নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

@ @

মাহমুদ০০৭

@ @

মাহমুদ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই আলোচনা - যেভাবে তৈরি হল একটি মিথ

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

লেখকের নাম- আহমদ জসিম
প্রকাশনী- তেপান্তর
প্রচ্ছদ- অঞ্জন সরকার জিমি

বইটি নিয়ে বলার আগে দুচারটি বাড়তি কথা বলতে চাই। হালফিল সময়ের বেশ কিছু গল্প পড়ার সুযোগ হয়েছে। সৌভাগ্য নাকি দুর্ভাগ্য জানি না, বেশিরভাগ গল্প তত্ত্ব, তথ্য, দুর্বহ দর্শনের ভারে ভারাক্রান্ত। নানা তত্ত্বকথায় ফুলানো, ফাপানো। দর্শন, তথ্য বা তত্ত্ব থাকা দোষের তা বলছি না। তবে গল্পের সাথে তার সুষম মিশ্রণ থাকা চাই। নচেৎ ভার ভার বা শ্লোগান ঠেকে। ‘যেভাবে তৈরি হল একটি মিথ’ এ এসব ব্যাধির লক্ষণ না পেয়ে স্বস্তি পেয়েছি। সাহিত্যে ইদানিং ‘সরসতা’ নামক বস্তুটির দেখা পাওয়া দুর্লভ হয়ে গেছে। আহমদ জসিমে তা দেখতে পেয়ে ভাল লেগেছে। গল্পে লেখকের আলাদা কোন স্বর বা উপস্থিতি নেই। লেখক এখানে কেবল প্রত্যক্ষদর্শী, বর্ণনার সাথে লেখক ঘনিষ্ঠভাবে লেপ্টে আছেন।

গল্পগ্রন্থে মোট ৭ টি গল্প রয়েছে। প্রথম গল্প নরবানিজ্য। বস্তির লোকের ধনীদের কাছে শিশুসন্তান বিক্রির কাহিনী। লেখকের করণকৌশলে ঘটনাটি নাটকীয় হয়ে পড়ে। ধনী নিঃসন্তান দম্পতি জামশেদ সাহেবের সন্তান চাই। সন্তান যোগাড় করে দেয়ার ভার পড়ে তার ফাইফরমাশ খাটা লোক ধুরন্ধর শুক্কুর মিয়ার উপর। মোটা টাকার গন্ধে শুক্কুর এই কাজ লুফে নেয়। শুক্কুর ভেবে রেখেছিল, একই বস্তিতে থাকা রেখার শিশুসন্তানকে বেছে নেবে। রেখার শিশুটি জন্মের আগেই এক ধনী লোকের কাছে বিক্রি করবে বলে বন্দোবস্ত হয়েছিল। তবে শেষতক লোকটি সন্তান কিনে না নেয়ায় রেখা বিপাকে পড়ে। অর্থের সন্ধানে কোলের শিশুকে নিয়ে সে মাজারে গিয়ে লোকের কাছে হাত পাতে। এবং ভালোই আয় রোজগার হতে শুরু করে। তাই শুক্কুরের প্রস্তাবে এবং প্রতিবেশী রফিকের বউয়ের বুদ্ধিতে সে রাজি হয় না। শুক্কুর নানা ছলাকলা করে তাকে রাজি করাবার তালে থাকে। একসময় শুক্কুর ভাবে সে তার নিজের সন্তানকেই বা বিক্রি করছেনা কেন?জোয়ান বয়েস তার, এমন আরো কয়েক ডজন সন্তান সে জন্ম দিতে পারবে। কিন্তু শুক্কুর উদ্যোগী হবার আগেই রেখা শুক্কুরের সাহেবের কাছে তার সন্তান বিক্রি করে আসে!

দ্বিতীয় গল্প ‘দেখে নেয়ার দিন’ বেশ বিনোদনধর্মী। গল্পের চরিত্র মাহতাব তার এলাকার কাছাকাছি ছিনতাই এর শিকার হয়। এলাকার কাছাকাছি ছিনতাই এর শিকার হওয়ায় মাহতাবের গর্বে টান লাগে। মাহতাব সিদ্ধান্ত নেয় এ ঘটনার কড়া শোধ নেবে। সে কারাতে শেখা শুরু করে। একটা চাকু সঙ্গে রাখে। যে জায়গায় সে হেনস্তা হয়েছিল, মাহতাব তার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে। কিন্তু কোথায় ছিনতাইকারী! অবশেষে .. পাঠকের মজাটা নষ্ট না করার জন্য দাড়ি টেনে দিচ্ছি। এ গল্পটি অবলম্বনে কথাসাহিত্যিক মশিউল আলম ‘প্রতিশোধ পর্ব’ নামে একটি টিভি নাটক নির্মাণ করেছেন।

তৃতীয় গল্প ‘রহিম বাদশার টি স্টল’ পোক্ত, চমৎকার অনুধাবনমূলক, জীবনরসে দ্রবীভূত গল্প। পাশাপাশি বিপরীতে রহিম ও বাদশার চা নাস্তার দোকান। রহিম মিয়ার দোকানে ডিশ লাইন যুক্ত টিভি থাকায় লোকের অভাব হয় না। অপরদিকে বাদশার দোকানে তেমন লোক হয় না বললেই চলে। আয় বেশি হবার বিষয়টিকে রহিম মিয়া খোদার রহমত হিসেবে দেখে। রহিম মিয়া নিজে ধর্ম – কর্ম করে এবং বউ – মেয়েকেও ধর্ম পালন করতে জোর খাটায়। একদিন বাদশাহ মারা যায়। দোকান চালানোর দায়িত্ব নেয় বাদশার স্ত্রী -কন্যা। এবার পাশার দান উল্টে যায়। বাক্সের নারীর চেয়ে জীবন্ত নারীর আকর্ষণ বেশি – এ কথাটির প্রমাণ স্বরূপ যেন লোকে বাদশার দোকানে ভিড় জমাতে শুরু করে। এবার অস্তিত্বের প্রয়োজনে রহিম মিয়া তার বউ মেয়েকেও চায়ের দোকানে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। পুঁজিই ঈশ্বর-ব্যাপারটি গল্পের শুরুতে চোরাস্রোতে থাকলেও গল্পের শেষে এসে সম্মুখে সগৌরবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। চরিত্রের ব্যাপ্তির দিক দিয়ে এ গল্পটিকে গল্পগ্রন্থের সেরা গল্প বলব। রহিম মিয়ার চরিত্র শুধু সাদা কালোয় বিভক্ত নয়, তার মাঝে গ্রে শেডেরও চলাচল আছে। গল্পবর্ণনায় লেখক সেদিকে ইঙ্গিত দিতে পেরেছেন। পরিবেশের সাপেক্ষে রহিম মিয়ার মনস্তত্ত্ব পাঠক মনোযোগের দাবী রাখে।

