নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইবনে হাবীব

দুর্ধর্ষ বেদুইন

যাহা বলিব সত্য বলিব।

দুর্ধর্ষ বেদুইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর মুখমন্ডল আবৃত করার আবশ্যকতা নিয়ে যত বিভ্রান্তি, সহজ সমাধান। (নাজনীন১ ও ডিজিটালভুত কে পোষ্টটি উৎসর্গিত)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৮

এক. একটা গল্প বলি, কোন এক দেশে হঠাৎ চুরি ডাকাতি ছিনতাই বেড়ে গেল। তখন সম্পদশালীরা পড়ল মহাবিপদে। আব্বাস আলি ছিলেন তেমনই এক সম্পদশালী। এদিকে আব্বাস আলির নাওয়া-খাওয়া, ঘুম নেই এই চিন্তায় কিভাবে তার মুল্যবান সম্পদগুলো রক্ষা করবেন। গেলেন তার বিপদের বন্ধু আলীমুল সাহেব এর কাছে পরামর্শ চাইতে। তিনি সুপরামর্শ দিলেন। পরামর্শমত আব্বাস আলি খুব মজবুত করে একখানা বাড়ী করলেন, মোটা মোটা সেগুন কাঠের দরজা-জানালা লাগালেন। ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরাও বসালেন। একেবারে নিছিদ্র নিরাপত্তা। তার সমুদয় মুল্যবান সম্পদ বাড়ীর ভিতরে এনে রাখলেন। কিন্তু হায়, ঐ রাতেই আব্বাস আলির সমস্ত সম্পদ চুরি হয়ে গেল। চোরব্যাটা সামান্য পাই-পয়সাটাও রেখে গেলনা। বলে রাখি, আব্বাস আলি সম্পদশালী হলেও ছিলেন নিরেট বোকা। বাড়ীর সকল গেট-দরজা বন্ধ করে 'সদর দরজা' না লাগিয়েই তিনি ঘুমাচ্ছিলেন।



এখন আব্বাস আলির হায় হায় করা ছাড়া আর কোন উপায় রইলো না।



দুই. পর্দা, হিজাব, নিকাব, সতর ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। পাশ্চাত্যের তীব্র সমালোচনায় মুসলমানদের অভ্যন্তরে এপোলোজেটিক(দোষ স্বীকার সূচক) ব্যাখ্যাদাতাদের উদ্ভব হয়। আধুনিক বিশ্বে মুসলিম পন্ডিতদের জ্ঞানের অগভীরতাই এই ‘এপোলজি’ এর জন্য দায়ী। তারা সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের অপব্যাখ্যা করে মুসলিম নারীদের বিভ্রান্ত করেছেন। আসুন দেখি সেখানে কি বলা হয়েছে-

সূরা নূরের ৩১নং আয়াতের প্রথম বাক্যাংশে বলা হয়েছে-“লা ইউবদীনা যীনাতাহুন্না” অর্থ্যা‌- মহিলারা যেন নিজেদের সাজ-সজ্জা ও যীনত(সৌন্দর্য্য) প্রকাশ না করে। আর দ্বিতীয় বাক্যাংশে ‘ইল্লা’ শব্দটি বলে এ নিষেধাজ্ঞায় যে সব জিনিসকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে, তা হচ্ছে-“মা যহারা মিনহা” অর্থ্যা‌ৎ যা কিছু আপনাআপনি প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এখানে “যা কিছু আপনাআপনি প্রকাশিত হয়ে পড়ে” বলতে এপোলোজেটিক পন্ডিতরা হাত ও পায়ের কব্জি, তালু এবং মুখমন্ডলের কথা বলেছেন। আসুন দেখি স্বর্ণযুগের মণিষীরা কী বলেছেন।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, হাসান বসরী, ইবনে সীরীন, ঈবরাহীম নাখঈ প্রমুখ, “যা কিছু আপনাআপনি প্রকাশিত হয়ে পড়ে”- এর ব্যাখ্যা করেছেন, মহিলারা সেচ্ছায় এগুলো পুরুষের সামনে প্রকাশ করতে চাইবেনা কিন্তু যদি অপরাগ অবস্থায় প্রয়োজনবশত তাদের বাইরে যেতে হয় তাহলে যা কোনক্রমেই লুকিয়ে রাখা সম্ভব হয়না যেমন তার শরীরে জড়ানো চাদরটি বা পোষাকটি, তার দেহের গড়ন-আকৃতি (লম্বা না বেটে, মোটা না চিকন), তার চলার ভঙ্গি। এগুলোও কোন বিকারগ্রস্থ পুরুষের মনে কুধারনা সৃষ্টি করতে পারে তবে এর কারনে ঐ অপরাগ নারীদের কোন গোনাহ হবেনা যদি তারা প্রথম শর্ত মেনে চলে অর্থ্যা‌ৎ নিজেদের সাজ-সজ্জা ও যীনত(সৌন্দর্য্য)কে পরপুরুষ হতে গোপন রাখে।

