নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"দিগন্তকে ছুয়ে ভেসে বেড়াতে চাই,\nসপ্ন দেখি,সাজাতে চাই মনের মত করে। \nমুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চাই প্রাণ ভরে।\n\nযান্ত্রিক জীবন থেকে অনেক দুরে থাকতে চাই,\nবেঁচে থাকতে চাই হাসি খুশি আর ভালবাসার মাঝে।

Mahmud Hassan Ashrafi

Mahmud Hassan Ashrafi › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ কেমন বর্বরতা, এ কেমন হত্যা! আমরা কি দিন দিন বর্বর আর অমানুষ হয়ে যাচ্ছি ?

১২ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

প্রত্যেক খুনই নির্মম, প্রত্যেক খুনিই পাষন্ড। তাই বলে কি ১৩ বছরের শিশুকে কেউ এভাবে খুন করতে পারে। একদিকে আর্ত চিৎকার অন্যদিকে বুনো উল্লাস !! কিশোর রাজনের চোখে বাঁধভাঙা জল। চোখ মুখ ফুলে গেছে। প্রহারে প্রহারে ক্লান্ত। শরীর ক্ষতবিক্ষত। একটা খুঁটিতে পিছমোড়া করে বাঁধা সে বারবার করজোরে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে। বলছে, সে চোর নয়। তারপরও উৎসাহী জনতা তাদের ‘বীরত্ব’ ফলিয়েছে চোর সন্দেহে ধৃত নিরীহ কিশোরটির ওপর। কিশোরটি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে হতে সামান্য পানি খেতে চেয়েছিল। দৃষ্কৃতকারীরা তাকে বলেছে ‘পানি নাই, ঘাম খা’। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া অবধি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হলো তাকে। আর প্রচণ্ড উল্লাসে সেই মধ্যযুগীয় বর্বর ঘটনার ভিডিও করেছে তারা।নির্মম সে ভিডিওটি রীতিমতো প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় সভ্যতাকে, সভ্য মানুষের বিবেককে।

সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁওয়ে দোকানের খুঁটির সাথে বেঁধে প্রায় দেড় ঘণ্টা নির্যাতন করা হয় ১৩ বছরের কিশোর শেখ সামিউল আলম রাজনকে। খুটিয়ে খুঁটিয়ে অত্যাচার করে মিরতু নিশ্চিত করা হয় খুব ঠান্ডা মাথায় ।
মৃত্যুর আগে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন পানির জন্য হাহাকার করেছে। নির্যাতনকারীরা তাকে উল্টো বলে ‘পানি নাই ঘাম খা“ নির্যাতনের এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে শিশু রাজন। এছাড়াও নির্যাতনের এক পর্যায়ে সামিউলকে বোতলের কর্ক দিয়ে একজন কয়েক ফোটা পানিও দিতে দেখা গেছে।

কয়েক মিনিটের জন্য রাজনকে হাতের বাঁধন খুলে রশি লাগিয়ে হাঁটতে দেওয়া হয়। ‘হাড়গোড় তো দেখি সব ঠিক আছে, আরও মারো...’ বলে রাজনের বাঁ হাত খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে আরেকদফা পেটানো হয়। এসময় রাজনের শরীর ও চোখ-মুখ বেশ ফোলা দেখা গেছে।
যে ভিডিও ধারণ করার কাজটি করছিল, তাকে নির্দেশ করে নির্যাতনকারীরা জানতে চায় ঠিকমতো ভিডিও ধারণ হচ্ছে কি-না। ওপাশ থেকে ‘ফেসবুকে ছাড়ি দিছি, অখন সারা দুনিয়ার মানুষ দেখব...’ বলতে শোনা গেছে।
গত বুধবার নিমর্মভাবে নির্যাতন করে হত্যা করার পর গুম করার সময় উদ্ধার করা হয় কিশোর শেখ সামিউল আলম রাজনের লাশ। এবার তাকে নির্যাতন করার দৃশ্য ভিডিওচিত্রে প্রকাশ পেয়েছে।
রাজনের বাড়ি কুমারগাঁও বাসস্টেশন পার্শ্ববর্তী সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামে। রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান পেশায় একজন মাইক্রোবাসচালক। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে রাজন বড়। অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা রাজন সবজি বিক্রি করত।
আজিজুর জানান- তিনি যেদিন ভাড়ায় মাইক্রোবাস চালাতে পারেন না, সেদিন সংসার খরচ চালাতে সবজি বিক্রি করতে বের হয় রাজন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.