‘আদম ও আদিম’ গল্পটি পড়তে গিয়ে অনেকের হয়ত কিশোরবেলার কথা মনে পড়বে। কিশোরকালে উত্তেজক চটি বই সংগ্রহ ও পড়ার বিষয়টি নিয়ে গল্প শুরু হয়েছে। দারুণ চমকানো শেষ। হাতেনাতে একজনকে চটি বই সহ ধরার পর ধর্মশিক্ষক নিজেই ছেলেটির কাছে আরো চটি বই আছে কিনা জানতে চান এবং পরে আরো এনে দেবার অনুরোধ করেন। শিক্ষকের এই রূপে ছাত্র হতবাক হয়ে যায়।

রূপালি আর দিলুয়ারা এ দুজনকে কেন্দ্র করে ‘সোনার কাঠি অথবা রূপালি মেয়ে’র গল্পকাহিনী আবর্তিত। ১৭ বছরের কিশোরী রুপালি ৩৮ বছরের দিলুয়ারার সাথে লেসবিয়ান সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরিবার, সমাজকে থোরাই কেয়ার করে তাদের প্রেম চলতে থাকে। একদিন রিক্সায় চড়ে দুজনে বেড়াতে যাওয়ার সময় দিলুয়ারা রিক্সাওলায়ার কাছে একটি সোনার কাঠি দেখতে পায়। সোনার কাঠিটি রিক্সাওয়ালা রিক্সায় কুড়িয়ে পেয়েছিল। দিলুয়ারা সোনার কাঠি কিনতে আগ্রহ দেখায়। রিক্সা ঘোরাতে বলে। রুপালি বুঝে যায় দিলুয়ারা দামী কিছু খুঁজে পেয়েছে। সেও সোনার কাঠির মূল্যের অর্ধেক তার – বলে জানিয়ে দেয়। রিক্সাওলাকে সোনার কাঠির দাম দেয়ার সময় দিলুয়ারা কাঠিটি হারিয়ে যাবার অভিনয় করে। কিন্তু রূপালি বিশ্বাস না করায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। রূপালির ধারণা কাঠিটি কমপক্ষে ১০ ভরি হবে। রাতে দিলুয়ারা বস্তি হতে পালাবার সিদ্ধান্ত নেয়। ভোরে জুয়েলারির দোকানে গিয়ে দিলুয়ারার সপ্নভঙ্গ ঘটে। এখন কোথায় ঠাঁই নেবে দিলুয়ারা?

‘জাদুঘর’ গল্পে ডঃ ইউনুসের নোবেলপ্রাপ্তির সংবাদে স্থানীয় এলাকাবাসী শুক্রবারে মিছিল ও দোয়া মাহফিল করার ঘোষণা দেয়। শুক্রবারে মিছিল শেষ হয়ে দোয়া মাহফিলের মুনাজাতের সময় খবর আসে এলাকার ফইরার বাপ ঋণের কিস্তি দিতে না পারার ভয়ে আত্মহত্যা করেছে।

‘যেভাবে তৈরি হল একটি মিথ’ যার নামে গল্পগ্রন্থের নামকরণ, সবার শেষে আছে এই গল্পটি। বস্তির তিনটি ঘরের জন্য একটি অন্ধকার টয়লেট। এই টয়লেটে রাতের অন্ধকারে চলে রাবেয়া মন্টুর প্রণয়লীলা। এ স্থান বেছে নেয়ার কারণ একটাই – সাধারণত রাতে এখানে কেউ আসে না। সবাই কলগোড়ায় প্রয়োজন সারে। কিন্তু একরাতে প্রেম চলার সময় হঠাৎ রাবেয়ার মা এসে উপস্থিত হয়। রাবেয়া টয়লেট হতে দ্রুত বেরিয়ে যায়। ভয়ে অন্ধকারে টয়লেটের দেয়ালের গায়ে সিটিয়ে থাকে মন্টু। রাবেয়ার মা মন্টূর ছায়া দেখে মূর্ছা যায়। মৌলভি ঘোষণা দেয় জীন আছে। দু’চারজন যাও টয়লেটে যেত তারাও এবার ভয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। মন্টু – রাবেয়ার তাতে পোয়াবারো। একসময় গর্ভবতী রাবেয়া বিয়ের চাপ দেয়। গ্যাড়াকলে পড়া মন্টু মৌলভির স্মরণ নেয় এবং মৌলভি তাকে উদ্ধার করে। আসলেই কি? না, মন্টু নিজেই নিজেকে মিথের মাধ্যমে উদ্ধার করে। মৌলভি তার করণিক উপায় মাত্র।

অসংযমী পষ্টাপষ্টি বক্তব্যের জন্য কোথাও কোথাও গল্পের শিল্পমান ব্যাহত হয়েছে। যেমন-‘জাদুঘর’ গল্পে হাইস্যা পাগল্পের বলা ” ইউনুচ বদ্দার দরিদ্রমুক্ত স্বপ্নের জাদুগরর প্রথম যাত্রী জোবরা গ্রামর আরার ফইরার বাপ, আল্লাহু আকবর।” গল্পের শরীর জুড়ে হাইস্যা পাগলের এরকম অতিরিক্ত দু’একটি মন্তব্যে হাইস্যাকে জাতে মাতাল তালে ঠিক টাইপের পাগল মনে হয়। অন্য গল্পগুলোর মত স্রেফ ঘটন বর্ণনার মধ্য দিয়েও লেখক তার উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারতেন, অভিঘাত ও তীব্র হত। এছাড়াও রহিম বাদশার টি স্টলে রহিমের তার বউকে বলা – ‘তুমি পড়বা পাতলা শাড়িখান যাতে শাড়ির ফাঁক দিয়া পেটের ভাঁজ দেখা যায়’ কথাটি বেহুদা, দৃষ্টিকটু, খাপছাড়া মনে হয়েছে। না থাকলেও চলে।

