিপদ ! তখন হয়ত এক রাক্ষসের বদলে দশ খোক্ষস জুটতে পারে । এমন সময় তার সেই মাছ দেয়া মহিলার কথা মনে পড়ে ।ওখানে গেলেও পারে সে ! কিন্তু ওদিকে কি সবসময় এমন পাওয়া যাবে ? নাহ ! আরো কয়েকদিন দেখা যাক তাইলে ! - মনে মনে বলে কাক ।

পরেরদিন উঠেই সে ওই এলাকায় যাওয়ার জন্য ঊড়াল দিল । কয়েকবার রাস্তা ভুল করলেও অবশেষে পৌছাতে পারল সে । আগের বার মনে হয় এমন টাইমেই এসেছিলাম । - ভাবে কাঁক।কার্নিশে এসে দাঁড়াতেই রান্নারত অবস্থায় সেই মহিলাকে দেখা গেল ।মহিলাকে দেখেই মনে আনন্দ - অনুরণ অনুভব করল সে । সে মহিলার দিকে তাকিয়ে আছে । মহিলা এখনো তাকে খেয়াল করছে না।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সে কা কা বলে ডাক দিল । এবার মহিলা তাকাল। মহিলা কাক কে দেখেই কিন্তু চিনতে পারল , গলার নিচে বড় একটা দাগ দেখে । কিছুদিন আগে এই কাকই এসেছিল ! কাকটিকে দেখে মহিলার মুখ কেন জানি উজ্জ্বল হয়ে গেল । তিনি কাঁকের দিকে একটা মুরগির টুকরা ছুড়ে দিলেন । খাওয়া শুরু করতেই হঠাৎ ইটের একটা টুকরা কাকের পেটে আঘাত হানল ।প্রচণ্ড ব্যাথা পেয়ে কাক কোঁত করে উঠল । মহিলা , যাকে সবাই এখন বাবলুর মা বলে ডাকে ,পুরো দৃশ্যটাই দেখতে পেলেন । কিছু একটা আন্দাজ করে তিনি পাশের রুমে গেলেন । ওই রুমের জানালাটাও কার্নিশ বরাবর । যা ভেবেছিলেন তাই , তার ছেলে বাবলু গুলতি দিয়ে কাকের গায়ে ইটের টুকরা মেরেছে । রেগে উম্মাদ হয়ে গেলেন তিনি , তার হাত - মুখ থরথর করে কাঁপছে । বাবলুকে তিনি কষে চড় লাগালেন । চড় খেয়ে বাবলুর মন খুব খারাপ হল । সামান্য একটা কাকের জন্য মা তাকে মারল ! তিনি মনে মনে বাবলুর হয়ে কাকের কাছে ক্ষমা চাইলেন । কাকটি বাবলুকে ভালভাবেই চিনে নিল ।

তারপর হতে প্রতিদিনই এদিকে চলে আসে কাক, সন্ধ্যায় ফেরে। জানে বাসায় খাবার অভাব নেই , বংচং আছে।এর মধ্যেও সে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। কিভাবে আসবে ! ওখানে ৩ -৪ দিন যেতেই আরো কয়েকটি কাঁক ভিড় জমাতে শুরু করল । তখন আর মহিলা খাবার দেয় না । বসে থাকতে থাকতে তখন অন্য কাকেরা বিরক্ত হয়ে অন্যদিকে চলে যায় । যখন সে ছাড়া আর কেউ থাকে না , তখনি মহিলা খাবার ছুড়ে মারে । সে দ্রুত মুখে পুরে নেয় । অন্য কাকেরা কিন্তু বুঝে গেছে এখানে তাদের বেইল নাই । এর প্রতিশোধ তারা অন্যভাবে নেয় । গলির মুখে দাঁড়িয়ে থাকে তারা । কাককে আসতে দেখলেই তারা দৌড়ানি দেয় । তাদের হাত হতে পালাতে এত জোরে দৌড়াতে হয় যে বাসায় ফেরা মাত্রই তার খিদে পায় । তারপরও ব্যাপারটা মজা লাগে তার । এতগুলা কাক তাকে ঠোকর দিতে চায় , ধাওয়া দেয় তবুও একবারের জন্য ছুঁতে পারে না । হাজার হোক গাইয়া ত !

এই একটা কম্পিটিশনে সে বারবার জিতে যায় ।খাওয়ার সময়টাতেও শান্তি নেই । বাবলুর দিকে একটা চোখ রাখতে হয় । মার অগোচরে সে ইটের টুকরা,পাথর ইত্যাদি ছুঁড়ে মারে। দিন দিন টুকরাগুলোর সাইজ বড় হচ্ছে। তবে একটা ঢিল ও সে লাগাতে পারে না । এসবে কাকের অভ্যাস আছে । গ্রামেও কোন দুষ্টু ছেলে পুলে তাকে ঢিল লাগাতে পারে নি । অথচ এখনি কোন সিদ্ধান্ত না নিলে দেরি হয়ে যাবে সেটাও সে বুঝতে পারে।
বউ একদিন জিজ্ঞেস করে বংচং যে বারবার আসে সে বিরক্ত হয় কিনা। কাক চুপ থাকে ।
বউ আবার বলে , বুঝলা , ব্যাডায় খুউব দুখী , খুউব একা , আমার কাছে কইয়া একডু হাল্কা অয় । -কাক কোন উত্তর দেয় না । তার বলায় কি বা আসে যায় !

একদিন সন্ধ্যায় বাসায় এসে দেখে তার বউ ছেলে কেউ নেই । পরদিন সাত সকালেই কয়েকটা কাক তার বাসায় আসল ।
কি মিয়া ! তোমার বউ বিলে সর্দারের লগে ভাইজ্ঞা গেছে ? - হাসি চেপে রেখে ওরা বলে , কাক কোন উত্তর দেয় না , চুপ করে থাকে ।
বেশ কয়েকদিন কাক ঝিম মেরে থাকল , তেমন কোথাও গেল না।ওদিকে ওই মহিলাও প্রতিদিন কার্নিশের দিকে তাকিয়ে থাকে । কাক আসে না । এ কাকটাকে কেন জানি তার ভাল লেগে গেছে। কাকের কালো চোখটায় বড় মায়া! তিনি খেয়াল করেছেন কাকটা ঠিক ১২.৩০ এ আসে । এ সময় টায় তার খোকন ও স্কুল হতে ফিরত । এসেই বলত - মা কি আছে দেও ! কি আছে দেও ! ছেলেটা একদিন হারিয়ে গেল । কই গেল আমার ছেলে ? লোকজনের মুখে শুনেছে , স্কুল গেটে এক লোক খোকনকে বলেছিল , আইসক্রিম খাবে খোকা ? তারপর আর কেউ খোকনকে দেখেনি । খোকা কি আমার আইসক্রিম এর মত গলে গেছে ! তাই বাবলুকে আর বাইরে বেরোতে দেয়া হয়না। কাক টাও কি আমার ছেলের মত ............. তাই যেদিন কাককে মহিলা আবার দেখতে পেল , অনেক খুশি হল । কাকটার জন্য বাবলুর মা ছাগলের মাংসের একটা টুকরা রেখে দিয়েছিল , সেটা ছুড়ে দিল । কিন্তু অবাক কান্ড । কাক তা ছুঁয়েও দেখছেনা । সে সোজা মহিলার দিকে তাকিয়ে আছে ।

আজ সে এতদূর এসেছে শুধু বাবলুর মাকে দেখার জন্য । আগে ও আসত , তবে সেই সাথে খাওয়ার প্রত্যাশাও রাখত । আজ সে ঠিক করেই এসেছে কিছু খাবে না , শুধু মহিলার দিকে তাকিয়ে থাকবে। কাক কি শুধু খাওয়ার জন্য বাঁচে ? তাই আজ তাকে যা দেয়া হল সেদিকে তাকালও না , বরং বিরক্ত হল । কি ভাবে মহিলা ? এখানে কি শুধু সে খাওয়ার জন্যই আসে ? জানালা দিয়ে বাবলুর মা তাকিয়ে আছে। তিনি বিস্মিত । অনেকক্ষণ হয়ে যাবার পর ও কাকটা কিছু খাচ্ছেনা , তার দিকে তাকিয়ে আছে । বাবলুর মার খোকনের কথা মনে পড়ে গেল । খোকনও তার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে থাকত । আম্মু আমার দিকে তাকাও ! আমি ঘুমাব ! আম্মু এদিকে তাকাও ! আম্মু এদিকে তাকাও ! হঠাৎ তিনি ডানে - বামের বিল্ডিংগুলোয় চোখ বুলিয়ে দেখলেন কেউ আছে কিনা ! তারপর কাকটার দিকে ইশারা করলেন।

