নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

@ @

মাহমুদ০০৭

@ @

মাহমুদ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোপাল কে কেন বাংলার প্রথম নির্বাচিত রাজা বলা হচ্ছে?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

আমাদের গণতান্ত্রিক মানসিকতার নাভিমূল দেখাতে গিয়ে আমরা প্রায়ই গর্বভরে ফিরে যাই অষ্টম শতাব্দীতে , গোপাল পাল এর কাছে । শশাঙ্কর পরবর্তী ১০০ বছর- যা বাংলার ইতিহাসে মাৎস্যন্যায় নামে পরিচিত, তার অবসান হয় পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল পালের বাংলা অধিকারের মধ্য দিয়ে ।ঐতিহাসিক গণের সুত্র ধরে বিভিন্ন আলোচনায় আমরা গোপাল পালকে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত রাজা বলে থাকি। এই কথার ঐতিহাসিক সুত্র বা ভিত্তি কি ? কেবলমাত্র ১৬০৮ ক্রিস্টাব্দে তিব্বতি ভাষায় লিখিত লামা তারনাথের লিখিত বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে এবং খালিমপুর লিপির শ্লোক এ গোপালের সিংহাসনে আরোহণের বর্ণনা পাওয়া যায়।

তারকানাথের কাহিনীর সারমর্ম হল , দেশের বহুদিন যাবত অরাজকতার ফলে বাংলার জনগণের দুঃখকষ্টের সীমা ছিল না । নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা মিলিত হয়ে আইনানুগ শাসন প্রতিষ্ঠাকল্পে একজন রাজা নির্বাচন করেন । কিন্তু নির্বাচিত রাজা প্রতি রাত্রিতে এক কুৎসিত নাগ রাক্ষসী কর্তৃক নিহত হয় । এভাবে প্রতি রাত্রিতে একজন নির্বাচিত রাজা নিহত হতে থাকেন । এভাবে বেশ কয়েক বছর পার হয়ে যায় । অবশেষে একদিন চুন্ডাদেবীর এক ভক্ত এক বাড়ি তে আসে । ওই বাড়ির সবাই খুব বিষণ্ণ । কারণ ঐদিন নির্বান নির্বাচিত রাজা হবার ভার পড়েছে ওই বাড়িরেই এক ছেলের উপর । আগন্তুক ওই ছেলের জায়গায় নিজে রাজা হতে রাজি হয় এবং সকাল বেলা তিনি রাজা নির্বাচিত হন । সেই রাতে নাগ রাক্ষসী এলে তিনি চুন্ডাদেবীর মহিমা যুক্ত এক লাঠি দিয়ে রাক্ষসীকে আঘাত করলে রাক্ষসী মারা যায় । পর দিন তাকে জীবিত দেখে সবাই অবাক হয় । পর পর সাতদিন তিনি এভাবে রাজা নির্বাচিত হন । ফলে তার এই অদ্ভুত যোগ্যতার জন্য জনগণ তাকে স্থায়ী রাজা রুপে নির্বাচিত করে । এবং তাকে গোপাল নাম দেয়া হয় ।

অপরদিকে পাল বাজা ধর্মপালের রাজত্বকালের খালিমপুর লিপির তাম্রশাসনে আছে ,
মাৎসন্যায়ম পোহিতং
প্রকৃতি র্ভিলক্ষ ন্যাঃ করংগ্রাহিত :
শি গোপাল ইতি ক্ষিতিশ
শিরোসাং চূড়ামনিস্তৎ সূত:
(মালদহে প্রাপ্ত ধর্মপালের খালিমপুর তাম্রশাসন (রাজ্যাঙ্ক ৩২,গৌড় লেখমালা,পৃষ্ঠা -৯। ) ‘

অনুবাদঃ
বপ্যট পুত্র রাজা ক্ষিতিশ গোপাল
কুলচূড়ামনি তিনি ইতি নরপাল
মাৎস ন্যায় দূর করিবার অভিপ্রায়ে
প্রকৃতি পুঞ্জ দ্বারা নির্বাচিত হয়ে
অরাজকতার রাজ্য করিলেন দূর
বরেন্দ্রী-মণ্ডলে রাজা হলেন মধুর ।
(অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় এর অনুবাদ অবলম্বনে। )

