নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

@ @

মাহমুদ০০৭

@ @

মাহমুদ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'ফাঁদ ও সমতলের গল্প\' র এক বছর।পেছনের কিছু কথা

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

উৎসর্গের চাইতে বেশি কিছু- প্রিয় প্রবাসী ভাইকে ভালবাসাসহ


লিখব - টিকব তাই কখনো ভাবিনি,বই - আরো পরের কথা। কেমন করে কি হলো - আজ সে কথা বলবো।

গল্প সঙ্কলন করতে গিয়ে মামুন ভাই ও প্রবাসী ভাইয়ের সাথে পরিচয় হল। একসময় তারা আমার সাথে গল্প সংকলনে যুক্ত হলেন। হাসি ঠাট্টায় আনন্দে শ্রমে ঘামে আমরা সংকলন চালিয়ে যেতে লাগলাম। আর এটাকে সামনে রেখে কিভাবে কিভাবে যেন একসময় আমাদের মধ্যকার রসায়ন ঘন হয়ে উঠল।সে আরেক কথা।

বছরের মাঝামাঝি সময়ে বই করার কথা মাথায় এল।জয়েন্ট বই।দুইজন কি তিন জন মিলে।এর মধ্যে একজন ব্লগার কথায় কথায় আমাকে বলেছিলেন,বই করলে যেন তাকে জানাই।জানালাম।তিনি সময় চাইলেন।পরে নানা সীমাবদ্ধতায় তার পক্ষে তখন এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হল না। মাঝের সময়ে মামুন ভাইকেও হিন্টস দিয়ে রেখেছিলাম। যা হোক,উনি সময় বের করতে না পারায় মামুন ভাই আর আমি বই বের করব -পাকাপাকি হয়ে গেল।

এদিকে সময় ও তখন কাছাকাছি হয়ে এসেছে।অক্টোবর।কোরবানির ঈদের বন্ধে মামুন ভাইয়ের বাসায় গেলাম।মামুন ভাই যে গল্পগুলা আমরা বইতে দেবো বলে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি তার প্রিন্ট করে রেখেছেন।দুজনে আবার পড়লাম।তারপর কিভাবে কি করব তার কিছু সিদ্ধান্ত নিলাম।

আমাদের প্রথমে পরিকল্পনা ছিল,বই ৮০ পাতার বের হবে। দাম হবে ৬০ - ৭০ টাকার মত। ৫০০ কপি ছাপাবো।২০১৪ সালে মোয়াজ্জেম আজিমের একটা ছোটগল্পের বই বেরিয়েছিল।বালুনদী ও গরুরহা্টের গল্প। আমরা চেয়েছিলাম ঠিক ঐ সাইজের বই বের করতে। বইটি বের করেছিল লেটার প্রেস।প্রথমে তাদের সাথে যোগাযোগ করলাম। লেটার প্রেসের পক্ষ হতে রাখাল রাহা এলেন।

ত প্রথমেই জিজ্ঞাসা।কোথাও লেখাটেকা বাহির হইছে কিনা।মামুন আর আমার দুজনেরই অল্প কিছু মেটেরিয়াল ইতিমধ্যে কিছু জায়গায় গেছে।বললাম। তিনি হুম বললেন।আমি মনে মনে হুম হুম বললাম। তারপরের কথা- কয়টা গল্প বইতে দেব কেন দেব এটা কেন দেব অইটা কেন দেবনা? তার কোন হিসেব আমাদের আছে কিনা? জানালাম আছে।

যাই হোক আমদের উত্তরে তিনি সন্তুষ্ট হলেন না বোঝা গেল। তার পর বললেন, এখন বই বের করা যাবে না।কারণ বইয়ের এডিটিং করতে সময় লাগবে ৬ মাস। মোয়াজজেম আজিমের ও নাকি এরকম সময় লাগছে। তারপর বইয়ের প্রসেসিং।এডিটিং করার পরও বই বের হবার নিশ্চয়তা নেই। যদি মানসম্মত হয় তাইলেই। মামুন ভাই জিজ্ঞেস করলেন এডিটিং করতে কত খরচ? তিনি বললেন ৩০ হাজার। আর বইয়ের খরচ ৩০ -৪০ -৫০ হাজার। মোট কথা ৬০/ ৭০/ ৮০০০০ টাকার মামলা।

বয়স্ক লোকেরা বাচ্চা ছেলেদের যে ভঙ্গিতে পিঠ চাপড়ায়, তিনি আমাদের সাথে সেভাবেই আচরণ করেছিলেন।আগেই জেনেছেন একজন চিটাগাং একজন রাজশাহী।ত অইভাবেই মফঃস্বলী লোকের সাথে খাটি শহুরে আচরণ।

হাবে ভাবে কথায় তিনি তখন কেওকারাডং।একসময় চূড়ায় উঠে গেলেন।লেখালিখি এত সোজা নয় ইয়ার। তারা একটা কর্মশালা করান- কিভাবে লিখতে হয়।আমাদের যোগ দিতে বললেন,ফি ১০০০ নাকি ১৫০০। জিজ্ঞেস করলেন,আমরা তার বই পড়েছি কিনা? উনার গল্পের বইয়ের নাম - চাষাড়ে গল্প।

পুরো সময়টা উপভোগ করছিলাম। দুজনেই বোকাসোকা ভাব নিয়ে গুটিসুটি মেরে আছি।লেকচার চলছেই।এদিকে বেদম হাসি এসে গেছে। না পারছি হাসতে না পারছি গিলতে। মামুন ভাই আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছিলেন।আমি তাকাচ্ছিলাম না। জানি তাকালেই মুখের ঝোলা হতে রাশি রাশি হাসি উপচে পড়বে। একসময় লেকচার টর্নেডো শেষ হল। তারপর দুজনে প্রাণ ভরে হাসলাম।

এরপর আরো দু একটা ঘাট ঘুরে টুরে পারভেজ রানার রাইটার্স গিল্ডে।সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের প্রায় সব প্রকাশকই লেখকদের জবাই করে খায়।পার্থক্য কেবল কে কোন জায়গার মাংস খাবে এটা নিয়ে। পারভেজ রানা ভাই নিজেও লেখালিখি করেন।লেখালিখি করলেও আমি এটা জানি, প্রকাশকের জায়গায় সবাই রাম লক্ষণ (রাবণ ভালো লোক তাই উনার নাম নিলাম না) তবে আমার ধারণা ছিল,যেহেতু লেখক, তিনি মাংস খেলেওঅন্যদের চাইতে কম খাবেন। এবং উনার সাথে কিছুটা ডিল করা যাবে।পরে আমার ধারণা মিলে গেছে।তিনি সবার চাইতে কম টাকা অফার করেছেন। অন্য সবার চাইতে উনার কথাবার্তা ভাল লেগেছে। ঠিক হল ৫০০ কপি ছাপানো হবে। ১০০ কপি উনি রেখে দিবেন। বাকি ৪০০ কপি আমরা নিয়ে নেবো। আমরা বললাম যদি আমাদের আরও এডিশন বের করতে হয় তাহলে রেট কেমন পড়বে? উনি বললেন, আগে যা ছাপাইবেন তা বিক্রি হয় কিনা দেখেন। ;) তারপর এক প্রফেসরের কথা বললেন , উনার ধারণা ছিল, উনার বই ৩০০০ কপি যাবে। ৫০ কপিও যায় নাই। এরকম আর কয়েকজন ধরা খাওয়া পাব্লিকের কথা বললেন। মামুন ভাইকে দিয়ে জিজ্ঞেস করালাম,উনি যে ১০০ কপি রেখে দিবেন তার কোন রয়ালিটি আমরা পাবো কিনা? তিনি মহাদেব সাহা আর নিরমলেন্দু গুণের কথা বললেন। মনে মনে হাসতেছি -
মহাদেব সাহা গেল তল
মাহমুদ বলে কত জল!
হাহাহা।
এছাড়াও তিনি আরেক ধরণের লেখকের কথা বললেন। প্রবাসী লেখক। যারা বইয়ে আগেই ডলার ছিটে দেন। এরা থাকতে কোন দুঃখে প্রকাশক সাহেব রয়ালিটি ফয়ালিটি নামক নচ্চার জিনিসপাতির কথা ভাবতে যাবেন। মনে মনে বলতেছি,লিক্ষা নাস্তা খাওনের আশা ছাইড়া দেও, মাহমুদ! আমাদের বই কখন বের হচ্ছে? রানা ভাই বললেন , আগে আগেই বের করতে হবে।প্রথম
ডেডলাইন ছিল ডিসেম্বরের ২২ তারিখ। তারপর জানুয়ারির মাঝামাঝি।

বইয়ের ভূমিকার ব্যাপারে আসি। ভূমিকা আর ফ্ল্যাপ হইল বইয়ের গয়নাগাটি। যত ভাল গয়না পরান যায় ততই ওজনে ভারি। পাঠক - সমালোচকের কাছে আহ্লাদ ও বাড়ে।না,তাইলে মনে হয় বই কিছু একখান হইছে। ভূমিকা কাকে দিয়ে লেখানো যায়। ২ জনের নাম চিন্তা করলাম নাজিব ওয়াদুদ ভাই ও ব্লগের মামুন রশিদ ভাই। আর বইয়ের পেছনে নাট্যকার মোঃ আজমল হুদা মিঠু সংক্ষেপে কিছু বলবেন। এর মধ্যে মামুন ভাই তখন নানাবিধ ব্যস্ততায় ব্লগ থেকে স্লো হয়ে যাচ্ছেন। তারপরও রাজি হলেন। রাজি হলেন নাজিব ওয়াদুদ।এর পরেই কাহিনী শুরু হল।নাজিব ভাই অসুস্থ হয়ে ইন্ডিয়া চলে গেলেন। উনি তখন ঘাড় ফেরাতেই পারছেন না। কি আর রিভিউ টিভিউ দিবেন। মামুন রশিদ ভাইয়েরও ত্রাহিরাহি অবস্থা। জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি মেনে নিলাম।

প্রচ্ছদ নিয়ে আরেক কাহিনী। ঠিক হল মুস্তাফিজ কারিগর প্রচ্ছদ করবেন। মুস্তাফিজ কারিগরকে ফোন দিতে দিতে রানা ভাই নাকি কানা হয়ে যাওয়ার জোগাড়। কখনো ঢাকায় পান না। কখনো ফোন ধরে না। আর মুস্তাফিজ কারিগর ইতিমধ্যেই হট কেক হয়ে গেছেন।তখন রানা ভাই বললেন আরেক জনকে ধরি কি বলেন? আমরা রাজি হলাম। নভেম্বরে শামিম জামানকে প্রচ্ছদের দায়িত্ব দেয়া হল। মামুন ভাই ডিরেকশন দিয়ে দিলেন কি করতে হবে না করতে হবে।আমাদের বইয়ের পান্ডুলিপি পড়তে বললেন। ঠিক হল কিছুদিনের মধ্যে দিয়ে দিবেন।কিসের কি জানুয়ারি চলে এল আমাদের প্রচ্ছদের খবর নাই। প্রথম প্রথম দুয়েকবার আমাদের কল ধরলেও শামিম ভাই আর কল ধরেন না।রানা ভাইও যথারীতি কানা হয়ে আছেন। আগে প্রচ্ছদ হবে তারপর বই।এদিকে সবাই প্রচ্ছদ দিয়ে বইয়ের আগমনী বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে। যারা পরিচিত যারা বইয়ের কথা জানেন তারা জিজ্ঞেস করছেন কিরে বই কবে বেরুচ্ছে? মামুন ভাইকে উনার আব্বাও জিজ্ঞেস করছেন। মামুন ভাই আর আমার একই উত্তর হবে হবে। আর এদিকে শামিম ভাই ফস্কালে যে কি হবে কার কাছে যাবো
এসব ভেবে ভেবে মরছি।সজীব ভাইকে প্রচ্ছদ শিল্পী দেখতে বললাম।এইসব ডামাডোলের মধ্যে অবশেষে জানুয়ারির ১২ তারিখ শামিম ভাই প্রচ্ছদ দিলেন। মামুন্ ভাই ফেসবুকে আপলোড দিলেন।

একদিন বইকেন্দ্রিক আলোচনা করার সময় আমার রুমমেট ফোনের কথা শুনে বুঝতে পারল আমার বই বের হচ্ছে।তিনি অবাক।আর আপ্নে যে লেখেন এটাই জানতাম না। ঘরের ভিত্রে রাইটার লইয়া ঘুমাই। তিনি গিয়ে যে মুদি দোকান হতে সদাই নিই তাকে বললেন।ত পরের দিন ওই লোক জিজ্ঞেস করল,আমার বই বের হচ্ছে কিনা? আমি বললাম আপনি কিভাবে জানেন?তখন উনি আমার রুমমেটের কথা বললেন।বইয়ের নাম জিজ্ঞেস করলেন।আমি বললাম, ফাঁদ ও সমতলের গল্প।উনি বললেন, বাহ! ফাঁদেও পরতে হইব, সমতলেও থাকতে হইব!
এরপরের ধাপ হল বই কবে বের হচ্ছে। রানা ভাইয়ের কথা হবে হবে।এই হবে হবের মধ্যে একদিন রানা ভাইকে ফোনে পাই না।
এর পরের দিন একই অবস্থা। এর পরের দিন ও। ঘটনা হল প্রকাশক সাহেব সৃতিসৌধ দেখতে গিয়ে ছিনতাই এর স্বীকার হয়েছেন।
এই ঘটনায় রানা ভাই বেশ আপসেট হয়ে গেলেন।ফলে বই প্রকাশের কার্যক্রম বেশ পিছিয়ে গেল। শেষ মেষ ঠিক হল ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ বই আসবে।তারপর ৫ তারিখ আসার কথা। ৫ তারিখ শুক্রবার। সেদিনও আসেনি।

ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ মামুন রশিদ ভাই মেলা থেকে ফোন দিলেন।বইয়ের কথা জিজ্ঞেস করলেন। তখন চিন্তা করছি বই আসলে কয় তারিখ বের হবে। রানা ভাই এবার বললেন শনিবার বিকালে বই মেলায় পৌঁছে যাবে। শনিবার আমরা দুজন মেলায় হাজির হলাম।বিকালের কিছুটা সময় মেলায় অপেক্ষা করে বের হয়ে গেলাম। বই তখনো মেলায় আসেনি। মেলার বাইরে সন্ধ্যায় হাটছিলাম মামুন ভাই,আমি, সবুজ ভাই, সজীব ভাই। হঠাত পারভেজ রানা ভাইয়ের দেখা মিললো।আমাদের দেখে হেসে দিলেন রানা ভাই।
কি আপনাদের বই দেখছেন ?
কই ? দেখলাম না ত ! - আমি বললাম ।
রানা ভাই বললেন, বিকালে আমি নিজে গিয়ে দিয়ে আসছি। ঘটনা হল আমরা যখন বের হয়ে আসছি রানা ভাই তখন স্টলে বই রেখে আসছেন।তারপর উনার ব্যাগ হতে আমাদের বইয়ের কপি বের করলেন। এই প্রথম আমাদের বই আমরা দেখতে পেলাম।তারপর জিজ্ঞেস করলাম আমাদের বই কোথায় রেখেছেন ? তিনি প্রেসে আছে বললেন। আমি , মামুন ভাই, আর বন্ধু সবুজ ভাই প্রেসে গেলাম।দেখি আমাদের বই সারি করে সাজানো আছে । আর ব্লগার মহান অতন্দ্র এর বইয়ে প্রচ্ছদ লাগানো হচ্ছে।

আমরা আমাদের বই বুঝে নিলাম। আমরা রানা ভাইকে আমাদের বইয়ের বাইরেও ২০০ কপি বাড়তি প্রচ্ছদ করার কথা বলেছিলাম। প্রচ্ছদ গুণে দেখি ২০০ র জায়গায় ১৩৮ টা! রানা ভাইরে দিলাম কল। রানা ভাই বললেন ২০০ কপি দেয়ার কথা ওদের। বুঝে নিন। এবার প্রেসের লোকেরা বলল আমাদের কিছু প্রচ্ছদ তারা ব্যবহার করে ফেলেছেন।এবং এটা যাতে মালিক বা রানা ভাই কাউকে না বলি! কি আর করা! বইতে ইম্প্রেশান দেয়ার কথা ছিল।কিন্তু শেষতক বইয়ের পাতা সাদা। সত্যি বলতে কি রানা ভাইয়ের কথায় রাজি হবার অন্যতম কারণ ছিল এই ইম্প্রেশান। উনার এখান থেকে বের হওয়া বইয়ের ইম্প্রেশান ভাল লেগেছিল। রানা ভাই বললেন, প্রেসের লোকেরা ইম্প্রেশান দিতে ভুলে গেছেন।এই বাবদে পারভেজ ভাই আমাদের কাছ হতে কিছু টাকা কম নিয়েছিলেন।