সে প্রথমে অবাক হয়ে গেল, বিশ্বাস করতে পারছে না , মহিলা কি তার দিকেই ইশারা করছে ? বার বার ইশারা দেখে কাক এবার বুঝতে পারল । সোজা এগিয়ে গিয়ে জানালার হুকে পা রাখল। গ্রিল থেকে মহিলা বের করে দিল হাত , সে হাত কাকের সারা শরীরে পরম মমতায় ঘুরাঘুরি করল । বাবলুর মায়ের স্পর্শ পেয়ে অনেকদিন পর কাকের কাল চোখে লিচুর রসের মত জল টল টল করল । কাকের বুকটা হু হু করে উঠল , তিরতির করে কাঁপছে দেহের প্রতিটা পালক । মহিলার সাথে , একজন মানুষের সাথে কিছু কথা বলতে জীবনে প্রথম বারের মত ইচ্ছে হল । মহিলাকে তার মার মত মনে হল , মা বলে ডাকতে ইচ্ছে হল , বলতে ইচ্ছে হল , মা ! মার পর জীবনে আর কোথাও মায়া পাইনি , মায়ার জন্যই ত কাকেরা বেঁচে থাকে ! কোথাও কেউ এতটুকু ভালবাসা দেখায়নি , যাপিত জীবনের নিরব দহন ফাঁদে শুধু আটকে গেছি । আপনি ত মানুষ , মানুষ আমাদের ঘৃণা করে , দূর দূর করে , আমাদের অপছন্দ করে , আপনি কেন আমায় এমন ভাবে ভালবাসতে গেলেন , মায়া লাগাতে গেলেন । বঞ্চনার মরুভূমিতে এ কেমন একফোঁটা বারি ! বুকের খাঁচা হতে উৎসারিত শব্দমালা উত্তাল সাগরের মত বের হতে চাইল , কিন্তু সে জানে মানুষ শুধু তার কা কা শব্দ ছাড়া আর কিছুই শুনতে পাবে না ।কাক এটাও জানে , তাদের কা কা শব্দ মানুষ অনেক অপছন্দ করে ।প্রকাশের অব্যক্ত যন্ত্রণায় কাকের বুকের খাচাটা দুমড়ে - মুচড়ে যেতে লাগল । শুধু মহিলা যখন শেষবারের মত হাত বুলিয়ে নিল তখন তার হাত সে ঠোঁট দিয়ে ছুঁয়ে দিল । বিশ্ববিধাতার প্রতি বড্ড অভিমান হল তার । মানুষের পাশে যার নিত্য বসবাস , তার নেই মানুষের সাথে কথা বলার এতটুকু অধিকার । বাবলুর মার চোখেও কেন জানি অশ্রু টল মল করছে । হাতের ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় তিনি নীরব ভাষার তরঙ্গ বইয়ে দিলেন ,যে ভাষার অন্তমর্ম,সুর , তাল , লয় তার নিজেরই অনেকটা অজানা ।

গলির মুখে আজ আর সে অন্য কাকেদের ফাঁকি দিল না , তারা ঠোকর মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামড়া ছিলে দিল , ঝরে গেল অনেক পালক । বাসায় এসে কাক টি আর কয়েকদিন বের হলনা ,তেমন খানা - পিনে করলনা , শুকিয়ে ছোট হয়ে গেল সে । তবু আজ তার মনে দুঃখ নেই , মনে জ্বলে উঠেছে তৃপ্তিপ্রদীপ , সে একদম ফেলনা নয় , নয় অবাঞ্চিত , সে সামান্য হলেও খাঁটি ভালবাসা পেয়েছে । বউয়ের কথা মনে পড়ে যায় তার । কত ভালবাসত তার বউকে ! কথায় কথায় বউ বলত আমি তোমার জন্য জীবন দিয়ে দিব । আহারে বউ , জীবনের প্রথম ভালবাসা !কতবার দুজন মিলে একসাথে পাড়ি দিয়েছে নদী , নদীর বুকে পড়েছে দুজনের মিলিত ছায়া। ছোট ছোট পোকাগুলো দুজনে ভাগ করে খেয়েছে ,ঠোঁটে - ঠোঁটে হয়েছে কতবার ভালবাসা বিনিময় । তখন দুজনের ঠোঁটে - মুখে - মনে ভালবাসা ছাড়া আর কিছু ছিলনা । না ! এখানে থাকলে সে পাগল হয়ে যাব , মরতে হয় নিজের দেশে গিয়ে মরব - এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে কাক ।


নিদিষ্ট দিনে কার্নিশে হাজির হয় সে,বাবলুর মা তখন রান্না করছে। কাকটিকে দেখে মহিলা প্রচণ্ড খুশি হয়ে হেসে দিলেন, সেদিনের পর হতে তিনি আর কাকের দেখা পাননি। তারপর কাঁকটির জন্য ফ্রিজে রাখা বিরিয়ানি আনতে গেলেন।ওদিকে পাশের রুমের জানালা দিয়ে বাবলু কাকটিকে দেখামাত্রই নিজের ভেতরের জমে থাকা ক্রোধে উম্মাদ হয়ে গেল।- এই কাউয়া মার ভালবাসায় ভাগ নিছে! জমিয়ে রাখা পাথরের টুকরাগুলো হতে, একটি বড় সাইজের পাথর বাবলু তুলে নিল।


কাকটি তখন অস্থির হয়ে গেছে, কই গেলেন উনি? কই গেলেন? শেষবারের মত দেখতে যে খুব মন চাইছে! তখুনি কাকটির ইন্দ্রিয় সাড়া দিল, একটি পাথরের টুকরা তার দিকে এগিয়ে আসছে।এই প্রথমবারের মত কাঁকটি নড়ল না, এগিয়ে আসা পাথরটার দিকে সোজা তাকিয়ে রইল। টুকরাটা মাথায় আঘাত করল, কার্নিশে বিছিয়ে রাখা পায়ের আঙ্গুলগুলো আলগা হয়ে প্রচণ্ড গতিতে শরীরটা উলটে ঠোঁট - মাথা আকাশের দিকে গেল ঘুরে, তারপর নিচে পড়ে যেতে লাগল। শেষবারের মত ঊর্ধ্ব গগনের দিকে চাইল সে, লাভ হল না, প্রচণ্ড রোদের সামিয়ানা ঢেকে দিল তার চোখের আকাশ।নিচে নেমে পড়া দেহটায় বেজে উঠল প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে।

কিছুক্ষণ পর, তার জাত ভাইয়েরা - বেঁচে থাকতে যারা তার কোন খবরই নেয়নি , সকলে সমস্বরে চিৎকার করে উঠল।

মন্তব্য ১৫২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অসাধারণ লিখসেন! আমি আপনার লেখা আগে পড়িনাই! অবশ্য আপনি পোস্ট দিয়েছেনও অনেক কম! কাল্পনিক ভাইয়ের জহুরীর চোখ আছে দেখা যায়!

আপনার গল্প খুব খুব মুগ্ধ করল আমাকে, পড়ে আনন্দ পেয়েছি। অত্যন্ত চমৎকার লেখনী আপনার।

কাকের জন্য থেকে গেল শেষ বেলাতে মন খারাপ। ভালো সে কাক হোক আর মানুষ হোক, এই দুনিয়াতে বেল নাই।

শুভকামনা রইলো!

আপনাকে অনুসরণ শুরু করলাম! :)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই । আপনার মত গুণী একজন ব্লগারের মন্তব্যে
অনুপ্রাণিত হলাম । আমার ব্লগে প্রথমবারের মত আসায় আপনাকে স্বাগত
জানাচ্ছি । আশা করি সবসময় পাশে থেকে ভুল - ত্রুটি দেখিয়ে দিবেন ।

অনুসরণে সম্মানিত বোধ করছি , চেষ্টা করব ভাই ভাল লিখে এর প্রতিদান দেবার ।
সেটাই , ভালর বেল নাই , খাটি কথা ।

আপনার প্রতি অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
ভাল থাকুন নিরন্তর :)



২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

এক্সপেরিয়া বলেছেন: বড় গল্প !! ভাল লাগল ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
এক্সপেরিয়া । আপনার ভাল লাগা আমাকেও প্রীত করল ।
প্রথম বারের মত আমার ব্লগ বাড়ীতে আপনাকে স্বাগতম । :)
আশা করি পাশে থাকবেন , সবসময় ।
আপনার ভাল লাগায় আমিও আনন্দিত ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার প্রতি অনেক শুভকামনা রইল , ভাল থাকুন ।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার বিশাল কাক কাহীনি ভাল লেগেছে। দীর্ঘ পোস্ট ।অনেক ধৈর্য নিয়ে পড়া লাগে। সময় লাগে।তারপরও ভাল লাগলো। কাকের ফাঁদ দেখলাম। :)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হা ভাই দীর্ঘ গল্প , তারপরও আপনাদের মত মনোযোগী ও আন্তরিক পাঠক আছে বলেই একটু লিখার প্রয়াস চালানো ।
চেষ্টা করা ।

অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই ।
ভাল থাকবেন , শুভকামনা রইল । :)

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
জোস, ভেরী ইন্টারেস্টিং।চমৎকার লিখসেন, বেশ মজা পাইসি পড়ে !!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ইমরাজ ভাই , ভাল থাকুন ।
শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

শাওণ_পাগলা বলেছেন: গল্প ভালো হইছে!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ শাওন ভাই ।
ভাল থাকুন ।
শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

নূর আদনান বলেছেন: খুব ভাল লাগল, আপনার ভেতর লেখার প্রতিভা আছে, চালিয়ে যান

আর বলতেই হয় যে, কাল্পনিক ভাইয়ের জহুরীর চোখ আছে দেখা যায়!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ নুর ভাই :) । আমার লিখার যাবতীয় প্রশংসা আমি নিচ্ছি
আর নিন্দা টুকু কাল্পনিক ভাইয়ের জন্য তুলে রাখছি :)

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

তাসজিদ বলেছেন: প্রতিকের মাধ্যমে দারুণ লেখা। চালিয়ে যান।

আর সময় পেলে আমার ব্লগে আইসেন!!!!!!!!!!!!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অবশ্যই আসব ভাই , কেন নয় ?