সমাজের কুসংস্কার, মনোবিকৃতি, মনোবিকলন, দ্বৈত ব্যক্তিস্বত্বা, সুবিধাবাদী চরিত্র, বৈচিত্র্যময় আবেগীয় আচরণ প্রভৃতি অনুষঙ্গে ভরপুর আহমদ জসিমের গল্পজগত। চলিত শব্দ প্রয়োগে, বর্ণনায়, কথোপকথনে, চলতি প্রবাদ বাক্য ব্যবহারে মানুষের অভিব্যক্তি আচরণের স্বতঃস্ফূর্ততা বড় জীবন্ত, প্রাণময় হয়ে ফুটে উঠেছে। গল্পের চরিত্রগুলোর নাড়াচাড়া তাই যেন চোখের সামনে দেখতে পাই। এটাই গল্পকারের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক এবং তার চাদরে খুঁটিনাটি দুর্বলতা চাপা পড়ে যায়। খুব কম লেখকের এমন জীবন্ত প্রকাশক্ষমতা থাকে। আহমদ জসিমের লেখা দ্রুতগতির। বর্ণনা, চরিত্রের ভাবনা ও কথোপকথনের এক অনুপম মিশ্রণে তিনি নিজস্ব একটি স্টাইল দাড় করিয়েছেন। অনভ্যস্ততার দরুণ- গল্পশরীরে প্রচলিত গল্পবয়ানের কিছু পরিচিত কৌশলের অনুপস্থিতি, দ্রুত ও কোথাও কোথাও চটপটে ভাবের জন্য এই শৈলী কাউকে কাউকে সন্তুষ্ট করতে না পারলেও সন্দেহ নেই, এই স্টাইলটি খুব কমিউনিকেটিভ এবং তা আহমদ জসিমের নিজস্ব চিহ্ন ও স্বর বহন করে। এটি আহমদ জসিমের তার মত করে সিদ্ধি লাভের যথাযথ কৌশল, ইতিমধ্যে তিনি তার প্রমাণ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আরেকটি কথা স্মরণে রাখলে মনে হয় ভাল হবে। শহুরে বস্তির নিম্মশ্রেণির মানুষজন তার লেখার প্রধান উপজীব্য। জীবনঅস্তিত্বের সঙ্কটে, হাতছানিতে এই শ্রেণির মানুষের জীবনধারা নিজগুণে বৈশিষ্ট্যময় ও যথেষ্ট নাটকীয়। এ জীবনের বিশ্বস্ত অনুসরণে তাই লেখা বিস্তারে না গিয়ে দ্রুত চলাচল করে, নাটকীয় বাঁক পায়। বিষয়বস্তুর সাথে লেখকের নিজস্ব রচনাশৈলী তাই খাপে খাপে মণিকাঞ্চন হয়ে গেছে। আজকালকার অনেক লেখকের লেখার সাথে জীবনের যোগ নেই। জীবন থেকে বেশ নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে,দূর থেকে দেখে, তার সাথে নিজের ভাসা ভাসা ধারণা যোগ করে বানানো গল্পগুলো তাই পাঠক স্নায়ুতে আলোড়ন তুলতে পারে না। গল্প লিখতে আহমদ জসিমকে আরোপিত কিছু করতে হয়নি, বিদেশ বিভূঁইয়ের গল্পমশলায় হানা দিতে হয়নি। আমাদের চারপাশের বয়ে চলা প্রবহমান জীবনধারার কড়ি আনা পাই তিনি তার গল্পে বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরেছেন। বর্ণিত জীবনের সাথে লেখক একা হতে পেরেছেন বলেই তা সম্ভব হয়েছে। আহমদ ছফা বলেছিলেন,’জনগণের মধ্যে যে জীবনপ্রবাহ তার মধ্য থেকে প্রাণ আর রস আহরণ করতে না পারলে সাহিত্যে সজীবতা আসবে না।’গল্পপাঠে গল্পকারের প্রাণ-রস আহরণ প্রয়াসের চিহ্ন মিলেছে। তার গল্প খাঁটি দেশি গল্প।
পাঠকের প্রসাদ পাওয়ার মত যোগ্যতা গল্পগুলোর আছে। বহুল প্রচারে বইটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে বিশ্বাস করি।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

আরজু পনি বলেছেন: এখন জরুরী কাজে বাইরে যেতে হচ্ছে...ফিরে পড়ে শেষ করার অাশা রাখি ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আচ্ছা আপা। অপেক্ষায় রইলাম ।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর রিভিউ, মাহমুদ ভাই।
আমরা রিভিউ লিখতে বসলে অনেকটা অসৎ হয়ে যাই, যে বইয়ের রিভিউ লিখি সেটাকে একটা মাস্টার পিস বানিয়ে ছাড়ি!
আপনার রিভিউ পড়ে তেমন মনে হলো নাহ।
বেশ সৎ ও সিম্পিল রিভিউ।
নামটা বইএর পাঠককে আকর্ষণ করার মতো।
আমি পারলে সংগ্রহ করবো। কিন্তু শালার এমন জায়গায় থাকি যে চাইলেও সংগ্রহ করা হয় না অনেক প্রিয় বই থেকে শুরু করে সব কিছু।
+

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যে বইয়ের রিভিউ লিখি সেটাকে একটা মাস্টার পিস বানিয়ে ছাড়ি!
- হাহাহ হ্যা এরকম একটা প্রবণতা ত আছেই, আবার উল্টোটাও আছে। 'কিছুই হয় নি' এরকম রিভিউ অ মেলা।
এখানে একটা ব্যাপার ও কাজ করে।ভাল লাগলেই মানুষ রিভিউ দেয়। নয়ত রিভিউ লেখার দরকার হয় না।

আপনার মন্তব্যে স্বস্তি পেলাম ।
একটা বই পড়ে নিজে যা বুঝলাম, কি কি ক্যাচ করতে পারলাম তা প্রকাশ করাকেই মনে করি রিভিউএর উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
তাতে গতানুগতিক প্রবণতা থেকে মুক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন চোখের দেখাও পাওয়া যায়।
আপনি নীলক্ষেত ডট কম সাইট দেখতে পারেন । তারা পুরোন ভাল বই সার্ভিস দেয় । আপনাদের এলাকায় সার্ভিস দিলে আশা করি ঝামেলামুক্ত হবেন ,
শুভকামনা রইল।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