প্রেসে থাকতেই বইয়ের বিসমিল্লাহ হয়ে গেল।প্রিয় বন্ধু সবুজ ভাই ১ কপি কিনে নিলেন।আমাদের বই উনার এখানে রাখার ব্যবস্থা করলাম।সবুজ ভাই টাকা দিয়ে বললেন,এই টাকা যত্ন করে রেখে দিতে।আমি মুখে কিছু না বল্লেও মনে মনে ভাবছিলাম এই টাকা প্রথমেই খরচ করতে হবে। প্রেসের লোকদের বললাম কার্টুনে করে বই প্যাক করে দিতে।কিন্তু উনাদের কাছে কার্টুন এবং কসট্যাপ নাই। ৪ টি কার্টুন আর একটি ট্যাপ(প্রতি কার্টুন৫০ টাকা আর কসট্যাপ ৯০ টাকা) কিনলাম।তাদের বকশিশও দিলাম। মামুন ভাই আঙ্কেল কে ও মিঠু ভাইকে কল দিলেন।তারা আমাদের শুভেচ্ছা জানালেন। নিজের বই দেখার পর অনেকের নাকি আনন্দ হয় শুনেছি।প্রায় এসব শুনি। ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও দেখি।আমার কোন অনুভূতি কাজ করল না।আমি জানি না মামুন ভাইয়ের কেমন লেগেছিল সেদিন।জিজ্ঞেস করিনি।আমাদের বই নিয়ে সবুজ ভাইয়ের আবেগ দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। জানি এই ভালবাসার প্রতিদান আমার দেয়া সম্ভব হবে না।সবুজ ভাই একটা প্রস্তাবও দিয়ে রেখেছেন যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত। তিনি আমার দ্বিতীয় বইয়ের ২য় কপি নেবেন। ৩য় বইয়ের
তৃতীয় কপি এভাবে।

আগে বইমেলায় পাঠক হিসেবে গেছি চুপি চুপি বই কিনে চলে এসেছি।বইয়ের সুত্র ধরে এবারের অভিজ্ঞতার ব্যত্যয় ঘটল।১)অটোগ্রাফ দিতে হয়েছে।২)হেটেছি ঘুরেছি আড্ডা দিয়েছি -সবসময় কেউ না কেউ ছিল।একটা সময় মনে মনে হাস ফাস করতে লাগলাম। মেলা প্রাঙ্গন বার বার ঘুরলেও মনে হচ্ছিল কিছুই ঘুরিনি, দেখিনি। আগে চুপি চুপি লং টাইম বই পড়তাম। নেড়েচেড়ে দেখতাম।নিজের মত করে সময় ব্যবহার করতাম। পেছন থেকে কারো কোন ডাক শুনতে হতনা। আমি আমার আগের আমিকে মিস করছিলাম।ঠিক করলাম একদিন নিজের মত করে ঘুরব কাউকে জানাবনা মেলায় আসছি। একদিন এভাবে নিজের মত করে ঘোরার পর মনে তৃপ্তি এল।

এর মধ্যে ১৪ তারিখ কবি আল মাহমুদকে আমরা দুজন দেখতে যাই।প্রায় ঘন্টা দেড়েক কথা হয় উনার সাথে। উনার একটা কথা ভাল লেগেছে।সাহিত্যের সেবা করলে সাহিত্যও তোমার মন কে পরিপূর্ণতা দেবে। পুরো ফেব্রুয়ারি জুড়ে কত কথা কত সৃতি।একদিকে বইমেলা একদিকে বোমাবাজি।মেলার বাইরে বোমা ফুটছে,মেলায় লোকেরা ফুর্তি করছে।একদিন বাসে উঠে মিরপুরে আমিন ভাইয়ের বাসায় গেলাম। রাতে শুনি যে জায়গাটায় দাঁড়িয়েছিলাম,আমি বাসে উঠার ১৫ মিনিট পরেই সেখানে পেট্রোল বোমা ফুটেছে।৮ জন দগ্ধ।
হায়রে মনে যে কেমন লাগছিল।আমিও ত দগ্ধ হতে পারতাম।একদিকে মানুষ মরছে,একদিকে শিল্প সাহিত্য চাষ বাস। মানুষের জন্য নাকিই শিল্প। কিছু কথা কি এই প্রাঙ্গন থেকে বলা যেত না? ভাবতে গেলে,বলতে গেলে, কত কথা এসে যায়।সেদিকে নাই বা গেলাম /

মেলায় আদনান শাহরিয়ার ভাইকে দেখে খুশি হয়েছি। একদিন মেলাপ্রাঙ্গনের কাছাকাছি এসে কল দিলেন।আমাদের বই নিয়ে এক সেকেন্ডও দাড়ালেন না,চলে গেলেন।বললেন, কেবল আমাদের বইয়ের জন্যই বইমেলায় এসেছেন।আরণ্যক রাখাল ভাইকে ব্লগে তখন তেমন চিনতাম না,উনার টাকা বিকাশে প্রথম এসেছে।এক দাগে ১৫ কপি নিলেন মোহন ভাই।নারায়ণগঞ্জে ২৬ তারিখ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে সবাই যেভাবে আমাকে শুভকামনা জানাচ্ছিলেন,সত্যিই অভিভূত হয়ে গেছি। আমাদের বইয়ের গল্প পড়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব আমাকে নিজ থেকে খোঁজ করছিলেন।পরে যখন তার সাথে যোগাযোগ করলাম- তিনি বললেন,তুমি দেখি একদম বাচ্চা ছেলে,এখনই বই লিখে ফেলছ? তারপর ক্রিম বিস্কিট আনিয়ে খাওয়ালেন।তারপর বললেন,এইবার বইতে একটা অটোগ্রাফ দাও, অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য বইটা হাতে করে রেখেছি।তখন কি যে বলব বুঝতে পারছিলাম না।যেমন বুঝতে পারিনি মাহমুদুল হাসান ভাইয়ের কান্ড।জীবনে কোনদিন রিভিউ না লেখা লোকটি আমাদের বই পড়ে রিভিউ লিখতে বসে গেলেন।
আমার এক শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়ের ওয়াইফ বই পড়ে আমাদের পরবর্তী যত বই বের হয় কিনে নেয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন।ভাবছিলাম
বাংলার ঘরে ঘরে এমন ভাবী থাকিলে লেখককূলের কোন চিন্তাই থাকিত না।

এহসান সাবির ভাই থেকে আরেক অভিজ্ঞতা পাওয়া গেল।উনার ৯০ বছর বয়েসি নানা আমাদের বই পড়ে দোয়া করেছেন, আমাদের দেখার ইচ্ছে পোষণ করেছেন। এমন কি কিছুদিন আগে ঈদের বকশিশ হিসেবে আমাকে আর মুন ভাইকে ১০০ করে ২০০ টাকা পাঠিয়েছেন।গুণী কথাসাহিত্যিক ফজলুল কাশেম,জাকির তালুকদার,নাজিব ওয়াদুদ,আহমদ জসিম বইটি সম্পর্কে তাদের ভাল লাগা ব্যক্ত করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। কড়া সমালোচক বাদল ভাই কিছু জায়গায় এমন প্রশংসা করেছেন যে লজ্জাই পেয়ে গেলাম।এসব কিছু আমাদের লেখালিখির জন্য প্রেরণা সন্দেহ নেই।এত মানুষের শুভাশিস কপালে জুটবে সত্যি ভাবিনি।

বইকে কেন্দ্র করে কত আনন্দ, কত খুনসুটি হল। অনিক,এন্টি আমিন ভাই, মামুন ভাই, মহাভাই, মোহন ভাই, তুষার ভাই পার্থ ভাই অভি ভাই সজীব ভাই দুর্জয় ভাই সবার সাথে দেখা আডডা হয়েছে। এসবই ত জীবনের বড় ক্ষীর। মেলায় হামা ভাই,প্লিওসিন ও গ্লসিয়ার ভাই,শেখ রানা ভাইদের প্রথম দেখলাম।কেউ কেউ - যারা বই কিনবে বলে আশা করেছিলাম,তারা আমাদের বই নেননি, তেমনি কাউকে কাউকে - যারা বই নিবে বলে মনে হয়নি তারা আমাদের বই নিয়েছেন।লেখক মোজাফফর হোসেনের একটি ঘটনা ভাল লেগেছে।মামুন ভাই আমাদের বইটা উনাকে গিফট দিতে চেয়েছিলেন।কিন্তু উনি আমাদের বইটা কিনে নিলেন।বললেন,আমি বই কিনে নেই।শুধু কিনে নেয়াই নয়,পরে তিনি আমাদের তার পাঠ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।

একটা দুঃখ আছে। আমার এক ক্লোজ ফ্রেন্ড আশা করেছিলাম সে আমার বই প্রকাশের কথা শুনলে খুশি হবে।সে খুব বই পড়ুয়া।রাতে বই পড়তে পড়তে ঘুমায়।কিসের কি এটা নিয়ে সে একটা শব্দও উচ্চারণ করলো না আজতক। কি লিখলাম সেটা চোখ বুলানোর মত আগ্রহও দেখালনা।অথচ ভেবেছি কত খুশি হবে সে।কিন্তু বই কত কপি সেল হল সেটা ঠিকই জিজ্ঞেস করতে পারছে।


যার কথা না বললে এই পোস্ট পূর্ণতা পাবে না, তিনি হলেন প্রবাসী ভাই।সোনাবিজ ভাইয়ের বই কেন্দ্রিকএকটা পোস্ট আছে। ওখানে একটা লাইন আছে, আপনারা নতুন লেখকের পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারেন।ওটা পড়ে মনে মনে হাসছিলাম।এরকম কেউ আজকাল আছে নাকি! তখন কি জানতাম এরকম কেউ আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে।আমাদের বাইরে প্রথম যে ব্যক্তির কাছে বই প্রকাশের কথা বলেছি তিনি হলেন প্রবাসী ভাই।তিনি বললেন,আমাদের বই ৫০ কপি নিয়ে নেবেন।কথাটা শোনার পর কি বলব,হতবিহবল হয়ে পড়েছিলাম।বলে কি লোকটা। আমার মুখে কথা যোগাচ্ছিল না।পরে বললাম, এত বই নিয়ে আপনি কি করবেন?প্রবাসী ভাই বললেন,
আপনাদের যে সব বই গিফট আর লাইব্রেরীতে দিতে হবে, এখান থেকে দিয়েন।

যদি বলি প্রবাসী ভাইয়ের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ,মিথ্যে বলা হবে। তিনি কৃতজ্ঞ হবার কোন সুযোগ রাখেননি। বিষয়টি নিয়ে আমরা যাতে কখনো মাথা না ঘামাই/ না ভাবি তিনি সবসময় তেমন আচরণ করেছেন।আমাদের বই নিয়ে তিনি যে অপরিমেয় উচ্ছ্বাস ও উল্লাস দেখিয়েছেন, মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল বইটা আমাদের নয়,উনার।প্রচ্ছদ আসা মাত্রই তিনি ফেসবুকে এটাকে প্রফাইল পিকচার করে ফেলেছেন।ব্লগে পোস্ট দিয়েছেন।আমাকে বার বার বলেছেন,আপনি এখনো চিটাগাং বসে আছেন কেন? ঢাকায় তাড়াতাড়ি যান।ফেব্রুয়ারী মাসে বার বার বই কয় কপি সেল হলো জিজ্ঞেস করছেন।এটা ওটা করতে বলছেন।একসময় বললেন, যদি না বিক্রি হয় আমি আরো বই কিনব। মন ভিজে গেল।বললাম,ইনশাল্লাহ বই বিক্রি হবে। আপনার চিন্তা করতে হবে না। প্রবাসী ভাইয়ের টাকা আমরা বই বের করার আগে পেয়ে গেছি।তিনিই একমাত্র লোক যিনি আমাদের বইটির এক কপিও এখনো চোখে দেখেন নি।

পারভেজ রানা ভাই যখন আমাদের বই বিক্রির বাস্তবতা বোঝাচ্ছিলেন,তখন একপর্যায়ে হাল্কা একটু ভয় ও পেয়েছিলাম।মনে হচ্ছিল,৫০০ কপি বের করে রিস্ক নিচ্ছি না ত? বা বই যদি বিক্রি না হয়? মামুন ভাই বলল, আর যাই হোক আমাদের বই ৫০ কপি ত সেল হইছে! কি হয় পরে দেখা যাবে ইনশাআল্লাহ্‌।পরম করুণাময়ের রহমতে আর আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের চিন্তাগ্রস্থ হতে হয়নি। আমাদের হাতে থাকা ৪০০ কপির মধ্যে ৩৬০ কপির মত বই এই এক বছরে চলে গেছে।রানা ভাইয়ের হাতে যে ১০০ কপি বই ছিল, তার মধ্যে গতবছর বেশ কিছু বই সেল হয়েছে,যার আনুমানিক একটা হিসেব আমাদের কাছে আছে।রানা ভাইকে জিজ্ঞেস করা হয় নাই ওখান থেকে কয় কপি গেছে।

প্রবাসী ভাই আমাদের প্রতি যে অসামান্য ভালবাসা দেখিয়েছেন, দেখিয়ে যাচ্ছেন তার কণা তুল্য প্রতিদান আমরা কেউ দিতে পারব না, দিতে চাইও না।কিছু কিছু মানুষের কাছে ঋণী থাকতে ভাল লাগে। যদিও একারণে প্রবাসী ভাইয়ের সমস্যা হবে,ভবিষ্যতে আরও দিরহাম খরচ করতে হবে।হাহাহা।প্রবাসী ভাই কেমন মাপের মানুষ তা তিনি নিজেও জানেন না।

প্রবাসী ভাইয়ের জন্য খেলা করা বুকের অনেক গোপন অনুভূতি শব্দের অক্ষরে প্রকাশ করা গেলনা। কেন যে মনের খাঁটি অনুভূতিগুলো যথার্থ শব্দে প্রকাশ করতে পারিনা। তবে কোন খেদ নেই। প্রবাসী ভাই আমাদের কৃতজ্ঞতা, খেদ, আক্ষেপ ইত্যাদি বিষয়গুলো বহন করার কোন স্কোপ দেন না। আমাদের কখনো মনে হয়নি,প্রবাসী ভাইকে খুশি করার জন্য এই কাজটা করা উচিত।বড়ভাই,বন্ধুর মত হয়ে তিনি যেভাবে আমাদের নানা বিষয়ে পরামর্শ/ ছায়া দেন তার কোন তুলনা হয় না। বিদেশ - বিভূঁইয়ে পরে থাকা লোকটাকে দেখার জন্য মন কেমন যেন করে। ফোনে যখন তার কণ্ঠ শুনি তখন আনন্দে বুকের জল কলকল করে।

ধন্যবাদ জানাই প্রকাশক পারভেজ রানা ভাইকে। তিনি সজ্জন লোক। আমাদের বইটা দেখানোর সময় পারভেজ রানা ভাইয়ের মুখে যে উচ্ছ্বাস দেখেছি,তা ভুলব না।গতবার ছিনতাই হওয়া এবং আরো কিছু নানাবিধ কারণে আমাদের সহ আরও কিছু বই প্রকাশ করতে তাকে বেশ কিছু ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। আমাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি তার নিজের উপন্যাস ছাপাতে পারেননি।যা প্রতিনায়ক নামে এইবার প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি অন্যদের মত ঠিক কড়ায় গন্ডায় প্রফেশনাল নন, লেখালিখি নিয়ে কথা বলার সময়
তার চোখেও স্বপ্ন ভাসতে দেখেছি।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সামু প্ল্যাটফর্ম ও এর সকল ব্লগারদের।আরো অনেক ব্লগ আছে, কিন্তু সামু সামুই।এখানে ইমন জুবায়েরের মত সন্ত লিখে গেছেন।তাকে মনে করেই ত ব্লগে এসেছি।সবসময় মনে মনে বলি -কোথাও,কোথাও না কোথাও যেন তার মত হই।হতে পারি। আমি সামুর একজন নগণ্য ব্লগার,এটা নিয়ে মনে অল্প করে হলেও অহংকার আছে।

আজ,হয়তো আগামীতেও আমার যেটুকু প্রাপ্তি,তার সবই সামু নামক এই হলদে নীলা মায়াজালের দান। এখানে যদি না আসতাম, এত এত এত ভালমানুষগুলার সাথে দেখা কোথায় পেতাম? কোথায় মিলত এত ভালবাসা? আজো প্রথমদিককার কথা ভেবে শিহরিত হই।প্রথম পোষ্টেই এত মানুষের মন্তব্য, যাদের কাউকেই আমি চিনিনা - জানিনা, ভালমন্দ বলে তারাই আমার মত একজন অলস মানুষকে দিয়ে সাপ ব্যাঙ যাই লিখি, লিখিয়েছেন।পাশে থেকেছেন,প্রেরণা দিয়েছেন। আপনাদের আমি নমি।

আজ পেছন ফিরে মনে হয় এটা একটা সুন্দর গল্প।আপনাদের কারণেই এ গল্প বলা সম্ভব হল।

মন্তব্য ১৪৮ টি রেটিং +৩০/-০

মন্তব্য (১৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়া শেষে কমেন্ট করতে বহুদিন পর ব্লগে লগইন করা হলো। "পেছনের গল্প" এর বেশ কিছুটা জানতাম। বাকিটাও জানা হলো। গত বই মেলায় আপনাদের সাথে দেখা হওয়া দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ছে......... "ফাঁদ ও সমতলের গল্প" এখন সাথে নেই, থাকলে গর্বিতভঙ্গিতেই শেয়ার করতাম আপনাদের দেয়া অটোগ্রাফটা :)

ভালো থাকুন, অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনাদের দুজনার জন্যই। সাহিত্যের প্রতি নিষ্ঠা নিবেদন বিদ্যমান থাকুক সতত.........