প্রথমবারের মত আমার ব্লগে আসায় স্বাগত জানাচ্ছি ।

ভাল থাকবেন ভাই , ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

খেয়া ঘাট বলেছেন: মুগ্ধ হলাম। দারুন মুগ্ধ হলাম।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার মুগ্ধতায় আমিও আনন্দিত হলাম ।
ভাল থাকুন প্রিয় খেয়াঘাট ভাই :)
শুভকামনা রইল ।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পটা এতো চমৎকার কী বলবো ! গল্পটা একটা কাক কে ঘিরে হলেও পুরপুরি কাকের জীবন নয়। পরিবেশ দূষণ, নতুন জায়গায় খাপ খাইয়ে নেয়া, অভাবের সুযোগে বাইরের লোকের ঘরের মানুষের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়া, বেঁচে থাকার লড়াই, স্নেহ মমতার সন্ধান ইত্যাদি সব মিলিয়ে আর ডায়ালগগুলো সবই উপভোগ্য।

ভালো থেকো মাহমুদ

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল আপা ।
তাড়াহুড়ায় আছেন মনে হয় , নাইলে বানান এর ব্যাপারটা দেখলে ভাল হত ।
অনেক বানান ভুল হইছে ।

আপনিও ভাল থাকবেন আপা । শুভকামনা রইল ।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অদ্ভুত ! কাকের জবানিতে যে গল্প ফেঁদেছেন! আমি পড়ে হতবাক হয়ে গেছি। নিঃসন্দেহে একটা এপ্লাস ক্যাটাগরির গল্প।

কিছুই বলার নাই, পুরু গল্পে একেবারে মজে ছিলাম, গ্রামের ধীরে ধীরে মরে যাওয়া, গ্রামের ও শহরের তুলনামুলক বর্ননা, কাকের সর্দারের কাহিনী ও বউ এর প্রতারনা, শেষমেষ ঐ মহিলার মমতা এমন চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে, যে এক মুহূর্তের জন্যেও কোথাও ছন্দপতন হয়নি।

হাস্যরস, জীবনসংগ্রাম, ভালবাসা, প্রতারনা, ট্রাজেডি সবকিছু মিলিয়ে স্বার্থক ছোট গল্প।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে দেখতে পেয়ে অনেক ভাল লাগছে গুণী লেখক ।

আপনার ভাল লাগায় আমার ভাল লাগাও বহুগুণ বেড়ে গেল ।

গল্পাঙ্গিকের সমস্ত বিষয় আপনার আটসাট সুচিন্তিত মতামতে চলে এসেছে ।

খুব পছন্দ হল আপনার কমেন্ট ।

ভাল থাকবেন ভাই ।

নিরন্তর শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১১

বোকামন বলেছেন:







সম্মানিত লেখক,
গল্প চমৎকার হয়েছে ! কাকের জীবন-যাপনে যেমন তৃপ্ত নয় কাক ঠিক তেমনি বুঝি মানুষও তৃপ্ত হতে পারছে না। পারবেই বা কি করে সবাই যে সুযোগ সন্ধানী। ভুলেই যাচ্ছি সুযোগ সবাই-কেই দেওয়া উচিত।

দয়া-ক্ষমা-বিনয় স্বর্গীয় গুণ।

জীবে দয়া করে যেই জন,
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর


রাস্তার কাউয়ার লেইগা সিটি কর্পোরেশন আর মাইনসের লেইগা আনজুমানে মফিদুল !
-সমাজের বর্তমান হালহকিকত গল্পকার নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুললেন। যেন মানবতা কেবলই দায়সারা দায়িত্ব। কাউয়াদের নিয়ে চিন্তা ! আজকাল পাশের বাড়ীর প্রতিবেশীদের কথাই চিন্তা করিনা ...

মেঠোভাষা মজা দিচ্ছিলো বেশ। আর গল্পে যেন লেখক মমতা ঢেলে দিচ্ছিলেন আনমনে। চিন্তার খোরাক যোগাবে, পাঠকের দীর্ঘশ্বাস থাকবে গল্প শেষ করে। তাই গল্প হিসেবে সার্থকই বলা চলে।

তবে -
বাক্যের শরীর বেশ কিছুটা দুর্বল ছিলো ! তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন কী !
যতিচিহ্ন শেষ অক্ষরের পাশে বসালেই সুন্দর দেখা যায়। গল্পে ইমো ব্যবহার করা উচিত নয়। ডটডট লম্বা করা ভালো দেখাচ্ছে না।
চোখ দুটো বড় বড়“ ”যেত

এগুলো অবশ্য টাইপ জনিত ভুল। ঠিক করে নেওয়া ব্যাপারনা।
[সাধারণ পাঠকের মতামত মাত্র]

মূল কথা হলো গল্পের বিষয়বস্তু এবং পাঠকের হৃদয় অব্ধি পৌছে দেয়া সে ক্ষেত্রে সফল হোক গল্পকার-এই কামনা করছি :-)

ভালো থাকুন সবসময় এবং লিখতে থাকুন....।
শুভেচ্ছান্তে ..

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বুঝলাম এবার আমার প্রিয় বোকামন ভাইকে ভাল লাগাতে পারিনি ।

তবে বোকামন কে আমি যেভাবে চাই ঠিক সেভাবেই বোকামন ভাই হাজির , এটাই আমার জন্য স্বস্তির ।
প্রকাশের তাড়নায় তাড়াহুড়া ছিল , মাথা হতে নামাতেও ।
এজন্য আন্তরিক ভাবেই ক্ষমা চাইছি ।
আমার আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিল ।

যা যা বিচ্যুতির কথা উল্লেখ করেছেন , সংশোধন করলাম ।
বাক্যের শরীরেও বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছি , আপনি না বললে বিষয়টা খেয়ালই করতাম না ।

অনেক উপকৃত হলাম ভাই । আশা করছি এভাবেই বোকামন ভাই আন্তরিকভাবে পাশে থাকবে ।

আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক ভাল রাখুক ।
শুভকামনা রইল ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: :)

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

মাক্স বলেছেন: মুগ্ধপাঠ!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন মাক্স !
এই বদনখানা যখনই দেখি , তখনই আমি খুশিতে আটখানা হই ।
:)

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯

মামুন রশিদ বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়লাম, মুগ্ধপাঠ!
অসাধারণ একটা গল্প লিখলেন মাহমুদ । কাকের ছদ্মাবরণে মানুষেরই গল্প, যা আমাদের চারপাশে ঘটে চলেছে । চমৎকার রুপকের মাধ্যমে গল্পটা লিখেছেন । বর্ণনাও হয়েছে মসৃণ, পড়তে মোটেও ক্লান্তি লাগেনি ।

গল্পের উৎসর্গ যথাযত, কাল্পনিক পাকা জহুরী ।

গল্পে প্লাস++

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই ।
কাল্পনিক ভাইয়ের কথা বললে ত শেষ করা যাবে না ,
তাই উনার কথা বাদ :)
ভাল থাকুন মামুন ভাই ।
শুভকামনা রইল অনেক । :)

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভাল গল্প। কাউয়াদের নিয়ে হয়তো খুব বেশি গল্প লেখা হয়নি। মাহবুব আলী ভাইয়ের একটা গল্প আছে কাক দম্পতি নিয়ে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মাহবুব আলী ভাইয়ের কাঁকের গল্পটা আমিও শুনেছিলাম ,
পড়িনি অবশ্য ।
ধন্যবাদ জুলিয়ান দা ।
বানান ত এইবার লাটে ভুল হইল , দেইখা ত মনে হয় খেইপা গেছেন :)
তবে যতটুকু পারলাম সংশোধন করলাম , সামনে আমাকে আরও
সতর্ক হতে হবে ।
আপনার উপস্থিতি আমার সবসময়েই ভাল লাগে ।
ভাল থাকুন , অনেক অনেক ।
শুভকামনা ।

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

আম্মানসুরা বলেছেন: গল্প পড়ে আপনার ভক্ত হয়ে গেলাম তাই অনুসরণে নিলাম

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমার পাথেয় ।
ভাল থাকবেন অনেক । শুভকামনা রইল । :)

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার হয়েছে মাহমুদ ভাই। মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। অনেক অনেক ভালো লাগা থাকল। একটা কাকের রুপকে গোটা মানব সংসার, পৃথিবী, যাপিত জীবন দেখিয়ে দিলেন। অনন্য সৌন্দর্য্যে। সংলাপগুলোও ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এইটাঃ

"হালার ভাই ! মদনস্টিক কুনানকার !! আমরা হগলেই ত কাউয়া ! আমরা মানুষ নি ! "

পড়ে অনেক্ষণ হেসেছি।

প্লাস দিলাম। কিন্তু আপনার কাছে পৌছোবে কিনা জানিনা !!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহা , লিখার সময় আমি নিজেই হাসছি ।

প্লাস পাইলাম না সামুতে , তাই অন্তরে বুঝে নিলাম ।
ভাল থেক তুমি ।
শুভকামনা রইল অনেক । :)

১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৬

গোর্কি বলেছেন:
-কাক প্রতীকী রূপে সমসাময়িক সামাজিক অবস্থার চিত্রপট খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
-গল্প পাঠে মুগ্ধতা জানাই।
-আপনার ব্লগ বাড়ী অনুসরণ করলাম।
-শুভকামনা রইলো।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
অনুসরণে কৃতজ্ঞতা রইল ।
ভাল থাকবেন ,
শুভকামনা রইল অনেক ।

১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বুকমার্কড ! মন বিক্ষিপ্ত অবস্থায় আছে , শান্ত হয়ে পড়তে আসবো মাহমুদ ভাই !

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: :) হুমমম

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: -আমরা কাউয়া ! - সর্দারকে বলে কাক ।
- হালার ভাই ! মদস্টিক কুনানকার !! আমরা হগলেই ত কাউয়া ! আমরা মানুষ নি ! কোত থিকা আইছস তুই ?
এর মধ্যে সর্দার টের পেয়ে গেছে লোকটা পুরাই ফাউল । যেহেতু হগলেই কাউয়া তাই লোকটা না হয়ে কাউয়াডা পুরাই ফাউল হলেই চমৎকার হয়।

বঞ্চনার মরুভূমিতে এ কেমন একফোঁটা অনল !

