নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

@ @

মাহমুদ০০৭

@ @

মাহমুদ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প - হবেই ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

উৎসর্গ - প্রিয় ব্লগার মহামহোপাধ্যায় ।

আবিরের সমস্যা গুলো নিম্মরুপ -

১ ) আবিরের ক্লাস নাইন পড়ূয়া বোনকে ইউসুইপ্যা খুব জালাচ্ছে ।

২ ) তোর চ ও রি ন কে অয়(তোর চাকরি হয় না কেন )? রতইন্যা পাইয়ি , জামাইল্যা পাইয়ি ....
রাতে ভাত খাওয়ার সময় মার চাকরি বিষয়ক ঘ্যান ঘ্যান । এ সময়
মার সাথে আবিরের কুলুক - কুলুক খেলতে ইচ্ছে হয় ।

৩ ) টাকা নাই , প্রেমিকা নাই , বন্ধু নাই এবং নাই , ইত্যাদি ইত্যাদি ।

সমস্যারা মাথায় চাগিয়ে উঠলেই আবির মনে মনে বলে '' এবার হবেই ''! রবির এই স্লোগানটা তার বেশ লাগে। কর্পোরেট কোম্পানিগুলো সবসময় জীবন খুড়ে খুড়ে চিরসত্য বের করে আনছে। আবিরের চমৎকার লাগে ব্যাপারটা।তাছাড়া ছোটবেলা হতে ওই শব্দটার সাথে তার একটা সখ্যতা আছে। ভাল লাগার সেটাও একটা কারণ ।

- আব্বু আরে ফুটবল কিনি দ ও না ?
- ফুটবল খেলিবিদে তুই ? তোর ডইক্কা ( মত ) পোয়া !! হাসতে হাসতে আবিরের বাবার চোখে পানি চলে আসত ।

হা , ছোটবেলায় আবির খুব হ্যাংলা ছিল , বেতের মত চিকন হাত - পা।বেড়াতে আসা আত্মীয়স্বজন রা আবিরের মাকে বলত -
'' কি আবির র মা ! পোয়ারে ন খাও য়াও ! ইল্ল্যা ম্যারা ( চিকন ) কেনে অয় , অবুক ! ( পোলারে খাওয়ান না ! এমন চিকন ক্যামনে হয় ! ) আবিরের মা বলত - ইতারে পোছার ল ও না , ন কে খায় ! ( অরে জিগান , খায় না ক্যান ) ঘরত খানার অভাব আছে না !

আসলে আবিরের খেতে ইচ্ছে করত না । ফলে শক্তিও ছিল না তেমন,চিকন বলে স্কুলে তার নাম ফেটেছিল ম্যারাডোনা , কেউ কেউ বলত -ম্যারাইয়া !! এসব নিয়ে আবিরের কোন চিন্তা ছিল না ,তবে কারো সাথে ঝগড়া বাধলে খারাপ লাগত , মারবে কি উল্টো যে কারো হাতের হালকা ধাক্কায় - মক্কায় উড়ে যাওয়ার উপক্রম হত। মার বেশি পড়লে আবিরের শোয়ারজনেগার হতে ইচ্ছে হত।উফ! লোকটার কি বডি কি ফডি ! '' বেশি খাব , জিম করব , শোয়ারজনেগার হব , তারপর একেকটা কে ...। ''- আবির প্রায়ই একেকজনকে সাইজ করার দৃশ্য কল্পনায় দেখতে পেত , দেখে হাসত , ভাবত একদিন এমন হবেই , তারপর ব্যাপারটা ভুলে যেত ।

দুর্ভাগ্য , আবিরকে হ্যাংলাদশায় রেখে বাবা গেল মরে , সে তখন ক্লাস সিক্সে । শুরু হল সংসারে টানাটানি , একটা স্কুলে চাকরি নিল মা,ভাল খাবে কি তখন খাবার জুটতেই হিমশিম ! '' ও মাই গড ! তোদের এ সিচুয়েশন ! - পাড়ার ছেলে ও স্কুলের ফার্স্ট বয় ছিল রতন , ওদের অবস্থা দেখে প্রায়ই ইংরেজি ঝাড়ত।এই রতন কে ভালবাসত সিদ্দিক স্যার , প্রি - টেস্টের খাতায় উনার ভালবাসার নমুনা
দেখে অবাক হয়েছিল সে । একটা দশ নাম্বার এর প্রশ্নের উত্তরে খুব খেটে রেফারেন্স সহ ৯ পয়েন্ট লিখে আবির পেয়েছিল ৬ আর রতন ৬ পয়েন্ট লিখে পেয়েছিল ৯ ! আবির সেটা নিয়াও মাথা ঘামায়নি্‌ কারণ আবির জানত বোর্ডে এর ফায়সালা হবেই ! কোন বাপ - ভাই আছে ওখানে যে রতন কে নাম্বার দেবে ! বিধিবাম , এস এস সি পরিক্ষাতেও রতন বেশি জিপিএ পেল , আবার চাকরিও পায় আগে , শালায় বহু ধাপ এগিয়ে !

হাতের ঘড়ি দ্যাখে আবির , সময় যেন কাটে না, এত মানুষ তবু একা একা লাগে! আবির এখন একটা কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে।এ কয় মাসে প্রায় শখানেক চাকরির ইন্টারভিউ দেয়া হয়ে গেছে।পাওয়ার নাম নাই,সমানে টাকার শ্রাদ্ধ। এটুকু হলেও ভাল ছিল,কাটা গায়ে নুনের ছিটা পড়ার জন্য বোধ হয় মাঝে মাঝে রতনের দেখা মেলে। শালার শকুনি আই ঠিক ঠিক মার্ক করে ফেলে। ''হেই ম্যান ! হেই আবির !! কিরে এখনো বুঝি ঘুরছিস ? তুই গাধাই রয়ে গেলি রে ! চাকরি পেতে হলে হ্যান্ড সাম লুক থাকতে হয়, চটপট হতে হয় ইয়ার ! ওহ জানিস ! ২-৩ মাস পর স্যালারি আরো ৫ হাজার বাড়বে - পাক্কা ৫০ হাজার ! চেঞ্জ কর নিজেকে , বুঝলি! আন্টির কথা ভাবলে খারাপই লাগে রে !

কিছু একটা কর !

নাউট্টা কডিয়ার ! তোর ডইক্কা ( মত ) চ্যানল পাইলে আই ও ( আমিও ) ...... আবির ঠিক করেছে খালি চাকরিটা পাওয়া টা বাকি ,একদিন ঘ্যাচ করে শালা রতনের পেটে সিধা ছুরি চালিয়ে দেবে ,বেরিয়ে পড়বে নাড়িভুড়ি ..... হাহাহা , শালা নাড়িভুড়ি নিয়ে এইবার সাকসেসফুল চাকরি কর!এ জন্য একটা ছুরি কেনা হয়েছে,সেটা আবিরের বিছানার তোষকের নিচে রাখা।

ইন্টারভিউ বোর্ডে একসময় আবিরের ডাক পড়ে। রুমে ঢুকতে ঢুকতে আবিরের মনে পড়ল আজ ত সেভ করা হয়নি ! মুখে ব্রন ও আছে ! ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্য ৪ জন । সালামের উত্তরে আবিরকে বসতে বলা হল। তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে আবির দেখতে পেল ৪ জনের মধ্যে ৩ জনেরই চোখের ভাষা '' ন অইব ফাল্লার ! ''( ফাল্লার = মনে হয় )। ইন্টারভিউ দিতে দিতে আবির এখন এই সব লোকদের চোখের ভাষার হাফেজ হয়ে গেছে। যে কারণেই হোক আবির বিসমিল্লাতেই ডিলিট। এখন খালি ফর্মালিটি। শালার ৫০০ টাকা লস! -মনে মনে আবির ভাবে। বাকি ১ জন লোক কেবল তার দিকে সহানুভূতিশীল দয়ালু চোখে তাকিয়ে আছে । মনে মনে আবির তার নাম দিল '' দয়াল বাবা ফাল্লার ''! প্রথম প্রশ্ন টা তার তরফ হতে এল -
তোমার শার্টের কলার উল্টানো কেন ?
ধুশ শালা ! এই কারণেই ত চাকরি টা গেল ! মনে মনে নিজেকে একচোট গাল দিল আবির । একটূ নার্ভাস ও হলো। কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ড যেহেতু মুখে ত তার ছাপ পড়তে দেয়া যাবে না !

- ইটস মাই স্টাইল স্যার ! শার্টের দিকে না তাকিয়ে লোকটার চোখে চোখ রেখে বলল আবির । ডেলিভারিটার স্মার্টনেসে সে নিজেই ভেতরে ভেতরে চমকে গেল ।

- ফাইন ! '' ন অইব ফাল্লার ! '' পক্ষের একজন মুগ্ধতায় শব্দটা ছেড়ে দেয়।
বাকিরাও তার দিকে তাকিয়ে চোখে চোখে সায় দেয় । নড়েচড়ে বসে আবির ও কেননা তাদের চোখের ভাষা এখন - '' অইব ফাল্লার ! ''
মুগ্ধওয়ালা এবার প্রশ্ন করে - নিউটনের বাবার নাম কি ?