এখানে বলে রাখি, নারীদের যীনত বা সৌন্দর্য্যের মূল কেন্দ্র কিন্তু তাদের চেহারা বা মুখমন্ডল।



তিন. এপোলোজেটিক পন্ডিতরা সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের দ্বিতীয় বাক্যাংশের একটি সুবিধাজনক ব্যাখ্যা দিলেও সুরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াত এড়িয়ে চলেন। কেন জানেন? কারন তাদের সব গবেষণা, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শেষ হয়ে যায় এই আয়াত দ্বারা। দেখুন- “হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ ও মুসলিম নারীদের বলে দিন – তারা যেন আপন চাদরের কিয়দংশ নিজেদের চেহারার উপর টেনে দেয়। এর দ্বারা আশা করা যায় তাদের চিনতে পারা সহজ হবে(সম্ভ্রান্ত মহিলা হিসেবে) এবং তাদেরকে উত্যক্ত করা হবেনা।”-সুরা আহযাব, আয়াত: ৫৯।

ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত ও হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত, নববী যুগে হিজাবের হুকুম এসে যাওয়ার পর মহিলারা মুখ খুলে চলতেন না, হিজাবের হুকুমের মধ্যে চেহারার পর্দাও শামিল ছিল এবং ইহরাম ছাড়া অন্যান্য সব অবস্থায় নিকাবকে মহিলাদের পোষাকের একটি অংশে পরিণত করা হয়েছিল।

প্রধান চার মাজহাবের ইমামগণের মতামতসহ সকল নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থ যেমন তাফসীরে ইবনে জারীর, তাফসীরে কাবীর, তাফসীরে বায়যাবী, তাফসীরে ইবনে কাছির, তাফসীরে মা’আরেফুল কোরআন সহ অসংখ্য ইসলামী আইনশাস্ত্রে মহিলাদের মুখমন্ডল বা চেহারার পর্দাকে আবশ্যক বলা হয়েছে।



চার. যে জিনিস যত বেশী মুল্যবান তাকে তত লুকিয়ে বা গোপন করে রাখাই যুক্তিযুক্ত। নারীদের ইজ্জত-সম্মানের যে মুল্য তাকে সুরক্ষিত ও সর্ব্বোচ্চ সতর্কাবস্তায় রাখার নিমিত্ত পর্দার বিধান। কেউই অস্বীকার করবে না, কোন ব্যক্তিকে অপরের যে বস্তুটি সর্বাপেক্ষা অধিক আকৃষ্ট করে, তা হচ্ছে তার মুখাবায়ব। আর নারীদের সৌন্দর্য্যের ‘সদর দরজা’ এটাই। তাই সারা শরীর পর্দা করে মুখাবায়ব খোলা রাখা যুক্তিবিবর্জিত বিষয়ও বটে।



আমার বোনেরা, আব্বাস আলির মত আপনারাও সকল গেট-দরজা বন্ধ করে ‘সদর দরজা’ খুলে ঘুমাচ্ছেন নাতো!

মন্তব্য ৯৯ টি রেটিং +২৩/-১৯

মন্তব্য (৯৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪১

ধানসিঁড়ি বলেছেন: হিজাব কি নিষিদ্ধ হচ্ছে?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫০

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়লাম এবং আপনার পেজটি বুকমার্ক করে রাখলাম।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪৪

হায় ঈশ্বর! বলেছেন:

০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫২

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: হুমমমম.....

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কে কীভাবে ধর্ম কর্ম পালন করবে সেটা একান্ত ব্যক্তিগত অভিরুচি। আজকাল যেখানে কোরআনই মানতে চায়না যেখানে অসংখ্য ইসলামী আইনশাস্ত্রের কথা শুনিয়ে লাভ নাই। জামাতীরা আবার এ লাইনে বরাবরই বেশ ধুরন্ধর ব্যবসায়ী। বাংলা বই পড়ে নিজস্ব বুদ্ধি মিলিয়ে জাল হাদীসের ফাক ফোকড় খুজে নিজেদের কুপ্রবৃত্তি হালাল/চরিতার্থ করার জন্য ফোতোয়াবাজি করে এবং করবে। এইসব পোস্ট আর লাঠি সোটা নিয়ে এসব ছারপোকার বংশ নির্মূল করতে পারবেননা। দেখা ও চেনা মাত্রই এদের শুধু ধরিয়ে দিন জনতার আদালতে।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫২

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: আচ্ছা, আপনার কাহিনীটা বুঝতেছি না। চাচ্ছেন কি? কিছু প্রশ্ন করি, উত্তর শুনলে বুঝতে পারব সমস্যাটা কি?