অনল শব্দের অর্থ আগুন। আপনি সম্ভবত পানি অর্থে ব্যবহার করতে চেয়েছেন। সুতরাং জল কিংবা বারি ব্যবহার করতে পারেন।

আর টাইপো আছে অনেকগুলো ঠিক করে নেবেন।

এবার আসি আপনার গল্প প্রসঙ্গে। যদি বলি অসাধারণ কম বলা হবে। আপনার বলার ভঙ্গি, গল্পের ভিতরের গল্প সবই ভাল লেগেছে। কাকের রূপকে আমাদের গল্পই বলে গেলেন।

পর্যবেক্ষণশক্তি এবং তার সাথে কল্পনার রঙ মিশিয়ে গল্প বানানোর এক বিরল গুণ রয়েছে আপনার। আমি মুগ্ধ। আপনার গল্প পড়ে আসলে প্রত্যেকেই মুগ্ধ হয়েছে; উপরের মন্তব্যগুলো পড়লেই বোঝা যায়।

নিরন্তর শুভেচ্ছা। আর স্বপ্ন দেখবেন ইচ্ছে মতো। যত বেশি পারা যায়। কারণ স্বপ্নই সম্ভাবনা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমার ব্লগে প্রথমবারের মত আপনার আগমনে অনেক খুশি হলাম
ভাই , স্বাগতম আপনাকে ।
ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।
সংশোধন করে নিলাম ।
লজ্জিত ও দুঃখিত ভুল হবার জন্য ।
তাড়াহুড়া করাটা আমার উচিত হয়নি ।
আর আমার বানানে দুর্বলতা আছে । চেষ্টা করছি কাটিয়ে উঠার ।
ভবিষ্যতে খুব খুশি হব যদি যেসব ভুল বানান আপনার নজরে পড়বে ,
সেটা উল্লেখ করে দেন ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা। আর স্বপ্ন দেখবেন ইচ্ছে মতো। যত বেশি পারা যায়। কারণ স্বপ্নই সম্ভাবনা । কথা টা অনেক ভাল লাগল


ভাল থাকুন ভাই , আপনার জন্য আন্তরিক শুভকামনা রইল । :)


২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৫

টুম্পা মনি বলেছেন: দিনে পড়েছি। অজস্র মুগ্ধতা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ টুম্পামনি ।
আপনার ভাল লাগা আমার ভাল লাগাও বাড়িয়ে দিল ।
ভাল থাকুন শুভকামনা রইল অনেক :)

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সবাই তো সব বলে দিয়েছে !
প্লট টা দুর্দান্ত !

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সবাই না হয় সব কথা বলল কিন্তু আমার অভি ভাইয়ের
কথা কি সেটা ত জানতে পারলাম না ।
:)

ধন্যবাদ অভি ভাই কষ্ট করে পড়ার জন্য ।
ভাল থাকবেন আর শুভকামনা ত রইলই :)

২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২২

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: নিচে নেমে পড়া দেহটায় বেজে উঠল প্রথম গান,দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে

দ্বিতীয় মৃত্যুই বটে :( আমাদের সমাজের ভালো অথচ দুর্বল মানুষ গুলোর পরিণতিও অনেকটা এমনি হয়,সত্যিকার অর্থেই ভালোর দাম নাই ..... :(

আমি লেখকের অন্তরদৃষ্টির প্রশংসা করলাম,গল্প পাঠেই বোঝা যায় কাক কে কতটা নীবিরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন ।

গল্পটা পড়ার সময় একটা ঘটনা মনে পরল,প্রতিদিনের অভ্যাস মত সকালবেলা বাড়ির পিছন দিকের একটু খোলামেলা জায়গায় দাড়িয়ে সিগারেট খাই,জায়গাটা সবসময়ই নীরব থাকে,কিন্তু গত ৩দিন যাবত ঐখানে গেলেই কোত্থেকে যেন ২টো কাক এসে মাথার উপর ঘুরতে থাকে আর কা-কা শব্দে মাথা খারাপ করে ফেলে,ভয় দেখিয়েও কোন লাভ হয়না,তখন চলে আসতে বাধ্য হই,কিন্তু গতকাল সকালে আবার সেখানে গিয়ে আবিষ্কার করলাম যেখানে দাড়াই ঐ জায়গার সামনের একটা গাছে কাক নতুন বাসা পাতছে যা আগে ছিলনা এবং বাচ্চাও হইছে ..... :) :-B

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , অনেক অনেক ।
কাঁক কে পর্যবেক্ষণ করলে অনেক মজা পাবেন ।, দেইখেন ।
আপনার ভাল লাগায় আমারও ভাল লাগা বেড়ে গেল ।
ভাল থাকবেন অনেক ।
শুভকামনা রইল ।

২৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “লাজুক চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকত বউ , বউ তখন এমন মুখরা ছিল না।” B-)

পুরুষ কাকেরাই বউদেরকে মুখরা বানায়! যা হোক, কাকের গ্রামীণ জীবনটি চমৎকার এঁকেছেন ভাই।

“রাস্তার কাউয়ার লেইগা সিটি কর্পোরেশন আর মাইনসের লেইগা আনজুমানে মফিদুল!” =p~ =p~

“সব জায়গাতেই কম্পিটিশন।”

হুম, শেষ পর্যন্ত কম্পিটিশনে হেরে গেলো কাক।


আপনার লেখা এই প্রথম পড়ার সুযোগ হলো। অসাধারণ লিখেছেন। রস, তথ্য, তত্ত্ব - সবই পেলাম। ভালো লেগেছে।+

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রান্তিক মানুষ কম্পিটিশনে হেরে যায় ।
আপনার আগ্মনে প্রীত হলকাম মাইনুল ভাই ।
ভাল থাকবেন , শুভকামনা রইল । :)

২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন একটা গল্প লিখেছেন। প্লটটা খুবই চমৎকার। আপনার পর্যবেক্ষন শক্তি অনেক ভালো। সেই সাথে রসবোধ এই গল্পে একটা অন্যতম মজা এনেছে।

আপনি প্লীজ নিয়মিত লিখুন। এটা বিশেষ অনুরোধ। আর একটা বিষয়, আমাকে উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। তবে কাউকে উৎসর্গটা পোষ্টে শেষে দিলে সেটা ভালো হয়। নয়ত পাঠক আবার বিরক্ত হয়। তাই অনুরোধ থাকল, সেটা আপনি একটু কারেকশন করে দেন। :)

আবারও অনেক শুভ কামনা থাকল মাহমুদ ভাই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক ভাই :)
ইনশাআল্লাহ নিয়মিত লিখার চেষ্টা করব ।
তবে যেটাই হোক আমি আপনার কথা কখনই ভুলতে পারব না ।
উৎসর্গ এভাবেই থাক না ! :)
আমার এভাবে দিতেই ভাল লাগে ।
উৎসর্গ তলায় পড়ে থাকবে এই জিনিস টা কেমন জানি আমার ভাল লাগে না ।

প্রিয় কাভা ভাইয়ের প্রতি অনেক শুভকামনা রইল

আল্লাহ আপনাকে অনেক ভাল রাখুক ।

২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

কয়েস সামী বলেছেন: মুগ্ধপাঠ!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ কায়েস সামি ।
ভাল থাকুন ।

২৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অফটপিক - কিছু কিছু জায়গায় বাক্যবিন্যাস ও বানান পরিবর্তন করা হয়েছে ,
তারপরও কারো চোখে কিছু ধরা পড়লে তা কমেন্টে বলার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়ে রাখলাম ।

২৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

আরজু পনি বলেছেন:

ফেসবুকে লিঙ্ক থেকে এসেছিলাম রাতে, পরে আবার আসবো শিগগীরই ।।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ওকে আপা । :)
অপেক্ষায় রইলাম ।

২৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
আমার ব্লগ লাইফে পড়া গুটি কয় অসাধারণ গল্পের মাঝেও শ্রেষ্ঠ বুঝি তোমার এ কাক গল্পটিই!


কি পরিমান মুগ্ধ হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না! অনেক অনেক শুভকামনা ভাইয়ামনি! অনেক বড় লেখক হও!

লেখাটা পড়ার সময় হাসছিলাম, কখন যে চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুরু করেছে জানতেও পারিনি!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপ্লুত হলাম আপুনি , অনেক ।
দোয়া রাখবেন আমার জন্য , এতেই হবে ।
জানিনা কতদিন লিখি কিন্তু যাই লিখি চেষ্টা করব ভাল লিখার ।

ভাল থাকবেন আপুনি ।
শুভকামনা রইল অনেক :)

২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

জুন বলেছেন: অসাধারন একটি গল্প পড়লাম অনেকদিন পর। কাকতো একটা প্রতীক দেখেছি সাতক্ষীরা আর মংলা যাবার পথে মাইলের পর মাইল নোনা পানিয়ে ঢুকানো চিংড়ি ঘের। ফসলি ক্ষেত সব পানির নীচে, গরু বাছুর কোনমতে রাস্তার পাড়ে দাঁড়ানো। মানুষগুলোও সেই কাকের মত ভিটে মাটি ছাড়া .।
প্লাস দিতে পারলাম না। তাতে অবশ্য কিছুই যায় আসে না এমন এক গল্প লিখেছেন এক কথায় দারুন মর্মস্পর্শী ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এটাই । বাংলাদেশের অনেক গ্রামের অবস্থা চরম খারাপ । শহর হতে
এসব টের পাওয়া যায় না ।
ধন্যবাদ জুন আপু ।
আপনার ভাল লাগায় আমিও আপ্লুত হলাম ।

ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা রইল নিরন্তর :)

৩০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: কাহিনী নির্ভর গল্প ইদানিং কম পড়া হয়। আপনার গল্পের কাহিনী এবং ট্রাজেডি মন ছুঁয়ে গেলো। ভালো লাগা রইলো।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই ।
অনুপ্রাণনে আপনাকে নিয়ে লিখা হইছে শুনে খুব ভাল লাগছে ।
এই সংখ্যাটা কালেক্ট করে রাখব ।
ভাল থাকবেন হাসান ভাই ।
শুভকামনা ।

৩১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় শায়মা আমাকে প্রথম আপনার গল্প পড়ার জন্য বলেছিল । সেটাতে আমি প্রথম লাইক দিয়েছিলাম। এটিতেও ১ম লাইক দিয়েছি। শায়মা আপুকে উৎসর্গ করে একটি গল্পলিখবেন সেই প্রতীক্ষায়।ওনি একজন গ্রেট ব্লগার। মানুষের অজান্তেই তাকে প্রমোট করেন। আবারও অভিনন্দন চমৎকার গল্পে ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই :)
ভাল থাকুন ।