নিউটনের কথা বলতেই আবিরের ম্যাট্রিক আর ইন্টার এর ফিজিক্স বই এর কথা মনে পড়ে ...শাহজাহান তপন ....... ইসহাক নুরুন্নবি.......... জামাল স্যার বাবুল স্যার এর নোট ....গতিসুত্র .. সরল দোলক .......... আপেক্ষিকতত্ত্ব ... ইন্টারে ফিজিক্স পরিক্ষার আগের দিন মার হার্ট এটাক ... পরিক্ষা খারাপ হওয়া ........... জিপিএ কম .. আবিরের মনমেঘের জমা রাগ নিউটনের উপর বজ্র ফেলে। ' ছোদানির পোয়া নিউটন আরে বহুত জালাইয়ুস' - কষে গাল দিতে পেরে আবিরের এতদিনের উত্তেজিত স্নায়ু তৃপ্তিজনিত ক্লান্তিতে হঠাৎ শিথিল হয়ে পড়ে ।

চাকরিটা নিউটনের আব্বুকে দিয়ে দিয়েন, স্যার ! - ৪ জোড়া চোখে বিস্ময় একে দিয়ে আবির রাস্তায় বেরোয়। ঘড়ি দেখে। বাজে কয়টা ?নাহ ! আজ টিউশনি বাদ ..এদিক - সেদিক ঘুরাঘুরি ।এভাবে সময় কাটায় । তারপর ঘরে ফিরে । রাত দশটা তখন ।ঘরে ঢুকতেই কেমন যেন গুমোট ভাবের আচ , হয়েছে কি কিছু ? আবির মার মুখের দিকে তাকায় । মুখটা এমন কেন ?কিছুক্ষন আগে কাঁদার স্পষ্ট ইঙ্গিত সেখানে।

- কি অইয়িদে ( কি হয়েছে ) মা ? মাকে জিজ্ঞেস করে আবির ।

মা নিশ্চুপ ।

কি অইয়িদে ? ন কই বা ?
- কি আর অইবুদে অউররের পোয়া ! যা ওইবার ইবা ওইয়িদে এরি !( যা হবার তা হয়েছে )

এ কথা বলে আবিরের মা একটু থামে , তারপর আবার বলতে শুরু করে
- তর বইনেরে ইউসুইপ্যা আজিয়া তুলি লই গিয়িল । ( তোর বোনকে ইউসুপ তুলে নিয়ে গিয়েছিল । ) খানিক্ষণ আগে আনি দিয়ি গেয়ি ( কিছুক্ষন আগে এনে দিয়ে গেছে ) । এবার আবিরের মা চোখের পানি সমেত বিলাপ শুরু করে ,তোর ডইক্কা পোয়া থাইকতে আর তুন আই জো চ অরি করি খঅন পড়ে ,এদ্দুর গহুর ( ছেলে ) অইওস ( হইছস ) আই জো ও উগগা ( একটা) চ অরি জোগাড় করিন ন পারস ! ( তোর মত ছেলে থাকতে আমাকে এখনো চাকরি করে খাওয়া লাগে ) খোদারে খোদা ! এন ডইক্কা পোয়া আর পেডত অইয়াইলা কিল্লাই ( আল্লাহ ! এমন ছেলে তুমি আমার পেটে ক্যামনে হওয়াইলা ) !! তুই আজিয়া চ অরি পাইলে এই অবস্থা ন অইত ( তুই চাকরি পাইলে এই অবস্থা হইত না )! বউত আগে এই পাড়া ছাড়ি যাইতাম গই ! ( অনেক আগে এই পাড়া ছেড়ে চলে যেতাম )
তার বিলাপ ক্রমশ উচ্চ ও জোরালো হতে শুরু করে , বিপদ দেখে আবির ঘরের জানালা সব বন্ধ করে দেয়।

- এইল্লা করি কান্দন পড়ে না ! ( এমন করে কাঁদা লাগে নাকি ! ) ! আবির মাকে ভৎসনা করে জিজ্ঞেস করে -ইতিনি কডে( সে কই ) ?
- ইতির রুমত ! আবিরের মা নাকের ফোস ফোঁস করতে করতে জবাব দেয় । আবির বোনের রুমে যায় , গিয়ে দেখে বালিশে গোজা একটা মুখ,চুলগুলো সব ছড়ানো ।আবিরের বোনের মাথায় হাত রাখতে ইচ্ছে হল,কিন্তু কি ভেবে আবার নিজের রুমে চলে এল ।

বিছানায় হাত - পা এলাতেই আবির পেটে প্রচন্ড খিদে অনুভব করে। পেটে আজ তেমন কিছু পড়ে নি ! শালার খিদা !! শুয়ে শুয়ে আবিরের তোষকের নিচে রাখা ছুরিটার কথা স্মরণ হয় , তারপর সেটা বের করে আনে। ছুরিটার ফলা দুদিকেই চকচকে। এবার চোখের মণি দুটো নিজের শরীরে স্থির হয়। সে আর আগের মত ম্যারা নেই, এ ক বছরে বেশ মেদ - মাংস জমেছে।ওজন এখন ৭৮ , উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ।এত বড় শরীর , তবু কেন কাজে আসে না ? ইউসুপ ও তার মত , সেইম। কিন্তু ছুরিটা যদি ইউসুপের পেটে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, তখন সে কি করবে ?

কন্ডে যাদ্দে এত রাইতত ( এত রাতে কই যাস ) ? - মার শঙ্কিত জিজ্ঞাসাকে আমলে না নিয়ে আবির হাটতে থাকে ।এ সময় রাস্তার মোড়ের টং দোকানে ইউসুপ আড্ডা দেয়। হ্যা , অন্যান্য দিনের মত আজ ও সে আড্ডা দিচ্ছে ,পা ছড়িয়ে বসে আছে বেঞ্চে , পাশে দাঁড়িয়ে তার ৪ -৫ জন চেলা।

আবিরকে দেখে ইউসুপ সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করল - বদ্দা গম ( ভাল ) আছন নি ? ( বড় ভাই ভাল আছেন ? )
- গম আছি ! আবির বলে । তার ডান প্যান্টের পকেটে ছুরি , ডান হাত ও ছুরির বাটে ধরে রাখা আঙ্গুলগুলো সর্প আক্রোশে কিলবিল করছে। আবির খুব হাল্কা চালে ইউসুপের মুখোমুখি দাঁড়ায় । তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চেলাগুলো ও নড়ে উঠে , আবিরের সামনে আসে , এক অব্যক্ত অসংযত ভাব তাদের হাতের পেশী উস্কে দিতে চায়। ইউসুপের চোখের নীরব ইঙ্গিতে তারা শান্ত এবং ইউসুপ - বেঞ্চের এলানো পা মাটিতে রাখে , শিকারী ব্যাধের - ঠিক এই দৃষ্টিতে দেখে এবং গালের মাংসকে ঠোঁটের ঠেলায় উপরে পাঠিয়ে বলে - বদ্দা ডাক দি ( পাশে ) বইয়ুন ( বসেন ) । অডে নুরুইইয়া ! বদ্দারে চা দে !

আবিরের সেল ফোন বেজে উঠে এমন সময় ।

- ওয়া মাস্টর সাব ! আই ফরিদর বাপ কইদ্দে ( বলতেছি ) !অনে কালিয়া আর অফিসত আইয়েরে টিয়া লই যাইয়ুন ( কাল অফিসে এসে টাকা নিয়ে যাইয়েন ) । ফরিদেরে অনের তুন আর ফরান ন পড়িব ! ( ফরিদকে আপনার আর পড়ানো লাগবে না )
' অয় ! আই ইত্তার আইত ( আমি এখনই আসতেছি) , টিয়া ইত্তার লাগিবুদে আর তুন ( আমার এখনি টাকা লাগবে ) 'বলে আবির লাইন টা কেটে দেয় । তারপর ইউসুপের দিকে তাকায় । দ্যাখে - সে তাকিয়ে , চেলারাও ।

' চা ন খাইয়ুম !! ইতার চা ফোয়াদ ( স্বাদ ) ন লাগে ' - বলে আবির রাস্তামুখো পা বাড়ায়।এই ফরিদ ঢিলাচোদাকে পাস করানোর জন্য আবির কি না করেছে! ফকিন্নির বাচ্চারা মাসের অর্ধেকে বেতন দেবে , আর এখন বলে কাল থেকে আসবেন না !ফরিদ্দারে ! আই আইত ! ( আমি আসতেছি ) তোরে ছুরি ডাইরেক্ট গল্লাই ন দিলে আর নাম আবির ন!

