নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাহমুদা রোজি

মাহমুদা রোজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ট্রোকের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:১২


স্ট্রোক আমাদের সকলের কাছে একটি পরিচিত কিন্তু ভয়াবহ স্বাস্থ্য সমস্যা। ব্রেনে রক্ত সঞ্চালনের বাঁধা পেলে বা ব্যহত হলে, যখন রক্ত জমাট বেধে ধমনীকে ব্লক করে দেয়, তখন অক্সিজেনের অভাবে ব্রেণের কোষগুলো মারা যায় ও ব্রেনের কার্যকরী ক্ষমতাকে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয়, স্ট্রোক। স্ট্রোক কোথায় হচ্ছে ও ব্রেনের কতটুকু আক্রান্ত হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে স্ট্রোকের অবস্থা ও পরিনাম। স্ট্রোক যে কোন বয়সের যে কোন মানুষের সাথে হতে পারে। মহিলাদের তুলনায় পুরুষেরা এরোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

মাইল্ড স্ট্রোক অর্থাৎ স্ট্রোকের পরিমান যদি কম হয়, তবে শুধু মাত্র হাত ও পায়ে দূর্বলতা দেখা দিতে পারে। কিন্তু স্ট্রোকের পরিমাণ বেশি হলে শরীরের এক অংশ প্যারালাইসিস বা অবশ হয়ে যেতে পারে। এসময় রোগী কথা বলার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। এবার কখনও কখনও এই অবস্থায় রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

স্ট্রোক দুই ধরণের।
যেমনঃ
* ইস্কেমিক স্ট্রোক ও
* হেমোরেজি স্ট্রোক।

ব্রেনে অক্সিজেনের অভাবে রক্ত সঞ্চলানে ব্যহত হওয়ার কারণে যে স্ট্রোক দেখা দেয় তা হল, ইস্কেমিক স্ট্রোক। অন্যদিকে রক্তের ভেসেরন ভেঙ্গে ব্লাড ব্রেনে চলে গেলে, সেক্ষেত্রে হেমোরেজি স্ট্রোক দেখা দেয়।

কারনঃ
* উচ্চ রক্তচাপ
* রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমান বেশী
* অত্যধিক ধূমপান করলে, মদ্য পান ও অ্যালকোহল সেবনে,
* ডায়বেটিস
* হতাশা, ডিপ্রেশন
* অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন ও হৃদপিন্ডের বিভিন্ন রোগ থাকলে,
* ক্যারটিড আর্টারী ডিজিজ, হাইপারটেনশন, ও বেশি ওজনের কারণেও স্ট্রোক হতে পারে।

লক্ষনঃ
* শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা,
* অস্বাভাবিকভাবে হাঁটা বা হাঁটতে না পারা,
* কথা বলতে অসুবিধা হওয়া,
* ঝিমুনি আসা ও শরীর অবশ হয়ে যাওয়া,
* মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা ও ডাবল ডাবল দেখা,
* হাত ও পা উপরে তুলতে না পারা এবং জয়েন্টে ব্যথা অনুভুত হাওয়া।

করনীয়ঃ
স্ট্রোক হওয়ার সাথে সাথে রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ব্যবস্থা করতে হবে। স্ট্রোকের রোগীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হলে রোগী তাড়াতাড়ি উন্নতির পথে আসতে পারে। স্ট্রোকের ধরনও মাত্রা, বয়স, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি অনেক উপাদানের ওপর নির্ভর করে কোন রোগী কতদিনে কতটা ভালো হবে। কিছু রোগী ভালো অবস্থায় থাকেন। যেমন- কথা বলতে পারেন, খেতে পারেন, পায়খানা-প্রস্রাবের কথা বলতে পারেন, শুধু কোনো একদিকের হাত-পা নাড়াতে পারেন না, এদের ফিজিওথেরাপিস্ট দিয়ে ব্যায়াম করাতে হবে অথবা তাদের কাছ থেকে ব্যায়াম শিখে নিতে হবে। যারা কথা বলতে পারেন না, বুঝতে পারেন না, নল দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে বা ক্যাথেটারের মাধ্যমে প্রস্রাব করানো হচ্ছে অথবা শুয়ে থেকে পেছনে ঘা হয়েছে অথবা আক্রান্ত অঙ্গে প্রচ- ব্যথা, তাদের নিয়ে সেবা প্রদানকারীর অনেক সমস্যা। যেহেতু রোগীর উন্নতি হবে ধীরে ধীরে এবং পর্যায়ক্রমে, তাই প্রাথমিকভাবে যা করতে হবে তা হলো- রোগীকে এপাশ-ওপাশ করিয়ে দিতে হবে, ধরে বসাতে হবে, পিঠে যাতে ঘা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে এয়ারবেড দিতে হবে, বিশেষ করে মোটা রোগীর ক্ষেত্রে। চার হাত পা নাড়িয়ে দিতে হবে প্রতিটি জয়েন্ট ১০ বার করে দিনে ২ বার। হাত-পা ম্যাসাজ করতে হবে বা টিপে দিতে হবে।
স্ট্রোকের রোগীদের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। প্রতিদিন সম্ভব না হলে, কমপক্ষে সপ্তাহে তিন দিন ব্যায়াম অবশ্যই করতে হবে। এতে করে রোগী পুনরায় স্ট্রোকের ঝুকি মুক্ত থাকতে পারেন। সেই সাথে সাথে সর্বদা ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে, লবণ কম খাওয়া ও পরিমিত খাবার গ্রহণের অভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত চিকিৎসা ও ব্যায়াম চালিয়ে গেলে, সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


দরকারী তথ্য, ভালো

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তিন বছর আগে আমার একটা মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল। বাঁ হাত ও পায়ে দুর্বলতা আছে। তারপরেও আমি প্রতিদিন মর্নিং ওয়াক করি এবং ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ মোতাবেক হাত পায়ের ব্যায়াম করি। মেডিসিন চলছে। আমার বয়স ৬৩ বছর। আমার কী পুনরায় স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা আছে?

ধন্যবাদ মাহমুদা রোজি।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

মাহমুদা রোজি বলেছেন: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রেখে জীবন যাপন করুন। এছাড়া পুনরায় স্ট্রোক হতে পারে। আপনার সুসাস্থ্য কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.