৩২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম ।

কাকের গল্প বলা হলেও এটা তো ঠিক যেন কাকদের গল্প নয় । কত কিছুই তো বলা হল ! আশার কথা , প্রতরনার কথা , শেষের ট্রাজেডি টুকু স্পর্শ করলো ভীষণ ভাবে । আমার পড়া সেরা এবং অন্যরকম একটা গল্প ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদ্বিতীয়া ।

এভাবে বলায় আনন্দিত হলাম । কষ্টটুকু কিছুটা হলেও সার্থক হল বলে
মনে হচ্ছে ।
পাঠকের ভাল লাগা লিখকের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয় ।
ভাল থাকুন , অনেক অনেক । :)
শুভকামনা রইল ।

৩৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সব মিলিয়ে চমৎকার একটি গল্প পড়লাম। ++++ রইল।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই :)
ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা রইল অনেক :)

৩৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ ভালা পাইছি, গপের প্লট টা অনকমন

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম ভাই :)
ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা রইল ।

৩৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

অদৃশ্য বলেছেন:
ভাই মাহমুদ

বিশ্বাস করুন আজ থেকে রাস্তায় কাক দেখলে আপনার এই লিখাটি কথা মনে পড়বে... আপনার এই অনন্য সুন্দর লিখাটি মনের মাঝে গেঁথে গেলো... এমন কিছু দৃশ্য আপনি তৈরী করেছেন যা এক কথায় অনন্য...

এতোটাই মুগ্ধ হলাম যে, এটা এখন ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা...

আপনার গল্পটা যেন রাজ হাসের সেদ্ধ ডিমের মতো হয়ে গেলো...একটির পর একটি পরল বেরোতেই থাকলো... অবশেষে অসম্ভব সুন্দর একটি সমাপ্তি...

নেটের অনেক প্রবলেম... ঠিক জানিনা এই কমেন্টটা প্রকাশ হবে কিনা...

+++++++

শুভকামনা...

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এত ঝামেলার ভিতর যে কমেন্ট দিলেন এর জন্য কৃতজ্ঞতা ।
আপনাদের ভালবাসাই আমার পাথেয় ।
আপনার সুন্দর কমেন্টে আমারও ভাল লাগল ।
ধন্যবাদ অদৃশ্য ভাই ।
ভাল থাকুন আপনি :)

৩৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

বোকামন বলেছেন:




কাজের চাপে মাথার ঘন্টু-বন্টু অবস্থা আপনার উত্তরের এই লাইনটি- “বুঝলাম এবার আমার প্রিয় বোকামন ভাইকে ভাল লাগাতে পারিনি।” পড়ে আমি ব্যথিত হলাম তাই অনেক কষ্ট করে লগিন করলাম প্রতিবাদ জানাতে।

যদি ভালোই না লাগতো তবে কেন বোকামন গল্পটি তার সংগ্রহশালায় যত্ন করে রাখলো !
যদি ভালোই না লাগতো তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও বিস্তারিত পাঠ প্রতিক্রিয়া কেন জানালো !
হ্যাঁ ?

শ্রদ্ধেয় ভাইজান,
বোকামন লেখালেখি করে না। বোকামন গল্প-কবিতা বা যাই হোক না কেন পড়ার সময় কেবল লেখকের অনুভূতির প্রতিই অধিক মনযোগী থাকে। আর আপনার গল্পের থিমগুলো আমাদের মত সাধারণের কথা বলে। বোকামনের কাছে সেটাই অসাধারণ যা সাধারণের কথা বলতে পারে, মানবতার কথা বলতে পারে, মানুষের কথা বলতে পারে।

যে ভুল বা দুর্বলতাগুলো ছিলো ওগুলো কেবল টাইপিং-জনিত। তাই মূল গল্পের মূল্যায়নের সাথে এর সম্পর্ক নেই। টাইপজনিত ভুল আমরা সবাই করে থাকি।। আমিতো কেবলই একজন অতি নগণ্য সাধারণ পাঠকমাত্র।।

ভালো থাকবেন ভাই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ( প্রথমেই সবার কাছে আন্তরিক ক্ষমা চাচ্ছি , স্কিপ করে মন্তব্য দেবার জন্য । )

প্রিয় বোকামন ভাই , কথাটা বলেছিলাম '' মূল কথা হলো গল্পের বিষয়বস্তু এবং পাঠকের হৃদয় অব্ধি পৌছে দেয়া সে ক্ষেত্রে সফল হোক গল্পকার-এই কামনা করছি :-) '' এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ।

তাই আমি মনে করলাম মূলমর্ম বুঝাতে এবার আমি ব্যর্থ হয়েছি । আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারিনি । আর আপনার মত একজন বোদ্ধা ( বিনয় করছি না , সত্যিটাই বলছি ) পাঠক সন্তুষ্ট না হলে
সঙ্গত কারণে নিজের একটু হতাশ লাগবেই । আপনি যে এটা আমার শুভকামনা করে বলেছেন এটা আমি বুঝিনি । আমার ভুল্টা এখানেই হয়েছে ।
কমেন্টের মধ্যে একমাত্র আপনি আর অলওয়েজ ড্রিম ভাই আমার ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন । আমি মনে করি আমাকে নিখুত হতে হবে , অন্তত কাছাকাছি থাকতে হবে ।
কিন্তু এ গল্পে আমি অজস্র ভুল করেছি , আমি নিজের কাছেই নিজে লজ্জিত ও দুঃখিত । আমি তাড়াহুড়া না করলে ভুল বহুলাংশে কম হত ।
বিশেষ করে ইমো আর বাক্য গঠনের ব্যাপারটায় আপনি ইঙ্গিত না দলে আমি হয়ত সংশোধনই করতাম না । আমি আপনার কাছে তাই অনেক বেশি ঋণী । আর আমার ব্লগে আমি আপনাকে এই ভূমিকাতেই
দেখতে চাই সবসময় । যেটাই চোখে পড়বে সেটাই আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিবেন । জি হুজুর মার্কা কমেন্ট এর আমার দরকার নাই । আমি সত্যিটাই জানতে চাই ।
আর আপনি এভাবে বলাতে আমি আন্তরিক ভাবেই খুব খুশি হয়েছি । আশা করি সবসময় আপনাকে আমি এ ভূমিকাতেই আমার ব্লগে দেখব ।


আমি জানি আপনি অনেক কষ্ট করে সময় বের করে নিয়ে আমার লিখা পড়েছেন । এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই । ঋণ শোধ করারও আমার কোন ইচ্ছে নেই , বোকামনের কাছে
আমি ঋণীই থাকতে চাই , কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের ঋণ শোধ করতে নেই ।
আমি আপনাকে আঘাত দিয়েছি , সে জন্য আমি আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাইছি , ক্ষমা চাইছি ক্ষমা চাইছি ।
বোকামনের হৃদয়ের কাঠগড়ায় আমি রিক্তভাবে আত্মসমর্পণ করলাম ।
আর বোকামনের ক্ষমা না পেলে আমি নিজে ও নিজেকে ক্ষমা করতে পারবনা ।
ভাল থাকুন ভাই , অনেক অনেক ভাল ।
শুভকামনা রইল আমার প্রিয় ভাইয়ের প্রতি ।

৩৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

খাটাস বলেছেন: এ গ্রাম তার দেশ , এখানের সবকিছুই তার নিজের ।কা কা করলেই এখানে সলিমের বউ উঠোনে এটা - ওটা ছিটিয়ে দেয় । - খুব মজা লাগল কথা টা পড়ে।
কাল্পনিক ভাই আমার অন্যতম প্রিয় একজন ব্লগার। এমনিতেই তার প্রতি ভাল লাগার কমতি নেই। আপনাকে তুলে ধরার জন্য তার প্রতি ভাল লাগা টা বেড়ে গেল যেন।
পোস্টের কথায় আসি। আমার নামের মত আমি ও খাটাস প্রকৃতির মানুষ। মুগ্ধ হউয়ার ক্ষমতা কম। আপনি আমার সেই সীমাবদ্ধতা কে ভেঙ্গে ফেলেছেন। অনেক অনেক শুভ কামনা মাহমুদ ভাই।
অনেক বড় লেখক হবেন আপনি, এই দোয়া করি।
অনুসরণে নিলাম, এখন নিয়মিত লেখা চাই। ভাল থাকবেন। :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার ভাল লাগায় আমিও আনন্দিত ।
দোয়া করবেন যাতে ভাল লিখা অব্যাহত রাখতে পারি ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
শুভকামনা রইল অনেক । :)

৩৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে!!!!!!!!!!


আপনি কারণ দর্শান কেন নিয়মিত লেখেন না.......


+++++++++++

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কি কন ভাই :) নিয়মিতই ত লিখতাছি :) প্রত্যেক মাসে একখান গাঁজাখুরি
গল্প :প

ধন্যবাদ ইরফান ভাই :)
আমার ব্লগে আপনার উপস্থিতি আমাকে আলাদা প্রেরণা দেয় ।

ভাল থাকুন । অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ,
আপনার পরিবারের সবার জন্য ।

৩৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: সুন্দর :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু । ভাল থাকবেন ভাই :)
শুভকামনা রইল । :)

৪০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

শাহেদ খান বলেছেন: অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম ! অনেক অনেক ভাল লাগা জানবেন !

শুভকামনা, মাহমুদ০০৭। লিখতে থাকুন। 8-|

[আগ্রাবাদ, দেওয়ান-বাজার নামগুলো থেকে ধারণা করছি আপনি চট্টগ্রামের !]