ফরিদ ! আই আইত ...... আই আইত ... হাঁটতে থাকে আবিরের পা দুটো , একসময় কর্ণফুলী ব্রিজের মাঝামাঝিতে থামে । মৃদুমন্দ সমীর গাইছে গান , প্রাণজুড়ানো কিন্তু শ্বাসরোধী , চেতনা লুপ্ত হতে চায়। মাথার উপর চাঁদ ; গোল , স্পষ্ট , ঐ দেখা যায় বুড়ি - দুইছে চাদের ওলান , টিপ টিপ করে পড়ছে দুধ - নদীতে , ব্রিজে , আবিরে।এখন সব চাঁদের মত সাদা। আবিরের রাগ হয় , হাতে নেয় ছুরি এবং ওলানে নিক্ষেপিত। কিন্তু ব্যর্থ - লজ্জায় ছুরিটা শুন্যে বুক লুকোয়।

নটির মত হাসে নদী - খিলখিল , অন্তঃস্রোতে উম্মোচিত তার সেয়ানা গতর । আবিরের আর সহ্য হয় না - 'তরে আজিয়া আই চাই লইয়ুম ' বলে নদীবক্ষে ঝাপ দেয়।

'তরে আজিয়া আই চাই লইয়ুম ' = তোকে আজকে দেখে নেব ।

মন্তব্য ১০৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১০৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দিন কয়েক আগের কথা । ফেবু চ্যাটে আমাকে মহামহোপাধ্যায় বলল
মনটা খুব ভালো ভাই ।
আমি বললাম কেন ?
ফেইসবুকে পরিচয় একটা ভাইয়ার সাথে। তার আজ ভালো একটা চাকরি হইছে। শুনে ভালো লাগলো ।
বলতে দিধা নেই , অর কথাটা শুনে আমি একটু থমকে গেলাম । থমকে গেলাম কারণ মানুষ - মানুষ নামক খেলার অভিজ্ঞতা হতে আমি জানি মানুষ আসলে পরের খুশিতে আনন্দিত হতে পারে না , খুশি
হওয়ার ভান করে মাত্র । মানুশ আপনজনের খুশিতেই খুশি হতে পারে না আর এত ফেসবুক ! ( হয় না যে তা না , তবে খুব কম )
আমি তাকে হাসির ইমো দিলাম , কিন্তু ভিতরে আমার অনেক ভাবনা চলছে ।

একটু পর মহামহোপাধ্যায় বলল , এখনও খুব একটা খারাপ মানুষ হইয়া যাই নাই কি কন ? আরেকজনের খুশি দেখলে নিজেও খুশি হই ।
আমার আবারো থমকে যাবার পালা । একদম মনের কথা বলে ফেলল ।
আমি বললাম কি বলব , তুমি যখন বলছ আমার নিজেরই অবাক লাগছে । আজকাল কেউ অপরের খুশিতে খুশি হয় না ভাই অনেক আগেই অসব চলে গেছে ।

সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাওয়া দেখতে দেখতে বড় হয়েছি , দেখছি । সত্যিই খুব ভাল লাগে যখন দেখি না ! এখনো সবটুকু নষ্টদের অধিকারে যায়নি , এখনো আশা আছে ।



এই সল্প ব্লগ জীবনে আমি অনেকের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছি । এটা আমি সারাজীবন মনে রাখব । কিন্তু তার চেয়েও আমি গর্বিত অসাধারণ কিছু মানুষের সাথে পরিচিত হতে পেরে ।
মহামহোপাধ্যায় এমনি একজন । ব্লগেও উনার মত মেরিটারিয়াস ব্লগার খুব কম আছে । উনার সাথে পরিচিত হতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত । তিনি তার নামের মতই । তার প্রতি অনেক শুভকামনা থাকবে ।

আর হ্যা , উনার হাসিটাও কিন্তু খুব মন খোলা । :)

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ফুটনোট -গল্পের নাম নেয়া হয়েছে - রবির এবার হবেই বিজ্ঞাপন থেকে ।

গল্পে উল্লেখিত একটা দশ নাম্বার এর প্রশ্নের উত্তরে
খুব খেটে রেফারেন্স সহ ৯ পয়েন্ট লিখে আবির পেয়েছিল ৬ আর রতন
৬ পয়েন্ট লিখে পেয়েছিল ৯ ! অংশটি ব্যক্তিজীবন হতে নেয়া । ৬ নাম্বার পাওয়া ছেলেটি আমি ।

গল্পে উল্লেখিত প্রথম প্রশ্ন টা তিনিই করলেন
- তোমার শার্টের কলার উল্টানো কেন ? শারটের কলার উলটানোর ঘটনাও সত্যি । এতা আমি একটা সরকারি কর্মকর্তার আত্তজীবনিতে পরেছিলাম ( নাম বা লিখক মনে নাই )
যার কথা বলা হয়েছিল উনার এই স্মারটনেস ভাইবা বোর্ডের সবার পছন্দ হয়েছিল । বুঝতেই পারছেন লোকটির ভাগ্যে শিকে ঝুলেছিল । লোকটি ফরেন সার্ভিসে চাকরি করেছিল ।

জোসনা রাতে কর্ণফুলী নদীর সৌন্দর্য দেখার আহবান রইল ।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: কিছুই ত বুঝলাম না গুরু

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দুঃখিত ভাই :) তবে কিছু কিছু লাইন এর ব্যাখ্যা দিয়ে দিচ্ছি ।
আশা করি এবার বুঝতে পারবেন ।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: কি বলবো! হেরে যাওয়ার গল্প, দুর্দান্ত, অসাধারণ- এসব ফর্মাল শব্দ লিখতে ইচ্ছে হচ্ছেনা মোটেই । আবিরের দুদিকে ধার ওয়ালা ছুরি না কোন আপাত শত্রু, না চাঁদের বুড়ি, না কর্ণফুলি- কাউকে বিদ্ধ করতে পারে না সত্যি । কিন্তু সেই ছুরির আঘাত ঠিকই টের পাবে বিবেকবান পাঠক, নিজের হৃদপিন্ডে । হেসে হেসে লিখেছেন, হালকা চালে লিখেছেন, কিন্তু গল্পের ভেতরের গুমোট কান্না আর অস্ফুট আর্তনাদ ঠিকই অনুধাবন করা যায় ।

গল্পটা ছুঁয়ে দিয়ে গেছে অনেক খানি । আর কিছু লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না । পরে না হয় আবার আসব ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই ।

গল্পের মূল সুর আপনার মন্তব্যে চলে এসেছে ।

শুভকামনা রইল প্রিয় মামুন ভাই ।
ভাল থাকুন ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অকে মামুন ভাই , বাকিটুকু না হয় পরে শুনলাম :)

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অবুক!! ইবা কি লিক্কুন বাআজি!! B:-) B:-) বজ্ঞুনের দাঁত ভাঙ্গি যারগোই। চাটিগা ভাষা ন ফাইজ্জুম! :P :P :P


গল্পটা ভালোই লেগেছে তবে সত্যি বলতে সংলাপ বুঝতে অনেকেই হয়ত কষ্ট হতে পারে। ফলে গল্পটার মাঝে যে কষ্টটা লুকিয়ে আছে পাঠকের মনে তার দাগ ফেলতে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। হ্যাঁ এটা সত্য, কঠিন বাস্তবতার কাছে অনেকেই হয়ত এইভাবে 'আফছারাপ' জীবন দেয়! আমি বিশ্বাস করি, যে সমস্যার সমাধান আছে তা কোন সমস্যাই নয়।

ভিন্ন ধর্মী লেখনীর গল্প ভালোই লেগেছে। শুভ কামনা রইল।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অবুক!! ইবা কি লিক্কুন বাআজি!! বজ্ঞুনের দাঁত ভাঙ্গি যারগোই। চাটিগা ভাষা ন ফাইজ্জুম!


- হাহাহ এইটা কি হইল কাভা ভাই , আপনার কথাই ত চাটগা ভাষায়
লিখলাম ! ;)
এই কথা কইয়েন না , ভাবি জানলে মাইন্ড করব । ;)
ত্য অনে যে বুইজ্জুন ইবা আই ঠাওর পাই :)


হা এটা ত অবশ্যই , আঞ্চলিক ভাষার কারণে গল্পের ফুল টোন
আবেগ ইত্যাদি গ্রহণ করতে পাঠক বাধাগ্রস্থ হবে । আঞ্চলিক
ভাষা হিসেবে চট্টগ্রামের ভাষাটা এম্নিতেও তুলনামূলক কঠিন ।

মূলত গল্পের মূল ভাব সবার বোধগম্য হবে এটা ধরে নিয়েই লিখা ।
মানুষকে চাটগাইয়া ভাষার একটা ফ্লেভার দিলাম আরকি :)

গুরু আপনাকে দেখলে সবসময়েই ভাল লাগে , যেমন লাগছে এখন ।

ভাল থাকবেন গুরু ।


৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

মশিকুর বলেছেন:
দশম পোস্টের শুভেচ্ছা গ্রহন করেন। কোয়ানটিটি গোল্লায় যাক। আপনিতো কোয়ালিটি ম্যানটেন করতেছেন, আশারাখি তাই সারাজীবন করবেন।

চট্টগ্রামের ভাষা আমি একফোটাও বুঝিনা:( তবে আমার মনেহয় গল্পের ভাব পুরপুরিই অনুভব করতে পেরেছি। যাপিত জীবনতো, আর আমরা কেউই এর থেকে বিচ্ছিন্ন না। জানি না সবাই কি বলবে, তবে পড়ার সময় মনে হয়েছে আমি গল্পেই আছি।

"সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে" -লাইনটা আমার খুব প্রিয় একটা লাইন। লাইনটাকে রহস্যময় লাগে। ভুল প্রমান করতে ইচ্ছা হয়। লাইনটা চিরন্তন সত্য জেনেও আমার বিশ্বাস কেউ না কেউ একদিন একে হারিয়ে দিবেই।

শুভকামনা।।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যাক আপনি ই আমারে দশম পোস্ট উপলক্ষে শুভেচ্ছা
জানাইলেন । এজন্য এক্সট্রা ধইন্যা । :)

হাহাহ , আমি চাইলেই কোপাইয়া লিখতে পারব না ।
অলস আছি ভাই । খুতখুতানি ও দিন দিন বাড়তাছে । হা , সচেতনতাও কাজ করে ।

চট্টগ্রামের ভাষা অনেক টাই এইবার অনুবাদ কইরা দিছি ।

মূলত গল্পের মূল ভাব সবার বোধগম্য হবে এটা ধরে নিয়েই লিখা ।

"সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে" -লাইনটা আমার খুব প্রিয় একটা লাইন। লাইনটাকে রহস্যময় লাগে। ভুল প্রমান করতে ইচ্ছা হয়। লাইনটা চিরন্তন সত্য জেনেও আমার বিশ্বাস কেউ না কেউ একদিন একে হারিয়ে দিবেই । একদম মনের কথাটাই বললেন ভাই ।