তারকানাথ এর কাহিনীকে একপ্রকার ঠাকুরমার ঝুলির গল্প বলা যায়। এই কাহিনীর উপর ভিত্তি করে মোটেও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ যায় না যদি না অন্য কোন নির্ভরযোগ্য উৎস হতে এর সমর্থন না পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকগণ খালিমপুর লিপির শ্লোকের উপর নির্ভর করেছেন । শ্লোকের ‘প্রকৃতি’ শব্দ বিশেষ অর্থে ‘জনগণ’ বা ‘প্রধান কর্মচারী ‘বুঝায় । কিন্তু তৎকালীন অরাজকতা ও বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে জনগণের একমত হওয়া ও নির্বাচন করার কথা অস্বাভাবিক বলে মনে হয়। এর আগে বা এর অনেক পরেও যেখানে বাংলায় কোন গণতান্ত্রিক চেতনার উন্মেষ আমরা দেখতে পাই না সেখানে নির্বাচন এর কথা ভাবা টা বাতুলতা। যদি ‘প্রকৃতি’ শব্দের অর্থ ‘প্রধান কর্মচারী’ ধরি তাহলেও প্রশ্ন থেকে যায় । কেন্দ্রীয় কোন শাসনব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে তারা কিভাবে নির্বাচন বা নির্বাচিত করবেন ?

‘ প্রকৃতি’ শব্দের প্রকৃত অর্থ নিয়ে মতভেদ এবং নির্বাচন প্রতিকূল রাজনৈতিক , সামাজিক পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও ঐতিহাসিক রমাপ্রসাদ চন্দ ও রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই জনগণ কর্তৃক গোপাল নির্বাচিত হয়েছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন । এমনকি বিখ্যাত ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার নির্বাচনের ব্যাপারটিতে সন্দেহ পোষণ করেও গোপাল জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত রায় দিয়েছেন ।

শুধু তাই নয় তিনি আর ও অগ্রসর হয়ে বলেছেন , ” এই চরম দুঃখ – দুর্দশা হইতে মুক্তি পাবার জন্য বাঙ্গালী জাতি যে চরম বিজ্ঞতা দূরদর্শিতা ও আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছিল ইতিহাসে তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকিবে। এই রুপে কেবলমাত্র দেশের মঙ্গলের দিকে চাহিয়া ব্যক্তিগত স্বার্থ বিসর্জন পূর্বক সর্বসাধারণে মিলিয়া কোন বৃহৎ কারযঅনুষ্ঠান যেমন বাঙ্গালীর ইতিহাসে আর দেখা যায় না ।১৮৬৭ অব্দে জাপানে যে গুরতর রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটিয়াছিল তাহার সহিত সহস্রাধিক পূর্বে গোপালের রাজপদে নির্বাচনের তুলনা করা যাইতে পারে । ” অথচ তিনি নিজেই বলেন –
” কেহ কেহ মনে করেন যে , ‘ প্রকৃতি ‘ শব্দের অর্থ কয়েকজন প্রধান প্রধান রাজ্যের সচিব বা কর্মচারী এবং তারাই গোপালকে রাজপদে নির্বাচিত করিয়াছেন । রাজতরঙ্গিনীতে এই অর্থে প্রকৃতি শব্দ ব্যবহার হয়েছে এবং বলা হইয়াছে জলোঊক নামক এক ব্যক্তি সাতজন কর্মচারী দ্বারা রাজপদে অধিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। যেখানে রাজ্যে দৃঢ় শাসনপ্রণালী বর্তমান সেখানেই এই প্রকার ব্যবস্থা হইতে পারে । কিন্তু বাংলাদেশের পূর্বোক্ত অরাজক অবস্থায় কোন কেন্দ্রীয় শাসন কল্পনা করা যায় না এবং কোন একটি ক্ষুদ্র রাজ্যের সচিব বা প্রধান কর্মচারীগণ সমগ্র দেশের জন্য রাজা নির্বাচন করিবেন এবং সমস্ত দেশের লোক তা মানিয়া লইবে ইহা সম্ভবভর বলিয়া মনে হয় না।” ( বাংলাদেশের ইতিহাস, প্রথম খণ্ড , পৃষ্ঠা ৪৪) এছাড়াও নির্বাচন ঘটে থাকলে পাল শাসনামলে প্রাপ্ত প্রশস্তি সমূহে নির্বাচনের মত একটি অভূতপূর্ব গৌরবময় বিষয়ের উল্লেখ অবশ্যই থাকত । এই ঘটনার কোন উল্লেখের অনুপস্থিতি ঘটনা না ঘটার ইঙ্গিতকে জোরালো করে।