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ শাহেদ ভাই ।
প্রথমবারের মত আমার ব্লগে আপনার আগমনে আমার অনেক ভাল লাগা থাকছে । :)
হা ভাই আমি চট্টগ্রামের । ধারণা করছি আপনিও চট্টগ্রামের , না হয় এখানে থেকেছেন । ( আপনার ব্লগে কমেন্টে এমন ধারণা হল )

ভাল লাগা বুঝে নিলাম ।
আশা করছি আমি আপনাকে নিয়মিতই পাব । ভাল থাকবেন শাহেদ ভাই । শুভকামনা নিরন্তর :)


:)

৪১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

আরুশা বলেছেন: রূপক গল্পে আমাদের সমাজ । অনেক ভালোলাগা ++++

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আরুশা ।
আমার ভাল লাগা জানবেন ।
শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।
ভাল থাকুন :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আরুশা ।
আমার ভাল লাগা জানবেন ।
শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।
ভাল থাকুন :)

৪২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

শাহেদ খান বলেছেন: হ্যাঁ, আমিও চট্টগ্রামের ছেলে। যদিও কাজের সূত্রে এখন থাকি ময়মনসিংহের ভালুকায়।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জেনে ভাল লাগছে শাহেদ ভাই :)

ভাল থাকবেন ।

৪৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর গল্প
শুভকামনা +

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
ভাল থাকুন ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য । :)

৪৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক দীর্ঘ গল্প।ভালো লাগলো কাক কাহিনী।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দীর্ঘ - গল্প পাঠে কৃতজ্ঞতা রইল ।
ভাল থাকুন তুষার ভাই ।
শুভকামনা রইল । :)

৪৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

মশিকুর বলেছেন:
সুন্দর তো...


আসলে পড়ি নাই। পড়ে অবশ্যই অবশ্যই কমেন্ট করব।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহা , আপনার কমেন্টে মজা পেলাম ।
:)
ওকে মশিকুর ভাই , অপেক্ষায় রইলাম ।
ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা রইল ।

৪৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

মশিকুর বলেছেন:
পোস্ট না পড়ে কমেন্ট করলে যাহয় আরকি.... আপনার গল্পটি সুন্দর না, এটি হবে অসাধারণ। কি কারনে অসাধারণ বলি...

প্রথমত, গল্প হয় টিয়া পাখি নিয়া, বাবুই পাখি নিয়া, ময়না পাখি নিয়া। কাউয়া নিয়া যে গল্পও হতে পারে তা জীবনেও ভাবি নাই। চমৎকার উপস্থাপনায় বুঝা যায়, আপনার কল্পনা শক্তি মারাত্নক।

দ্বিতীয়ত, গ্রাম ফুটিয়ে তোলার যে ব্যাপারটা। পুরা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা মনে করিয়ে দিলেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত না পড়লে, আপনার জন্য তো পড়া ফরজ। খেয়াল করে দেখবেন, বাংলা সাহিত্য থেকে গ্রাম যেন হারিয়ে যাচ্ছে। নাটক গুলতে সব রসালো শহুরে গল্প অথবা গ্রাম্য কমেডি শো, প্রতিটা ক্যারেক্টারই যেন গোপালভাঁড়। এরকম লেখাই কেবল পারে এ থেকে মুক্তি দিতে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কাক নিয়ে মাহবুব আলি তালুকদার ভাইয়ের গল্প আছে একটা ।
মানিক , ইলিয়াস দুজনেই আমার প্রিয় সাহিত্যিক । মানিক সম্পূর্ণ
পড়া হয় নাই অবশ্য , ইচ্ছে আছে ।

হা গ্রাম হারিয়ে যাচ্ছে , নাটকের ব্যাপারে সহমত ।
অসব নাটক দেখা তাই ছেড়ে দিয়েছি ।
আপনার মন্তব্য আন্দোলিত করল আমাকে । আমার ব্লগে প্রথম আসায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি ।
ভাল থাকুন মশিউর ভাই । আপনার আন্তরিক মন্তব্য আমাকে স্পর্শ করেছে । ।

৪৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
রাতে কিছুদূর পড়ার পর ঘুম ঘুম লাগার কারনে শেষ করিনি। এখন গল্পটা শেষ করলাম।

আপনাকে একটা স্যালুট জানাই মাহমুদ ভাই। সামুতে আমার পড়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটা গল্প হয়ে থাকবে এই গল্পটি। একটা গল্পের মাঝে কত কিছু তুলে আনছেন!

কিছু কিছু যায়গা পড়ে হেসে উঠেছ....
কাকের বাসায় ঢুকে তাই সর্দার কাকাঙ্কার দিয়ে উঠল - তোরা কারা ?
আসলেই ত ! আমরা কারা !! - কাক মনে মনে বলে উঠে ।
-আমরা কাউয়া ! - সর্দারকে বলে কাঁক ।
- হালার ভাই ! মদস্টিক কুনানকার !! আমরা হগলেই ত কাউয়া ! আমরা মানুষ নি ! কোত থিকা আইছস তুই ?


কিছু কিছু যায়গা পড়ে খারাপ লেগেছে...
এই প্রথমবারের মত কাঁককে নড়তে দেখা গেল না , এগিয়ে আসা পাথরটার দিকে সোজা তাকিয়ে রইল । টুকরাটা মাথায় আঘাত করল , কার্নিশে বিছিয়ে রাখা পায়ের আঙ্গুলগুলো আলগা হয়ে গেল ,প্রচণ্ড গতিতে শরীরটা উলটে গিয়ে ঠোঁট - মাথা আকাশের দিকে ঘুরে গেল , তারপর নিচে পড়ে যেতে লাগল ।

আমার বাড়ির জানালার কার্নিশে বেশ কয়েকটা কাক এসে বসে মাঝে মাঝে। আম্মা তাড়িয়ে দেয়, আবার চলে আসে এরা। কখনো এদের নিয়ে ভাবার সময় হয়নি। এখন মনে হচ্ছে এই কাক কটার জীবনেও হয়ত কত গল্পের উপাদান রয়েছে। কাকের জীবনটাও কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের জীবনের প্রতিবিম্ব হয়ে ধরা দিতে পারে তাই শিখলাম এই গল্প থেকে।

গল্পটার ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে দু চার কথা বলবেন আশা রাখি।
ভাল থাকুন ভাই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে তেমন কোন কাহিনী নাই নাজিম ভাই ।
গল্পটা পর্যবেক্ষণ আর কল্পনার মিশেল ।
স্পেসিফিক কিছু জানতে চাইলে চ্যাট ত রইলই :)
আমি জানি , এখন আপনার মানসিক অবস্থা তেমন ভাল নয় ,
তারপরও গল্প পাঠে সময় দান এবং বিস্তৃত মন্তব্য করার জন্য
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা থাকল ।
ভাল থাকুন নাজিম ভাই ।
শুভকামনা রইল অনেক । :)

৪৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫

আরজু পনি বলেছেন:

আমি জানতাম বিশেষ কিছু পাব এই লেখা থেকে...তাই কোন চাপ নিয়ে, অনেক লেখার ভীড়ে পড়তে চাইনি ।

আমি এখন আর কোন লেখা পড়বো না...শুধু কষ্টটা অনুভব করবো
অনেক কষ্ট লাগছে :(

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সময় করে নিয়ে পড়েছেন বলে ভাল লাগছে আপু ।
মন থেকে অনেক কৃতজ্ঞতা রইল ।

দোয়া রাখবেন যাতে সবসময় ভাল লিখে যেতে পারি ।
সবসময় উৎসাহ - অনুপ্রেরণা দেন বলেই কিছু লিখার সাহস করি ।
ভবিষ্যতেও এমন টি পেয়ে যাব এই আশাই রইল ।
ভাল থাকবেন আপু ।
শুভকামনা রইল অনেক , অনেক । :)




৪৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

আরজু পনি বলেছেন:

আরো অনেককেই পড়াতে চাই এমন অসাধারণ লেখাটা ।

শেয়ার নিলাম ।।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা থাকল আপু ।
উপরের মন্তব্যের জবাব একটু পরে দিচ্ছি । এই মুহূর্তে মাথা তেমন কাজ করছে না ।

৫০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

সায়েম মুন বলেছেন: গল্পের প্লটটা দুর্দান্ত। সম্ভবত আপনার লেখা অন্যতম সেরা গল্প। কাকের ডায়ালগগুলো চমৎকার। প্রথম দিকে এনজয় করেছি গল্পটা। শেষের দিকে করুণ সুর বাজলো মনে। মাঝে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ের পরিবেশ বির্পয়ের কথা। সব মিলিয়ে খুব ভাললাগা রইলো গল্পে। গল্পটা আমার প্রিয়তে রেখে দিলাম।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রিয়তে নিবার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল প্রিয় সায়েম ভাই ।
সব মিলিয়ে আমি নিজেও এ গল্পটাকে আমার অন্যতম প্রিয় হিসেবে
বিবেচনা করব ।

পরিবেশ বির্পযয়ের সাথে পুঁজিপতিরা যে গ্রামের খোলনলচে পালটে দিচ্ছে
এটা দেখানো আমার উদ্দেশ্য ছিল ।

আমার ব্লগে আপনাকে দেখলে খুব ভাল লাগে সায়েম ভাই ।
সেই সাথে কাকতাড়ুয়া গল্পটার কথাও মনে পড়ে । এই গল্পটা
এখনো পর্যন্ত আমার ব্লগে পড়া সেরা গল্প ।

ভাল থাকুন প্রিয় সায়েম ভাই ।
শুভকামনা রইল অনেক ।

৫১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

সানড্যান্স বলেছেন: সুন্দর গল্প হইছে, প্লাস!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সানড্যান্স :)
ভাল থাকুন ।
শুভকামনা রইল অনেক ।

৫২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সাদরিল বলেছেন: তখন জেলেরা হারিয়ে গেল , কামার - কুমোর পালিয়ে গেল । একদিন নদীর পানিতে কাঁকটি তার ছায়া দেখতে পেল না । পানি যে কাঁকের চেয়েও কাল।এই লাইন১টি সব১চে ভালো লেগেছে।আপনার ব্লগে এই প্রথম আসলাম, অনুসরণে রাখলাম, আশা করি আবার আসবো

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সাদরিল ।
ভাল থাকুন অনেক :)

৫৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৩

হাসির মানুষ বলেছেন: বাংলা সিনেমার একটা গান আছে-

আমি পাথরে ফুল ফোটাবো, শুধু ভালবাসা দিয়ে....।

বাস্তবিক অর্থে স্বর্গের খোদা ছাড়া কেউ পাথরে ফুল ফোটাতে পারবেনা

তবে খোদার পরে পাথর থেকে জল বের করতে যদি কোন মর্ত্যের কেউ পারে সেটি আপনার কলম। লিখে যান। আপনার গল্প পড়ে চোখ দিয়ে যেমন পানি পড়েছে, যদি এই কলম থেমে যায় তবে তা আরও বাড়বে। কংগ্রাচুলেশন্স মাহমুদ ভাই.......