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: "ফাঁদ ও সমতলের গল্প'' ক্যান যে ভাই গো হাতে ঠিক টাইমে থাকে না ;)
যাক সমস্যা নাই , বাড়িরটা বাড়িত থাকুক , শহরের লিগা একটা লইয়া লাও

;)

ভাল থাইকো ভাই , অনেকদিন পর দেইখা আবেগে আপ্লুত হইলাম(কান্তাছি :(( )

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

মশিকুর বলেছেন:

আহারে পুরা সিনামাটাই মিস করছিলাম। এখন পুনপ্রচার দেখে মিশ্র অনুভুতি :)

গত জুন মাসে নেটে একটিভ হয়েই প্রবাসী ভাইয়ের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের বইয়ের কথা জানতে পারি। কি যে খুশি লাগছিলো... ব্লগটা এমনিতেই মায়াবী; কাউকেই চিনি না কিন্তু সবাই আপন। প্রবাসী ভাই হৃদয়বান মানুষ বা এরচেয়েও বেশী কিছু।

এবারের মেলায় কি বইটা পাওয়া যাবে?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আহারে পুরা সিনামাটাই মিস করছিলাম। হাহাহাহ আপনি মানেই জবরজং কমেন্ট ।
শোনেন দুই লাইন হইলেও আমার ব্লগে ছাপ মাইরা যাইয়েন , ভালা লাগে।
আপ্নারে নিয়ে ত মেলা টেনশনে পইড়া গেছিলাম যখন দেখলাম আপ্নের আইডি ডিএক্টিভেট ।, মাথায় খারাপ খারাপ চিন্তা আসছিল।
গ্যাপ দিলেও কিছু ক্লু রাইখা যাইয়েন ।
একটা কথা বুঝছি প্রবাসী ভাইয়ের মত লোক লাখে একটা
তাই ছাত্র ভাই অরফে ডি মুন তার নাম দিছে প্রেমের খাসী ;)

মেলায় বই পাওয়া যাবে । ৩৯০ নং স্টলে । তবে বই কিনতে চাইলে আমারে ইনবক্স কইরেন । রানা ভাইরে আজাইরা ট্যাকা খাওয়াই য়া লাভ নাই । ;)
বই বেইচ্চা কোয়েল পাখির ডিম খামু :D

ভাল থাইকেন ভাই


৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং বুঝতে পারলাম নতুন লেখকদের বই বের করতে অনেক কাঠ খড় পুড়াতে হয়।
শুভ কামনা রইল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
আমার ব্লগে স্বাগতম ভাই :)
হ্যা নতুন মানেই প্যারা । প্রায় যে কোন ক্ষেত্রে এটা পাইতে হয় ।
সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাই আসল আরকি :)
ভাল থাকবেন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় মাহমুদ ভাই এবং ডি মুন আপনাদেরকে এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন। বাংলা ব্লগ যে কয়জন প্রতিভাবান গল্পকার পেয়েছে তাদের মধ্যে আপনারা অন্যতম। আপনার ব্লগে আমি প্রথম মন্তব করেছিলাম, ২৯ শে মে, ২০১৩ সালে। আপনার ম্যাজিক গল্পটা পড়ে আমি অভিভুত হয়েছিলাম। আমি খুবই সাধারন মানের পাঠক এবং ব্লগার। তবুও, আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আপনার এবং বাকি সকলের লেখায় অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। ধীরে ধীরে আপনারা আপনাদের লেখনী দ্বারা সকল পাঠককে মুগ্ধ হতে বাধ্য করেছিলেন। এটা অনেক বড় একটি প্রাপ্তি।

আমার মনে আছে বইমেলার সেই বিকেলের কথা। আপনাকে আর মুনকে একসাথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম। আপনাদের স্টলের মাঝপথে কিছু অংশে কয়েকটা তাল গাছের সারি ছিলো। সেই গাছগুলোর আড়াল থেকে আপনাদের অভিব্যক্তি দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষন করছিলাম। আপনারা ছিলেন বই মেলার সবচেয়ে বাহুল্যবিহীন লেখক। মনে হচ্ছিলো দুইজন সাধারন পাঠক ব্যাগ কাঁধে নিয়ে কি কি বই কিনবে উত্তেজনা নিয়ে তা পরিকল্পনা করছে। তবে আপনাদের চেহারায় ছিলো একটা চাপা আনন্দ আর গর্ব যা কাছে যেতেই স্পষ্ট হলো।

আমার একটাই সম্পদ আছে, তা হলো বত্রিস পাটি দাঁত। ফলে আমি খুশি হলে সেটা বিকশিত করে দেখাই। আপনাদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় নি।

আপনাদের বই কিনলাম। অটোগ্রাফ নিলাম। লেখকদের জন্য বই প্রকাশ হচ্ছে অনেকটা সন্তান জন্মদানের মত। আর সন্তানের পিতা মাতা হওয়া খুব গর্বের বিষয়। সন্তানরা তো আমাদের ভেতরের নির্যাস। পাঠক গল্প পড়ে মজা পায়, কিন্তু হয়ত সেই ভালোবাসাটা দেখে না। সেদিন আপনাদের বইয়ে আমি ভালোবাসাও দেখেছিলাম।

আপনাদের সহ ব্লগার হিসেবে পেয়ে আমি দারুন আনন্দিত এবং গর্বিত। প্রবাসী পাঠক ভাই একজন চমৎকার মনের মানুষ। উনার সাথে কথা বলে বুঝেছি। এমন বন্ধু, অনুপ্রেরণার কেন্দ্রস্থল পেলে মানুষ সফল হবে না কেন?

আমি যদি কখনও লেখক হতে পারতাম, অবশ্যই আপনাদের সাথে একটা বই বের করার পরিকল্পনা করতাম। আপাতত পাঠক হিসেবেই আমার আনন্দ আর তৃপ্তি। অনেক শুভ কামনা রইল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপাতত আপনাকে পরে মন্তব্য দিচ্ছি প্রিয় কাভা ভাই । :)

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: নিজের কিছু কথা বলি।
প্রায় সবাই বোধ হয় কবিতা দিয়ে শুরু করে।আমিও করেছি। শখে টখে লিখেছি কিছুটা। ছাপাও হয়েছে।পরে আবার বাদ ও দিয়েদিয়েছি। আমার একটা সময় গেছে যখন আমি কিছুই পড়িনি। আবার নতুন করে পড়া শুরু করলাম।১২ এর নভেম্বর ডিসেম্বরের দিকে সিরিয়াসলি।এর দুই তিন মাস আগে হাল্কা হাল্কা করে শুরু করেছি।ইন্টারনেট লাইন অফ করেছি জুন জুলাইয়ের এর মাঝামাঝি।ব্যক্তিগত কিছু হতাশাবোধ থেকে বোধ হয় নতুন করে সাহিত্যে টার্ন নেয়া আমার। এসময় সুনীল হুমায়ূন তরতর করে পড়ছি।ফাকে ফাকে এর অর লেখা। হঠাৎ করে মিলনের কিছু লেখা পড়ে ও তার সম্পর্কে কিছু ভেবে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।কি লিখে এইসব। সিদ্ধান্ত নিলাম নিজেই লিখবো শালার!আমার এক ফটোগ্রাফার বন্ধু আছে। এই লাইনে নামডাকও আছে।ডিসেম্বরে সে চিটাগাং বেড়াতে এলো।তাকে বললাম লেখালিখি শুরু করব।এবং ৬ টা গল্পের প্লট বললাম।সে প্রথমে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে শুন ছিল। ১ম প্লট হচ্ছে ম্যাজিক। যখন ৩ নাম্বার প্লটের কথা বললাম ওমনি সে খাড়া হয়ে গেল। এটা একটা বাচ্চাকে নিয়ে।সে বলল দোস্ত তুই এটা লিখে ফেল। টাকা হলে একদিন এটা নিয়ে আমি ফিল্ম বানাবো।সেই গল্প এখনো লেখা হয়নি।মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করে।৬ টা প্লটের মধ্যে এই দুইটাই মনে আছে বা লিখব/আরেকটা লিখব না ঠিক করেছি।

সামুতে লেখা .... ইমন জুবায়ের হচ্ছে বড় কারণ।


ম্যাজিক লিখেছি ......... কালো মেয়ে আমাকে ভাবনায় ফেলে।এটা নিয়ে ৩ টা লেখার ইচ্ছে ছিল।
দুটা লিখেছি।একটা হলো ম্যাজিক।আরেকটা মেঘে ঢাকা প্রেম। সামনে আরেকটা লিখবো।
তারপর এ চ্যাপ্টার বাদ।

মাজিকের আগেও দু একটা গল্প লিখেছি অনেক আগে। জাস্ট ফান করে। ধর্তব্যের মধ্যে পরেনা। তবে
লেখার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এটাই ফার্স্ট লেখা।



সৈয়দ শামসুল হক তার 'মার্জিনে মন্তব্যে' বলেছিলেন, প্রথম লেখাটা খুন করে ফেলার মতই। উ.....
তেমন একটা ফিল আমারও হয়েছে। আরেহ , লিখে ফেললাম নাকি!!

লিখতে লিখতে অনেক কিছু পরিস্কার হয়।আমারো হচ্ছে।... ভালো লেখা আসলেই কঠিন। আরো কঠিন বাংলা সাহিত্যে নিজের ছাপ রাখা। আপনাদের অনুপ্রেরণায় চেষ্টা করে যাচ্ছি।

হাহাহ , এই পোস্ট না দিলে আপনার সেদিনের শারলক হোমস গিরি জানা হতনা দেখছি। :)
যা করি, যা করেছি আনন্দের সাথে মজার সাথে করার চেষ্টা করি।জীবনের কোন ব্যাপারই আমি খুব সিরিয়াস
লি দেখিনা।খেয়াল করেছি আপনার জীবন সম্পরকিত বেশ কিছু দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমার মিলে যায়।
আরো অনেক ব্যাপারই মেলে।

আর আমার ব্যাপারে আপনার আন্তরিকতার কথা নতুন করে আর কি বলব । সময় যত যাচ্ছে
তত আমাকে কৃতজ্ঞতার জালে আটকাচ্ছেন। সব ব্যাপারে আপনার আবেগ , আপনার খোলতাই আচরণ, আপনার সিরিয়াস ভঙ্গি আপনার রসিক দৃষ্টিভঙ্গি সবই ভাল লাগে।যেখানে একমত হতে পারি না সেখানেও আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা থাকে।
এটা ত ঠিক আমরা কেউ ১০০ % সঠিক হতে পারবনা। কাছাকছি থাকার চেষ্টা করতে পারি কেবল। নিজের লেখা নিয়ে নির্মোহ থাকার চেষ্টা করি এবং ভাবিও না। তবে নিজের লেখা যত বিকলাঙ্গই হোক তার দিকে একটু নমনীয় আচরণ করা লাগে, হাহাহ । আমার সব সবলতা- দুর্বলতা নিয়ে আপনাদের পাশে থাকতে চাই আমি।
আপনি আমার দেখা অন্যতম মেধাবী মানুষ । আপনার জীবনবিন্দু নানা দিকে ছ্ড়ানো তাই হয়ত কোনদিকে পর্যাপ্ত মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয় না। নয়ত নিয়মিত লেখালিখি চালিয়ে গেলে আমাদের অনেক কে আপনি ছাড়িয়ে যাবেন - এটা আমি প্রবলভাবে বিশ্বাস করি।যাত্রাবনি এখনো ভুলতে পারিনা। আবেগ , স্বতঃস্ফূর্ততা এবং যথাযথ প্রকাশক্ষমতা আপনার লেখার বড় গুণ।
আপনার সাথে এক মলাটে বই হবে । এটা হবে বলে বিশ্বাস করি।
ভাল থাকবেন প্রিয় কাভা ভাই।
ভালবাসা রইল।





৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পারভেজ রানা ও প্রবাসী ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা রইল।

ধন্যবাদ মাহমুদ ০০৭।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার প্রতিও শুভকামনা রইল প্রিয় হেনা ভাই ।
ভাল থাকবেন ।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১

আবু শাকিল বলেছেন: বই প্রকাশ করতে গেলে এত ঠ্যালা খাইতে হয়??? অবশ্য গত বছর ব্লগার মহান অতদ্র আপুর নির্ধারিত তারিখে বই ছাপা না হওয়া, বাড়তি টাকা চাওয়া এসব বিষয়ে পোষ্ট দিয়েছিলেন।তখনো বোঝি নাই বই প্রকাশ করতে গেলে এতটা ঝামেলা পোহাতে হয়।
তবে আপনারা সার্থক ভাই।বই প্রকাশে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা হলেও সাফল্য পেয়েছেন।
আমার আফসোস -মামুন ভাই এবং আপনার সাথে দেখা হল না।পহেলা ফাল্গুন আমি মেলায় গিয়েছি আপনাদের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্য নিয়ে এবং সেদিন সোনাবীজ ভাইয়ের ও বই প্রকাশ হয়েছিল।
আপনাদের স্টল সরোওয়ার্দী উদ্যান তা জানা ছিল না।
আমি সোজা লিটল ম্যাগ চত্তরে গিয়ে আপনাকে ফোন দিছিলাম। তখনি দেখা হয় ব্লগার কুনোব্যাঙ,কবি সেলিম ভাই,কবি রোদেলা নীলা আপুর সাথে।আমিনুর ভাইকেও ফোন দিছিলাম।আমিনুর ভাই আর তুষার ভাই ছিলেন ছবির হাটে। এদিকে কুনো দার এবং সেলিম ভাইয়ের সাথে আপনাদের খোজতে সোরোওয়ার্দী উদ্যানে আসি।দেখা হয় কাভা ভাইয়ের সাথে।ঐ সময়ে ফোন দিয়ে জানতে পারি আপনি চলে গেছেন।
আফসোস ভাই দেখা হইল না।
ইন শা আল্লাহ যখন আপনাদের দ্বিতীয় বই প্রকাশ হবে।
সাক্ষাৎ মিছড হবে না।
দ্বিতীয় বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল ভাই । বই প্রকাশে অনেক ঝামেলা হয় । দূর থেকে অনেক কিছুই বোঝা যায় না ।
আর সবকিছু প্রকাশকের হাতে থাকেও না। এসব ব্যাপারে ধারণা থাকায় পারভেজ ভাইয়ের সমস্যা গুলা অনুধাবন করতে পেরেছি।
জানুয়ারি পস টাইম। এসময় প্রেস ওলারাই নানা নখরামি খেলে। কাজ আদায় করতে হলে ঐসময় মাথার ঘাম পায়ে না মাটির নিচে ঢুকিয়ে দিতে হয় । এখন প্রেস ওলা ঘুরালে প্রকাশক অ আপনাকে ঘুরাবে ।
লিখে আসলে বিস্তারিত বলা সময় সাপেক্ষ। সাক্ষাতে না হয় আলাপ হবে ।
আপনার সাথে পুনরায় দেখা হবার জন্য অপেক্ষায় আছি ভাই ।
ইনশাআল্লাহ দেখা হবে :)
ভাল থাকবেন প্রিয় শাকিল ভাই
শুভকামনা রইল ।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

যুগল শব্দ বলেছেন:
আপনাদের পুরো ঘটনাগুলো জানলাম।
জেনে আনন্দ আর অভিজ্ঞতা হল।

ধন্য হোক আপনাদের লেখালেখি জীবন,
ধন্য হোক সামু ও তার সকল ব্লগারগণ। :-*

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার আশিষ মাথা পেতে নিলাম ভাই ।
সামুর টান চুম্বকের চেয়েও শক্তিশালী ।
যে টের পেয়েছে, তার আর মুক্তি ঘটেনি।
ভাল থাকবেন ভাই ।
প্রথমবারের মত আমার ব্লগে আপনার আগমনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অভিনন্দন মাহমুদ ভাইয়া!