তাই যেন হয় । ভাল থাকুন শুভকামনা রইল মশিকুর ভাই ।।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ম্যাজিক গল্পটার কথা মনে করিয়ে দিলেন । এইসব ব্যর্থতা হতাশা অসহ্যবোধ আঘাত করে গেলো । চট্টলার ভাষা বুঝতে সময় লেগেছে বলে রস নিতে কষ্ট হয়েছে । কিন্তু গল্পের ব্যাথাবোধ তাতে শুকায়নি ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আপনাকে দেখে ভাল লাগছে । চট্টলার ভাষা
বুঝতে পেরেছেন ফাইনালি এটা জেনে ভাল লাগছে । :)

ম্যাজিক , ফাঁদ এই দুইটা পারসনালি আমারও প্রিয় গল্প ।

যাই হোক , আমি ত আপনি বলার সাথে সাথেই গল্প দিলাম এইবার
আবার আপনার পালা ;)

ভাল থাকুন প্রিয় শাহরিয়ার ভাই ।

শুভকামনা রইল ।

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ভাইয়া আমার দাঁত তো সব পরে গেলো, ডাক্তারের ফি কে দিবে এখন? :(( :((

গল্পের থিমটা সুন্দর অনেক। কিন্তু আত্মহত্যা করলো কেন? :||
জীবনযুদ্ধে হেরে গেলো :(

আর আপনি এত দেরী করে লিখেন কেন ভাইয়া??আরো আরো লিখবেন, আমরা যাতে আরো অনেক গল্প পড়তে পারি :)
ভালো থাকবেন :)


২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সবাই জেতে না , আবিরের মত অনেকে হেরে যায় ।

হাহা , আগে দাঁত উঠুক , তারপর না হয় লিখব । ঘন ঘন দাঁত ভাঙলে
খাবেন কিভাবে ? :)
ইনশাল্লাহ এখন হতে রেগুলার লিখার চেষ্টা থাকবে ।

আপনিও ভাল থাকবেন । শুভকামনা রইল অনেক ।


৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

ইয়েন বলেছেন: লেখাটা গম হইসে !! + .. আমার সত্যিই অনেক ভাল লেগেছে :) ....

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: তোমার প্লাস পাইয়া আমার আসলেই ভালা লাগতাছে ভাই ।
:) তোমার খুশিতে আমিও খুশি ।

আমি ত মনে করছিলাম গল্প পইরা আমারে পিটাইবা তুমি । ;)

ভাল থাইক ভাই । ।

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: প্রথমদিকে একটু থমকে যাচ্ছিলাম ভাষা বুঝতে না পেরে কিন্তু এরপর যতই এগিয়েছি প্রেক্ষাপট নিজেই পরিষ্কার করে দিয়েছে তার অর্থ। এই আবীর শুধু চট্টগ্রামে থাকে না, এই আবিরকে দেখেছি খুলনায়, বরিশালে, সিলেটে, রংপুরে। ইউছুপ্যাদের হাতে ইতিরা লাঞ্ছিত হয় সারা দেশে। বৃদ্ধ বয়সেও মা সংসারের ঘানি টানেন ঘরে ঘরে। আর ইন্টারভিউ বোর্ডের কর্তাব্যক্তিদের দিকে তাকিয়ে থাকি আপনি আমি আমরা সবাই। চমৎকার লিখেছেন ভাই। এইগল্প আমাদের সবার। খুব সহজভাবে হয়তো বলতে চেয়েছেন কিন্তু অনুভব করতে পারি আবিরের অক্ষমতা, মায়ের চোখের পানি, বোনের যন্ত্রণা।

কিছু জায়গা পুরোপুরি চোখ বন্ধ করে দেখতে পারলাম যেন, বিশেষ করে "বেশি খাব, জিম করব, শোয়ারজনেগার হব, তারপর একেকটা কে ...। - আবির প্রায়ই একেকজনকে সাইজ করার দৃশ্য কল্পনায় দেখতে পেত, দেখে হাসত " এবং

নিউটনের কথা বলতেই আবিরের ম্যাট্রিক আর ইন্টার এর ফিজিক্স বই এর কথা মনে পড়ে ...শাহজাহান তপন ....... ইসহাক নুরুন্নবি.......... জামাল স্যার বাবুল স্যার এর নোট ....গতিসুত্র .. সরল দোলক .......... আপেক্ষিক তত্ত্ব ... ইন্টারে ফিজিক্স পরীক্ষার আগের দিন মার হার্ট এটাক ... পরীক্ষা খারাপ হওয়া ........... জিপিএ কম.. আবিরের মনমেঘের জমা রাগ নিউটনের উপর বজ্র ফেলে।


আর সবশেষে যে অক্ষম আক্রোশে চাঁদের বুড়ির দিকে ছুরি নিক্ষেপ করে আবির, প্রকারান্তরে সেই ছুরি বেঁধার কথা ছিল এই প্রায় পচে যাওয়া সমাজের বুকে; আফসোস আবিরদের আত্মাহুতি হয়ে যায় "আজাইরা"।

আপনার একটা অনবদ্য সৃষ্টি হয়ে রইল "হবেই" গল্পটা।


***********************

এবার আসি উৎসর্গ প্রসঙ্গেঃ মাহমুদ ভাই আমি প্রচন্ডরকমের উদ্বেলিত, আপনি আমাকে এই গল্পটা উৎসর্গ করেছেন। বারবার মনে হচ্ছে আমি আসলেই এই সম্মানের যোগ্য কিনা!! আমি আসলে অভিভূত!! এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না!! ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা কোনটাই আসলে এই বিরল সম্মানের প্রত্যুত্তোরে দেয়া সম্ভব নয় !!

আর প্রথম কমেন্টে আমাকে নিয়ে আরও কিছু কথা বলেছেন, আমি আসলে লজ্জায় পড়ে যাচ্ছি ভাই। আমি খুব সাদামাটা, সাধারণ একটা মানুষ। ঠিক সমাজের আর দশটা মানুষের মত। আমার মাঝে যদি কোন ভালো কিছু দেখে থাকেন তার কৃতিত্ব পুরোটাই আপনার, আপনি খুব ভালো একজন মানুষ তাই আপনার চোখে সবসময় ভালো ব্যাপারটাই পড়ে।

আর আমি আসলে খুব সৌভাগ্যবান যে ব্লগে এসে আপনাদের মত খুব চমৎকার কিছু মানুষকে খুব আপন হিসেবে পেয়েছি। আপনাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেবার ক্ষমতা আমার নেই। আশা করি অধমের এই অক্ষমতাটা ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন। অনেক বড় মন্তব্য হয়ে যাচ্ছে :(

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই। খুব খুব ভালো থাকুন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

হাহাহা , আমি ত ভালাই , স্বয়ং বান কি মুন আমারে সার্টিফিকেট দিছে :)
অসাধারণ না হইলে ত মহামহোপাধ্যায় হইতে পারতা না ;)
ভাল থাক ভাই , খুব লম্বা কমেন্ট করলা , লম্বা কমেন্ট করতে কষ্ট
আছেরে ভাই ।

ভাল থাইক । শুভকামনা ।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার লিখা।
কিছু কিছু জায়গা পড়ে খুব হাসছি।
চমৎকার, চমৎকার ||

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ইমরাজ ভাই ।
তবে ভাই আপনার এই প্র পিক ভালা লাগতাছে না ।
এত সিধা হইলে কেম নে হইব ভাই ;)
আগের পিক টার প্রতি একটা মহব্বত খারায় গেছিল ।
ভালা থাইকেন ভাই ।
:)

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এক দিক দিয়ে বলা যায়, গল্পে আঞ্চলিক শব্দের পাশে অর্থ দেয়াটা যুক্তিযুক্ত। আবার বলবো, এগুলো না দিয়েও পারতেন তাহলে পাঠক নিজে থেকে খুজতো, গল্পে সময় দিতে হত অনেক :)

তবে আমি নিজেই ব্যর্থ হতাম বুঝতে :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহ , চারদিকেই জালা হইছেরে ভাই :)
একেকজনের ভাই একেক মত ।

ভাল থাইকেন ভাই ।
শুভকামনা রইল । :)

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

জুন বলেছেন: দারুন আবেগময় এক গল্প । আমাদের দেশে চাকরী যেন এক সোনার হরিন। তার পেছনে ছুটে ছুটে কত জীবন যে ক্ষয় হয়ে গেল।
অনেক ভালোলাগলো আঞ্চলিক ভাষাইয় লেখা গল্পটি। আমার জীবনের বেশ কিছু বছর চিটাগাং এ থাকার দরুন ফ্লুয়েন্ট চিটাগাং এর ভাষায় কথা বলতে পারতাম। চর্চার অভাবে এখন ভুলে গেছি ।
+

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহ , যাক আপা বুঝতে পারছেন এটাই আনন্দ ।
সেটাই , জীবন খালি ক্ষয় হচ্ছে ।

ভাল থাকুন আপা ।
শুভকামনা রইল । ।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

অদৃশ্য বলেছেন:






অসাম___ স্রেফ মুগ্ধ হয়ে গেছি... বেশ কিছুদিন বাদে আপনার অত্যন্ত সুন্দর একটি লিখা পাওয়া গেলো আর আমি তা দারুনভাবেই উপভোগ করলাম...