একটা ছায়া দেখতে পাচ্ছি। দারুন ছায়া.............।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: লজ্জা পেলাম ।
দোয়া রাখবেন যাতে ভাল লিখে যেতে পারি ।
ভাল থাকবেন ।/
শুভকামনা রইল অনেক ।

৫৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: দুর্দান্ত গল্প । ভাবনার উপাদান আছে ।

কষে প্লাস ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার আগমনে অনেক ভাললাগা থাকল ভাই :)
ভাল থাকবেন ভাই ।
প্লাসের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল ।

৫৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

ছন্নছাড়া ছেলেটি বলেছেন: অসাধারন ভালোলাগা ছুঁয়ে গেলো ...। অনেক ভালো লেখার হাত আছে আপনার । সফলতার প্রত্যাশা রইলো ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , দোয়া রাখবেন ।
আপনাদের উতসাহই আমাকে ভাল লিখতে অনুপ্রেরণা দেয় ।
ভাল থাকুন ভাই , অনেক অনেক ।

৫৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা পড়ে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম।

একরকম হাস্যরসের উপাদানে ভরপুর ছিল গল্পের শুরু থেকে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পর্যন্ত। এরপর খোকনের মায়ের সাথে কাকের যে একটা প্ল্যাটনিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যখন খোকনের মা হাত বাড়িয়ে কাকটাকে কাছে ডেকে নেয়। আমি চোখের পানি সংবরণ করতে পারি নি। খোকনের হারিয়ে যাওয়া, তারপর বাবলুর হাতে নিষ্ঠুরভাবে কাকটির মরে যাওয়া এক বিষাদঘন আবহ তৈরি করে। বেদনায় বুক ভেঙে আসে।

আপনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তার ৯৯% ভাগই আমাদের দোহারের মানুষের ভাষা। আপনার লেখায় এক ধরনের জাদু আছে যা প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। আপনি একজন ন্যাচারাল রাইটার, কোথাও বাহুল্য নেই, কিন্তু প্রচণ্ড শক্তিশালী ও প্রাঞ্জল বর্ণনা।

তংবং-এর ইলেক্ট্রিক শকে মরে যাওয়া এবং অংবং-এর সাথে নিজ স্ত্রীর প্রেম গড়ে ওঠা খুব জীবন্ত ছিল। কাকের স্থলে গ্রামের জনৈকা দরিদ্র কিন্তু সুন্দরী গৃহবধূর সাথে লোভাতুর মোড়লের অবৈধ সম্পর্কের চলচ্ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠছিল।

আমি মুগ্ধ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বিস্তৃত কমেন্টে অনেক ভাল লাগা থাকল সোনাবিজ ভাই ।
প্রথম বারের মত আমার ব্লগে আপনার আগমনে স্বাগত জানাচ্ছি ।
গল্প লিখায় আপনার মত একজন গুণী ব্লগার পাশে পেলে অনেক উপকার হয় , নিজের ভুল - ক্রুটি শুধরে নেবার সুযোগ তৈরি হয় ।
আপনার ভাল লাগায় আমারও ভালা লাগা অনেক বেড়ে গেল ।
চেষ্টা থাকবে ভাল লিখার ।

ভাল থাকবেন ভাই ।
শুভকামনা রইল নিরন্তর ।:)

৫৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০১

মুজাহিদুল ইসলাম বলেছেন: জিনিয়াস............।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মুজাহিদ ভাই :)
ভাল থাকুন ।
শুভকামনা রইল/

৫৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: দারুণ। অসাধারণ :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ।
ভাল থাকুন অনেক অনেক । :)
শুভকামনা রইল ।

৫৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: জীবনে পড়া সেরা গল্পগুলোর একটি আজ এই মুহূর্তে পড়লাম । সামান্য কাঁককে নিয়েও যে কেউ এমন অদ্ভুতভাবে কিছু লিখতে পারে তাও বাস্তবিক কিছু নিয়ে তা এতোদিন আমার ধারণারও বাইরে ছিলো ।

গল্পকাররা আসলেই একটু বেশী জোস ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গল্পকাররা আসলেই একটু বেশী জোস । হাহাহ , ভাই , ভাল লাগল ।

আপনার মন্তব্যে আপ্লুত্ হলাম ভাই ।

ভাল থাকুন ভাই :)
শুভকামনা ।

৬০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
ভালোলাগার শান্ত জলাধারে
নেমে এলো ব্যপক প্লাবন...

এক কথায়: দুর্দান্ত..দারূন..

প্রিয়তে তুলে রাখলাম...

ভালো থাকুন..।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভালোলাগার শান্ত জলাধারে
নেমে এলো ব্যপক প্লাবন..


দারুণ ত ভাল লাগল কথা মালা ।


প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা । ভাল থাকুন আপনিও ।

শুভকামনা নিরন্তর । :)..

৬১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:

অসাধারন!!

রেস্পেক্ট।। প্লাস + ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রথমবারের মত আমার ব্লগে আপনার আগমনে অনেক ভাল লাগা থাকল ।
ভাল থাকুন আপনি ।
শুভকামনা রইল । :)

৬২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৫

আমি সাজিদ বলেছেন: একি লিখলেন মাহমুদ ভাই ?

এমন দুর্দান্ত গল্প অনেকদিন পড়ি না সামুতে।

বিশাল বিশাল ভালোলাগা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ ভাই ।
দোয়া রাখবেন আমার জন্য । :)

৬৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৯

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি চিটাগঙের লোক ! আমিও ! আপনার হবেই গল্পটাতে প্রথম ডায়লগগুলো দেখে আন্দাজ করলাম।

শুভকামনা রইলো, লিখতে থাকুন এভাবে। প্রত্যেকটা গল্পেই নিজেকে ছাড়িয়ে।

শুভ নববর্ষ, লেখক।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জানতে পাইরা আমারো খুশি লাগতাছে ভাই । :)

আইতাছি অহন আপ্নারে অনুসরনে নিতে । :)

ভাল থাকুন ভাই , শুভকামনা রইল ।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।

৬৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১০

একজন সৈকত বলেছেন:
এটি আমার পড়া আপনার তৃতীয় গল্প, আগের দু'টি ছিল দায় ও হবেই । প্রতিটি গল্পেই আমার মনে হয়েছে আপনি আগেরটিকে ছাড়িয়ে গেছেন। তবে আমার ভয় হচ্ছে আপনার ব্লগে প্রকাশিতকিংবা অপ্রকাশিত অথবা সামনে যে গল্পগুলি লিখবেন, সেই অন্য না পড়া গল্পগুলির জন্য এই গল্পটিকে ছাড়িয়ে যাওয়া দুষ্কর হবে। সুররিয়েল হিউমারময় এমন জীবন ধর্মী এবং একই সাথে প্রাঞ্জল ও হৃদয়গ্রাহী গল্প পুনর্বার কিংবা একবার লেখার সৌভাগ্যই খুব কম লেখকের হয়। আমার সীমিত পড়াশোনার মধ্যে এমন গল্প ২য়টি কোন ব্লগে আর পড়ি নি। কাফকার "রূপান্তর" বা হুমায়ূন আহমেদের কিছু লেখা (বিপদ, পোকা ইত্যাদি) ছাড়া যাদুবাস্তবের উপর তেমন লেখা পরার সৌভাগ্যও হয় নি। আপনার বদৌলতে এমন একটি লেখা পড়তে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। অনেক সাধুবাদ নিন, অনেক আরো লিখুন ও অনেক ভালো থাকুন।!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এ গল্পটি আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব প্রিয় । নিজেকে ভালভাবে
মেলে ধরতে পেরেছি , সন্তুষ্টি আছে । বড় ফ্রেমে কাজ করতে ভাল লাগে
আমার ।

অনেকেই এটাকে আমার সেরা লিখা বলেছে ।

হুমায়ুন আজাদের একটা আছে '' যাদুকরের মৃত্যু "" । পড়তে পারেন ।

আপনি ঠিকই বলেছেন , স্পেশাল কিছু গণায় গনায় বের হয় না ।

বিশয়টা নিয়ে আমিও ভাবছি ।

জীবন ত অনেক রকম , তার ধরন ও নানামুখি । নানান ধরনে তাই লিখতে হয় । একভাবে লিখা তাই ঠিক না ।

খুব চেস্টা করব একে অতিক্রম করবার ।
নেক্সট গল্পের পরের গল্পে গাছ বিষয়ক একটা গল্প দিব , দেখি অইটা
এটাকে ছেড়ে যেতে পারে কিনা ।


আপনার ভাল লাগা আমাকেও ছুয়ে গেল । ভাল থকুন আপনি ভাই , অনেক অনেক ।

শুভকামনা রইল । :)





৬৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২২

অনিকেত রহমান বলেছেন: মাহমুদ ভাই আপনার ফাঁদ ও ম্যাজিক এই দুটি গল্প এই মাত্র পড়লাম।। দুর্দান্ত অসাধারণ লেখা।। অনেক ভালো লাগা রইল।।


বাকি গল্পগুলোও সমায় করে পড়ে নিব।।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অকে ভাই । পড়ে জানাবেন কেমন লাগল ।

ভাল থাকুন অনিকেত ভাই ।
শুভকামনা রইল । :)

৬৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৫০

মুক্ত তরণী বলেছেন: একটি কথাই শুধু বলবো, "অসাধারণ"।

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । ভাল থাকুন আপনি ।
শুভকামনা রইল ।

৬৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:

সবাই নানাদিক নিয়ে বিশ্লেষণ আলোচনা করেছেন ৷ কোথাও কি প্রকাশিত হয়েছে ? এ লেখাটি পরে কি এডিট করা হয়েছে ?