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেকদিন পর আমার ব্লগে আপনাকে দেখলাম ।
আপনাকে আমার ব্লগে একদম শুরু থেকেই পেয়েছি। আপনার মন্তব্য থাকতই । মাঝে আপনি ব্যস্ত হয়ে গেলেন।
এখন আবার আপনাকে ব্লগে দেখতে পেয়ে ভাল লাগছে ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা মুন ভাই ।

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক ভালো লাগল বই ছাপানোর পেছনের কথা জেনে। এমনিতে আপনিই ব্লগের বাইরে পরিচিত, নিজের শহরের একমাত্র ব্লগার।

তবে আমি ভাবতাম বই বের করা খুব সোজা। বাসায় বসে প্রকাশককে ফোন দেব, ইমেইল করে পান্ডুলিপি পাঠিয়ে দেব, ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে দেব, বইমেলায় গিয়ে বই কিনব। এখন পুরো ঘটনাটাই ছেলেমানুষী মনে হয়। নতুন লেখকদের বই বের করার সবচেয়ে নির্ঝঞ্চাট এবং আত্মসম্মান সম্পন্ন উপায় বোধহয় নিজেই প্রকাশক হয়ে যাওয়া।
লেখাটা পরে কিছুটা আনন্দিত হলাম, কিছুটা হতাশও হয়েছি আবার।
আপনার বইয়ের জন্য অভিনন্দন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এমনিতে আপনিই ব্লগের বাইরে পরিচিত, নিজের শহরের একমাত্র ব্লগার।
আপনি এই কথা বলার পর মাথায় গুগলিং করলাম আমাদের শহরের কাকে কাকে চিনি যারা এখানে ব্লগিং করে।
বেশ কয়েকজনের নাম মনে পরল ।

নতুন লেখকদের বই বের করার সবচেয়ে নির্ঝঞ্চাট এবং আত্মসম্মান সম্পন্ন উপায় বোধহয় নিজেই প্রকাশক হয়ে যাওয়া।
হ্যা , আমারো তাই মনে হয় । তবে নিজে প্রকাশ করলে মার্কেটিং টা ও নিজের হাতে আনতে হবে , আর দৌড়াদৌড়ি ত আছেই ।
অনেক সময় দেখা যায় খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হয়ে গেছে । এসব ঝামেলার কারণে প্রকাশের দিকে অনেকে যেতে
চান না । আমার ধারণা দেরিতে হলেও আমাদের প্রকাশনা সংস্থা বাক নিতে বাধ্য হবে , বিশেষ করে ই প্রকাশনা শক্তভাবে দাড় করানো গেলে ।
হতাশার জায়গাটা পারসোনালি আপনার কাছ হতে জেনে নেব ।
শুভেচ্ছা রইল ভাই ।

১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৪

ফা হিম বলেছেন: ভাইরে, এক বই প্রকাশ করতেও এত কষ্ট ! এত দোড়ঝাঁপ :D যাইহোক, এত কিছুর পর একটা অসাধারণ বই হাতে পাওয়া, মানুষের প্রশংসা পাওয়া, এটাই অনেক বড় ব্যাপার। এই বছর তো পেলাম না, সাম্নের বার একটা উপন্যাস কি আশা করা যায়?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহহাহ ফাহিম ভাই ।
সত্যি বলতে কি গত বারের দৌড়ঝাঁপের কথা মনে কইরাই এইবার মাঠে নামি নাই , জিরাইলাম এই বছর ।
আগামিবার ও ছোট গল্পের বই করার ইচ্ছা ।
ছোটগল্পের নাকি পাঠক নাই , প্রকাশকরা বলে ।
আমার তা মনে হয় না । দেখি আরেকটু যাচাই করে।
উপন্যাস লিখতে আর দেরি হবে । উপুন্যাস কিভাবে লিখবো তার রেখা পথ টা এখনো আমার কাছে পুরোপুরি ক্লিয়ার না ।
তবে পথের অনেক টাই দেখতে পেয়েছি, এ বছর ।
আপনাদের সাথে নিয়েই পথ চলতে চাই ।
ভাল থাকবেন ।

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

আরজু পনি বলেছেন: আমি জানিনা বলেছি কিনা আগে...কিন্তু বইটা আমি কেনার লিস্টে রেখেছিলাম...গতবছর মেলার সময় আমি মোটামুটি বিছানায়...হাঁটতেও কষ্ট হয়।
এরই মধ্যে একদিন গেলাম কিন্তু লিটল ম্যাগ কর্নার বা মূল মেলায় কোথায়ও পাইনি বইটা... দূর্জয়কে বাধ্য হয়ে ফোন দিলাম...দূর্জয়ের তথ্যমতো তন্য তন্য করেও পাইনি...আমি জানিনা আমার মতো কতোজন ফিরে এসেছেন এভাবে নীরবেই ।

এই লেখাটার পর ভাবছি আমার অভিজ্ঞাও শেয়ার করবো কিনা...

অনেক শুভকামনা রইল, দু'জনের জন্যেই ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রথমেই আপ্নেরে মাইনাস :(( B-)
বই কিনেন নাই ফলে আমিও আর বইয়ের টাকা দিয়া কোয়েল পাখির ডিম কিন্না খাইতে পারি নাই ।
:D
পরিচিত ও ব্লগার ভাই বোনদের স্টল থেকে নেয়ার জন্য আমরা প্রেফার করিনি ;) । কারণ আমরা আমাদের বই নিয়ে নিয়েছি
। স্টল থেকে যে সব বই সেল হবে তা প্রকাশকের । আমরা চেয়েছি যারা আমাদের রেঞ্জের বাইরে তারা অখান থেকে কিনুক ।
ডি মুন ভাই এইটা নিয়ে তখন পোস্ট দিয়েছিলেন ।
দুর্জয় ভাই স্টল থেকে আমাদের বই নিয়েছিলেন ।
উদ্যানে ঢুকে সামান্য বামে হাল্কা দূরত্বে জ্যোতিপ্রকাশের স্টলে রাখা ছিল । লিটল ম্যাগ চত্বরেও চিহ্ন ম্যাগে
রেখেছিলাম । হয়ত এমনো হতে পারে
তাদের কাছে তখন বই ছিলনা । বা হয়ত ডিসপ্লেতে রাখেনি ।, এসব অবশ্য ওদের জিজ্ঞেস করলেও স্বীকার করবেনা ।
কি আর করা কপাল খারাপ বলতে হবে আরকি :) ব্যাপার না । আপনি বই নেয়ার জন্য কষ্ট করেছেন এটাই অনেক কিছু
আমাদের জন্য । লেখালিখি চালিয়ে যাবার পেছনে যে কয়জন আমাকে প্রেরণা দিয়েছেন তার মধ্যে আপ্নিও একজন ।
আপনি একসময় আশা জাগানিয়া সিরিজ করতেন । একদিন সজীব ভাই আমাকে বলেছেন আপনার এই সিরিজ
তার ব্লগে লেখার পেছনে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে । আসলে ভাল নিয়তের কোন কাজের ফলাফল বৃথা যায় না ।

আপনার অভিজ্ঞতা ও শেয়ার করুন আপা । এই লেখাটার একটা উদ্দেশ্য ছিল বই প্রকাশের বর্তমান কিছু চালচিত্র লোকে জানুক । আমরা সাধারণত আমাদের ঘটনা শেয়ার করিনা। তাই আমজনতা অন্ধকারে থাকে । এটার সুবিধা প্রকাশক রা নেয়।


দীর্ঘদিন আপনি অসুস্থ ছিলেন জানি। অনেকদিন ব্লগে তেমন করে ছিলেন অ না । এখন আপনাকে আগের মত দেখতে
পেয়ে ভাল লাগছে , বিশেষ করে আমার পোষ্টে । শেষ ৩ -৪ তা পোষ্টে আপনি নিয়মিতই এসেছেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপা ।


১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গত বছর শুধু জানতাম আপনাদের বই প্রকাশিত হচ্ছে, পেছনের গল্পগুলো জেনে ভাল লাগল।নিজের বই হাতে পেয়ে কোন অনুভূতি কাজ করেনি-জেনে অবাক হলাম। সাথে প্রবাসী পাঠকের জন্যও শুভকামনা রইল :)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই /।
অনেকদিন পর ব্লগে দেখলাম আপনাকে ।
আপনার মত আমিও অবাক আছি বিষয়টা নিয়ে ।
হয়ত এটা একটা কারণ হতে পারে অবচেতনে বইটাকে একটা মাধ্যম বা টুল হিসেবে বিবেচনা করেছি ।
নিজের লেখার উপর বিরক্তিও একটা কারণ হতে পারে । ঠিক জানি না ।
গত ২ বছর ধরে আরেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি আমার । আগে যে বই কিন তাম তা নিজের কাছে রাখতাম ।
এখন নিজের কাছে খুব বেশি বই রাখতে ইচ্ছে হয় না । যে বইয়ের জিস্ট মনে হয় মাথায় চলে আস ছে তা রাখি না /।
আর যতক্ষণ পর্যন্ত নিতে না পারছি ততক্ষণ রাখি । এখন কেন যেন মনে হয় আমার কাছ যদি ১ টা বই অ রাখা না লাগ ত মানে ঐ পর্যায়ে চলে যেতাম তাহলে সবচেয়ে ভাল হত ।
বইয়ের গ্রুপে দেখি অনেকে বুক সেলফের ছবি দেয় । এখন কেন যেন এসব শো অফ মনে হয় । কেন মনে হয় জানি না ।
মাঝে মাঝে মনে হয় বই হয়ত যেভাবে পড়া হয় সেভাবে মাথায় নেয়া হয় না ।

ভাল থাকবেন ভাই

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: একটু আগে মলয় রায়চৌধুরীর সাক্ষাৎকার পড়ছিলাম । একটা জায়গায় এসে ত থমকে গেলাম ।
উনি বলছেন - বই আর পত্রিকা পড়া হয়ে গেলে বিলিয়ে দিই । আমার কোনো স্টাডিরুম, লেখার টেবিল, পড়ার ঘর জাতীয় ব্যাপার নেই । আর আজকাল তো কাগজ-কলমও ব্যবহার করি না । যাঁরা বাড়িতে সাক্ষাৎকার নিতে আসেন, তাঁদের পিলে চমকে যায় ।

১৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্লগের পছন্দের লেখকদের মধ্যে তুমি একজন। ডি মুনের লেখার সাথে খুব একটা পরিচয় হয়নি আমার। আমি গতবছর যখন মেলায় গিয়েছিলাম তোমাদের বই খুব সম্ভবত আসেনি। এবার কবে যাবো ঠিক নাই।
তোমার পড়াশুনা,লেখনী আমার ভালো লাগে। এবার আমি নানাবিধ ঝামেলায় ছিলাম। দেখা হলো না।
ভালো থেকো মাহমুদ। তোমার সমৃদ্ধ লেখক জীবন কামনা করি।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে একটা ঘটনা বলার জন্য সাথে সাথে রিপ্লাই দেইনি।
একবার ৬৮ -৬৯ সালের দিকে দৈনিক আজাদী একটি পাঠক জরিপ চালিয়েছিল। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে আপনি কাকে
মনে করেন ?
ওখানে দুইজন লিখেছিল - আবুল ফজল । :)
আবুল ফজল জানতে পেরে হাসি আর থামাতে পারে না । এটা উনার রোজনামচায় পড়েছি ।
ত এর পরে লিখলেন - যাই হোক , উনাদের মতামত কে শ্রদ্ধা না জানিয়ে উপায় কি ! আমার বেশ লাগছে । অন্তত
২ জনের কাছে হলেও আমি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ লেখক :) হাহাহা।
বেশ মজা পেয়েছিলাম এই ঘটনায়।
আমি আপনার পছন্দের লেখক - হোক না ব্লগ লেভেলে , জানতে পেরে অনেক ভাল লাগছে। আপনার কমেন্ট পড়ার পর
ভাল লাগার একটা রেশ অনেকক্ষণ ছিল। কারণ আপনার মন্তব্যের উপর আমার বিশ্বাস আছে।
ব্লগে বা চেনা জানার মধ্যে সবাই ত ভাল ভাল বলে , আজকাল কেই বা কাকে চটাতে চায়, ভাল ভাল বলে পাশ কাটানোই ভাল।
সাপ ব্যাং যাই লিখতেছি তা কোথাও গিয়ে কোন জায়গা নিল কিনা এটা মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে করে ।
সত্যিকার অর্থে লেখা দিয়ে মন জয় করা অনেক কঠিন একটা কাজ । যারা পেরেছেন তারা নমস্য ।
লিখে এই জীবন কাটাতে পারলে আমারো অনেক ভাল লাগবে , এটা অন্তত এই সময়ে এসে বুঝে গেছি । এই বোঝাটা পরিস্কার।
এখন দেখি সময় কি বলে ।

বাবুইকে আমার শুভেচ্ছা দেবেন ।
ভাল থাকবেন আপা ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনাদের দুজনের বই বের হওয়ার পেছনের সব কথা জানলাম।

বাব্বা কত্ত ঝামেলার পর বইয়ের দেখা পেয়েছেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হ্যা ঝামেলার কামেলা ত হলই :)
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইল ।
ভাল থাকবেন ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর

১৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এবার কি দ্বিতীয় মুদ্রণ হচ্ছে মাহমুদ ভাই?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আগের কপি ই চলে না আর দ্বিতীয় মুদ্রণ ;)
রানা ভাই হুন লে দৌড়াইব B-)
অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে মৃদুল ভাই ।
আশা করি ভাল আছেন ।
ভাল থাকবেন ভাই

১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পেছনের গল্পগুলো বোধকরি এমনি হয়। মিশেল। তবে শেষটা যে সুন্দর হয়েছে সেজন্য অভিনন্দন ভাইয়া। শুভকামনা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সব ভাল যার শেষ ভাল তার :)
হ্যা এরকমি হয় ,আমাদের ভাগ্য বরং অনেকের চেয়ে ভালই বলব ।
কপালে আর খারাবি জুটতে পারত ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনাদের গল্পগুলো পড়ার পর একটা রিভিউ লিখতে চেয়েছিলাম, লেখা হয়নি। তখন আমি ছিলাম একেবারেই নবীন। ভেবেছিলাম, আমার লেখা কে পড়বে!
এই সুযোগে বলে রাখি, আপনার ফাঁদ আর মুন ভাইয়ের রাফখাতা গল্পটা আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে।
একটা সিক্রেট বলি, মুন ভাইয়ের গল্প পড়েই আমার ব্লগে লেখার সাধ জেগেছিল! যদিও এটা এখনও তিনি জানেন না! তার রাফখাতা পড়েই ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম।
আপনার সাকিন গল্পটা পড়ে সত্যিই ভিজে এসেছিল চোখ। ম্যাজিক অসাধারণ।
আপনাদের বইটা আমি দুই একজন পড়ুয়াকেও দিয়েছিলাম, পড়া হয়ে গেলে জিজ্ঞেস করেছিলাম, "ক্যামন?"। সবার কাছ থেকেই পজিটিভ উত্তর করেছি। কেউ কেউ বলেছে, অন্যরকম। কেউ বা বলেছে, বেশ ভাল। এখন বইটা আমার কাছে নেই। আমার এক স্যারের কাছে আছে।
আপনার আগামী বইও সাফল্যমণ্ডিত হোক। ভাল থাকুন, লিখতে থাকুন

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: রিভিউ লিখতে হবে না , লিখতে চেয়েছেন এটা শুনেই অনেক ভাল লাগছে ।
আশা করি মুন ভাই এই সিক্রেট এখনো জানেন না । :)
একজনের লেখা পড়ে আরেকজন অনুপ্রাণিত হয়ে এখন লিখছেন , মামুন ভাইয়ের জন্য ব্যাপারটা আসলেই অনেক আনন্দদায়ক।
উনার সহলেখক ও বন্ধু হিসেবে আমার আনন্দ ও এতে কম নয়।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সব ছেড়ে ছুড়ে দেই , বেশ হতাশ হয়ে যাই , এরকম কয়েকটা তাজা বাতাস
মনের ভেতরে থাকা হতাশার আলো নিভিয়ে দেয়, প্রাণিত করে।
আপনার এই মন্তব্যে আমাদের জন্য অনেক প্রাপ্তি থাকল ।
আপনি শুধু নিজে পড়েই ক্ষান্ত হন নি , আমাদের মতামত দিয়েছেন , আরো মানুষকে পড়িয়েছেন , পড়াচ্ছেন , সত্যি মন আনন্দে ভরে গেল ।
আশা করছি আমাদের আগামী বই ও আপনাদের সন্তোষ বিধান করতে সমর্থ হবে ।
ভাল থাকবেন ,।
আপনার সুন্দর লেখক জীবন কামনা করছি ।

১৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমি কিন্তু কিনছি এক কপি !
আমার কাছে প্রমান আছে ! B-))

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ , জানি অপু ভাই ।
তারপরো স্ক্রিন শট ছাড়া বিশ্বাস করি ক্যাম নে ? ( ব্লগিয় ব্যাপার যেহেতু ;) )
ভাল থাকবেন ভাই ।
এই মুহূর্তে আপনাকে দেখে অনেক ভাল লাগল ।

১৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমতঃ, আমি এই বই এর একটা কপি কিনতে চাই। কিভাবে, তা বলে দিলে খুশী হবো। তারপর......
অত্যন্ত চমৎকার, প্রাঞ্জল এ লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। ডি মুন আর 'মামুন ভাই' যে একই ব্যক্তি, তা জেনেও খুব ভালো লাগলো। আর এ লেখায় আপনাদের যে অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারলাম, সে অভিজ্ঞতা আমারও সদ্যলব্ধ, তাই অক্ষরে অক্ষরে লেখাটার মর্ম বুঝতে পারলাম। মনে হলো, আমার অভিজ্ঞতার কথাটাই যেন শুনছি। ধন্যবাদ, নতুন লেখকদেরকে নিয়ে এমন লেখাটা উপস্থাপন করার জন্য, যদিও আপনি এখন আর নতুন নেই।
অন্যের লেখাকে আপনি যেভাবে আপনার ফেইসবুক পাতায় (হয়তো এখানেও, আপনার সব ব্লগ পড়িনি) প্রমোট করে যাচ্ছেন, তার প্রশংসা না করে পারা যায়না। এমনকি আমার মত একজন নামহীন লেখকের একটা প্রকাশিতব্য বই নিয়েও (“জীবনের জার্নাল”) একদিন হঠাৎ করে যখন আপনার ফেইসবুক পাতায় একটা পোস্ট দিলেন, সেদিন রীতিমত চমকে উঠেছিলাম। তারপর থেকে দেখছি, আপনি নিয়মিতভাবে সতীর্থ লেখকদের বই প্রমোট করে চলেছেন। এই সহৃদয়তা সকলকে উদবুদ্ধ করুক, তাই কামনা করি।
এই ব্লগের অনেকের কথা আপনার লেখায় উঠে এসেছে। তাদের পরিচয় পেয়ে খুব ভালো লেগেছে। আপনার লেখায় এবং পাঠকদের মন্তব্যে অনেক কিছু কথা পেয়েছি, যা কোট করার মত। অনেক পাঠকের মন্তব্য ভালো লেগেছে, তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে কাল্পনিক ভালবাসার মন্তব্যটি। তার বিকশিত দন্ত এভাবেই লেখকদের প্রেরণা যুগিয়ে যাক, এই কামনা করি।
সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অভিনন্দন!