ডি মুন বলেছেন: আহমদ জসিমের লেখা দ্রুতগতির। বর্ণনা, চরিত্রের ভাবনা ও কথোপকথনের এক অনুপম মিশ্রণে তিনি নিজস্ব একটি স্টাইল দাড় করিয়েছেন। অনভ্যস্ততার দরুণ- গল্পশরীরে প্রচলিত গল্পবয়ানের কিছু পরিচিত কৌশলের অনুপস্থিতি, দ্রুত ও কোথাও কোথাও চটপটে ভাবের জন্য এই শৈলী কাউকে কাউকে সন্তুষ্ট করতে না পারলেও সন্দেহ নেই, এই স্টাইলটি খুব কমিউনিকেটিভ এবং তা আহমদ জসিমের নিজস্ব চিহ্ন ও স্বর বহন করে।


-------------- আহমদ জসিম পাঠের ইচ্ছা রইলো। পাঠের তালিকায় রাখলাম বইটি। ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগারকেও।

ধন্যবাদ জানবেন সুধী।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

বিজন রয় বলেছেন: ভাল!!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

ফা হিম বলেছেন: স্পয়লার দিয়ে দিলেন তো ভাই :D
রিভিউ ভালো লেগেছে। বইটি পড়ার ইচ্ছে থাকলো।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ফাহিম ভাই :)
ঢাকায় বোধ হয় বইটি নাই । চিটাগাং এ শুধু ২ কপি আছে ।

ভাল থাইকেন ।
বইয়ের সাথে সুন্দর সময় কাটুক আপনার ।


৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



বাব্বাহ... একদম প্রফেশনাল রিভিউ.... ইমপ্রেসড!!!!
শেষের অংশ পড়ে আমি পুরো কাত হয়ে গেছি, মাহমুদ০০৭ ভাইয়া!


'যেভাবে তৈরি হলো একটি মিথ'.... আমি একটা কিনতাম ছাই :((

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: খুশিতে কিতা করাম আমি কিতা করাম :)

ইমপ্রেসড আর কাত
ইয়াহু !!
করেছি কিস্তি মাত :)



আনন্দ পেলাম প্রিয় মইনুল ভাই ।
আশা করি ভাল আছেন ।
হাসি মাখা মুখ থাকুক অমলিন।

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: রিভিউ ফেবুতে আগেই পরেছিলাম।

নতুন বই পড়তে পারি না, পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে। গত মেলার বই এখনো পড়তে পারি নি।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: তা ত জানি ই ভাই ।
দোয়া করি দ্রুত মেঘ কেটে যাক ।
ভাল থাকবেন প্রবাসী ভাই

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমাদের সাহিত্যজগতে সমকালীন লেখার উপরে সমালোচনাসাহিত্যের অভাব আছে। আপনি যেভাবে প্রশংসা এবং প্রয়োজনীয় সমালোচনাটুকু করলেন, এককথায় মুগ্ধ। আপনি নিঃসন্দেহে অভাবটা ঘুচাতে পারবেন।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাইম ভাই । ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে । ব্লগে আপনাকে দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে ।
সময় করে করে ব্লগে থাইকেন , তাইলে নিজেরো একটা রিদম থাকবে ।
আপনের গল্প শীঘ্রই পড়তেছি ।
ভাল থাইকেন ভাই ।

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মেলায় যাচ্ছি সামনে। কিনে নেব। এরকম রিভিউ আরও দরকার আমাদের, মানসম্মত নতুন লেখক/তুলনামূলক অপরিচিত সাহিত্যিকদের পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যে পেপার/ লিটল ম্যাগাজিনের ওপরে নির্ভর করার দিন নেই, এখন ব্লগের ওপরেও এনাদের পরিচয় করিয়ে দেবার ভার এসছে।

সমালোচনা ঠিক আছে কি না বই পড়ে বুঝব B-)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সমালোচনা ঠিক আছে কি না বই পড়ে বুঝব ।
হাহাহাহ , দিলেন ত ডর লাগাইলা B-)
প্রফেসর তখন খুঁটিনাটি ভুল করা শুরু করলে কই যাবো। :P
উনার এই বইটা মার্কেটে আছে মাত্র দুই কপি ।
দুঃখজনক হলেও সত্যি , চাহিদা থাকা সত্ত্বেও উনার এই বইটির আর রিপ্রিন্ট করা হয়নি । এর পর উনার আরো একটা ছোটগল্পের বই আছে সেটারো একই অবস্থা ।
পেপারে আমাদের দেশের নতুন লেখক / তুলনামূলক অপরিচিত সাহিত্যিক নিয়ে তেমন কিছু আমার চোখে পরেনি । পুরোনোদের নিয়েই চর্বিতচর্বণ দেখি। আর বিদেশী লেখক হলে নোবেল - বুকার ওলাদের । প্রায় ক্ষেত্রে পুরুস্কার পাওয়ার আগে এদের নাম শুনিনা,পেপারে লেখাও দেখি না , পুরুস্কার পাওয়ার পর দেখি অই লেখক বিশেষজ্ঞ ব্যাঙের ছাতার মত গজায় , লেখার ভাবে সাবে এমন - তাহাকে আমি তাহার মার আমল হইতে চিনি ।
লেখক লিটল ম্যাগ জগতে সুপরিচিত একজন।
লিটল ম্যাগাজিনের ওপরে নির্ভর করার দিন নেই, - আপনার সাথে আমিও একমত । এবং মনে করি লিটল ম্যাগ বা
পত্রিকার জায়গা / বৈশিষ্ট্য সামনে ব্লগ নিয়ে নেবে ।
মনোপলি সিস্টেম ভাঙ্গার শক্তি ব্লগের / অনলাইনের আছে ।
রুচি বিভিন্ন , জানিনা আপনার কেমন লাগে । তবে তার লেখা আমার ভাল লেগেছে । ব্যক্তিগতভাবে লোকটা সম্পর্কে
জানার সুযোগ হয়েছে বলে তার ব্যক্তিত্ব , তার সাহিত্য দর্শন সম্পর্কে জানতে পেরেছি ।
তার লেখাটা আমার কাছে ' র ' মনে হয় । অরিজিনাল মদ । মদে যেমন পানি মিশালে ঝাঁজ কমে , সহনীয় হয়। উনার লেখা তেমন নয়। পলিশড ভাবটা নেই । এটা আমাকে আকর্ষণ করেছে। মানুষের বাহ্যিক এক্টিভিটির প্রকাশ লেখায় হুবহু পাওয়া যায়।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার প্রাণময়তা।
লোকটার লেখায় ফাঁক থাকতে পারে , কিন্তু ফাঁকি নেই।
এবারে লেখকের একটা উপন্যাস বেরিয়েছে। উপন্যাসটি লিখেছিলেন তিনি প্রায় ১৭ - ১৮ বছর আগে। তিনি একটা প্রকাশনীকে এই উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি দিয়েছিলেন। অই প্রকাশনী পাণ্ডুলিপি পড়ে বলল , লেখাটা ৮৩ পাতা হয়েছে, ১৫০ পাতা করলে ছাপাবো। তিনি রাজি হলেন না । উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি তিনি আমাকেও দিয়েছিলেন । ত পড়ে আমার মনে হল - এর কিছু জায়গায় হাল্কা মাংস যোগ করলে পরিপূর্ণ হয়। আমি বললাম এবং আমার মত করে সাজেশন দিলাম। আমি যখন সাজেশন দিচ্ছিলাম তখন টের পাই, তার ভেতরে কেমন একটা ভাংচুর চলছে । মুখের রেখা বিষণ্ণ ।
এর এক সপ্তাহ পর আমাকে বললেন , আমি জানি বুঝি এখানে কিছু যোগ করলে পরিপূর্ণ হবে , কিন্তু লেখাটি আমি লিখেছি
১৭- ১৮ বছর আগে। সেই জসিম আর আজকের জসিম ত এক নয়। আমি সেই জসিমে আজকের জসিমের ছাপ ফেলতে চাই না । লেখা যাই হোক আমি এটা এভাবেই রাখতে চাই । প্রকাশক ছাপলে ছাপবে না ছাপ লে নাই । আমি এই লেখায় কলম চালাতে পারব না ।