তাহলে গোপাল কিভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ? খালিমপুর শ্লোকের প্রকৃত অর্থ ই বা কি হতে পারে ?
খালিমপুর শ্লোকের ‘ প্রকৃত ‘ শব্দের প্রকৃত তাৎপর্য অনুধাবন করা সম্ভব না । এর রূপক বা অনাক্ষরিক অর্থ থাকতে পারে , যা আমাদের অজানা । । তবে তৎকালীন আর্থ – সামাজিক , রাজনৈতিক পরিবেশ কে সামনে রেখে এর একটা বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায় । প্রকৃতি শব্দের অর্থ তার অনুসারী নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি বা কর্মচারী হিসেবে ধরলে গোপাল তাদের সাহায্যে ক্ষমতা দখল ও বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটানো স্বাভাবিক মনে হয় । এছাড়াও পাল বংশধররা ক্ষত্রিয় বলে পরিচিত ছিলেন । খালিমপুর -তাম্রলিপিতে ও গোপালের বাবা ব্যপট কে শত্রু ধবংসকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । সুতরাং গোপাল নিজেও একজন সুদক্ষ যোদ্ধা ছিলেন এমন ধারণা করাই যায় এবং অরাজকতাময় অবস্থায় ক্ষমতা দখলের জন্য যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শিতা অপরিহার্য। তিনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তার যুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছেন , তখনকার পরিস্থিতিতে এমন ভাবাই যুক্তিসঙ্গত ।এ ধারনার পেছনে পাল রাজাগণের বিভিন্ন তাম্রশাসনে প্রাপ্ত একটি শ্লোকের কথাও সমর্থন যোগায় ।এ শ্লোকে বলা আছে ” যে সব লোক তাদের নিজ নিজ ইচ্ছেমত কাজ করেছিল গোপাল তাদের শক্তি খর্ব করে শাশ্বত শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।” এই শ্লোকে গোপাল কর্তৃক বিপক্ষ শক্তিকে পরাজিত করার স্পষ্ট ইঙ্গিত আছে।

গোপাল পাল জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত এমন কোন স্পষ্ট নির্ভরযোগ্য প্রমাণ না থাকা ,তৎকালীন সামাজিক – রাজনৈতিক পরিবেশে এর স্বপক্ষে কোন উপাদান না থাকা সত্ত্বেও , যে সব ঐতিহাসিক এমন ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রেখেছেন -তারা নিঃসন্দেহে আবেগপ্রবণ হয়ে ইতিহাসের স্বাভাবিক চর্চাকে রুদ্ধ করেছেন । মনে রাখা উচিত ইতিহাস আবেগের খেরোখাতা নয় এবং নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি ও যুক্তির নিরিখেই ইতিহাস চর্চা করা উচিত।নির্বাচনের মাধ্যমে গোপাল পাল ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন ,এরুপ মনে করার পিছনে কোন শক্ত প্রমাণ বা যুক্তি নেই। বরং উৎসসমূহের ইঙ্গিতকে তৎকালীন অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ দাড় করানো যায় ।
সেটাই ন্যায় , যুক্তিসঙ্গত্‌ ,প্রাসঙ্গিক এবং যথাযথ।


মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

শায়মা বলেছেন: এ শ্লোকে বলা আছে ” যে সব লোক তাদের নিজ নিজ ইচ্ছেমত কাজ করেছিল গোপাল তাদের শক্তি খর্ব করে শাশ্বত শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।” এই শ্লোকে গোপাল কর্তৃক বিপক্ষ শক্তিকে পরাজিত করার স্পষ্ট ইঙ্গিত আছে।


:)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইঙ্গিত আছে ?
আছে । :)