১) পর্দা বলতে কি বুঝেন? একদম পুরাপুরি মুখ, হাত, পা ঢাকা নাকি এই তিন অঙ্গ খোলা থাকতে পারে?

২) নারী-পুরুষ কি কথা-বার্তা বলতে পারে নাকি না?

৩) বাজার বা দৈনন্দিন কাজের জন্য মেয়েরা বাইরে যেতে পারে নাকি না?

৪) একসাথে পড়াশুনা, চাকরি করা যাবে নাকি না?

আপাতত এই। হাদিস-কোরান বিশাল রেফারেন্সের দরকার নাই। আপনার জ্ঞানের প্রতি আমার পূর্ন আস্থা আছে। অল্প ১-২ লাইনের উত্তর দিলেই ভাল। বেশি বড় হলে পড়ার ধৈর্য চলে যাইতে পারেন।

অনেক ধন্যবাদ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৬

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: ১. পোস্টটিতেই উত্তর পেয়েছেন বলে মনে হয়।
২. পারে। তবে পরপুরুষের ক্ষেত্রে কোমল ও মিষ্ট কন্ঠে নয়।
৩. পারে। অপরাগ অবস্থায়।
৪.যাবে, তবে পরিপূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৯

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নারীর মুখমন্ডল আবৃত করার আবশ্যকতা নিয়ে কী বলেন, চলুন শুনি...

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০১

দাসত্ব বলেছেন: দেখেন ভাইঃ সহজ ভাবে আমি যেটা বুঝি মুখ খোলা রাখা যাবে , হাত (কব্জি) অবশ্যই খোলা রাখা যাবে। এমন ধরনের পোশাক (ঢিলেঢালা) পরতে হবে যাতে শরীরের আকৃতি বোঝা না যায় । - এটাই কোরানের ইন্স্ট্রাকশন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৫৮

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: সুরা আহযাব, আয়াত: ৫৯ -এর ব্যাখ্যা পড়ুন ।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০২

দাসত্ব বলেছেন: আরেকটাঃ বুক ঢেকে রাখতে হবে যেটা বলাই বাহুল্য অধিকাংশ মেয়েই করে ওড়না দিয়ে - অমুসলিম মেয়েরাও

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০২

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: এখন সাঈদীর ভাষনও সামুতে পোস্ট হবে???

পাবলিকের গালি না খালি, জুতার বারি না খাইতে চাইলে সাঈদীর ভিডিও সরান।

মাইনাস।

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৩

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: সাঈদীর অন্ধভক্ত যারা তারাই দেখুক সাঈদী সাহেব কী বলেন...
ভুল বুঝবেন না,প্লিজ।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৪

কায়েস মাহমুদ বলেছেন:


খালী মাইয়াগো পর্দা , মাগার ছেলেগো পর্দা নিয়ে কিছুই কৈলেন না।


এপোলোজেটিক ব্যাখ্যাকারী কারা? আর আপনি কোন বিশ্লেষক হতে কথা বলছেন , কোথা হতে উদ্বৃতি দিচ্ছেন সূত্র সহ দেনতো।

পোলাগো পর্দা নিয়া কিছু বলেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৭

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: অবশ্যই বলা হবে, ইনশাআল্লাহ....

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৫

কায়েস মাহমুদ বলেছেন: হায়রে দুনিয়া বলেছেন: এখন সাঈদীর ভাষনও সামুতে পোস্ট হবে???

পাবলিকের গালি না খালি, জুতার বারি না খাইতে চাইলে সাঈদীর ভিডিও সরান।

মাইনাস।


১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৯

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: সাঈদী আর সাঈদীর অনুসারিদের মধ্যে দেখেন কত ফারাক!

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল লাগল লেখাটা পড়ে।
আল্লাহ আমাদেরকে সহি পথে চলার তৌফিক দান করুন। আর ইতরদেরকে হেদায়েত দান করুন। আমিন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:০৩

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: আমিন।

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২১

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: জামাতি না তো সাঈদীর ভিডিও পোস্ট করছে ক্যান?

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২২

কায়েস মাহমুদ বলেছেন:


@ইবনে হাবীব, নাজনীন১ এবং ডিজিটালভূত কিন্তু জামাতী না। আমি সিউর।

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫০

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: নাজনীন১ এর একটি মন্তব্যের অংশ- 'আজকের বাংলাদেশে বেশির ভাগ ইসলামী আলেমরাই নারী নেতৃত্বকে বিশেষ অবস্থায় সমর্থনযোগ্য বলেছেন।'

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২৪

কায়েস মাহমুদ বলেছেন:
হায়রে দুনিয়া বলেছেন: জামাতি না তো সাঈদীর ভিডিও পোস্ট করছে ক্যান?