চাঁটগায়ের ভাষাটা আপনি ক্লিয়ার না করলে লিখাটি একটি ধাঁধা থেকে যেতো... আপনি যতটুকু ক্লিয়ার করেছেন তাতেই সবটা পরিষ্কার হয়ে গ্যাছে...

আর শেষটাতে আপনার ফালতু কথা পাঠকের কাছে সবকিছু খুবই সহজ করে দিল লিখাটির গুরুত্ব বুঝতে...

শুভকামনা...

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে দেখলে সবসময় ভাল লাগে অদৃশ্য ভাই ।
চাঁটগায়ের ভাষা একটু চেষ্টা মেরে দেখলাম আরকি :) ইচ্ছে ছিল ।

আপনিও ভাল থাকুন ভাই ।

শুভকামনা রইল নিরন্তর ।



১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাবটাইটেল না দিলে কিছুই বুঝতাম না। লেখা ভালো লেগেছে, তবে আপনার অন্যান্য গল্পগুলোর মত না।

শুভেচ্ছা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই ।

নেক্সট গল্পে উৎরাতে পারি কিনা দেখি :)
ভাল থাকুন , শুভকামনা নিরন্তর ।

১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রার, অন্যরকম একটা লেখা। এবং অনেক "ব্রড"।

অনেক শুভেচ্ছা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে দেখতে পেয়ে ভাল লাগছে ইসহাক ভাই :)
ভাল থাকুন আপনিও ।

শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



একদিন অবশ্যই জোসনা রাতে কর্ণফুলী নদীর সৌন্দর্য প্রাণভরে উপভোগ করব ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অবশ্যই ভাই :)
ভাল থাকুন ।
শুভকামনা রইল ।

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

সুস্মিতা গুপ্তা বলেছেন: অনেক ভাললাগা রইলো আপনার গল্পে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সুস্মিতা ।
ভাল থাকুন আপনি ।
শুভকামনা রইল ।

১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

ফয়সাল হিমু বলেছেন: ভাল লাগসে। চাটগাঁর আঞ্চলিক ভাষা কঠিন লাগলেও খারাপ লাগে নাই।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যাক ভাই , একজন সাপোরটার পাইলাম :)

ভাল থাকুন ফয়সাল ভাই , আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ।

শুভকামনা রইল অনেক ।

২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

সায়েম মুন বলেছেন: গল্প ভাল লাগলো। চাটগায়ের ভাষা একদম বুঝিনা। সাবটাইটেলে অর্থ বুঝলেও থামতে হচ্ছিল বারবার।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভোগান্তি করেও যে পড়লেন এটার জন্য ধন্যবাদ কবি ।
হা পাঠক স্ল হয়ে যাচ্ছে , আমি জানি ।

না হয় কষ্ট করে একটু চাটগাইয়া ভাষা জান লেন , শিখলেন এই গল্পের
এটাই ফায়দা ;)

ভাল থাকুন প্রিয় সায়েম ভাই ।
আপনার আগমনে অনেক ভাল লাগছে ।

২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

নীল ভোমরা বলেছেন: এত নৈরাশ্যবাদী গল্প কেন?!..... হচ্ছেনা বলে হবে না...এমনতো নয়!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কারো কারো বা অনেকেরই হয় না ।
এটা তাদের গল্প ।

সমাজ পরিবর্তন না হলে ব্যক্তির করার স্পেস ই বা কতটুকু ?

ভাল থাকুন ভাই , শুভকামনা রইল ।

২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১

সুমন কর বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে। গল্পের মাঝে লুকিয়ে থাকা পরাজিত মনোভাবটা বেশ হয়েছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পরাজিত গল্পের পক্ষ হতে আপনাকে শুভাচ্ছা ।
:)

ভাল থাকুন সুমন ভাই :)

শুভকামনা ।

২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: আত্মগ্লানি,হতাশা,দুর্বলতা মোটকথা নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সমাজে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টার চরম নিষ্ঠুর কঠিন বাস্তবতার প্রতিকৃতি,

কমেন্টে তো সবাই কমবেশি সবই বলে দিছে,প্রত্যেকটা লাইনই পাঠকের মনে আগ্রহ জন্মানোর মত এবং উপলদ্ধিমুলক,সাথে আঞ্চলিক ভাষাটার অর্থগুলো যেসব জায়গায় দেয়া হয়েছে তা যুক্তিসঙ্গতই মনে হয়েছে না হলে বুঝতে অসুবিধা হত ।
তবে গল্পের শেষে নামকরণের মত আশাব্যাঞ্জক কিছু ' হবেই ' ভেবেও হল না । /:)

আর এরকম গল্প ব্লগে উপহার দেয়ার জন্যে লেখকের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল শুভকামনা করছি ।। :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হুম ভাই - পজিটিভ হবেই হল না আরকি :)
আপনার প্রতিও অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা থাকল ভাই :)
শুভকামনা রইল ।

২৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ভাই গল্পের প্লটটা যথেষ্ট ভাল, লিখেছেনও ভাল। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি আঞ্চলিক শব্দ অনেক বেশি ব্যবহার করার কারণে মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে ফেলছি গল্পের। যত ভাল লিখেছেন তার সবটুকু স্বাদ আস্বাদন করতে পারলাম না। আপনি অনেক ভাল লিখেন। শুভকামনা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আঞ্চলিকতা থাকায় গল্পের মূল রসের অর্ধেক ই মারা গেছে
, এটা জানি এবং এটা মেনে নিয়েই লিখা ।

কিন্তু লিখক হিসেবে ঝুকি নেয়া লাগে এবং নিজের ইচ্ছেটাকে দাম দিতে হয় । চট্টগ্রামের ভাষায় আমার একটা লিখার ইচ্ছে ছিল ।
আপনারা পাশে আছেন জেনেই এটুকু সাহস অর্জন করতে পেরেছি ।
নচেৎ তা সম্ভব হত না ।


আমি আরো ভাল লিখতে চাই । ভিত কাপিয়ে দেয় এমন লিখা লিখতে চাই ।

অনেক দিন হয়ে গেল আপনার কোন গল্প পাচ্ছি না ।খেয়ালি মনের
বেখেয়ালি আচরনের অবসান ঘটাবার অপেক্ষায় রইলাম ।


অন্তরদহন গল্পটিকে আমি মনে রেখেছি । যে এমন গল্প লিখতে পারে তার কলম বসিয়ে রাখা ঠিক না ।

এত কথা বললাম আপনাকে পছন্দ হয়েছে বলেই । ব্লগে কি এখন আপনি অনিয়মিত ? অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম ।।
ভাল থাকুন আহসান ভাই ।

শুভকামনা রইল অনেক ।





২৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্প বলার আলাদা স্টাইল টা বেশ লেগেছে ।
মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প , এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারছিনা !

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: থাক অভি ভাই আর কিছু বলার দরকার নাই :)
হাহাহ মজা নিলাম ।

ভাল থাকুন প্রিয় ভাই । শুভকামনা রইল ।

২৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ডায়লগগুলা আমার চট্টগ্রামের এক বন্ধুর কাছে থেকে অনুবাদ করে নিতে হয়েছে :(

চট্টগ্রাম যেতে ইচ্ছে করছে । অবরোধ না থাকলে আজ রাতে রওনা দিতাম । আবার কবে যে যাবো কে জানে । আর কর্ণফুলি ব্রিজে পূর্ণিমা না কাটালেও তার রাতের সৌন্দর্য আজও চোখে লেগে আছে !


পরের গল্পটা পেতে জেনে এইরকম দীর্ঘ অপেক্ষা না করতে হয় । দাবি রেখে গেলাম ! :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ , যাক তাহলে আমার বদৌলতে আপনার কিছুটা চাটগাইয়া
ভাষা শিখা হইল । আমি চিন্তাও করতেছিলাম কিভাবে বুঝলেন ।
আপনার এই প্রচেষ্টার কথা শুনে বড় ভাল লাগল । আপনি এমন পরিশ্রম
চালিয়ে গেলে একদিন অনেক বড় লিখক হতে পারবেন ।
লিখলে আপনার বড় হওয়াই উচিত । মলা - ঢেলা মাছ হয়ে লাভ কি ?

আপনি কি এর মধ্যে আসবেন ? আপনি কি ফেবুতে আছেন ? এড হওয়া যাবে ?

ভাল থাকুন - লিখুন - এবং নিজেকে ভাঙুন - এই প্রত্যাশা রাখছি আপনার কাছে ।
আর হ্যা , নেক্সট গল্প পেতে বেশি দেরি করতে হবে না । :)

শুভকামনা নিরন্তর ।

২৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ভাই, বহুত কষ্টে পড়ছি। সংলাপ বুঝতে ভাল সমস্যা হয়েছে। সাবটাইটেল ছিল বলে রক্ষা!