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

শায়মা বলেছেন: আছে।:)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: :)

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া সেই কাক এর মত আর একটা গল্প কি আর লেখা হলোনা কখনও!:(

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হুবুহু ঐ প্যাটার্ন এর না হলেও এর কাছাকাছি অ বিপরীত একটি আইডিয়া অনেক দিন ধরে মাথায় আছে ।
আশা করছি বছরখানেক এর মাথায় নামাতে পারবো । :)

এখন যে সব বিষয়ে ঝোঁক আছে সেগুলো নামাই ।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০

জেন রসি বলেছেন: এই ইতিহাস জানতাম না।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ অ শুভেচ্ছা জেন রসি ভাই ।
ভাল থাকুন নিরন্তর ।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২

অন্ধবিন্দু বলেছেন: মাহমুদ সাহেব,
রমা প্রসাদ চন্দ, রাখালদাস, নীহাররঞ্জন রায়, রমেশচন্দ্র, এঁরা প্রত্যেকেই কিন্তু “নির্বাচিত অথবা স্বেচ্ছায় অধীনতা স্বীকার” করে নেওয়ার ব্যাপারে খুব একটা সন্দেহ করেন নি বলেই আমার ধারণা(পাঠ সূত্রে)। লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।

ব্লগে ইতিহাসবিদ দের তো দেখাই যায় না। কারণ পাঠক নাই ;) :( হাহ হা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু ভাই । অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম । ভাল আছেন নিশ্চয় ।

নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি র বদলে ইতিহাসবিদদের যদি ফ্যান্টাসির কসরত করতে দেখি, বলতে হয় বিপদ!

কে বলল পাঠক নাই ? এই যে আপনি আছেন , হাহাহ
শুভকামনা রইল

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৮

মশিকুর বলেছেন:
ইতিহাসে কখনও কখনও ডাহা মিথ্যা, কল্পনা প্রসূত থিউরিও প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়। কিছুই করার নাই। তবে ঐতিহাসিক গণের উপর আস্থা রাখাই আমি নিরাপদ মনেকরি। তারা আবেগ প্রবন হয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন এটা আমি চিন্তা করতে চাই না। তারা সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে, ঘটনা প্রবাহ মিলিয়ে + কিছুটা কল্পনা করে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য একটা থিউরি দেন। অবশ্য তাম্রলিপি গুলা আমার কাছে, দুর্বোধ্য কোন কবির ফেসবুক স্ট্যাটাসের মতন মনে হয়... ক্ষুদ্র জ্ঞানের কল্যাণে অনুবাদ গুলাও বুঝি না :(


তবে... আমি যেটা জানি সেটার ব্যাখ্যা আমার কাছে কিছুটা গ্রহণযোগ্য<<

'মাৎস্যন্যায় অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গোত্র প্রধানরা নিজেদের মধ্য থেকে একজন রাজা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং গোপালকে রাজা নির্বাচিত করেন।'

এখানে চারটা পয়েন্ট ১) মাৎস্যন্যায় ২) গোত্র প্রধানরা ৩) নিজেদের মধ্য থেকে একজন ৪) নির্বাচিত করেন -বিশ্লেষণ করলে কিছুটা পরিষ্কার হয়...

১) মাৎস্যন্যায়; রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর গোত্রে গোত্রে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারন করে। এসময় কোন একক নেতৃত্ব ছিল না। অবিধানিক অর্থে মাৎস্যন্যায় বলতে নৈরাজ্য; বিশৃঙ্খলা; অরাজকতাময় অবস্থা বুঝায়। এসময় গোপাল অনেক স্থানে আধিপত্য স্থাপন করেছিলেন, কিন্তু একক নেতৃত্ব স্থাপন করতে পারেন নি। তখন আধিপত্য স্থাপন করে কেউই নিশ্চিন্তে থাকতে পারত না, পরের দিনই হয়তো অন্য কেউ তা ছিনিয়ে নিতো। এটাই মাৎস্যন্যায়...