তিনি না বললেও কোথায় তার বাধা সেটা আমি টের পেয়েছি/। জীবন থেকে নেয়া গল্প বলে তিনি অই জায়গাটা ধরে রাখতে চান । অই প্রকাশনী ফিরিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত মইনুল আহসান সাবেরের দিব্যপ্রকাশ বইটি ছাপতে রাজি হয়। উপন্যাসের নাম ''লালু অপেরার কইন্যা''।
পাণ্ডুলিপি পড়ার সময় আমার মনে হচ্ছিল , এত বড় বড় দিগগজ উপন্যাস না পড়ে এরকম একটা উপন্যাস পড়া ভাল ।
ভাষায় প্রকাশ করা না গেলেও মনে হয় লেখকের লেখায় কি যেন একটা আছে। ভাল কাজ হয়েছে । আর কিছু না হোক - লেখাটা সোশ্যাল ডকুমেনশন হিসেবে থাকবে।

অনেক কথা বলে ফেললাম । হয়ত আপনার বিরক্ত ও লাগছে। আপনার আন্তরিক মন্তব্য কিছু বলার জন্য মন উস্কে দিল । মনে হল কিছু কথা আপনার সাথে শেয়ার করা যায় । তাই বলা। নিচে আলাদা আরেকটা কমেন্টে বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা কথা গুলো তুলে দিচ্ছি।
ভাল থাকবেন প্রফেসর । সুন্দর সময় কাটুক আপনার ।





০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ফ্ল্যাপের লেখা -
ধারণ চোখে দেখা আমাদের সমাজটাকে এর নানা প্রবণতাগুলোকে দেদীপ্যমান করার
তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ‘লালু অপেরার কইন্যা।’ মানবিক সম্পর্কের গতি-প্রকৃতি
, টানা-পোড়েন স্বার্থপরতা নবতর বিন্যাসে উপস্থাপিত হয়েছে এই উপন্যাসে।
লুপ্ত প্রায় যাত্রা শিল্পের সংশ্লিষ্টদের , আনন্দ বেদনার বয়ান বিবৃত হয়েছে পরম
মমতায়। এমন একটা সময় ছিল যখন নারীরা ঘরবন্দি ছিল, সম্পূর্ণ নারী
বর্জিত ছিল নাটক, যাত্রা পালা। তখন পুরুষদের সাজিয়ে-গুছিয়ে নারী রূপে
উপস্থাপন করা হতো, যা এখন মূলত ইতিহাসের পাতায় এবং কিছুটা এই
উপন্যাসের পাতায়-পাতায়। মানুষের অন্যান্য প্রবৃত্তির মতো সমকামিতাও
একটা যৌন প্রবৃত্তি, যা নিয়ে কৌতূহল, সংশয়, বিধি-বিধান, আতশি কাছের
নীচে রেখে মানব মনের গতি প্রবাহকে ধরার চেষ্টা করেছেন ঔপন্যাসিক।
এই উপন্যাসের গভীর পরিব্যাপ্তিকে, ভাষা ও শব্দ শৈলীর সূতোয় বুনেছেন মানব মনের
অভিমান, আর অপূর্ণ মনোবাসনা!
ভাগ্যধন বড়ুয়া

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১০

সুমন কর বলেছেন: রিভিউ পড়েই তো বইটি পড়তে ইচ্ছে করছে। সুতরাং বুঝতেই পারছো, রিভিউ ভালো হয়েছে।

সমাজের নিম্নশ্রেণি নিয়ে একটি লেখা লিখতে হবে....

আহমদ ছফা বলেছিলেন,’জনগণের মধ্যে যে জীবনপ্রবাহ তার মধ্য থেকে প্রাণ আর রস আহরণ করতে না পারলে সাহিত্যে সজীবতা আসবে না।’

শুভ সকাল।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমি দিলাম শুভ দুপুর না বিকাল দিমু .........।নাহ দুইটাই লন :P
রিভিউ ভাল লাগায় আনন্দিত হলাম সুমন দা ।
ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা রইল

১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার (নিরপেক্ষ) রিভিউ। আরণ্যক রাখালের কমেন্ট এবং তার উত্তরও খুব মূল্যবান।

বইটির প্রচার ও প্রসার কামনা করছি, লেখকেরও।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ১ বছর পর আমার ব্লগে আস লেন প্রিয় ছাই ভাই :)
তাই খোশ আমদেদ :)
ভাল লাগছে ব্লগে আপনাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ।
লেখকের প্রতি আন্তরিক শুভকামনা জানানোর জন্য আপ্নাকেও ধন্যবাদ ।
ভাল থাকবেন প্রিয় ছাই ভাই । শুভকামনা রইল ।

১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: অবশ্যই চমৎকার একটি বুক রিভিউ! খুবই সাধারণ ভঙ্গিমায় লিখে গেলেও আপনার ঝরঝরে বর্ননার কারণে বইটা পড়ার আগ্রহ ডিগ্রি ডিগ্রি অনুপাতে বাড়ছে। ইচ্ছা আছে সংগ্রহ করে বইটা পড়বো!