ভাল লাগছে গল্প মাহমুদ ভাই।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহ , কষ্টতেই কেষ্ট মিলে কি বলেন নাজিম ভাই :)



আপনাকে দেখে অনেক ভাল লাগছে প্রিয় নাজিম ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

২৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বুঝতে একটু ঝামেলা হইছে। সবটাইটেলে কিছুটা হেল্প করছে।

গপ ভালা লাগছে। তয় শেষের দিকটা আমি যেরকম হবে বলে মনে হইছিল সেরকম হয়নি। তবে ফিনিসিংটা অন্যরকম হইছে। আই থিংক আমি ভেবেই নিছিলাম আবির ইউসুফরে খুন করবে, কিন্তু সে সেটা না করে নদীতে ঝাপ দিল।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যাক , তাইলে আপনার জন্য চমক থাকিছে গল্পে :)
ভাল থাকুন প্রিয় মাসুম ভাই ।

শুভকামনা রইল অনেক ।

২৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: নিউটনের বাবার নাম জিজ্ঞেস করার পর আবিরের মনের কথাগুলো যেভাবে বর্ননা করেছেন তা বেশ ভালো লেগেছে । নতুনত্ব ছিলো ঐ জায়গায় ।

গল্পের থিম নতুন না হলেও আপনার উপস্থাপন বেশ ভালো লেগেছে । এবং এই থিমটা বেছে নিয়েছেন বলে একটা আলাদা ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য ।

মনে হলো আপনি কিংবা আপনার আশে পাশের কোন ক্লোজ একজন মনে হয় আবিরের মত অবস্থায় আছে বর্তমানে । একজন পাঠককে যে সেটা মনে করাতে পেরেছেন এটাই গল্পের মূল সার্থকতা আমার কাছে ।

এমনিতে গল্প টল্প কম বুঝি , তাই সমালোচনা করতে পারলাম না । তবে সমালোচনা করার মতো কিছু এলিমেন্ট থাকলেও থাকতে পারে । ;)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাই , আপনি মন্ত্রী মানুষ ভুল - ত্রুটি হইলে নিজ গুনে ক্ষমা করিবেন
:)
আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়ায় উপকৃত হলাম ভাই ।

সবসময় আপনার যা মনে হবে তাই বলবেন ভাই । আর আমি জানি আপনি অনেক ভাল বুঝেন ।

ভাল থাকুন ভাই ।

শুভকামনা রইল ।

৩০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

এম মশিউর বলেছেন: আপনার এই পোস্টের বদলতে চাটগাঁ ভাষার সাথে কিছুটা শিখতে পারলাম। প্রথম দিকে বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে; ব্র্যাকেটের সাবটাইটেল দেখে বিষয়টা পরিষ্কার হয়েছে।

অবশ্যই ইডা গল্প- হবেই:)

গল্প ভালো লেগেছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমি জানি মশিউর ভাই পারবেই :)

ভাল থাকেন ভাই , আপনাকে দেখে খুশি হলাম ।

শুভকামনা ।

৩১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ও বাজি! অ্যাড হওয়া যাবে না কেনও ! আমি তো চুপিচুপি আপনার ফলোয়ার ! :P অ্যাড পাঠাচ্ছি ।

আপাতত মনে হয় যাচ্ছি না । দেশের যে অবস্থা ! :(

শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞতা । অপেক্ষায় থাকলাম পরের গল্পের ! :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অয়া !! এড ত কি ফেলাই :)

ভাল থাকেন ভাই :)
শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

৩২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৮

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে। কিন্তু পড়তে অনেক কষ্ট হয়েছে।
শুভকামনা :)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে অনেক দিন পর দেখলাম ।
ভাল আছেন ?
হা ভাই সবারই একটু কষ্ট হইল :) তারপর ও পড়েছেন জেনে কৃতজ্ঞতা রইল । ভাল থাকুন ভাই ।

৩৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া কেমন আছো?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল আছি :)

গল্প নিয়া কথা নাই কেন ? চাটগাইয়া ভাষা এতে রাগ করছে ।

ভাল থাকুন আপুনি , শুভকামনা রইল । :)

৩৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

শাহেদ খান বলেছেন: ১০ম পোস্টের শুভেচ্ছা, মাহমুদ ! :)

আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের জন্য অনেক অনেক ভাল লাগা জানাচ্ছি। আমাদের এই ভাষাটা'কে আমি সত্যি মেজর সাহিত্যে দেখতে চাই। আমার সাধ্যের অতীত - তাই যারা চেষ্টা করে, তাদের সবার সাথে আছি আমি মুগ্ধতায়।

সবসময়ের শুভকামনা, গল্পকার।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে দেখতে পেয়ে ভাল লাগছে শাহেদ ভাই :)
শুভেচ্ছা নিলাম ।

মেজর সাহিত্যে আছে । ব্লগের ডলুপুত্র অরফে কাফি কামাল
পুরা চাটগার ভাষাতেই গল্প লিখেছেন ।

এছাড়াও হরিসঙ্কর জলদাশ তার জলপুত্র আর দুয়েকটা উপন্যাসেও
চাটগার ভাষার ব্যবহার করেছেন । এর আগে আহমদ ছফা '' সূর্য
তুমি সাথি '' উপন্যাসে । আবুল ফজল এ ও কিছু আছে ।

সমস্যা হচ্ছে এ ভাষাটা অন্য অঞ্চলের মানুষের পক্ষে বোঝাটা কঠিন । আরেকটা সমস্যা হচ্ছে - চট্টগ্রামের ভাষার ডায়ালগ গুলা শুদ্ধ ভাষায়
( মানে ব্যাখ্যায় ) আনলে অনেক ক্ষেত্রেই তার বহুমুখিতা হারিয়ে
ফেলে । এ গল্পেও সেটা হয়েছে ।

যেমন ধরেন ও পুত = হে পুত্র আনলে অপুতের যে আবেগের তীব্রতা , গতিময়তা , বুকের টান এককথায় যেভাবে ফুটে উঠে , এ সংস্কৃতির
সাথে পরিচয় না থাকলে শুধু হে পুত্র বা ও পুত্র দিয়ে অন্য অঞ্চলের মানুষ রা আবেগ টাকে ধরতে পারবে না ।




লিখালিখি করছি আর নিজের ভাষায় লিখব না তা কি হয় ! চেষ্টা মেরে দিলুম ।

গল্প নিয়ে কিছু বললে খুশি হতাম শাহেদ ভাই ।
জানি ত্রুটি আছে কিন্তু আমি আপনার কাছ হতে শেখার আশা রাখি ।
আশা করি তেমন টা করতে আপনি কখনো কসুর করবেন না ।

ভাল থাকুন প্রিয় শাহেদ ভাই :)
শুভকামনা নিরন্তর ।

৩৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
গল্পটা আপনি আপনার আঞ্চলিক ভাষায় লিখছেন তাই সাধুবাদ জানাই। গল্পের শিরোণাম আর গল্প পড়ে যা অনুভূত হলো আর তাতে যদি বলা হয় শিরোণামের সার্থকতা খুঁজে বের করতে তবে আমাকে হোচট খেতে হবে। কেননা শিরোণাম যুতসই মনে হচ্ছে না।

গল্পের কাহিনী সাধারণ তবে বর্ণনাগুনে উৎরে গেছে অনেকটা। আমি চট্টগ্রামে বেশ কিছুদিন থাকায় চট্টগ্রামের ভাষার সাথে পরিচয় আছে। আপনি পাঠকের সুবিধার জন্য সাবটাইটেলের মতো ব্র্যাকেটে মানে বুঝিয়ে দিয়েছেন কিন্তু ওটা আসলে পড়ার গতিকে আরো কমিয়ে দিয়েছে। এখন আপনি হয়ত বলবেন পাঠকের যাতে বুঝতে সুবিধা হয় তাই এমন করা। তাই বলতে হয় আপনি আসলে পাঠক-কে তার পাঠ নিয়ে ভাবনার সুযোগ কমিয়ে দিয়েছেন।

আমি লেখালেখি বলতে বুঝি লেখকের স্বাধীনতা, আর আপনি পাঠকের সুবিধার জন্য সাবটাইটেল দিয়ে দিয়েছেন দেখে ব্যাপারটা লো লাগে নাই।

আহমদ ছফা'র একটা উপন্যাস পড়ছিলাম (নামটা মনে নাই) ওখানে তিনি পাঠকের সুবিধার জন্য সাবটাইটেল দিছিলেন, সেই ব্যাপারটাও ভালো লাগে নাই।

আমি বেশি বলে ফেললাম বোধ হয় :D

শুভেচ্ছা ভাই।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সাধুবাদ গৃহীত :)

কবি কই বাশের বাঁশরি বাজাইবেন তা না আইলেন তাইড়া - ফুইড়া ;)
নেগেটিভ সেন্স থেকে ভাবলে শিরোনামের যৌক্তিকতা আছে ।
বাজারি অর্থনীতি র গতি মুখ যেভাবে যাচ্ছে তাতে আবিরদের
সংখ্যা বিনাশ না হয়ে অবিনাশ হবে সেটা স্পষ্টত বলা যায় ।
মানুষকে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হয় , কিন্তু যার চারদিক আটকানো থাকে তাদের অনেকে তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য হয় । আমরা সমাজে বিদ্যমান দায়ী ইলিমেন্ট গুলোর
উপর দোষ না চাপিয়ে ব্যক্তির উপর চাপাই । ভেবে দেখিনা ব্যক্তির কতটূকু করার সুযোগ আছে ।
আবিরের মত কিছু ছেলে নিয়মিত ঝরা পাতার মত ঝরে যাচ্ছে এটা দেখানো অনুভব করেছি । দোষটা কি আবিরদের ? যেভাবে চলছে সেভাবে চললে আবিরদের '' হবেই '' স্থায়ী থাকবে ।