২) গোত্র প্রধান কত্রিক নির্বাচন; অনেকটা আমাদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতন... জনগন সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে আর সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন (অর্থাৎ জনগনের পরোক্ষ ভোটে) তখনকার গোত্র প্রধানেরা জনগনের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল; বলা ভালো এক প্রকার নিরুপায় হয়েই জনগন তাদের গ্রহন করতো।

৩) নিজেদের মধ্য থেকে একজন; মানে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য + পারদর্শী + প্রভাবশালী। এক্ষেত্রে গোপাল যুদ্ধে পারদর্শী থাকাটাইতো স্বাভাবিক। যেহেতু গোত্র প্রধানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেহেতু সবদিক থেকে যোগ্য ছিলেন বলেই না; গোপালকে নির্বাচিত করেছেন।

৪) নির্বাচিত কারে; নির্বাচন পদ্ধতি বর্তমানের সাথে নাও মিলতে পারে। গোত্র প্রধানেরা একত্রে মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন, ফলে সেই যুগের প্রেক্ষিতে সেটাইতো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি।

এখন এটাই যে ১০০% সঠিক তাও বলছি না। কিন্তু এভাবে প্রায় সব দিক ঠিক রেখে সম্পূর্ণ ইতিহাস ব্যাখ্যা করা যায়। এরচেয়ে কত ডাহা ডাহা মিথ্যা ব্যাখ্যা ইতিহাস সহ্য করেছে তার কোন হিসেব আছে? আর কত কত সত্য ইতিহাস চাপা পড়ে গেছে তারও কোন হিসেব নেই। তবে প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস মানার পক্ষে আমি...

ধন্যবাদ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস মানার পক্ষে আমি...
ভুল করবেন এবং বিপদজনক । কেননা -

প্রতিষ্ঠিত ইতিহাসে প্রতিষ্ঠানের ভর চাপানো থাকে। ফলে ব্যাখ্যা ও তেমন।প্রভাব কেটে গেলে দেখা যায় অলংকার খসে
নিরাভরণ হয়ে গেছে । তখন আবার আরেক ইতিহাস ।

উদারহরণ হিসেবে ৭১ ধরি । ভারত , পাকিস্তান , বাংলাদেশ তিন দেশের তিন দৃষ্টিভঙ্গি। তিনরকমের ব্যাখ্যা ।

ফ্যাক্টের ব্যাখ্যাটা কিভাবে করা হচ্ছে তা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ।
মানুষ মেরে কেউ হিরো হচ্ছে কেউ জিরো হচ্ছে ।

নাম ধরে ধরে বলতে চাইনা , তাদের অসম্মান হবে । কিন্তু অনেক জায়গায় দেখলাম তারা বর্তমানের উপাদান দিয়ে
অতীত বিশ্লেষণ করেছেন । যা সম্পূর্ণ ভুল/

লিখতে ইচ্ছে করছে না তবে আপনি উদাহরণ চাইলে দেবো ।
বাকি বিষয়ে কাল বলছি ।
ভাল থাকবেন মশিকুর ভাই