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ , আপনাকে দেখে বরাবরের মত ভাল লাগছে ।/ চেস্টা করি এখন যারা ভাল লিখছেন, তাদের পরিচিত করাতে। আজকে হয়ত তারা একটু ভাল ,অনেক খানি ভাল লিখছেন , আমার আপনার একটু সাপোর্ট পেলে একদিন তারাই মহীরুহ হয়ে দাঁড়াবে। এটা বিশ্বাস করি । আর তিনি যদি ব্লগার হোন , ভাল লাগার মাত্রা আরো বেড়ে যায় । আমরা ব্লগার রা একটা পরিবারের মত , এটা মনের ভেতরে অনুভব করি ।
কাভা ভাই শুরু থেকেই আমাকে উৎসাহ / অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন । তিনি নিজেও খুব ভাল লেখক । কোন পরিস্থিতির যথাযথ
বর্ণনা উনার লেখা আসে । নানা কারণে তিনি লেখায় সিরিয়াস হন না । নয়ত আমার বিশ্বাস তিনি অনেক কেই ছাড়িয়ে যেতে পারতেন । শুধু দন্ত বিকশিতই নয় আর নানাভাবে তিনি আমাদের পাশে থাকবেন এই কামনাই করি । :)

আপনার ইমো ব্যাবহার দেখে আনন্দ পেলাম ।ইমো ব্যবহার ব্লগিং কে প্রাণবন্ত করে /। আপনার আত্মজীবনী পড়বার জন্য মুখিয়ে আছি । আপনি যে জীবন যাপন করেছেন সে জীবন সম্পর্কে লেখা খুবই কম । আপনার বই সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে যাচ্ছে বলে বিশ্বাস ।

হাহাহা , বই প্রকাশের যাতনা বোধ হয় প্রায় সবাইকে পোহাতে হয় তাই উপলব্ধিও এক রকম । একসময় এর অবসান হবে এই কামনা করি ।

ভাল থাকবেন স্যার ।
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বই কুরিয়ার করে পাঠানো যায় । আপনার আপত্তি না থাকলে আপনার সাথে এ ব্যাপারে ফেবু ইনবক্সে যোগাযোগ করত পারি ।
আবারো শুভেচ্ছা ।/

২০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সময় কতোই না দ্রুত চলে যায়! দেখতে দেখতে একটি বছর পার হয়ে গেল।


মশিকুর ভাইয়ার সাথে একমত এবং তাঁর মত করেই বলতে চাই, ব্লগটা সত্যিই মায়াবী। অদ্ভুত এক মায়ার টানে এখানে আবদ্ধ করে ফেলে। অদেখা মানুষগুলো কিভাবে যেন অনেক আপন হয়ে যায়। গল্প সংকলনে একসাথে কাজ করতে গিয়েই মুন এবং আপনার সাথে ঘনিষ্ঠতা শুরু হয় আমার। প্রথম দিকে আমাদের রিলেশানটা ফর্মাল হলেও কিছুদিনের মধ্যেই ফর্মাল থেকে ফর টা বাদ গিয়ে শুধু মাল টাই রয়ে গেল B-)

আপনাদের বই প্রকাশ করার কথা জেনে সত্যিই আমি খুব উচ্ছ্বাসিত ছিলাম। উচ্ছ্বাসিত হবারই কথা। কাছের মানুষের সাফল্যে উচ্ছ্বাসিত না হবার উপায় আছে। অবশ্য এর পিছনে কিছু স্বার্থও জড়িত আছে। একজন মাশ্রাফিকে নিয়ে যেমন আমরা গর্ব করে বলি আমাদের মাশ্রাফি। ঠিক তেমনি আপনাদের বই প্রকাশের কারণে আমি গর্ব করে বলতে পারি আমার বন্ধুরা লেখক। তাদের বই প্রকাশিত হয়েছে।

আপনাদের বইয়ের গল্পগুলো পড়া হলেও বইটি হাতে না পাওয়ার জন্য আক্ষেপ রয়ে গেছে। আশা করি এই বছর সেই আক্ষেপ আর থাকবে না। ;)

মাত্র এক বছরের মধ্যেই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করার জন্য পোস্টে মাইনাস। X(( যতটুকু জানতে পারলাম এর পিছনে নাকি মহান ডিম বাবার হাত আছে। ডিম বাবাকেও মাইনাস। X(

আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিন। দ্বিতীয় বইয়ের জন্য অপেক্ষায় আছি।

শুভ কামনা রইল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অসাধারণ মন্তব্য প্রবাসী ভাই ।
আমাদের রিলেশানটা ফর্মাল হলেও কিছুদিনের মধ্যেই ফর্মাল থেকে ফর টা বাদ গিয়ে শুধু মাল টাই রয়ে গেল
হাহাহা , আসলেই ।
অবশ্য মহান ছাত্র ভাইয়ের জন্য মাঝে মাঝে মালে দুই নাম্বারি পাওয়া যায় । ;) কি সব করে বুঝি না B-) এই পোষ্টের কথাই ধরেন , ছাত্র ভাইয়ের জন্য দিতে বাধ্য হলাম কিন্তু ছাত্র ভাইয়ের কোন কমেন্ট নাই । ;)
আপনাকে দেখার অপেক্ষায় আছি ।
২য় বই ইনশাআল্লাহ প্রস্তুতি নিচ্ছি ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
অনেক শুভকামনা রইল ।

২১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাপ্নার বই প্রকাশের কাহিনী পড়ে রোমাঞ্চিত হলাম ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জানতে পেরে ভাল লাগ ল । :)
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রুপক ভাই ।
আপনার প্রতি অনেক শুভকামনা রইল ।

২২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

জুন বলেছেন: প্রথমেই রইলো অনেক শুভকামনা সাথে অভিনন্দন মাহমুদ০০৭ ।

অর্ধেকটা পড়ে বুঝলাম আমার দ্বারা কখনো বই প্রকাশ করা সম্ভব না :(
একেতো নবীন ব্লগ লেখক তায় আবার এই বিষয়ে চুড়ান্ত অজ্ঞ ।
যাইহোক আপনাদের বই দেখবো কিনবো আর পড়বো । তাতেই আমার আনন্দ ।
আর আমার লেখা পড়তে চাইলে বইমেলা নয় , সামহ্যোয়ার ইন ব্লগ বাংলা জুন এই ঠিকানায় আসলেই হবে :)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ জুনাপা ।
আমিও মনে করি আপনার বই বের করা দরকার । শুধু ব্লগের ভেতর এরকম ভাল সমৃদ্ধ লেখা আটকে থাকবে এটা ভাবতে কষ্ট
লাগে । আপনি যদি বইমেলার আগে বই বের করে রাখেন সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে না মনে করি ।
ভাল থাকবেন জুনাপা।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ব্লগের শক্তিমান লেখকদের মধ্যে আপনি একজন। আবার নতুন লেখকদের প্রতি আপনার সহমর্মীতাও অসাধারণ। আপনার এই গুণগুলি ভাল লাগে।

বিভিন্ন লেখকের বই প্রকাশ-অভিজ্ঞতার বয়ানে যা ধারণা হয়েছে তাতে বই বের করার ঝামেলায় কোনোদিন যাওয়ার সাহস পাই কিনা কে জানে। তাছাড়া আমি মনে করি যোগ্য লেখকদেরই উচিত বই বের করা। সেই যোগ্যতা আদৌ আমার নাই। কিন্তু এই ব্লগের বেশ কিছু লেখকের তা পুরোমাত্রায় আছে। আপনার ফাঁদ গল্পটি প্রথম যখন ব্লগে পড়েছিলাম তখনই মনে হয়েছিল বাংলাদেশ অচিরেই একজন শক্তিমান কথাসাহিত্যিক পেতে যাচ্ছে।

আপনার প্রতি নিরন্তর শুভ কামনা থাকবে। লেখালেখিই হয়ে উঠুক আপনার ধ্যান-জ্ঞান-ভালবাসা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ নাইম ভাই ।
চেষ্টা করি নতুন / অপরিচিত যারা ভাল লিখেন তাদের কথা পাঠকদের জানানোর জন্য ।, আজকে হয়ত তারা একটু ভাল ,
অনেক খানি ভাল লিখছেন , আমার আপনার একটু সাপোর্ট পেলে একদিন তারাই মহীরুহ হয়ে দাঁড়াবে।
যারা বিখ্যাত তাদের নিয়ে ঢের লেখা হয়ে গেছে । আর কত! আরেকটা জিনিস খারাপ লাগে । যারা বর্তমান সময়ে
চলমান তাদের সাহিত্য নিয়েও তেমন কোন কথা নেই । শহিদুল জহির মরে যাওয়ার পর তাকে নিয়ে যে পরিমাণ লেখা পেলাম তার ১০ ভাগের ১ ভাগ তার জীবিতবস্থায় পেলে কি এমন ক্ষতি হত ? একজন জাকির তালুকদার বা মইনুল আহসান সাবের সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে আমরা তাদের মৃত্যু পর্যন্ত সময় নেবো ?

আপনি যেটা গুণ বলছেন সেটা আবার দেখার গুণে দোষ ও হয়ে যেতে পারে। ;)
এটা নিয়েও কথা উঠে গেছে । আমি নাকি দালালি করছি ;)
ব্লগে একজন কবি আছেন তিনি সব ব্লগারের বই কেনার চেষ্টা করেন , প্রায় কেনেন । এটা নিয়েও কথা শুন লাম ।
তিনি নাকি তার বই যাতে সবাই কেনে তার জন্য নাকি সবার বই কেনেন । অই ভদ্রলোক এখনো বই বের করেন নি ।
কবে বের করবেন সেটারো ঠিক নেই ।
আমি বুঝি না যদি উদ্দেশ্য তাই হয় , তাহলে কয়েকবছর আগ থেকে বই কেনার প্রজেক্ট কেন ? ;) বই বেচে লস পোষাতে পারবেন ত ?

যাই হোক , লেখা বা ব্যক্তিজীবন সব জায়গাতেই আমি আমার মত করে চলি , তাই কে কি বলল তাই নিয়ে কখনো মাথা ঘামাইনা । মাথা ঘামানো সম্পূর্ণ অর্থহীন জানি বলে।
একটা কথাই বলব আপনি বই বের করার প্রস্তুতি নিন। সময় লাগুক । তবুও নিন। আপনি লেখক ।
আমার প্রতি আপনার এক ধরণের ভালবাসা আছে এটা টের পাই। এবং আপনি খুব অপকট।/ মুখের উপর বলতে জানেন ।
আপনি যখন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সবার সাম নে আমার প্রশংসা করছিলেন তখন সত্যি খুব লজ্জা পেয়েছিলাম /
যাই হোক আমি আপনি দুজনেই জানি আমাদের সবে শুরু । আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে ।
বই বের করার পেছনে আমার বিশেষ কোন ভাবনা ছিল না । আমি সব ব্যাপারই যতটা সম্ভব সিম্পল ভাবার চেষ্টা করি ।
সাহিত্য - ফাহিত্য দু চারটা যা করলাম তার একটা ছাপ থাকুক, যারা অনলাইনে নেই তাদের কাছে আমাদের লেখা যাওয়ার
একটা সুযোগ তৈরি হোক এই চিন্তা থেকেই বই বের করে ফেলেছি। লেখালিখি যদি কোনদিন ছেড়ে দেই / না করি
তাহলে ব্লগ আর বই দেখে একসময় আমি সাহিত্য ফাহিত্য করছিলাম এইসব মনে টনে পরবে । এই আরকি ।
আমি লেখক কিনা এটার উত্তর আমার কাছে নাই ।
লেখালিখিটা আমার কাছে জুয়ার মত মনে হয় । একটা লেখা পাঠক নিতে পারে , ছুড়েও ফেলে দিতে পারে ।
ছুড়ে ফেলে দিলে করার কিছু নাই /। আশা ছেড়ে দিয়ে , নিজের কাছে বিশ্বস্ত থেকে , পাঠকের চিন্তা ভাবনাকে তোয়াক্কা
না করে তবেই নিজের লেখাটা সম্ভব বলে মনে করি ।


যদি লেখে বা না লেখেও জীবন চালানোর মত একটা অবস্থানে পৌঁছে যাই তাহলে সব ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে লিখব । আমি জানি আপ্নারো এমন নিয়ত । আরো অনেকেরই এমন নিয়ত আছে /
লেখালিখি কষ্টকর এবং একই সাথে আনন্দদায়ক একটি ভ্রমণ ।
এই ভ্রমণ শেষ পর্যন্ত যাতে আমরা দুজনে অব্যাহত রাখতে
পারি স্রষ্টার কাছে এই কামনাই থাকবে ।
অলওয়েজ ড্রিমের স্বপ্ন তার ঘুম কেড়ে নিক , স্বপ্নকে বাস্তব করার আকাঙ্ক্ষায়।


২৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

সুমন কর বলেছেন: বাহ! ফাঁদেও পরতে হইব, সমতলেও থাকতে হইব! সাহিত্যের সেবা করলে সাহিত্যও তোমার মন কে পরিপূর্ণতা দেবে।

অনেক না জানা কাহিনী, জানতে পারলাম। এখন আর বই কিনি না, কারণটা অন্যদিন বলা যাবে। পোস্টটি কালই দেখেছিলাম। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় পড়বো বলে, সকালে পড়লাম।

তোমাদের জন্য শুভকামনা সব সময়ই আছে। আমি আবার নীরবেই থাকি তো.....তাই হয়তো কেউ কেউ ভুল বুঝতে পারে ! এটা আমার জীবনে বহুবারই হয়েছে !