'' না হবেই '' চাই বলে '' হবেই '' দেয়া ।



সাবটাইটেলের ব্যাপারে আমি বেশ কয়েক জন কে জিজ্ঞেস করছিলাম পোষ্ট দেবার আগে । নানা মুনির নানা মত । শেষে ভাবলাম দেই সাবটাইটেল । সাবটাইটেল গল্পের গতি শ্লথ করা ছাড়াও
গল্পের আবেদন রস তথা তীব্রতাতেও ভাটা ফেলেছে । ব্যাপার টা মনে হয় আপনি ধরতে পেরেছেন ।
ভেবে দেখলাম - সাবটাইটেল না দিলে লোকে একদম বুঝবে না । এটা নিজ সিদ্ধান্তে করা এবং আমার সিদ্ধান্ত পাঠকের ফেভারে গেছে ।
যেহেতু আমি আমার ভাবনাই বাস্তবায়ন করেছি তাই এখানে লিখকের স্বাধীনতা বজায় থাকছে ।
ওটা আহমদ ছফার '' ' সূর্য
তুমি সাথি '' উপন্যাস ।
বেশি বললে খুশি হইতাম , ব্লগে হুক্কা হুয়ার দিন শেষ কইরা দিতে হইব :)

রেগুলার কামান দাগাইলে খুব খুশি হব ভাই :) আপনার কমেন্টে অনেক ভাল লাগা থাকল । এভাবেই পাশে থাকবেন এটা ই চাই ।

ভাল থাকুন ভাই , শুভকামনা রইল অনেক :)


৩৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ইচ্ছের দাম অবশ্যই দিবেন, মনের ওপর থেকে শাসন তুলে দিয়ে লিখবেন তবেই না ভিন্নধর্মী কিছু সৃষ্টি হবে। আপনাকে ভাল লাগে বলেই সমালোচনা করি।

বেকার মানুষ একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভাল থাকে, আমি সেটা পার করে এসেছি। কিছু গল্পের প্লট মাথায় আসলেও সেটাকে ঝেটিয়ে বিদায় করেছি। তারপরও আপনাদের পাশে আছি। চলে যাই নি। সময় পেলেই পোস্ট দেব ইনশা-আল্লাহ। যে অভিনেতা মঞ্চে একবার হাত তালি পেয়েছে সে কি আর মঞ্চ ছাড়তে চায়? নাকি পারে? হা হা হা। অনেক কিছু বলে ফেললাম। ভাল থাকুন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যে অভিনেতা মঞ্চে একবার হাত তালি পেয়েছে সে কি আর মঞ্চ ছাড়তে চায়? নাকি পারে?

পড়ে হাসলাম । তার চেয়েও বেশি ভাবলাম । দুই - তিন লাইনে অনেক
কিছুই বলে ফেলেছেন ।

দোয়া করি আপনার সব সমস্যা যাতে দূর হয় এবং আপনি ভালভাবে
ফিরে আসতে পারেন ।

ভাল - মন্দ যাই দেখুন তা অবশ্যই সবসময় বলবেন । আপনার কাছে
এটাই চাইব ।

ভাল থাকুন ভাই । পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম ।

৩৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

বোকামন বলেছেন:





অনাড়ম্বর, অনানুষ্ঠানিক, বাড়তি কোন ঢঙ দেওয়ার প্রয়াস নেই । সাবলীল গতিতে লেখনীর স্বকীয়তা ফুটে উঠেছে । আঞ্চলিক ভাষার সাথে প্লট সিক্রোনাইজ হতে কিছুটা দুর্বল ছিলো । কিন্তু ভালো লাগলো, বেশ ভালো লাগলো । গল্পের ছলে জীবনের বহুরঙা চাদর দিয়ে পাঠককে ঝাপটে ধরার চেষ্টা ...

গল্পের ভূমিকা, ফালতু কথা ইত্যাদি বাদ দিন, জাস্ট ! গল্পটা লিখুন ।
ভালো লিখছেন, তবে যেতে হবে বহুদূর, অনেকটা পথ দিতে হবে পারি ...

গল্প হবেই
সাধারণ পাঠকের শুভকামনা থাকবে সবসময়ের জন্য ।।
সালাম নিবেন, সম্মানিত লেখক ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দোয়া রাখবেন আমার জন্য , আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমাকে উতসাহ
যোগায় । ভাল লিখার জন্য চেষ্টা থাকছে নিরন্তর ।

আপনাকে দেখে ভাল লাগছে ভাই ।

ফালতু কথা বাদ দিলাম । আশা করি এভাবেই সবসময় পাশে থাকবেন ।

ভাল থাকুন ভাই , শুভকামনা রইল অনেক ।


৩৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

শাহেদ খান বলেছেন: গল্প নিয়ে কী বলব, মাহমুদ? ছোটগল্প তো কাহিনী'র আকর্ষণে পড়তে আসি না। কাহিনী'র কথা ভাবলে উপন্যাসই পার্ফেক্ট। ছোটগল্পে আসা হয় মূলতঃ লেখকের উপস্থাপনের স্টাইল, ভাষার ব্যবহার, দৃষ্টিভঙ্গি'র ভিন্নতা, সরল ক্ষুদ্র ঘটনা'কে ডিটেইলসে বলার ক্ষমতা ইত্যাদি দেখতে। তাই গল্প নিয়ে খুব বলা হয়ে ওঠে না, গল্প বলার স্টাইল'টাই চোখের সামনে বড় হয়ে ওঠে !

চাটগাঁ-সাহিত্যের এত উদাহরণ আমি জানতাম না। কত কম জানি !

ব্লগার ডলুপুত্রের চাটগাঁ ভাষা নিয়ে আলোচনা পোস্ট পড়েছিলাম, সেটা আমার প্রিয় তালিকাতেও আছে, কিন্তু তার লেখা গল্প কখনও পড়া হয়নি। ছফা-জলদাসের গল্প-উপন্যাস পড়লেও উপরে উল্লেখিতগুলো নয়। বোঝাই যাচ্ছে, পাঠক হিসেবেও আমি এখনও অতটা সুবিধা'র না !

অনভিজ্ঞ চোখে ভাল-লাগা, মন্দ-লাগা যা আসে নির্দ্বিধায় জানাব নিশ্চয়ই। সহব্লগার হিসেবে এই অধিকারটুকু নিয়ে গেলাম ! 8-|

শুভেচ্ছা সবসময়ের।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাইকে দেখে ভাল লাগছে । :)

ডলুপুত্র অরফে কাফি কামাল ভাই একদম কামাল কর দিয়া !!
উনি পুরাটাই চাটগার ভাষায় লিখছেন :)

আসলে আমার মনে হয় চাটগার প্রায় সাহিত্যিক মাত্রই কিছু না কিছু লিখা
চাটগার ভাষায় লিখেছেন । আজাদি পত্রিকায় লিখত আগে - মরহুম সাহিত্যিক অহিদুল আলম এর ভাই মাহবুব উল আলম এর ও কিছু আছে ।

মাহবুব উল আলম মফিজন উপন্যাসের জন্য আলোচিত হয়েছিলেন ।
কাহিনী'র কথা ভাবলে উপন্যাসই পার্ফেক্ট। - একমত । এখানে নাড়াচাড়া করা যায় , স্পেস আছে ।

তবে ছোটগল্পেও কাহিনী থাকতে পারে । যদিও এটা নিয়ে এখন তেমন একটা মাথা ঘামানো হয় না , তবে সৃষ্টি থেমে নেই । । এখন ত আসলে সব ফর্মেটেই ভাঙ্গা চুরা চলতাছে । অনেকের উপন্যাস ও এখন ছোটগল্পের বৈশিষ্ট ধারন করছে । কেউ কেউ কোন বাধন ই মানতে চান না । :)

আপনি বলবেন - সবসময় বলবেন - সেটা আমার জন্য রুঢ হলেও ।

আমি আপনার ভাবনা জানতে আগ্রহী সবসময়ের জন্য :) এটুকু চাওয়া
শাহেদ ভাইয়ের কাছে মাহমুদ চাইতেই পারে :)

ভাল থাকুন ভাই । অনেক অনেক শুভকামনা রইল :)




৩৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: যদিও গল্প পড়ে মাথা ঝিম ঝিম করছে
তারপর ও গল্পে বলা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারটা বেশ বোঝা গেল ।

কিন্তু হতাশা , আত্মহত্যা , পারিবারিক ঝামেলা সব মিলিয়ে নৈরাশ্যবাদী গল্প যতটুকু স্পর্শ করে ঠিক ততটুকু করেনি , আঞ্চলিক ভাষা না বোঝার জন্যই সম্ভবত ।

অনেক শুভকামনা ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হুম আপু , জোরালো আবেদন টা আঞ্চলিক ভাষাতেই । চেষ্টা করে দেখলাম আরকি । :)

ঝিম ঝিম ভাবটাকে রিন ঝিন করার একটা প্রচেষ্টা সামনে থাকবে ।

ভাল থাকুন আপু ।
শুভকামনা রইল । :)

৪০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: খুউব গম লেইক্কন।
ভালো থাইক্কন।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হহাহ , ভাই আপনার কমেন্টে মজা পেলাম ।
আর আপনার আজকের গল্পে খুব মজা পাইছি ।
ভাল মুডে আছেন মনে হয় :)
ভাল থাকুন ভাই , শুভকামনা রইল ।

৪১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০

একলা ফড়িং বলেছেন: মন খারাপের গল্প মন ছুঁয়ে গেল...