১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বিষয়টাকে এভাবে দেখা গেলে কেমন হয় ?
বাহুবলে দখল করলেও একজন রাজার উজির নাজির অমাত্য বা গোত্রপ্রধান ইত্যাদির সাপোর্ট লাগে , যেই দখল করুক । সে হিসেবে গোপাল উল্লেখযোগ্য গোত্রপ্রধানের সাপোর্ট পেয়েছিল , সাপোর্ট পাওয়া মানে তাদের নির্বাচিত। প্রকৃতি পুঞ্জ দ্বারা গোপাল সমর্থিত গোত্রপ্রধান দের বোঝানো হচ্ছে । কিন্তু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গোত্রপ্রধান দের সমর্থন দ্বারাই তিনি বিনা যুদ্ধে বা শান্তিতে গদিতে বসতে পারেন নি । যারা তার বিরোধী তাদের কে পরাজিত করে তাকে গদিতে বসতে হয়েছিল। এভাবে ব্যাখ্যা করলে উক্ত খালিমপুর শ্লোক এবং পাল রাজাগণের বিভিন্ন তাম্রশাসনে প্রাপ্ত একটি শ্লোক '' যে সব লোক তাদের নিজ নিজ ইচ্ছেমত কাজ করেছিল গোপাল তাদের শক্তি খর্ব করে শাশ্বত শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।” দুটার সামঞ্জস্য রক্ষা পায় বলে মনে হচ্ছে। এছাড়াও আরো দুটা পয়েন্ট খেয়াল করুন ।
১) নির্বাচনের ব্যাপারটা তাম্রশাসনের কোথাও স্পষ্ট করে উল্লেখ হয়নি । এমন কি এ বিষয়ে কোন কথা কোথাও পাওয়া যায় না।বিপরীতে '' যে সব লোক তাদের নিজ নিজ ইচ্ছেমত কাজ করেছিল গোপাল তাদের শক্তি খর্ব করে শাশ্বত শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”এ কথাটি বেশ কয়েক বার এসেছে। গোপাল যদি সবার বা বেশিরভাগ দ্বারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েই থাকেন তাহলে শক্তি খর্ব করার কথা কথা কেন আসা।
২)গোত্র প্রধানরা সিদ্ধান্ত নিলেও সেটাকে আমরা গণতান্ত্রিক বলতে পারি না। কারণ - তারা বাহুবলে গোত্রপ্রধান।ইতিহাসের বিভিন্ন সময় গোত্র প্রধান উজির আমলা বা অমাত্য মন্ত্রিরা তাদের শাসক নির্বাচন করেছেন। সেটাকে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বলি না । এক্ষেত্রেও বলার কারণ দেখছি না ।
আমার মনে হচ্ছে সম্ভাবনার নিক্তিতে এই ব্যাখ্যাটা র পারসেন্টেজ বেশি হবে ।

আজ যখন কথায় কথায় বলা হচ্ছে গোপাল জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সেটা ত একটা ভুল ধারণার জন্ম দিচ্ছে । তারা সম্ভাবনার কথা বলতে পারতেন , কিন্তু সম্ভাবনার জায়গাটাকে সুত্র হিসেবে ধরে বিশেষভাবে জোর প্রদান করা অনভিপ্রেত ।

এরচেয়ে কত ডাহা ডাহা মিথ্যা ব্যাখ্যা ইতিহাস সহ্য করেছে তার কোন হিসেব আছে? আর কত কত সত্য ইতিহাস চাপা পড়ে গেছে তারও কোন হিসেব নেই।

হহাহা । আপনার কথা টা বলতে পারেন চিরন্তন সত্য ।

ভাল থাকবেন প্রিয় মশিকুর ভাই । বরাবরের মত আপনার মন্তব্যে আনন্দ ও চিন্তা র খোরাক পেলাম ।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০২

অন্ধবিন্দু বলেছেন: যে কোনও বিষয়ে ফ্যান্টাসাইজ হওয়া বা করা মানবের নিত্য চর্চিত আমোদ। না চাইলেও হয়ে যায় আরকি !

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যে কোনও বিষয়ে ফ্যান্টাসাইজ হওয়া বা করা মানবের নিত্য চর্চিত আমোদ। না চাইলেও হয়ে যায় আরকি ! হাহা ।
আবার কোন সময় সচেতনভাবে চাওয়া হয়। নিজ গোষ্ঠীর গুণগান বাড়িয়ে বলা আর দোষ চাপিয়ে রাখা এইটা একটা কমন
টেন্ডেন্সি। ইতিহাসবাদ রাও এর ঘেরাটোপে অনেক সময় নিজের অজান্তেই আটকে যান ।/ ।
কেউ কেউ নির্মোহ থাকতে পারেন ।
কেউ পারেন না ।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: তারকানাথ এর বর্ণিত কাহিনীকে ঠাকুরমার গল্পের ঝুলির চেয়েও বেশি কিছু মনে হল।

এই বিষয়ে কিছুই জানি না বললেই চলে, তাই কমেন্টগুলোর দিকে চোখ রাখছি।

পোস্টে প্লাস।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আচ্ছা ভাই । বেশ ভাল মন্তুব্য এসেছে । মশিকুর ভাই অ একটা সুন্দর লজিক দাড় করিয়েছেন ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:



আপাতত পাল পর্যন্ত থাকি ... মহান ব্লগার ডি মুনের বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্য না দেখিয়া আমি কিছু কইতে পারছি না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মহান ব্লগার ডি মুনের বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্য কেবল মাত্র সুজানা সম্পর্কে ই পাইতে পারেন । :P
ধন্যবাদ আমিন ভাই । প্রপিকে আমাগো নতুন ভাতিজার ছবি চাই । :)