শুভ কামনা জানবেন!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বিশ্লেষণী মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সাহসী সন্তান ভাই ।
মইনুল ভাইয়ের পোষ্টে আপনার শুভ কাজের ইচ্ছে প্রকাশিত হয়েছে দেখলাম । হাহাহাহ।/
তাড়াতাড়ি শুভ কাজের সুখবর চাই :)
ভাল থাকবেন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১২

সায়েম মুন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। বইটি পড়ার ইচ্ছে রইলো।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম ভাই ।,আ শা করি ভাল আছেন ।
আশা করি বইটি আপনার ভাল লাগ বে /
ভাল থাকুন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই লেখাটা মানে রিভিউটা ফেসবুকে পড়েছিলাম। তোমার অনেকেই কেমন তরতরিয়ে রিভিউ লিখে ফেলো। ভালো লাগলো। সেখানে বলেছিলাম "‘রহিম বাদশার টি স্টল’ গল্পটা পড়তে ইচ্ছে করেছিলো ( ওটা এনামুল রেজার এফবিতে করেছিলাম।)
শঙ্কুর রিপ্লাইয়ে লেখা তোমার মন্তব্যটা ভালো লাগলো।
তুমি, রেজা, মুন তোমরা অনেক পড় আর মনে রাখার চেষ্টা করো, তোমাদের এই অভ্যাসটা ভালো লাগে সত্যি।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ফেসবুকে পড়েছেন টের পেয়েছি । আপনি কমেন্ট করেছিলেন ।
লেখা তরতরিয়ে হলেও লেখার পেছনের ভাবনা তরতরিয়ে তৈরি হয় না ।
ধুম করে লিখতে পারি না। পারলে ত এতদিনে ফাটাই ফেলতাম B-)
রেজা ভাই মুন ভাই আমার চাইতেও অনেক বেশি পড়ে । মুন ভাইয়ের ত ভাল বেসিক আছে । আমার পড়া কম , যতটা লোকে ভাবে ততটা না ।
ভাল থাকবেন আপা।
শুভকামনা রইল।

১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো রিভিউ। এই বইটি কিনে নেয়া যায়।

তৃতীয় গল্প ‘রহিম বাদশার টি স্টল’ এর সাথে ব্লগার নোমান নমির একটি গল্প 'আবেদনময়ী'র রীতিমত ভীতিকর মিল পেলাম :-* কেউ কি কারো দ্বারা প্রভাবিত কি না বুঝতে পারছি না। অথবা হয়তো স্রেফ কাকতালীয় ব্যাপার। হ্যাঁ, এমনটাই হবে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বইটি পাবেন না , আউট অফ প্রিন্ট । আজ বাতিঘরে লাস্ট ২ কপি ছিল , সেল হয়ে গেছে। তবে এবারের বইমেলায় দিব্যপ্রকাশ হতে লেখকের প্রথম উপন্যাস 'লালু অপেরার কইন্যা' বেরিয়েছে। দেখতে পারেন /
কাকতালীয় ব্যাপার ই ।
‘রহিম বাদশার টি স্টল’ পড়ার সময় আমিও মিল পেয়েছি। পরে নোমান ভাইয়ের গল্পটা আবার পড়ার জন্য আমি প্রথমে আপনার ব্লগে গেলাম । আপনি গল্প টা প্রিয়তে নিয়েছিলেন । কিন্তু লিস্টে পাই নাই ,। পরে উনার ব্লগে গেলাম । পেলাম না । বোধ হয় ড্রাফটে নিয়ে গেছেন ।
আমি উনাকে জিজ্ঞেস করছিলাম নোমান ভাইকে চিনেন কিনা । তিনি আমার থেকেই প্রথম নাম শুনেছেন বললেন ।
নোমান ভাইও মনে হয় না উনাকে চিনেন । যদি এখানে কোন তেরেবেরির গন্ধ পেতাম , লেখাটি লিখতাম না । সবার আগে
আমি ই লেখক সাহেব কে ব্যাম্বু দিতাম ।
তারপর ও প্রভাবের কথা ধরলে নোমান ভাই ধরা খাবেন , হাহাহ B-) নোমান ভাইয়ের লেখাটা ১৩ সালে পোস্ট করা । আর বইটি ২০১০ সালে বের হয়েছে। আর লেখাটা দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তার ও অনেক আগে , ২০০০/০১ সালের দিকে ।
আর হ্যা , এবারের বইয়ের জন্য অভিনন্দন । আনন্দভ্রমের সফলতা কামনা করছি । সেই সাথে বগলদাবাও ।
ভাল থাকুন প্রিয় হাসান ভাই ।
শুভকামনা রইল ।



০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দুঃখিত বগলদাবা বলতে বইটি বগলদাবা করব বুঝিয়েছি :)

১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বইয়ের সবগুলো গল্পের পটভূমি আকর্ষণীয়। তবে গল্পগুলো না পড়তে পারলে ঠিক বলা যাচ্ছে না লেখক কেমন লিখেছেন।


ধন্যবাদ মাহমুদ ০০৭।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই । এটা ত আসল কথাই - পড়ে বুঝতে হবে , রান্না যেমন খেয়ে দেখতে হয় , হাহাহা।
উনার লেখা আপনার লেখার মতই সরস। অনেকে আছেন নিজে যে স্টাইলে লিখেন তার বিপরীত স্টাইল টা হিসেবে পছন্দ করেন ।
আবার অনেকে নিজের টাই । আপনি আপনার স্টাইল পছন্দ করলে আমার মনে হয় তার লেখা আপনার ভাল লাগবে ।
শুভকামনা হেনা ভাই

১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কমেন্টের উত্তরে প্লাস! এরকম ইন্টারঅ্যাকশন-ই ত ব্লগে কাম্য, কি বলেন?