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ একলা ফড়িং :)
প্রথমবারের মত আমার ব্লগে আপনার আগমনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ।
ভাল থাকুন ।
বিজয়ের শুভেচ্ছা ।

৪২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন:
'তরে আজিয়া আই চাই লইয়ুম ' = তোকে আজকে দেখে নেব ।
মর্মস্পর্শী গল্প। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষা বুঝতে গিয়ে দাঁত পড়ে যাবার জোগাড়। ভাগ্যিস অর্থ দিয়ে দিয়েছিলেন। বাড়তি ধন্যবাদ এজন্যে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ । অনেক দিন পর দেখলাম আপনাকে ।
ভাল থাকবেন । শুভেচ্ছা রইল ।
:)

৪৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আগের প্রোপিক (জোকার) যেটা দিসিলাম অনেকে বলসেন ওটা ভাল না, আগেরটা ভাল ছিল।এটা দেয়ার পর আপনি বলেন, এটা ভাল হয়নাই, আগেরটাই ভাল ছিল।

আঁই হন্ডে যাইয়্যুম বাজি ! X(( B:-)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হেহেহে , মাসে ১৫ দিন করে করে প্রপিক পাল্টাতে পারেন মুন ভাই :)
ভাল থাকুন ভাই , শুভেচ্ছা রইল ।

৪৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

বৃতি বলেছেন: গল্পটা অনেক সুন্দর, হৃদয়স্পর্শী । আমি অফলাইনে আগেই পড়েছিলাম, তখন মন্তব্য করা হয়নি । সাবটাইটেল দেয়াতে আমার জন্য সহজবোধ্য হয়েছে, তবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঠকের কাছে আঞ্চলিক ভাষাতেই এর আবেদন অন্যরকম থাকবে তা বোঝা যায় ।

শুভকামনা থাকল ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

ভাল থাকা হোক আপনার । :)
শুভেচ্ছা ।

৪৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ভালা পাইলাম!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । :)
অনেক দিন পর আমার ব্লগে দেখলাম ভাই আপনাকে ।
ভাল থাকুন ।

৪৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

অপ্রচলিত বলেছেন: কী বলব ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। অসাধারণ আপনার লেখনী। গল্প বলার ধরণ এবং গল্পের ভাষা আমাকে মুগ্ধ বিমোহিত করেছে। এমন আরও অনেক গল্পের অপেক্ষায়, ভালো থাকবেন লেখক।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রথমবারের মত আমার ব্লগে আপনার আগমনে স্বাগত ।
দোয়া রাখবেন ।
ভাল লিখতে চাই ।
আপনার প্রতিও অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই ।
বিজয়ের শুভেচ্ছা :)

৪৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: আবীরের এমন পরিনিতি মন খারাপ করে দিলো।

কিছু কইর ন পাইজ্জুম, চিটাঙঅত একদিন দেহা গরিয়েরে কোলাকুলি গইজ্জুম অনের ল।

ভালা থাগন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কইলজার ভিতর বাধি রাইক্ষুম অনের কমেন্ট , ও সাজিদ ভাই :)

আপনার কথাটা একদম কলিজায় লাগছে ভাই ।

পরিচয় পেয়ে আনন্দ লাগছে :)

ভাল থাকবেন ভাই । নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং
শুভকামনা রইল । :)

৪৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৬

খাটাস বলেছেন: হইয়াও হইল না শেষ।
গল্প বলার আর ঘটনা প্রবাহ তে একটা শক্ত ধারা ছিল ভাল লেগেছে।
সমাজের ছোট ছোট ঘটনা গুলো দিয়ে সাজান পরাজিত জীবনের গল্প ভাল লাগল। তবে আপনার অন্য লেখা গুলোর মত না।
তবে পড়তে খারাপ লাগেনি।
গম অইছে বদ্দা। :)

মরার আগে আবির রে দিয়া ছুরি টা ইউসুফ এর পেটে দিলে ভাল হত :)

ভাল থাকুন ভাইয়া। :)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন:

হাহাহ , অনেক দিন পর আইলা :)

আবির ছুরি দিতে গিয়েও দেয়নি , কারণ তার মনে হয়ত অনেক চিন্তা
খেলা করেছিল ।

হয়ত ভেবেছে - ছুরি মারলে ইউচুপের লোকজন তার মা বোনের উপর
অত্যাচার করতে পারে , অথবা সাঙ্গোপাঙ্গদের কারণে ছুরি মারা স্কোপ
পায়নি , আরো অথবা আছে ..... এই আর কি :)

ভালা থাইক :)

শুভকামনা রইল ভাই ।

৪৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: যান মিয়া, মাইরাল্লেন আমারে! /:)
নেক্সট গল্পে আপনেরে খাইসি!! B-))

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মাইরালাইছি বইলাই কিন্তু বই বাহির হইতাছে খিয়াল কইরা ;)

হেহেহে , খাওয়নের কামটা না করলে হয় না ? :P

ভাল থাইক ভাই । :)

শুভকামনা ।

৫০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৬

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: হালকা চালে ভারী গল্প। ভাললাগা

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আমি অথবা অন্য কেউ ভাই:)
ভাল থাকবেন ।



৫১| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পড়ে মনে হলো, এই আবিরকে আমি চিনি। গল্পের শিরোনাম পড়ে মনে হয়েছিলো গল্পে অন্যরকম পরিণতি দেখতে পাবো। তবে যেটা দেখতে পেয়েছি, সেটাকেও নেতিবাচক পরিণতি বলা যাবে না। বেঁচে থাকার সংগ্রামে হেরে যাওয়া আবিরদের মনস্তত্বটা বেশ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে গল্পে। তাই গল্প খুব ভালো লেগেছে। অনেক মন্তব্যকারী বলেছেন, আপনার এই দশম পোস্টের গল্পটা এর আগের অন্যান্য গল্পের মত হয়নি (যেমন ম্যাজিক, ফাঁদ)। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, সূক্ষ্ম মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণে এ গল্পের আবেদন অত্যন্ত উজ্জ্বল।
ভেবেছিলাম, আমার আগের ৫০ জন মন্তব্যকারী পাঠকের মধ্যে কেউ না কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করবেন, মায়ের সাথে কুলুক - কুলুক খেলা টা কি জিনিস। তারা হয়তো সবাই জানেন উত্তরটা, কিন্তু আমি জানিনা।

গল্পে ভালো লাগা কিছু কথাঃ
তাছাড়া ছোটবেলা হতে ওই শব্দটার সাথে তার একটা সখ্যতা আছে। ভাল লাগার সেটাও একটা কারণ ।
আবির প্রায়ই একেকজনকে সাইজ করার দৃশ্য কল্পনায় দেখতে পেত , দেখে হাসত , ভাবত একদিন এমন হবেই , তারপর ব্যাপারটা ভুলে যেত
ইন্টারভিউ দিতে দিতে আবির এখন এই সব লোকদের চোখের ভাষার হাফেজ হয়ে গেছে। যে কারণেই হোক আবির বিসমিল্লাতেই ডিলিট।
ইটস মাই স্টাইল স্যার ! শার্টের দিকে না তাকিয়ে লোকটার চোখে চোখ রেখে বলল আবির - (দারুণ লেগেছে এই স্মার্টনেস!)
চাকরিটা নিউটনের আব্বুকে দিয়ে দিয়েন, স্যার !
নটির মত হাসে নদী - খিলখিল , অন্তঃস্রোতে উম্মোচিত তার সেয়ানা গতর । আবিরের আর সহ্য হয় না - 'তরে আজিয়া আই চাই লইয়ুম ' বলে নদীবক্ষে ঝাপ দেয় -----
১,২,৪,৬ আর ১০ নং মন্তব্যে 'লাইক'। মূল লেখাটাতেও।
আঞ্চলিক ভাষার অনুবাদগুলো গল্প বুঝতে সহায়ক হয়েছে, না দিলেও গল্পের আবেদন এতটুকু কমতোনা। আগ্রহী পাঠক নিজেরাই এর মানে খুঁজে নিতেন, যেমন করেছেন কয়েকজন পাঠক।
শুভকামনা রইলো। লেখা চালিয়ে যান, মূল বৃত্তির সাথে সাথে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনার এই ব্যাপারটা খুব মজার, একদম পেছনের পোস্ট হতে আসা। আর কেউ এমনটা করেছেন কিনা
জানি না।আপনার সব মন্তব্য পড়ার ব্যাপারটাও ভাল লাগে।
কুলুক মানে লুকোচুরি।গল্পটার সেট আপ তৈরি করার সময় চেষ্টা করেছি যা বলা হবে তাতে নয়,
আসল কথাগুলো যেন যা বলা হচ্ছে না তাতে থাকে।আমি কেবল সীমারেখাগুলো ঘেঁষে যাব।
যে সব জায়গায় আঞ্চলিক ভাষার সংলাপ ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রমিতের চাইতে অধিকতর
বিস্তারণগত অর্থ বহনে সক্ষম।প্রমিতের জায়গায় আঞ্চলিক সংলাপ দেয়ার এটাও একটা কারণ।আমার মনে হয়
আমরা যারা লেখালিখির চেষ্টা করছি তাদের আঞ্চলিক ভাষার শক্তি অনুসন্ধান ও যাচাই করার প্রচেষ্টা
থাকা উচিত। আপনার ভাল লাগায় আমিও আনন্দিত হলাম। আপনার বিশ্লেষণী মন্তব্যে নানা মুখী হতাশা
সত্ত্বেও নতুন করে প্রেরণা পেলাম।
ভাল থাকবেন স্যার।অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ।

৫২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তরে যা বললেন, তাতে আমিও প্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার প্রতিও অনেক শুভেচ্ছা রইল । :)

৫৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,




কষ্টের গল্প । সংক্ষেপে এটুকু । মোবাইলে পড়ছি আর জবাবও । তাই .....
শুভেচ্ছান্তে ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মোবাইলে কষ্ট করে মন্তব্য করলেন তাতেই অনেক প্রীত হয়েছি প্রিয় জি এস ভাই ।
অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.