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমি তো জানতাম, তাঁর নাম গো মানে গরু| আর পাল তার গোত্র পরিচয়| গোপালের পর পাল হয় এটা প্রথম শুনলাম| সে যাই হোক পোস্ট দারুন| কিন্তু এটাও তো ছোটগল্পের মত ছেড়ে দিলেন মাঝপথে আরো বড় করে দিতে পারতেন

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনি ঠিক । আমি হেডলাইন কারেকশন করেছি ।
আমার প্রশ্নে ফোকাস থাকতে চাইছিলাম , তাই ছোট করেছি ।
ধন্যবাদ আরণ্যক ভাই

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

ফা হিম বলেছেন: এ বিষয় নিয়ে আমারও সন্দেহ আছে। তবে কোথায় যেন দেখেছিলাম এরকম নির্বাচনের ঘটনা আরো আছ। ব্লগার মশিকুর-এর বক্তব্যটা লজিকাল মনে হল।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহিম ভাই । মশিকুর ভাইয়ের কমেন্টে একটা ব্যাখ্যা দিলাম । আপনি অ কিছু ভেবে থাকলে শেয়ার করেন ।
শুভকামনা রইল

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬

সুমাইয়া আলো বলেছেন: অনেক কিছুই জানিলাম, গোপালপাল রাজা সম্পর্কে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে । ভাল থাকবেন :)

১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সম্পূর্ন ভিন্ন ধর্মী একটি লেখা! মানে আপনাকে যারা চিনেন, তা নিশ্চয় জানেন, কেন বলছি ভিন্ন ধর্মী লেখা। সাম্প্রতিক সময়ে আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষনে আমি যে কয়জন মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নিয়মিত পড়াশোনার আগ্রহ দেখেছি, শত ব্যস্ততায় জ্ঞান অর্জনের আকুন্ঠ পিয়াসী হিসেবে স্বীকার করেছি তার মধ্যে আপনি একজন। বিশেষ করে সাহিত্যের অনেক লেখককে নিয়ে আপনার পড়াশোনা বা গবেষনার চেষ্টাটি সত্যি দারুন। আপনি আরো নিয়মিত লিখুন। তবে প্রতিভা হিসেবে আপনি এখন আর লিখতে চান না, শুধু পড়তেই চান। এটা হবে না।

এবার ফিরে আসি মুল প্রসঙ্গে, আমার মতে আপনি ইতিহাসের এক অন্ধ গলিতে হাত দিয়েছেন। গোপাল পাল সম্পর্কে বিস্তারিত কোথাও তেমন লেখা নাই। গোপাল পাল সম্পর্কে আমার তেমন আগ্রহ ছিল না, তবে খুব সম্ভবত অনেক দিন আগের এক ব্লগ পোস্টে এই বিষয়ে একটি লেখা পড়েছিলাম। তখন টুকটাক শুনেছিলাম। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে গোপাল কে ছিলেন, এটা নিয়েই দ্বিধা ছিল। তবে এই ব্যাপারে আমার কাছে খালিমপুর লিপির বক্তব্যই বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে।

তবে আপনার একটি বক্তব্যের সাথে আমি সহমত। আমিও প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস মানার পক্ষে নই। আমার মতে ইতিহাসের কোন শেষ নেই। যে কোন সময় ইতিহাস পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে কোন এক অজানা তথ্য আবিষ্কারে। যেমন দেখুন, বিষয়টি কিছুটা অপ্রসাঙ্গিক হলেও টানছি, সম্প্রতি কোরানের সবচেয়ে পুরানো পৃষ্ঠা নিয়ে কথা উঠেছে। গবেষকরা দাবি করেছেন, এটা ৫৪৫- ৫৫০ খ্রিস্টাব্দের। সেই হিসাবে তো ইসলামের ইতিহাসই পালটে যাবার কথা। বিষয়টা যত ইন্টারেস্টিং তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর।

যাইহোক, 'মাৎস্যন্যায়' যুগ থেকে কারো কিছু শেখার আছে? কেউ কি সর্তক হবেন না মিল খুঁজে পাবেন? কে হতে পারে এখনকার গোপাল? :P