বই কেনার আগ্রহ আর বেড়ে গেল।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হ্যা , মন খুলে কথা বলতে না পারলে কিসের কি !! যদিও সবার সাথে তা করা যায় না ।
আপনার মন্তব্যে স্বস্তি ও সাহস পেলাম ।
ফিরতি মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রফেসর।
ভাল থাকুন ।

১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: বইটা না পড়েও আপনার রিভিউটা পড়ে বোঝা যায়, ইটস এ্যান অনেস্ট রিভিউ। ঝকঝকে তকতকে লেখা, অনেকটা আপনার লোকটার লেখায় ফাঁক থাকতে পারে , কিন্তু ফাঁকি নেই কথাটার মতই।
আপনার যাচাই মান খুব প্রখর এবং উচ্চ, তা দেখে মুগ্ধ।
আপনার "কাক" গল্পটার কথা ভুলতে পারিনা। একটানে লেখা গল্প এতটা নিখুঁত হতে পারে, ভাবাই যায় না।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মন্তব্যে ভাল লাগা :)
একটানে লিখতে না পারলে আসলে লিখতে পারতাম না , এবং অন্য সময়েও না । এখন হলে একদমই না ।
আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা যে লেখার সময় মাথা ভাল কাজ করছিল এবং যেভাবে চেয়েছি সেভাবে পেরেছি।
ভাল থাকবেন । বইয়ের জন্য আবারো অভিনন্দন ।
অনেক শুভকামনা রইল ।

১৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৫

ইমরান নিলয় বলেছেন: রিভিউ ভালো ছিল।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ নিলয় ভাই ।
ভাল থাকবেন ।

২০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

জুন বলেছেন: আরন্যক রাখালের মন্তব্যের সাথে একমত মাহমুদ ০০৭ । বইটি নিয়ে সুন্দর নিরপেক্ষ মতামত । অনেক ভালোলাগলো ।
এই জসিম কি আমাদের ব্লগের জসিম ?
অনেক শুভকামনা রইলো তার জন্য ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ জুনাপা ।
না , জসিম নন আহমদ জসিম নামে আছেন এই ব্লগে ।
শুভকামনা রইল ।

২১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

আরজু পনি বলেছেন:

অসাধারণ আলোচনা ।

এটিকে যে কেউ মডেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন...কোন বইয়ের আলোচনার জন্যে ।
আমি তাই প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ।

গল্পে মিল পাওয়া...কাকতালীয় হলেও আমাদের জীবনেই তো ঘটে যায় একই রকমের ঘটনা...তাই কেউ যদি ইচ্ছেকৃত চুরি না করে সেখানে মিল পেলেও করার কিছু নেই ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার কৃতজ্ঞতা ।
হাহাহ , তাহলে ত আরো মডেল আনতে হয় , এক মডেলে কি পাঠকের মন ভরবে ? :D
সাহিত্যে এ জাতীয় কাকতালীয় ঘটনা মেলা আছে।গল্প ২ টার থিমে মিল থাক্লেও রচনা রীতি , আঙ্গিক অ মুভমেন্টে অমিল আছে। হামা ভাইয়ের কমেন্টে এই দুইটার ব্যাপারে যা বলার বলেছি । আরেকটা তথ্য দেই । সম্প্রতি সামুতে গল্প পুরুস্কার পাওয়া একটা গল্প বাংলা সাহিত্যের একটা বিখ্যাত গল্পের সাথে মিলে যায় । আপনার জন্য কুইজ , বলতে হবে
কোন গল্পটি? :D এবং উত্তর জানা থাকলে চেপে রাখতে হবে কিন্তু ;)
আমার সাকিন গল্পটা বোধ হয় পড়া আছে আপনার । ত কেউ কেউ বলল সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ' রানির ঘাটের বৃত্তান্ত ' গল্পটার সাথে আমার গল্প মিলে যায়। তখনো সিরাজের এই গল্প আমি পড়িনি । সম্প্রতি জাহাঙ্গীর ভাইও কমেন্টে এই গল্পটা তখন পড়েছি কিনা জিজ্ঞেস করেছেন।
যাই হোক সিরাজের এই গল্পটা পরে পড়লাম। পাগলী নিয়েই গল্প । আমার গল্প যেখানে পাগলীতে কেন্দ্রীভূত সিরাজের গল্পে পাগলীর সন্তানের সঙ্কট দেখানো হয়। যা হোক সিরাজের অই গল্প তখন পড়া থাকলেও আমি সাকিন লিখতাম।
এমন কি সিরাজের গল্প আমার মত পাগলীতে শেষ হলেও লিখতাম।
কখন লিখতাম না ? - যখন দেখতাম আমি যা বলতে চাই তা সিরাজ বলে ফেলেছেন।/

শুধু কি লেখার ক্ষেত্রে কাকতালীয় ঘটে ? রেডিও একই সময় পৃথিবীর তিন প্রান্তে তিনজন আবিস্কার করেছেন। নাম পেয়েছেন
মার < কনুই ;)
এখন কার বৈজ্ঞানিক অনেক আবিষ্কার ও দেখা যায় প্যারালালি একই সময়ে কিছু দেশে ।