শুভ সকাল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা ।
আমি / আমরা জানি আপনি সবসময় সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়েন । আপনি যে দুইটা লাইন কোট করেছেন,
এই দুইটা লাইন আমারো অনেক ভাল লেগেছে। দোকানদার এইভাবে বলবে ভাবি নাই।
বইয়ের ব্যাপারে একদিন জানার অপেক্ষায় রইলাম ।
মানুষের জীবনে নানা ঘটনা ঘটে যার ফলে মানুষ কিছু মৌলিক সিদ্ধান্তে আসে/
আপনি নীরব বা সরব যাই থাকেন না কেন < আমরা যারা আপনাকে চিনি আপনার সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা সবার ভেতর
আছে বলে মনে করি।
আপনার মত স্পষ্টভাষী ব্লগারের অভাব আগেও ছিল, পরেও থাকবে।
সহব্লগার হিসেবে আপনাকে পেয়ে আমরা গর্বিত । এবং আপনার শুভাশিস যে আমাদের সাথে আছে তা আমরা টের পাই ।
ভাল থাকুন প্রিয় সুমন দা ।
অনেক শুভকামনা রইল ।

২৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০১

প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা আগেও পড়েছি। আপনি ভাল লেখেন। আপনার বই বের করার কাহিনী পড়ে অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ প্রামানিকদা । একদিন আপনিও আপনার কাহিনী আমাদের জানাবেন , এই অনুরোধ রইল ।
আপনার মাকে নিয়ে লেখাটা ( বিহারি মহিলাদের সাথে ট্রেনে ) খুব ভাল লেগেছিল।/মোবাইলে পড়েছিলাম ।
ভাল থাকবেন ।/
শুভকামনা রইল ।

২৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আরেহ ডি মুনের নাম যে মামুনুর রহমান আমার তো মাথাতেই ছিল না। আমি খালি কাল বারবার পড়ার সময় ভাবছিলাম বই লিখল তোমার সাথে ডি মুন কিন্তু তুমি মামুন রশীদ ভাইকে নিয়ে কেন ঘুরতাছো প্রকাশকের কাছে। এই পোস্টে আবার ঢুকলাম, খায়রুল আহসান ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে ক্লিয়ার হলাম। :P

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ , আপা।
ব্লগ ত মামুনে ভরা । ডি মুন মামুন , কুনো ভাই মামুন, মামুন রশিদ ভাই ত আছেন ই ।,আরো দু চাইরটা থাকা বিচিত্র না B-)
মামুন রশিদ ভাইকে সিনিয়র মামুন ভাই বলে ডাকতে শুনেছি ( একাধিক মামুনের ভেতর উনাকে বোঝতে )
অবশ্য ডি মুন কে এখন মামুন ভাই বলা যায় না । সে কয়দিন পর পর নিজের নাম পাল্টায় । এই মুহূর্তে তার নাম
'' ছাত্র ভাই '' :P
এরকম বুড়া দামড়া ছেলে কিভাবে ''ছাত্র ভাই '' হয় মাথায় আসে না । B-) :D

২৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার অভিজ্ঞতার বর্ননা যদিও সেটা আপনাদের পক্ষে সহজ পরিস্থতি ছিল না। এখন যেহেতু অতীত এবং বইটি সাফল্য পেয়েছে তাই পড়ে কৌতুক মনে হবার কথা নিশ্চয়ই । অথচ নবীন লেখককে কি কষ্টের মধ্য দিয়েই না যেতে হয়, ব্যাপারটা পীড়াদায়ক খুব। আপনি আমার একটি গল্প পড়ে খুব উৎসাহ দিয়েছিলেন। সেজন্য শুধু লেখক হিসেবই না সমালোচক হিসেবেও আপনি আমার জন্য প্রেরণার। আশা রইলো আপনার মত আরো অনেক ব্লগার আগামী দিনে বাংলা সাহিত্যে এখনকার মন্দাবস্থাকে কাটিয়ে তুলবেনম। অনেক শুভেচ্ছা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা যে , আরো খারাপ অভিজ্ঞতা লাভ করিনি । টাকা খরচ করেও বই পায় না এরকম অনেক আছে /
আপনি ভাল লেখেন এবং নিজের মত করে ভেবে লেখেন এইটা ভাল লাগে । সাম নেও চাইব আপনার এই প্রবণতা জারী থাকুক ।
ভাল থাকবেন
শুভেচ্ছা রইল ।

২৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



গত বছর পরিবার বর্গ মিলে বইটা কিনেছিলাম। আমার বঊ বইটা পড়ে খুব প্রশংসা করছিলো।

তা এইরকম একটা বই বের করে চুপ মেরে গেলে কি কাজ হবে ?

শুভকামনা রইলো আগামীর জন্য।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ কাণ্ডারি ভাই ।
হ্যা , আমাদের জন্য এটা অনন্য অভিজ্ঞতা ছিল । আপ্নারা ভালবেসে পাশে ছিলেন বলেই সব কিছু আনন্দ ময় লেগেছে ।
ভাবিকে সালাম । এবং শুভেচ্ছা রইল ।
অনেকদিন দেখা হয় না আপনার সাথে ।,
সাক্ষাতের অপেক্ষায় রইলাম ।
আগামী বইমেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি কাণ্ডারি ভাই ।
শুভেছা রইল ।

২৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

আরজু পনি বলেছেন: যারা পোস্টের মন্তব্য স্কিপ করে জবাব দেয় তাদের বিরুদ্দে কী ধরণের পোস্ট দেয়া যেতে পারে ভাবছি /:)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইচ্ছে করে দিচ্ছি আপা , এবং এতে সবার উপকার হচ্ছে বলে আমার ধারণা B-)
যে সব কমেন্টের জবাব তৎ্নগদ দেয়া যায় তা আগে দিচ্ছি , এবং যেগুলা একটু গুছিয়ে দিতে হবে তা পরে দিচ্ছি ।
আপনার এই কমেন্টেই দেখুন না কেমন ঝটপট দিয়ে দিলুম ;)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমার নামে মামলা দিতে পারেন আপা :D

৩০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

মশিকুর বলেছেন:

আমি জানি না কেন যেন আপনার ব্লগে কমেন্ট করতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এমন না যে বোঝাপড়াটা আস্তে আস্তে গড়ে উঠেছে। প্রথম আপনার ব্লগে 'ফাঁদ' গল্পে কমেন্ট করি; তখন কিন্তু আপনাকে চিন্তামও না :)
অনেক সময় হয় কি, আপনার লেখা পড়ে চিন্তা করি পরে কমেন্ট করবো... কিন্তু সেই পর আর আসে না :(

ফেসবুক ডিএক্টিভেট করাছিলাম এক বন্ধুকে দিয়ে। কম্পিউটার নষ্ট হইছিল, পাসওয়ার্ড হার্ডডিস্কে ছিল, আর আমি ছিলাম ব্যস্ত। ওই বন্ধুই ইয়াহু থেকে পাসওয়ার্ড রিসেট করে ডিএক্টিভেট করে। আর ডিএক্টিভেট করার কারন আর নাই বললাম X(

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: "মাত্র এক বছরের মধ্যেই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করার জন্য পোস্টে মাইনাস।" ঠিক একই কারনে আমি পোস্টে প্লাস দিলাম ;) ;)

আর মামুন নাম নিয়া বেশী করলে কিন্তু সব মামুন মিল্লা ঝাপাইয়া পরমু ;) তবে 'মশিকুর' নাম কিন্তু পাবেন না... 'মসিউর' পাবেন, 'মুশফিকুর' পাবেন, 'মশিকুর' কিন্তু একটাই (ওয়ান টাইম মেড, কারিগর ডেড) =p~

বইয়ের জন্য যোগাযোগ করুম... ডি মুন আর আপনাকে আবারও শুভেচ্ছা :)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার কমেন্ট করাটা কেমন যেন , জাম্বুরার রসে টুইটুম্বুর ( এবং কোয়েলের ডিমে ভরপুর ;) ) । হাহাহা। অনেক অনেক উপভোগ করি ।
ফাঁদ গল্পে আপনার কমেন্ট পড়ার পর অটোম্যাটিক হাসি বেরিয়ে গেছে ।
তখন আর আর জানতাম আপনি এইরাম B-)

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: "মাত্র এক বছরের মধ্যেই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করার জন্য পোস্টে মাইনাস।" ঠিক একই কারনে আমি পোস্টে প্লাস দিলাম

আপ্নের প্লাস সাদরে নিলাম ;)
আর মামুন নাম নিয়া বেশী করলে কিন্তু সব মামুন মিল্লা ঝাপাইয়া পরমু ;) কই ঝাপায়ে পরবেন এইটা জাতিরে ক্লিয়ার করলে
ভালা হইত । দেশে বড় নদীর ত অভাব নাই !!

আইজ কাই মশিকুর৪২০ নামে একটা আইডি খুল তেছি ;)
উকে কইরেন মাগার রানা ভাইয়ের লগে না ( রানা ভাই দেখলে কইবো হেতে দেহি ব্যবসা লস কইরা দিতাছে B-)

৩১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

অচল জ্ঞানী বলেছেন: কোথায় যেন একটু তৈলাক্ত মনে হচ্ছে ধরতে পাড়ছিনা!
... শুভ কামনা রইল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পুরাটাই তেল ;)
তেল ছাড়া শুভকামনা নিলাম ।

৩২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ২৯ নাম্বার কমেন্টটা আমিই করতাম কিন্তু এর আগেই আরজুপনি আপা করে ফেলছেন। অবশ্য আমি বুঝে নিছি তুমি সময় নিয়া উত্তর দিবা। নিজেরে স্পেশাল ভাবতে কতই না সুখ, তাই না ? B-)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ মজা পাইলাম । পনি আপায় মন ওয় কুট কইরা লাইক মাইরা গেছে ;) আমিও দিলাম । কই আমার উত্তরে ত লাইক
দিল না :D আপ্নে দিবেন নি ? B-)

এত তেল পাইলে স্পেশাল ভাবতাম না ক্যাড়ে ? :D B-) উপরের আরেক জ্ঞানী তেল ধরতে না পাইরা মনে ওয় ব্যাপুক কষ্টে আছে । হাত্তি হাত্তি কমেন্ট করতেছি একটু টাইম ত দিবেন ;), আর লগে লগে মাথায় সবকিছু আহেও না আমার ।
দৌড়ের উপ্রে থাকতে থাকতে মগজও খালি দৌড়ায় । ভাষা পাইতে তাই টাইম লাগে।
জানি দেখতে একটু অড লাগে, কমেন্ট সিরিয়ালী না দেখলে অনেকেরই আপত্তি দেখতাছি , আমার মনে অয় এইতা থিকা
বাইর হওয়া উচিত , এইটা একটা প্রথা হইয়া গেছে । আপ্নেরে ফাইনালি আপনি আন্সার কি দিলাম অইটাই হইল আসল ।
তবে এইখানে যে আমারে মনে হয় অগ্রাহ্য করা হইতাছে , / গুরুত্ব কম দিতাছে এরাম একটা ফিল আহনের চান্স রে অস্বীকার করেতছি না । আসেও। ভাল থাইকেন , শুভকামনা / জেনে আনন্দিত টাইপ কমেন্ট যদি কেউ স্কিপ করে তারে ধরাই যায় ।
কিন্তু মেইন লি যথাযথ মন্তব্যের ক্ষেত্রে ভাবন আছিল উল্টাটা।আমি আপ্নারে গুরুত্ব দিতাছি বইল্লাই টাইম নিতাছি । নচেৎ দায়সারা কমেন্ট কইরা সিরিয়াল চালাইতে কি এমুন কষ্ট !! আর এই সিরিয়াল চালানি মনোভাবের কারণে সময়ের অপচয়
হয়। অনেকের পোস্টেই দেখবেন একটা ভালা জবাব দেয়নের লাইগা হের পরের ১০ টা শুভকামনা টাইপ কমেন্ট আজাইরা
বসায়া রাখছে । পরে দেয় । পনি আপার নিজেরো এমন অনেক জইমা যায় দেখছি। ওইগুলা আমার মতে দিয়া দিয়াই ভাল ।আরেকটা কাজ করা যায়। লিক্ষা দেয়া যায়
আপ্নারে একটু দেরিতে দিতাছি । কিন্তু একের অধিক এই কমেন্ট দিলে অইটাও দৃষ্টিকটু দেখায়। ব্লগিয় সমালোচনা হবে - নিজের পোষ্টে কমেন্ট বাড়াইতাছে B-)
আইজ হয়ত আপ্নের চোখে পড়ছে কিন্তু এইটা আমি প্রায়ই করি । মন্তব্য কমপ্লিট না হইলে দেই না বসায়া রাখি । এখনো মশিকুর ভাইয়ের দুইটা কমেন্ট আটকা । ভিখারিনী গল্পে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের কমেন্ট এর আন্সার দেই নাই । যখন দিমু
তখন উত্তরে বইলা দিমু যে এই কারণে দেরি করলাম ।
শুধু নিজের পোষ্টে না অন্যের পোষ্টেও এইটা করি। আপ্নের বুবুনের পোষ্টে কমেন্ট দিছি । আমি ব্লগর ব্লগর ৩ অ পড়ছি ।
কিন্তু কমেন্ট করি নাই বড় কমেন্ট করমু দেইখা । অনেক সময় এমনো হইছে ৩ মাস পর কমেন্ট কইরা আসছি । কিন্তু যেইটা কমেন্ত করমু ভাবুম অইটা দেই ই ।



মূল ব্যাপার হইলো এইটা নির্ভর করব যার পোষ্টে কমেন্ট দিতাছেন তার লগে আপনার সম্পর্কের ধরণ কিরাম অইটার উপর বেজ কইরা । ছাই ভাইও অনেক সময় আমার কমেন্ট স্কিপ কইরা উত্তর দিছে । আমি এইটা নিয়া ভাবি নাই । আমি জানি উনি
আমারে প্রস্তুতি নিয়া কমেন্ট দিব বইল্লাই সময় নিতাছে । কিন্তু একজনের কারনে ১০ টা হাল্কা কমেন্ট বসায়া রাখা অনুচিত মনে করি।

আমার মূল লক্ষ্য থাকে নিজের ভাবনারে এক্সপ্রেস করার দিকে। এইখান থিকা আমি ক্লু অ নেই । যে আমি এইসময় এইটা ভাবছিলাম । আমার বিশ্বাস আছে আপ্নারা যারা আমার লগে দীর্ঘদিন ধইরা ব্লগিং করতাছেন তারা আমার মানসিকতা সম্পর্কে
ওয়াকিবহাল আছেন বা ধারণা করতে পারেন ।
যাই হোক আপ্নের কমেন্টরে অসিলা কইরা জাতিরে ক্লিয়ার কইরা দিলাম । ভবিষ্যতে এই টাইপ কথা উঠলে এইসব কপি পেস্ট কইরা দিমু :D



৩৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০

আরজু পনি বলেছেন:
আমি জ্যোতি প্রকাশেও গিয়েছিলাম, কিন্তু ওখানে বই ছিল না । ওরা খুব সংখ্যক বই রাখতে পারে, কেননা জ্যোতি প্রকাশ ওদের নিজেদের স্টল না ।

আমি বইয়ের পোস্ট রোজ আপডেট করতে গিয়ে অনেক কিছুই মিস করে যাই এই ফেব্রুয়ারি জুড়ে...চোখ রাখতে হয় প্রচ্ছদ আর রিকোয়ার্ড তথ্যের দিকে...ফলে বই যে আপনাদের হাতে চলে এসেছে তা বুঝিনি...কারণ আমার বইতো জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন নিজেদের উদ্যোগেই নিজেদের স্টলে রেখেছে। আর সব বই মানে দুই সংস্করণে মোট ১০০০ (এক হাজার) বই আমাকে দিয়ে দিয়েছে (মানে তাদের কাছে রেখেছে, আমি চাহিদা মতো তাদের কাছ থেকে নিতে পারতাম, এখন আমার স্টক শেষ। পরের সংস্করণে হাত দেয়া জরুরী) । কিন্তু তারা সারা দেশে এবং নিজেদের স্টলে নিজেদের দায়িত্বেই ডিস্ট্রিবিউট এবং বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে ।

তাই আমি ভেবেছি পারভেজ রানাও তেমন করেই আপনাদের বই বিক্রীর ব্যবস্থা নিবেন ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ জানি না রানা ভাই কি করছে । যারা মেলা করে তারাও আবার বই বা টাকা মাইর খায় । প্রকাশক মারে লেখক , প্রকাশক রে মারে মেলাওলারা হাহা । চমৎকার ইকো সিস্টেম । :D
জ্যোতি প্রকাশ গো লগে হেগো ভাল সম্পর্ক আছে । এবং তারা আমাদের বইটার বৈধ পরিবেশক ( অনুমতি নেয়া )
যাই হোক এইবার গেলে পারলে একটু খিয়াল দিয়েন জ্যোতি প্রকাশে আছে কিনা । যদি না থাকে আমরা কইতে পারুম , রাইট আছে আমাগো ।

ভাল থাইকেন আপা।

৩৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

এহসান সাবির বলেছেন: ওটা আমার নানার প্রিয় বই। আমি বলি ওরা তো আমার বন্ধু- আমার নানা বলেন 'কবি সাহিত্যিকদের সাথে তোর ওঠ বসা ভাবতেই ভালো লাগে'।

টাকা টা ক্যাশ দেবার ইচ্ছা ছিল হাতে হাতে কিন্তু কবে কি দেখা হবে আর আমার যা মতিগতি আজকাল.... B-)
তাই ঐ ভাবে ফ্লেক্সি করে দিতে হল ভাই, ক্ষমা করবেন প্লিজ।

আমরা কিন্তু আপনাদের কাছে থেকে নতুন বই আশা করতেই পারি।

শুভ কামনা সব সময়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ , মতিগতি র কথা বলে ত টেনশনে ফেলে দিয়েন ভাই , কাছে পিছেও নাই কিছু বুঝতাছিনা B-)
নানাজিকে আমার সালাম দিবেন । নানাজির ব্যাপার টা নিয়ে আমি আসলেই এক্সাইটেড / এমন একটা অভিজ্ঞতা হবে ভাবতেও
পারি নাই । উনাকে দেখার ইচ্ছে আছে আমার ।
আগামী বইমেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি প্রিয় সাবির ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

৩৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনি লিখেনও সেই রকম আর টক,জাল- মিষ্টি এই নিয়ে যােদের লিখা তারা আসলেই ক্ষ্যাতিমান। পোষ্ট ভাল লাগল। কমেন্ট আর উত্তর ও দারুণ লাগছে। যেহেতু বইটি সংগ্রহ নেই এমন কি এবার ও সংগ্রহ করতে পারবনা তয দু:খ ছাড়া কিছুই করার নেই। ভাল থাকবেন মিতা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম মিতা ভাই ।
অসুবিধা থাকতেই পারে ব্যাপার না । চেষ্টা করি মন খোলা রেখে লিখতে । যা এই মুহূর্তে মাথায় আসছে তা দিতে ।
ভাল থাকবেন ভাই

৩৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

আলোরিকা বলেছেন: অভিনন্দন ও শুভ কামনা বই প্রকাশের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে !

আপনার এবং ডি মুন দুজনের লেখাই ভাল লাগে । বইটি সংগ্রহে রাখতে আগ্রহী । কিন্তু আপনার ভাষ্যমতে , রানা ভাইরে আজাইরা ট্যাকা খাওয়াইতে চাই না ;)

উপায় -----------

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ

হাহাহা , উপায় ...... ইচ্ছে থাকিলে আর কি !
কুরিয়ার করে পাঠানো যায় । আপনার ঠিকানা মোতাবেক পাঠাতে পারি ।
ঠিকানা আমাকে বা ডি মুন ভাইকে ফেবুতে মেসেজ করে দিতে পারেন ।
আর সব পথ বন্ধ থাকলে শেষ ভরসা রানা ভাই :((
অভিনন্দন গৃহীত হইল ।
:)
ভাল থাকবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরাই ধরা খাওয়াইন্যা স্মৃতিচারণ। আমি তো পুরাই কনফিউজড, সারাক্ষণ দেখি মামুন(রশিদ) ভাই , আর লাস্টে আইসা প্রচ্ছদে তা ডি মুন হয়ে গেলো। তেলেসমাতি কারবার! বই তো অনেক বিক্রী হৈসে। অভিনন্দন! প্রথমে যে প্রকাশকের কাছে গেছিলা, তারে এবং তার প্রকাশনীরে ইঁদুর খায়া লৌক, ব্যাটা চামার, বাটপার! X( রাইটার্স গিল্ডের স্টলটা কোনদিকে?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ , মজা পাইলাম হামা ভাই ।
সারাক্ষণ দেখি মামুন(রশিদ) ভাই , আর লাস্টে আইসা প্রচ্ছদে তা ডি মুন হয়ে গেলো। তেলেসমাতি কারবার !
ইরাম তেলাসমাতি যদি বাস্তবে হইত! :-B
এই কথা কওনে মনে পড়লো ব্যাটারে একটু একটু ইন্দুরের লাহানই লাগে । X((
খাক হেতারে ইন্দুরে !!

স্টল ৩৯০ ।

৩৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

জেন রসি বলেছেন: গল্পের পেছনের গল্প। অনেক কিছু জানতে পারলাম। সবচেয়ে ভালো লাগল আপনি আপনার আবেগ চেপে রাখার চেষ্টা করেননি। অর্থাৎ যেখানে রাগ ক্ষোভ প্রকাশ করার কথা সেখানে তাই করেছেন। আবার যেখানে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিৎ সেখানে তা নম্র ভাবেই জানিয়েছেন। আপনাদের গল্পগুলো আমার পড়া হয়নি। তবে এখন তীব্র আগ্রহবোধ করছি।

আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: একদম যথাযথ বিশ্লেষণ জেন রসি ভাই । এ কারণেই আপনার মন্তব্য ভাল লাগে ।
এটা করি মনের ভেতরে যে ফিল তৈরি হয়েছে তার হুবহু প্রকাশ ঘটাতে । যে কোন লেখাই প্রধানত নিজের জন্য । এ সময় এভাবে ভেবেছি তার ছাপ ব্লগে থেকে গেল । এই আর কি ।
ভাল থাকবেন ভাই

৩৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সফল হয়েছেন, লেখকদের জন্য সুখবর, ব্লগারদের জন্য আশার খবর; বইতে পড়ার মতো কিছু আছে কিনা, সেটা এখনো জানা হয়নি

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ চাদ্গাজী ভাই ।
আপনার মন্তব্যটা ভাল লাগ ল । হ্যা এটাই হল আসল যে পড়ার মত কিছু লিখতে পেরেছি কিনা ।
বইয়ের কাটতি কখনোই আসল ব্যাপার হতে পারে না । ব্লগে বইয়ের গল্প প্রায় সব টাই দেয়া আছে । পড়ে যদি আপনার মনে হয় হ্যা , তাহলে সেটা যেমন পাঠক হিসেবে আপনার জন্য তৃপ্তির ব্যাপার হবে , তেম নি ভাল না লাগলে সেটাও আমাদের জন্য প্রাপ্তি । যে আমাদের আরো ভালভাবে লেখার চেষ্টা করা উচিত ।গল্প ভাল - খারাপ যাই হোক , লেখার সময় আমরা চেষ্টা করতে পারি , এবং নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করা উচিত । বাকিটুকু পাঠকের মামলা ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১০

ডি মুন বলেছেন: @ প্রিয় কর্মজীবী ভাই, মাহাবুত ০০৮ :-B

আপনারে ধইরা আছাড় মারুম। প্রবাসী ভাইয়ের কাছে আমার বদনাম করতাছেন কেনু !!!! B-)) আমি একজন ছাত্র ভাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই।

@ প্রবাসী ভাই
আপনি যত তাড়াতাড়ি পারেন মহাভূত ভাইয়ের সঙ্গ ত্যাগ কইরা মহাজ্ঞানী ডি মুনের দলে আইসা পড়েন। নাইলে কিন্তুক হাতে হারিকেন নিয়াও ভবিষ্যতে কোনো আলো পাইবেন না। :-B


নিজেদের বই নিয়ে এইরকম একখান ভাবগম্ভীর পোস্টে আউলফাউল কমেন্ট করতে আমারে যেন কেউ প্রোভোক না করে। খায়ালামু কয়া দিলাম। B-))

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দামড়া ছাত্র ভাই
আপ্নের কুনু ক্ষমা নাই
আপ্নেরে ফাসিতে ঝুলাইতে চাই X((
প্রেম খাসী ভাই আমার সাথে আছে , থাকবে ইনশাল্লাহ :)

৪১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: প্রথমেই শুভকামনা। গল্পগুলো পড়তে চাই। পুরো পোস্ট না পড়েই মন্তব্য করলাম। স্টল নং কত?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই স্টল নং - ৩৯০ । অথবা আপনি চাইলে আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,



একটি মধুরেন সমাপয়েৎ এর কাহিনীতে তেমন করে কিছু বলার থাকেনা শুধু ভালোলাগা জানানো ছাড়া ।

এবারে 'ফাঁদ" নিয়ে কিছু ফেঁদে "সমতল" এর মতো প্লেন ল্যাঙ্গোয়জে বলি ------------- এতো এতো কষ্ট করে ৫০০ খানা পোষ্ট (বই) ছাপাতে মোট খরচ ৬০ থেকে ৭০ হাযার টাকা । সর্বমোট পাঠক সংখ্যা একবছর সময়ের মধ্যে ঐ ৫০০ র বেশী হবেনা । ঠিক কিনা ?

অথচ দেখুন, আপনারা দুজনে মুফতে ( বিনে পয়সায় । মডুদের এককাপ চা ও খাওয়াতে হয়না ) সামু ব্লগে লিখে (পোষ্ট দিয়ে ) প্রথম দিনেই ৩০০ / ৪০০ পাঠক পেয়ে যান । সাথে পাঠকের উষ্ণ ভালোবাসা, লাইক ইত্যাদিও মেলে । ;)

এখন লাভজনক কোনটা ? কষ্টের পাহাড় পর্বত ডিঙিয়ে পয়সার শ্রাদ্ধ করে বইমেলার বই ছাপানো নাকি সমতলের আমজনতার সামু ব্লগে বিনে পয়সায় বইয়ের সব কিছু "এ টু জেড" পোষ্ট করা ?????? :P ;) =p~

হিসেব করে দেখুন , শুধু লাভেরে লাভ...................... :) :-P

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহা , জি এস ভাই :)
ইয়ে মানে ইন্টারনেট বিল টা ধরলেন না ;) একাউন্টিং বা ম্যাথমেটিক্স যে কোন এক জায়গায় এই বিলটা ফেলাইলে খুশি হইতাম B-)
ইস ! বইটা বের করার আগে যদি আপনার দেখা পাইতাম =p~

হাহাহ , একদম খেজুরের রসমাখা কমেন্ট ।
ভাল থাকেন ভাই ।

৪৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪১

ডি মুন বলেছেন:
@ আরণ্যক রাখাল

আমার গল্প পড়ে আপনার ব্লগে লেখার সাধ জেগেছিল - কথাটা আমার কাছে অমৃতমধুর লাগল। বোধকরি, যে কারো কাছেই লাগবে। এটা অনেক বড়ো প্রাপ্তি।

ব্লগে এসে এমন অনেক প্রাপ্তি মিলেছে - না চাইতেই। আপন করে নিয়েছেন প্রায় সবাই। এই প্ল্যাটফর্ম একটা পরিবারের মত মনে হয় এখন। এখান থেকে প্রতিনিয়ত শিখছি। সমৃদ্ধ হচ্ছি। আপনাদের সাথে ইন্টারেকশান হচ্ছে। ভালোলাগা মন্দলাগা শেয়ার হচ্ছে। ভুলগুলো শুধরে নেবার সুযোগ থাকছে।

এটাই আনন্দের।
অহেতুক উচ্চবাচ্য বা অপ্রিয়-কোলাহল এড়িয়ে জীবনকে সহজভাবে দেখার একটা চোখ তৈরি হয়েছে এ ব্লগের সাথে মিথস্ক্রিয়ার সুবাদেই। এখানে ইমন যুবায়ের লিখেছেন, এখানে আমি লিখছি -- এই কথাটা ভেবেও মন ভরে ওঠে।

লেখক হিসেবে কিছু চাওয়ার নেই।
কোনো গল্প লিখে নিজে তৃপ্ত বা তৃপ্তির মত কিছু পেলেই আমি চিরকাল সুখী হব।
তবু আপনাদের ভালোলাগা মাথায় তুলে রাখলাম।

আপনার জন্যে শুভকামনা আরণ্যক। আপনার লেখার হাত সুন্দর হোক। অন্তর হোক স্বচ্ছ।

৪৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :-P

৪৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

বিজন রয় বলেছেন: অভিনন্দন।
++

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ বিজন দা
ভালো থাকবেন ।

৪৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৭

সায়েম মুন বলেছেন: বিশাল কাহিনী। তাইলে বই প্রকাশ এত কষ্টের। আবারো অভিনন্দন রইলো। #:-S

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমাদের চাইতে ও ভোগান্তি অনেকের বেশি হয় । কি আর করা ভাই :)
আপনাকে দেখে ভাল লাগছে । অনেক দিন হল গল্প লেখেন না , কাকতাড়ুয়ার মত গল্প কি আর আপনার হাতে পাওয়া যাবে না ?
মিস করি ।
ভাল থাকবেন ।

৪৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২০

এহসান সাবির বলেছেন: ফাগুনের শুভেচ্ছা রইল।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ফাগুনের শুভেচ্ছা আপনাকেও প্রিয় সাবির ভাই :)
শুভকামনা রইল ।

৪৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: পোস্টে হাগার হাগার বার নিজের নামখানা পড়িয়া কেবলই ভাবিতেছি, আমার সাথে এত্তকিছু হইয়া গেলু তা নিজেই টের পাইলুম না! শ্যাষে ডিম্বাকৃতি(!) একখানা চাঁদমুখ চোখের সামনে ভাসিয়া উঠায় মনে হলো, যাক বাবা আপাতত নিস্তার পাইয়াছি ।

আমার নিজের কোন বই অদ্যাবধি প্রকাশিত হ্য়নি, তবু অত্যন্ত স্নেহাষ্পদ প্রিয় অনুজ দুজন গল্পকারের বইতে ফ্ল্যাপ লেখার বিরল সুযোগ এবং সম্মান পেয়েও আমি তা নিতে পারিনি । এই ব্যর্থতা, এই অক্ষমতা, এই দুঃখবোধ আমার নিজের হয়েই থাকলো । কুরিয়ারে আপনার পাঠানো বইটি গ্রহন করার সময়ে কি যে ভালো লাগছিল তা বলে বুঝাতে পারবোনা ।

শুভকামনার ডালি বিছিয়ে রাখলাম আপনাদের জন্য । ভালো থাকবেন, আনন্দে থাকবেন সবসময় ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই ।
কতদিন পরে ব্লগে দেখলাম বলেন ত ? ১৩ সালের সময়টার কথা খুব মনে পরে। । ব্লগে আপনাকে খুব মিস করি । আপনার একজনের অভাবে ব্লগের গল্প জগত ঝিমিয়ে গেছে। সেই সুরটা আর পাইনা।
আবার আপনি নিয়মিত হবেন , গল্প দেবেন , এই আশায় আছি।সবসময়।
চেয়েছিলাম আমাদের প্রথম বইতে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় মানুষটার ছাপ থাকুক।
লেখার আনন্দটা ধরে রাখি।
এবার পরিস্থিতিকে জয় করা না গেলেও ভবিষ্যতে ঠিকই বইয়ে আপনার সাক্ষর থাকবে ইনশাআল্লাহ ।
খুব চেষ্টা করেন মামুন ভাই ব্লগে ফেরার জন্য , এভাবে হারায়া যাইয়েন না ।
ভাল থাকবেন প্রিয় মামুন ভাই ।
পরম করুণাময়ের ছায়া আপনাকে ঘিরে রাখুক ।



৪৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: আমার ক্ষেত্রে এমন ঝামেলায় পড়তে হয়নি মাহমুদ ভাই। আমি সিলেট বসেবসেই বই হাতে পেয়েছি। এক্ষেত্রে রোদেলা প্রকাশনী খুবই আন্তরিকতা দেখিয়েছে । আমার পান্ডুলিপি মেইলে আদান-প্রদান করেছি মাত্র । উনারাই সব ঠিকঠাক করেছেন। সময়মতো বইটি মেলাতে ও এসেছিল। প্রকাশক রিয়াজ ভাইয়ের আন্তরিকতায় আমি সত্যিই মুগ্ধ।

মেলাতে আপনাদের সঙ্গ দারুণ উপভোগ করেছিলাম। ১৭ তে আবার বই নিয়ে দেখা হবে !!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সবাই কি আর তালুকদার সাবের মতন রাজকপাল নিয়া জন্মায় ;) শুইনা খুশি হলাম ।
১৭ তে আমিও আশা করতেছি দেখা হইব :)
ভাল থাইকেন ভাই ।

৫০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিচিত্র অভিজ্ঞতার শেয়ার !
সব কমেন্ট পড়া হয়নি ।
বার বার পড়ার জন্য যদি খুজে না পাই, , তাই প্রিয়তে ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস ভাই / প্রিয়তে নেয়ায় খুশি হইলাম
:D
আপনাকে রিকু দিয়েছি :)
ভাল থাকবেন ভাই।

৫১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:

ভালোলাগা জানবেন ভ্রাতা।
১ ম বই প্রকাশের ব্যাপারই আলাদা।

শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকুন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শুভেচ্ছা নিলাম :)
অনেকদিন পর আপনার দেখা মিললো :)
ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা রইল

৫২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ★ ইনশাল্লাহ আগামী বার অনেক সহজ হবে ★

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইনশাল্লাহ ভাই , তাই যেন হয় :)
ভাল থাকবেন মুদদাকির ভাই , অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে ।

৫৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কমেন্ট করেছিলাম, রিফ্রেশ বাটন দাবাতে দাবাতে কালের গর্ভে হারিয়ে গেল। কালের গর্ভকে ধিক্কার X(

পোস্টের পাশাপাশি কমেন্ট ও উত্তর পড়ে মজা পেলাম।

অবিশ্বাস্য হলেও, বই ছাপানো এখন আগের চেয়ে অনেক কঠিন। অন্ততঃ মধ্যবিত্ত লেখকদের ক্ষেত্রে। মান নয়, আপনি কত কামান সেটা গুরুত্বপূর্ণ। পেছনের কষ্ট হয়রানিটা অনেকে ভোগ করেন কিন্তু চুপচাপ সয়ে যান। সেই দিক থেকে বলব এই পোস্টটা অনেক দামি। একটা ছোটখাটো ফোরাম থাকা দরকার আমাদের। যারা বই বের করেছেন/করবেন/করছেন, তারা যদি অভিজ্ঞতার সম্মিলন করে এগোন, অনেক হয়রানি কমে।

বই এবারে সংগ্রহ করার চেষ্টায় আছি। কবিতা আমার মাথায় ঢোকে কম, কিন্তু গল্প/ছোটোগল্পের ধাঁচ পড়ে বুঝি যে আজকাল নব্যনতুন লেখক যারা লিখছেন, তাদের অনেকের তুলনায় ব্লগারদের কাজ তুলনামূলক মানসম্মত। ব্লগের প্রশ্নোত্তরের সংস্কৃতিতে মুখে পড়ে ছোটোখাটো ভুলগুলো শুধরে যায়, এইটে সুবিধা।

অনেক ভাল থাকুন মাহমুদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর :) কালের গর্ভকে আমিও ধিক্কার দিলাম । X((
বই বিক্রি হয় না, ব্যবসা নাকি নাই, অথচ দেখেন প্রতিবছর ২০ - ৩০ টা করে প্রকাশক গজাচ্ছে।
এখন প্রায় লেখক নিজের টাকা দিয়ে বই বের করে।সেখানেও ঠক। কয় কপি
সেল হবে বলবে না।বই চাইলেও ফেরত দিবে না। ধানাই - পানাই।
গতবছর আমাদের সুপরিচিত একজন লেখক - প্রকাশক আরেকজন সুপরিচিত লেখক
এর গলা কেটে দিয়েছেন।ওপেনলি নাম বলতে পারলে শান্তি পেতাম।