একটি দিক দেখলাম লিঙ্গের প্রকাশে কাক ও কাঁকের শব্দের ব্যবহার যা ব্যতিক্রমী ও স্বাতন্ত্র্যের দাবিদার সাথে কিছু নতুন শব্দও পেলাম ৷

দৃষ্টিভঙ্গির জন্যও ভাল লাগল ৷

১৫ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কয়েক জায়গায় প্রকাশিত হয়েছে । একটানে লিখে পোস্ট দিয়েছিলাম , ফলে কিছু জায়গায় মারাত্মক ভুল ছিল , পরে
সংশোধন করেছি ।

ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর ভাই । বরাবরের মতই আপনাকে দেখে ভাল লাগছে ।
ভাল থাকবেন ।


৬৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ঘুমাতে ঘুমাতে পড়ব। বালিস রেখে গেলাম। :P :P

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহা , আচ্ছা প্রিয় মুদ্‌দাকির ভাই ।
পড়ার পর আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া পেলে ভাল লাগবে ।
ভাল থাকবেন ভাই ।

৬৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫০

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: দীর্ঘ বিরতিতে সম্ভবত এই গল্পের শেষ পাঠক...
শেষ হবার জন্য আফসোস যতটুকু না হচ্ছে তারচেয়ে ভালোলাগছে এই ভেবে যে চমৎকার আরো একটা কন্টেন্ট পেয়ে গেলাম...

গল্প পুরোটা পড়িনি বটে, তবে প্রতিটা কমেন্ট পড়লাম, অসাধারণ ই মনে হচ্ছে সবার অভিমত অনুসারে ...

আপাতত আর সময় নেই হাতে, তাই শোকেসে রেখে দিচ্ছি সাময়িকভাবে...

পড়া শেষ হলে ভালোলাগাও রেখে যাবো...

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় নাসিফ ভাই ।
পড়া শেষে আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া জানতে পারলে ভাল লাগবে ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

৭০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: খুবই সুন্দর। আমি অবশ্য একবার তংবং আর বংতং কে গুলিয়ে ফেলেছিলাম =p~ =p~

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মিয়া কোরলেন কি !!! X((
উনি বংতং না উনি মিস্টার বংচং ;) নাম ভুল করায়
উনি মাইন্ড খাইয়া ভারত চইল্লা গেছেন :P :P

হাহাহ , ভুল হয়ারই কথা । নাম ত কাছাকাছি ই ।

পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় মুদ্দাকির ভাই ।
ভাল থাকবেন ।

৭১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০২

আবু শাকিল বলেছেন: গল্প টা মিছড করেছিলাম :) :)

খুব মজার ছিল।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহ , প্রিয় শাকিল ভাই , এখন ত রিসিভ করলেন ।
:P

ভাল থাকবেন ভাই ।

৭২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: প্রবাসী পাঠক ভাই ফেবুতে শেয়ার দিল লিংকটি। সে সূত্র ধরেই আসা। অনেক মনোযোগ দিয়েই পড়লাম এবং স্থির ভাবেই পড়লাম কারন আপনার গল্পটিই এমন--।

কাকদের জীবনের ভিতর দিয়েও আপনি কতগুলো ম্যাসেজ রেখে গেলেন যা আমাদের জীবনে বেশ গুরুত্ববহন করে।

আমি মুগ্ধ---না পড়লে বেশ ভুল করতাম। তৃপ্তি নিয়ে গেলাম। শুভ রাত্রি

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন:
মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এটা জেনে আমারো ভাল লাগছে।
মনোযোগী পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।


প্রবাসী ভাইয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞ রইলাম ।

গল্পটি আপনার ভাল লাগায় - আমিও আনন্দিত। অনুপ্রাণিত হলাম ।

ভাল থাকবেন , নিরন্তর শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

৭৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: আপনার গল্পটি অফলাইনে পড়েছিলাম । অসাধারন ভালো লেগেছে । কাক জীবন দিয়ে মানব জীবনের দৃশ্যপট খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । একটি অনবদ্ধ সুন্দর গল্পের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগা জানানোর জন্য আপ্নাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কলমের কালি ভাই ।
আন্তরিক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।
ভাল থাকবেন ভাই ।

৭৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ক্ল্যাপস, ক্ল্যাপস, ক্ল্যাপস, থ্রী ক্ল্যাপস! অসাধারণ গল্প। প্লাস এবং সরাসরি 'প্রিয়'তে।
গল্পের শিরোনাম "ফাঁদ"। কেন? এটা কি 'ভালোবাসার ফাঁদ পাতা আছে ভুবনে ভুবনে' - ধরণের কিছু বার্তা দেয়?
রাস্তার কাউয়ার লেইগা সিটি কর্পোরেশন আর মাইনসের লেইগা আনজুমানে মফিদুল! -- চমৎকার বলেছেন এ কথাটা।
সুন্দরী বউ মানেই বিপদ ! তখন হয়ত এক রাক্ষসের বদলে দশ খোক্ষস জুটতে পারে -- বড় বাস্তব একটা পর্যবেক্ষণ!
এই উৎসর্গপাঠ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য নয় , আমার দেখা অন্তরজালের এক উদার ও অনেক ভালো একজন মানুষকে খুব ভালবেসে (১ নং মন্তব্য) -- কাল্পনিক ভালোবাসা সম্পর্কে আমারও এরকমই মনে হয়েছে।
আর আমার বানানে দুর্বলতা আছে (২০ নং উঃ) -- যেহেতু ভুল বানান সংশোধনের এখনো উপায় আছে, সেহেতু এগুলো একটু ঠিক করে নলে এই অসাধারণ লেখাটার ঔজ্জ্বল্য ম্লান হয়নাঃ
আকিবুকি<আঁকিবুকি, এরি<এরই, কচলাত<কচলাতো, নদীর পাঁড়ে< নদীর পাড়ে, ভিড় - বাট্টা<ভিড় - ভাট্টা, ছুড়ে<ছুঁড়ে, কচি ভিতর খাবার ভরে দেয়<কচি ঠোঁটের ভেতর ভিতর খাবার ভরে দেয়, গাইয়া ত<গাঁইয়া তো, ভাইজ্ঞা<ভাইগ্যা, ইত্যাদি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ক্ল্যাপস, ক্ল্যাপস, ক্ল্যাপস, থ্রী ক্ল্যাপস! :)
খুবই আনন্দ পেয়েছি :)
''ফাঁদ '' দেয়ার অর্থ কাক কোঁথাও স্পেস পায়নি,সব জায়গায়তে জালে বা ফাঁদে আটকে গেছে।
আপনার মন্তব্যের পর বেশ কিছু কাজ করেছি।
লেখাটার প্যারা এলেমেলো ছিল,সময় নিয়ে শেপে এনেছি। কিছু রিরাইট , বানান ঠিক করলাম বেশ কিছু , তাও দু একটা রয়ে গেছে ।
যতটুকু করেছি তা করতে ৩ দিনে মোট ৫ ঘন্টার মত ব্যয় হয়েছে ।
কখনো আমার নেটে প্রব্লেম , কখনো সামুর সার্ভারে । বেশ ভুগেছি বলা চলে :)
তবে এখন প্যারাগুলো শেপে আছে দেখে ভাল লাগছে ।
আপনার ভাল লাগায় আমিও অনেক আনন্দিত হলাম ।
প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা রইল ।
ভাল থাকুন ।
জুমাবারের শুভেচ্ছা ।

৭৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এবার ফিরে এলাম। আপনার এ অসাধারণ গল্পটা এখন থেকে কাকের প্রতি আমার সহানুভূতি অনেকটা বাড়িয়ে দিলো, যদিও এখানে কাক কেবলই একটা প্রতীক। কাক যাদের প্রতিনিধি, তাদের প্রতিও আমার সহানুভূতি বরাবরই আছে।
প্রান্তিক গণমানুষের প্রতি আপনার দরদ ও মমতা আপনার আরো কয়েকটা লেখায় আগেও পেয়েছি, যা আমাকে স্পর্শ করে যায়।
এই গল্পটা আপনাকে চিরদিন গর্বিত ও অনুপ্রাণিত করে চলবে বলে আমার বিশ্বাস।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন:
একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসেবে আপনাকে এসব ব্যাপার স্পর্শ করে ।
সমাজ নিয়ে লিখতে গেলে, ভাবতে গেলে,এসব চলে আসছে।লেখায় হয়ত তার প্রতিফলন।
সবসময় দেখেছি কাককে ধুর ধুর করতে । এসব ভাল লাগেনি। তাই কাক বেছে নিয়েছি।
যদি সবাই তুলু তুলু করত তাহলে প্রতীক হিসেবে কাককে আনতাম না ।
লেখার প্রতি আপনার মনোযোগ খুব ভাল লেগেছে। । কেউ কেউ রুপক ভেবেছেন,এখানে কাককে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেছি । আপনি ঠিকই ধরেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে নিজের লেখা এ গল্পটা আমার পছন্দের । আপনার শেষ বাক্যে র সাথে একমত ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।এবং আরো বেশী কিছু ।
ভাল থাকবেন :)
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ।




আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.