ভাল থাকবেন । শুভকামনা রইল ।

২২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি বেশি কিছু বলতে পারব না, তবে আমি মনে করি যারা বই রিভিউ করতে চান, তাদের আদর্শ হতে পারে এই পোস্টটি। আপনি অনেক পড়ছেন, জানি সামনে আপনি লেখক হিসেবে আরো বড় হবেন, অন্যের লেখা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়নের ধারাটি সেই বারতা আমাদেরকে দিচ্ছে।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল। একদিন বই মেলায় লাইন দিয়ে আপনার বই কেনার পর অটোগ্রাফ নিবো। আশা করি, সেদিন আমাকে চিনবেন। আমি মিষ্টি হেসে বলব, আমি ব্লগার কাল্পনিক ভালোবাসা। অটোগ্রাফ প্লিজ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা ভাই ।
হাহাহহ , মাঝে মাঝে চিন্তা করি এই অটোগ্রাফ দেয়ার নিয়মটা প্রথম কে শুরু করেছিল । অরে পাইলে কিলাইতাম । B-)
পারসোনালি অটোগ্রাফ দেয়াটা বাহুল্য মনে করি। তবে এর পেছনে পাঠক - লেখকের যে ভালবাসার বন্ধন জড়িত , সে অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করি। বিশ্বাস করি এই দেশের মানুষ তাদের প্রিয় লেখক - কবিদের খুব ভালবাসে। নানা ভাবে তার প্রমান পাই। তার একটা এই যেমন অটোগ্রাফটা ও । আমি মনে করি লেখক মানেই যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন না। একজন লেখকের উচিত মানুষের নির্দোষ আনন্দ - অনুভূতিকে সম্মান দেখানো, শ্রদ্ধা জানানো। মানুষকে ভালবাসা। পাশে থাকা। এমন বোধ মনে কাজ করায় গতবার হাল্কা পাতলা অটোগ্রাফ দিয়েছি , সামনেও সুযোগ হলে হয়ত দেবো।

আপনি এমনিতেই বড় মাপের মানুষ । হাহাহ যে সিন বর্ণনা :D করলেন তা যদি কখনো সত্যিও হয় ( আল্লাহ না করুক, ভাবতেই ভয় পাইতেছি ) মনে হয় না আপনার সমস্যা হবে। আপনার জন্য অটোগ্রাফ সহ বই অগ্রিম রেডি করে রাখব , হাহাহা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ কাভা ভাই । সবকিছুর উপরে ভালবাসাই দুনিয়াতে থেকে যায়।
শুভকামনা রইল ।

২৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি আমার নিজের স্টাইলেই সন্তুষ্ট। আশা করি, উনার বইটা পড়ার সুযোগ হবে।

আপনার বুক রিভিউ খুব ভালো হয়েছে। এই কথাটা আমার প্রথম মন্তব্যে উল্লেখ না করায় দুঃখিত।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ফিরতি মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা হেনা ভাই
আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুক ।

২৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

এহসান সাবির বলেছেন: সেরা পোষ্ট.....।

দারুন ভালো লাগা।

বইরের নাম নোট করে নিসি।

আপনার কাছ থেকে আরো রিভিউ চাই।
শুভেচ্ছা।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির ভাই ।
ইনশাল্লাহ পাবেন ।
আপনার ভাল লাগায় আমিও আনন্দিত ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২১

আবু শাকিল বলেছেন: মাহমুদ ভাই - খুব নিরপেক্ষ রিভিউ । বইয়ের এতটা ভাল রিভিউ কবে কখন পড়েছি মনে নাই । আপনি যেভাবে লিখছেন-বই পড়ার সুযোগ এবং সময় দুটোই কম ।তবে বইটা পড়ার লোভ সামলাতে পারছি না।
পুরাই দেশীয় উপাদান।
তৃতীয় গল্প ‘রহিম বাদশার টি স্টল’ আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লাগছে ।বাকি গুলাও খুব খুব ভাল ছিল ।
সবাই রিভিউ নিয়ে অনেক কিছু বলে ফেলছে আমি আর নতুন করে কিছু বলার নাই ।
আপনি অনেক বড় হবেন মাহমুদ ভাই ।
ধন্যবাদ ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই ।
যা বললেন তা অবশ্যই আমাকে অনুপ্রাণিত করবে সন্দেহ নাই ।
শুভেচ্ছা রইল

২৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

জেন রসি বলেছেন: পড়লাম। চমৎকার রিভিউ। কেন আমার কাছে চমৎকার মনে হয়েছে তার একটা ব্যাখ্যাও দেওয়া দরকার। গল্পগুলোকে একটি নির্লিপ্ত দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করা হয়েছে। যেখানে আপনার নিজস্ব ধারনা চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপার ছিলনা।

ভালো থাকুন সবসময়।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি ভাই ।
আপনার বিশ্লেষণী মন্তব্যে ভাল লাগছে ।,
চেষ্টা থাকবে সাম নে আরো ভাল করার ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

২৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভাল লাগার মত রিভিউ এবং তাই হলো !! বইটির গল্পগুলো সম্পূর্ণ বাস্তবে ঘেরা মনে হলো, যা আপনিও বলেছেন । তাই পড়ার আগ্রহ তৈরী হলো । যদিও স্বল্পতার কথা বলেছেন, তবে পাওয়া গেলে কেনার আশা রইলো ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হ্যা বইয়ের গল্পগুলো বাস্তবতাকে অনুসরণ করে ।
এখানেই গল্পগুলোর বড় আকর্ষণ । যদি কখনো রিপ্রিন্ট হয় আপনাকে জানাবো ।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল । ভাল থাকবেন ।

২৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেকদিন এত ভালো বই রিভিউ পড়িনা । গল্পগুলোর প্রেক্ষাপট দুর্দান্ত লেগেছে । বিশেষ করে ‘দেখে নেয়ার দিন’ ‘রহিম বাদশার টি স্টল’ "যাদুঘর" ও নাম গল্পটি । অামি অাবার বই রিভিও লিখতে পারিনা, অাবেগ এসে পড়ে । যেমন সুনীলের "ভালোবাসা, প্রেম নয়" উপন্যাসটি পড়ে এক সপ্তাহ বিমর্ষ হয়ে ছিলাম । এটি নিয়ে একটা লেখা দিয়েছি অবশ্য; সেটাতে অামার অাবেগই বেশি । অারো অনেক অাছে এমন ।
অাপনার লেখায় কোন অাবেগ নেই; পুরোপুরি নির্ভেজাল একটা লেখা । কয়েকজন চমৎকার চমৎকার মন্তব্য করেছেন, অার অাপনি উত্তরও দিয়েছেন চমৎকারভাবে । মুগ্ধতা রেখে গেলাম ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ রুপক ভাই ।
সুনীলের "ভালোবাসা, প্রেম নয়" উপন্যাসটা পড়ার ইচ্ছে রইল ।
আপনার রিভিউ পড়ে নেবো সময় করে।
রিভিউতে আবেগ থাকাটা দোষের মনে করি না, যদি রিভিউ আবেগ দাবী করে।
হয়ত আবেগের পরিমাণ নিয়ে কথা বলা যায় ।
আপনার ভাল লাগায় আমিও আনন্দিত হলাম ।
ভাল থাকবেন ভাই
শুভকামনা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.