অনেকে নিজের টাকা দিয়ে বই করার কথা বলতে লজ্জা পায়। এতে লজ্জার কি আছে বুঝি না।
এর সুযোগ প্রকাশকরা কড়ায় গন্ডায় নেয়। যেসব প্রকাশক নিজের টাকায় ইনভেস্ট
করে তারাও নানা শর্ত দেয়,প্রায় ক্ষেত্রে। যেমন এত কপি বা প্রকাশিত কপির ৪০% ৫০%,৬০%
কিনে নিতে হবে।সেটাও আবার পাব্লিক যে দামে কিনবে সে দামে বা
১০% কম দামে নিতে হবে বড়োজোর। এক্ষেত্রে লেখক হিসেবেও তেমন বাড়তি সুবিধা নেই ।
অনেক প্রকাশক আবার লেখকদের মানা করে দেয় - টাকা দিয়ে বই বের করছে
এটা যাতে না বলে।তাদের সুনাম নষ্ট হবে।আমাকে সংবেদ নামে এক প্রকাশনা মোবাইলে বলেছিল
- ২০০ কপি বের করতে ২৬০০০ লাগবে। এবং আমি যাতে এটা না বলি। ১৩ সালের কথা।

আরেকটা সমস্যা হচ্ছে পাঠকের বই কেনা অনেকটা মেলা কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।
মেলায় যা সেল হয় হলো, এরপর পুরো বছর বই সেল হতে খবর হয়ে যায়।
আমাদের ক্ষেত্রেও বই ৭০% ফেব্রুয়ারিতে সেল হয়েছে। বই যদি মেলায় না এনে
আজিজ মার্কেট বা কাটাবনে রাখা হয় মেলার সময়, বড় ধরা খেতে হবে।মেলার ব্যাপারটা
না থাকলে নিজেই নিজের বই প্রকাশ করতাম।এতে অনেক সুবিধা হত।বইয়ের দাম কম রাখতে পারতাম।
বাড়তি দামের কারণে বই সেল হয়না।

সবার কথা ভেবে এত কথা লিখলাম।
যারা বই বের করেছেন/করবেন/করছেন, তারা যদি অভিজ্ঞতার সম্মিলন করে এগোন, অনেক হয়রানি কমে।
আপনার সাথে একমত।এমন হলে খুবই ভাল হয়।প্রিন্ট মিডিয়ার অনেক তালেবরের
চাইতে ব্লগের অনেক লেখকের কাজ দামী, অনেক ভাল । আপনার আর হামা ভাইয়ের কথাই
ধরি না কেন?
ব্লগে আপনার লেখা পড়তে পারি , এইটা আমি অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার মনে করি। আপনি
সামুর অন্যতম আকর্ষণ সন্দেহ নেই।
ভালো থাকবেন প্রফেসর সাহেব ।
শুভকামনা রইল :)







৫৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

নেক্সাস বলেছেন: ব্লগের যে কয়েক জনের লেখা পাঠ কে শুরু থেকে শেষ অবধি টেনে নিয়ে যায় আপনি তাদের একজন। আপনাদের হাতে আরো আরো বইয়ের জন্ম হোক। তবে লিখালিখির প্লাটফর্মে আপনাদের কিছু দায়বদ্ধতা আছে। একজন ভাল লেখক তৈরি হতে হলে চাই প্রতিটি লিখার বুননগত সমালোচনা, উৎসাহ, পর্চালোচনা। ব্লগারেরা যেন আপনাদের কাছ থেকে শিখার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত না হয়।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই ।
জানিনা নিজে কতটুকু জানি বুঝি , তবে নিজের বোঝাটুকু ছড়িয়ে দেবার প্রয়াস সবসময়েই থাকে। তাতে দুপক্ষের ই উপকার।
পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করার শ্রেষ্ঠ স্থান ব্লগ। সময়ের চাপে যতটুকু করব ভাবি তা সম্ভব না হলেও
যেটুকু পারি তা করতে কখনোই দ্বিধা করি না । আর সামুতে না এসে কি পারা যায় ! আমার আপনার সবারই এক অবস্থা :)
সামু একবার কাউকে ধরলে ছাড়ে না :)
আপনার লেখার প্রথম দু লাইনে নুতন করে অনুপ্রাণিত হলাম।
ভাল থাকবেন প্রিয় নেক্সাস ভাই।
শুভকামনা রইল ।

৫৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার লেখা প্রথম থেকেই অসাধারণ। তোমার চিন্তা ভাবনাগুলোও। তবে ফাঁদ গল্পটার কথা এই জীবনে ভোলা হবেনা।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চেষ্টা করতে হবে ফাঁদে যাতে আটকা না পড়ি ।
হাহাহ।/
আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্য/। এমন মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ছাড়া বলার কিছু থাকেনা। দোয়া রাখবেন ।
শুভকামনা রইল আপা/


৫৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখালিখি কষ্টকর এবং একই সাথে আনন্দদায়ক একটি ভ্রমণ -- চমৎকার একটি সত্য কথা। কষ্টের অনুভূতিগুলো লেখকের মন থেকে মুছে যাক, আনন্দের গুলো হয়ে থাক চিরভাস্বর!
প্রকাশক মারে লেখক , প্রকাশক রে মারে মেলাওলারা হাহা । চমৎকার ইকো সিস্টেম -- হাহাহা... মজা পাইলাম... :)
যারা বই বের করেছেন/করবেন/করছেন, তারা যদি অভিজ্ঞতার সম্মিলন করে এগোন, অনেক হয়রানি কমে। -- আগামীতে এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকবো।
খুব ভালো, প্রয়োজনীয় একটা পোস্ট। মন্তব্যগুলোও নতুন লেখকদের সহায়ক। তাই দ্বিতীয়বার পোস্টে এলাম।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ফিরতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
আমার অবশ্য কষ্ট আনন্দ দুটাই মনে মনে ডিল করতে ভাল লাগে।
একটা জিনিস কিন্তু লক্ষণীয় । সময়ের সাথে সাথে কষ্ট আনন্দ বা যে কোন অনুভূতির তীব্রতা কমে আসে। কেন ?
সময়ের দূরত্বের কারণে । পরিস্থিতির সাপেক্ষে নানারকম অনুভুতির মধ্য দিয়ে আমরা যাই।
আমার মনে হয় অনুভুতি থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে স্রেফ দর্শক হিসেবে ব্যাপারগুলা দেখলে বেশ মজাই পাওয়া যাবে । এটা করার চেষ্টা করি। সবসময় সফল হয়ে ওঠা সম্ভব হয় না অবশ্য । দরকারও নেই।
ভাল আছেন নিশ্চয়ই ?
মন্তব্যে বরাবরের মত ভাল লাগা রইল :)
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।

৫৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

শায়মা বলেছেন: ফিরেছো তাইলে!!!!!!!!

তোমার আনন্দ ভ্রমন কেমন হলো ভাইয়ু?? :)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সেই অর্থে ফিরি নাই অবশ্য । আজ সামুতে ঢু মারতে নাইম ভাইয়ের গল্প চোখে পড়ল।
কমেন্ট করার পর দেখলাম ব্লগিয় মুড আস ল । ভাবলাম এই চান্সে মন্তব্যের উত্তর দিয়ে দেই । হাহাহ।
এই মাসে সময় পেলে - ব্লগে এক্টিভ হবার ইচ্ছে আছে । দেখি কি হয়।
ভালই যাচ্ছে সবকিছু। আনন্দ ভ্রমণেই আছি। :)
এখ ন একটু বিরতি। আবার শুরু হবে । :)

৫৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: নতুন লেখকদের বই বের করার সবচেয়ে নির্ঝঞ্চাট এবং আত্মসম্মান সম্পন্ন উপায় বোধহয় নিজেই প্রকাশক হয়ে যাওয়া।

ভাবতেছি বড় হয়ে প্রকাশক হইব। "এইম ইন লাইফ" হিসেবে কেমন এইটা ভাই??



ঐ মাহমুদ ভাই?? এই পোস্টে আমার কমেন্ট এক নাম্বারে ছিলো সেটা ঢেকে গেলো কার চক্রান্তে?? ঝাতি জানতে চায়?? এক কাজ করেন আমার দুই কমেন্টের মাঝখানে ডিমুনের কিছু আজাইরা কমেন্ট আছে সেগুলো ফেলে মোট পঞ্চাশটি কমেন্ট রেখে দেন!! তাহলে আমার কমেন্ট দৃশ্যমান হপে B-)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল প্রকাশক হইতে পারলে আসলেই লালে লাল ভাই ;)
আমিও চাই ছাত্র ভাইয়ের ( নতুন নাম ) সব আজাইরা অরফে বিরক্তিকর কমেন্ট কনফিডেন্স সিমেন্ট দিয়া মুছিয়া দিতে । কিন্তু তাহাতে
কি মোর পিঠের চামড়া বাচিবে ? ;)
কে দিবে আশা , কে দিবে ভরসা !! B-)
বলিয়া দাও ভাই :D

৫৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ছাত্র ভাই!!!!!!!!! হা হা প গে =p~ =p~ =p~

ছাত্র ভাই কবে পাত্র হইবে ঝাতির জানতে মুঞ্চায় B-) B-) B-) B-)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যতটুকু শুনিয়াছি ছাত্র ভাইয়ের পাত্র হইবার যোগ্যতা নাই ;) বাকীটা কলিকাতা হার.... এর মামলা। B-) দেখি ঝাতির জন্য কেমন কচি
কাচা অপেক্ষা করিতেছে :D

৬০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ছি ছি এই সব কি বলেন!! :`> :``>>

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ছি ছি ছি এইসব কি বলচেন মাহমুদ ভাই :((

৬১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: নতুন লেখা দিন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন দা ।
সময় করে দেয়ার ইচ্ছে আছে ভাই ।
ভাল থাকবেন ।

৬২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

এহসান সাবির বলেছেন: কেন নতুন পোস্ট নাই? :(

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সময়াভাব। সময় করে দেয়ার ইচ্ছে আছে সাবির ভাই ।
নানাজিকে আমার সালাম দিয়েন ।
ভাল থাকবেন ভাই ।

৬৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

এহসান সাবির বলেছেন: সালাম পৌছে দিয়েছি ভাই।

দেরিতে হলেও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল :)

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা প্রিয় সাবির ভাই । এবং দেরিতে :P
ভাল থাকুন প্রিয় সাবির ভাই ।

৬৪| ১৯ শে মে, ২০১৬ ভোর ৫:২৬

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আপনার বইয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই, বহু দেরি হয়ে গেছে হয়ত, তবুও, বেটার লেট দেন নেভার

শুভকামনা

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ তামিম ভাই :) আপনার কমেন্ট পড়ে কিন্তু আমার হাসি আসছিল । কেন জানেন ? আপনার কমেন্ট করার সময়
একটা মোটিভেশনাল বই পড়ছিলাম। ত বইয়ের এক জায়গায় লেখা - বেটার লেট দেন নেভার ।
আবার কিছু পাতার পর লেখা - পরে কিছু করেও লাভ নেই । সময় গেলে সাধন হয় না এই টাইপ কথা । হাহাহা । কই যাই ? :P

শুভকামনা নিলাম । আমার ব্লগে অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে ।
আপনার প্রতিও অনেক শুভকামনা রইল প্রিয় তামিম ভাই ।
:)

৬৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪৯

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ঈদ উল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা মহান পাগলা!

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শুভেচ্ছা নিলাম ভাই । মুন রে দিয়েন না কইলাম !!

৬৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:১১

বৃতি বলেছেন: "ফাঁদ ও সমতলের গল্প"-- এর পেছনের গল্পটুকুও সুন্দর। ভৌগলিক দূরত্বের কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কত বই এখনও পড়া হলো না ! আপনার আগামী বইগুলোর জন্য শুভেচ্ছা থাকলো, মাহমুদ।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপ্নাকেও অনেকদিন পর দেখলাম । কেমন আছেন । হ্যা আসলেই , তবু এই অনলাইনের কল্যাণে এত দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও
যোগাযোগ করতে পারা যাচ্ছে , এটা অনেক বড় ব্যাপার মনে হয় আমার কাছে । পোস্টাল বাধাও সময়ের ফেরে দূর হবে বলে মনে করি ।
আপনার প্রতিও অনেক শুভকামনা রইল :)
ভাল থাকবেন ।

৬৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

আলম দীপ্র বলেছেন: পেছনের গল্প জেনে ভালো লাগল খুব!
শুভকামনা রইল অনেক ।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেকদিন পর দেখলাম :) সবকিছু ভাল চলছে নিশ্চয়ই ?
অনেক শুভকামনা রইল ।
ভাল থাকা হোক নিরন্তর ।

৬৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

অদৃশ্য বলেছেন:




আশাকরি অনেক কপি বই পাঠকদের হাতে পোছাতে পেরেছেন... আপাতত আমার জানতে ইচ্ছা হচ্ছে যে আপনার সেই ক্লোজ বন্ধুটি কি শেষমেষ আপনার বইখানা পড়েছে, কোন মন্তব্য করেছে?

আশাকরছি ভালো আছেন... নিয়মিত হোন, লিখা দিন...
প্রিয় মাহমুদের জন্য
শুভকামনা...

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: না ভাই পড়ে নাই ।
আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি ভাই । আপনি কেমন আছেন ?
অনেকদিন ছিলেন না এখন আবার আপনাকে নিয়মিত দেখে ভাল লাগতেছে :)
ভাল থাকবেন ভাই /

৬৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি কি কিছু কইছিলাম এখানে? ;)


২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ এই ত বলে গেলেন B-)
কেমন আছেন ?
শুভকামনা রইল ।

৭০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্লগে কেউ প্রত্যাবর্তন করলে নতুন কোন ক্যালমা নিয়া হাজির হয়! কিন্তু আপনি মিয়া আলো মুখে আইসা এখন কিছু পোস্টাননি ক্যারে? উহার তেব্রো প্রতিবাদ জানাইয়া নতুন পোস্টের জোর দাবি পেশ কইরা গেলাম! ;)

আশাকরি জাতিকে নিরাশ করবেন্না, আপনার উচ্চমর্গিয় পোস্ট পড়া থেকে!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কাচ্চি বিরানি বরহানি না খাওয়াইয়া ক্যাম্নে উচ্চমর্গিয় পোস্ট আশা করেন ? :(
খালি নিজে চায়নিজে গিয়া পাকিস্তান পুরাইয়া খাইলে হইব ? B-)
এই বিষয়ে কার কাছে প্রতিবাদ জানামু বুঝতেছিনা ! জিন্নাহ সাব মইরে গেলেন তাও মেলা দিন হইল ;)

৭১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: খাইতে চাইলে বিল দিয়া খাইবেন, মানা করছে কে? একচুয়ালি পাকিস্থান সমস্যা সমাধানের পর থিকা প্রাণডা খালি খাই-খাই করতাছে, সেইজন্যই আরকি! তয় আপনে যদি ট্রিট দেন আপত্তি নাই, কেবল বিরিয়ানির পরে একটু লালপানি হইলেই চলবো! ;)

আর নালিশ কই দিতে হয় ঐটা এখনো শিখতে পারেন নাই মিয়া! আবিয়াতি পোলাগো জীবনের নালিশ কই দিলে হিট খাইবো বেশি তাহা কি আর কইয়া দেওন লাগবো (সিক্রেট ব্যাপার ফ্লাশ কইরা দিলাম)! :P

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বিল ত দিতে চাই ই কিন্তু বিকাশ ত আপনার কাছে ;)
ঠিক আছে এই কথাই রইল - ট্রিট আমার বিকাশ আপনের । লাল নীল কইচ্ছায় থাকবোনা কুনু বাধা B-)
বাকি কথা কি বুঝাইতে চাইলেন বুঝলাম না /। :D আমি আবার এইসব ব্যাপার স্যাপার কম বুঝি :P ;)

৭২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

গোফরান চ.বি বলেছেন: হাই ব্রো !! কেমন আছেন ?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আলহাম দুলিল্লাহ ভাই , আপনি কেমন আছেন ?
ভাল থাকবেন ।

৭৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

শাহেদ খান বলেছেন: সে তো এক বিরাট ইতিহাস দেখছি! পড়তে অনেক ভাল লাগলো; এবং এটাও বুঝলাম লেখকেরা যে বইকে নিজেদের সন্তানের মত মনে করে, তার কারণ হিসেবে অপত্য ভালবাসা'র পাশাপাশি কতটা সংগ্রামও জড়িত!

আপনাদের এই বইটা আমার অনেক ভাল লাগার। সবসময়ের শুভেচ্ছা, প্রিয় গল্পকার!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রিয় শাহেদ ভাইকে দেখে খুশি হলাম।
আমার অবশ্য বইকে সন্তান মনে হয়না। প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি। বই ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে। কিছুটা বিব্রত ও , ভুল গুলো চোখে পরেছে নিশ্চয় !!
শুভেচ্ছা রইল । ব্লগে আশা করি সময় করে নিয়মিত হবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.