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা ভাই ।
ভালবাসেন বলেই এত কথা বললেন ।
গোপাল পাল সম্পর্কে বিস্তারিত কোথাও তেমন লেখা নাই। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে গোপাল কে ছিলেন, এটা নিয়েই দ্বিধা ছিল।
মজার ব্যাপার কিন্তু এটাই । এতজন সম্পর্কে জানা যায় , তার ছেলে , নাতি এদের সম্পর্কে এত কিছু জানা যায় , আর এই বংশের ফাউন্ডার তার সম্পর্কে ডিটেল কিছু জানা যায় না । ব্যাপারটা কেমন যেন । মনে হয় কাহিনী আছে !!

খালিমপুর লিপির ব্যাপারে আমার মতামত মশিকুর ভাইয়ের কমেন্টে দিয়েছি ।

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হচ্ছে এর পেছনে প্রায় সময় রাজনৈতিক হাত থাকে। কে কেন কি জন্য বলছে তা সবসময়
তাই মাথায় রাখতে হয় ।

কে হতে পারে এখনকার গোপাল? হাহাহ । দেখার জন্য আমিও ইচ্ছুক । কে হবে তা এখন জানা না গেলেও সাক্ষীগোপাল হিসেবে যে আমরা আছি তা পরিস্কার :P

মতামতের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কাভা ভাই ।
ভাল থাকবেন /
অনেক শুভকামনা রইল

১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গোপাল রাজা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেল । সুন্দর পোস্ট +

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই । ভাল থাকবেন ।

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩০

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: পরিস্কার হলো না । ঘোলাটে হয়ে গেলো ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সুত্র ঘোলা , সমাধান অ ঘোলা
কি আর করা !!

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সুমন কর বলেছেন: গোপাল পালের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। তোমার পোস্ট পড়ে জানলাম। বাকিটা ইতিহাস..........

আমাদেরকে ভিন্ন ধর্মী পোস্টসমূহ উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকা হোক।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন সুমন দা ।
শুভকামনা রইল /

১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

এহসান সাবির বলেছেন: দারুন শেয়ার।

অট- আমার নানা আজ আপনার কথা জানতে চেয়েছিলেন।

ভালো থাকুন ভাই।

শুভ কামনা।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: নানাজিকে আমার সালাম দেবেন ।
অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ।
ব্লগ লাইফের শুরু হতে আপনিও যেভাবে অনুপ্রাণিত করছেন ,তার মূল্য আমার কাছে অপরিসীম ।

ভাল থাকবেন প্রিয় সাবির ভাই ।
শুভকামনা রইল

১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানলাম। এ ধরনের লেখার খুব অভাব। বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসের চর্চা এখন সময়ের দাবি। অনেক শুভেচ্ছা রইলো ভাইয়া।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পড়ার জন্য আপ্নাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ অ কৃতজ্ঞতা । ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা ।

১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গোপালকে নিয়ে আকাদেমিক আলোচনার অবকাশ আছে। সময় করে এসে ভালমত আলোচনা করার ইচ্ছে রাখি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম প্রোফেসর।
শুভকামনা রইল ।

২০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


গোপাল নিয়ে যে খুব লেগেছেন? ইতিহাস-কাতরতা খুবই ভলো... কিন্তু এ বিষয়টি একটু স্পর্শকাতর ভায়া! B:-/

গোপাল রাজার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে কিন্তু গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী দেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং তাঁর কন্যা আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কিন্তু কোন প্রশ্ন থাকা বলবে না। হুম...

অতএব গোপাল, গোপালি অথবা গোপালগঞ্জ (এমন কি গোলাপ কিংবা গোলাপি হলেও... না) বিষয়ক কোন আলোচনায় এই পাঠক প্রবেশ করতে ইচ্ছুক নয় 8-|

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভয় পেলুম । :(
গোপাল, গোলাপ দূরে থাক, এখন থেকে গো
দেখলেও নাই গো ! :((

অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম প্রিয় মইনুল ভাই
:)
আশা করি ভাল আছেন ।
শুভকামনা রইল /।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.