সে ধারনা করছে , নাজনীন১ এবং ডিজিটালভূত জামাত করে।

যাই হোক এভাবে গালাগালি না করলে ভালো হয়।

ধন্যবাদ।

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২৫

কায়েস মাহমুদ বলেছেন:

উত্তর দিলেন না, আবার দিলাম,

এপোলোজেটিক ব্যাখ্যাকারী কারা? আর আপনি কোন বিশ্লেষক হতে কথা বলছেন , কোথা হতে উদ্বৃতি দিচ্ছেন সূত্র সহ দেনতো।

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪২

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: পাশ্চাত্যের তীব্র সমালোচনায় মুসলমানদের অভ্যন্তরে এপোলোজেটিক(দোষ স্বীকার সূচক) ব্যাখ্যাদাতাদের উদ্ভব হয়। এরা গাদ্দার। এদের ব্যাপারে আরো জানতে দেখুন মাসিক 'আদর্শ নারী' ৮ম বর্ষ ১০ম সংখ্যা (অক্টো-০২) পৃষ্ঠা নং ২২, বিশ্লেষক : জনপ্রিয় কলাম লেখক মুহাম্মাদ সিদ্দিক।

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২৮

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: হাবীব সাহেব, আপনার ইন্টেনশন যদি হয় যে জামাতের সমর্থকদের জন্য একটা জামাতি নেতার বক্তব্য পোস্ট করলেন, তাহলে আমি গালির জন্য দুঃখিত। আপনি ওই পোস্ট মুছে দেন।

কিন্তু তারপরও আমি বলব যে সাঈদী খুবই ঘৃনিত একটা ব্যাক্তি। শয়তান শয়তানই। খারাপ লোকের কাছ থেকে ভাল কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তার থেকে দূরে থাকা উচিত।

সাঈদীকে মধ্যে রেখে আপনি আর যাই হোক, একটা সুন্দর পরিবেশে ধর্মীয় আলোচনা করতে পারবেন না।

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৪

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: জ্বী, ধন্যবাদ।

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২৯

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: কায়েস সাহেব, ওকে বস। মাইনা নিলাম আপনার কথা।

১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩০

খালেদ মাসুদ বলেছেন: ২) নারী-পুরুষ কি কথা-বার্তা বলতে পারে নাকি না

লেখক বলেছেন:
২. পারে। তবে পরপুরুষের ক্ষেত্রে কোমল ও মিষ্ট কন্ঠে নয়।

-----------------------------------------------------

হা হা প গে। চরম হইছে । তাইলে আপনের কোরআনীয় ব্যাখ্যায় ইসলামে নারী-পুরুষের মইদ্যে শুধুমাত্র ঝগড়া যায়েজ?

পুরুষ সোজা না হইলে কিছুতেই কাম হইবোনা । এইডা বুঝেন?

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:০০

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: “.....তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল-মিষ্টি সুরে কথা বলোনা...”-সুরা আহযাব, আয়াত:৩২

১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩১

রাজিব খান০০৭ বলেছেন: পর্দাপ্রথা দরকার।

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:১২

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: অবশ্যই দরকার, তবে আংশিক নয় পুরোপুরি।

২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: উহু, আপনি ভুল করছেন। হায়রে দুনিয়া এই একই কমেন্ট অনেক ব্লগে করেছেন এবং সেটা নিয়ে একটা পোস্টও আছেন। পারলে রিপোর্ট করেন, এই ধরনের অসভ্য ব্লগারদের খেদান।

২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০৮

দাসত্ব বলেছেন: হায়রে দুনিয়াতো নাকি কানাডা প্রবাসী মেয়ে , আপনারা সবাই তাকে ভাই বলতেসেন । নাকি আমার জানার ভেতরেই ভুল?

২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:২৪

নাজনীন১ বলেছেন: প্রথম প্রশ্ন,

"এখানে বলে রাখি, নারীদের যীনত বা সৌন্দর্য্যের মূল কেন্দ্র কিন্তু তাদের চেহারা বা মুখমন্ডল। " -- এটা কি আপনার কথা, কোন আলেমের কথা নাকি কোরআন আয়াত অথবা হাদীস? কোরআন বা হাদীসের কিছু এ ব্যাপারে থাকলে উল্লেখ করুন প্লীজ, তা না হলে পরিতাজ্য। কোন বা অল্প কিছু আলেমের ব্যক্তিগত মত থেকে একটা ইসলামী আইন তৈরী হতে পারে না।


উপরে কারো কারো মন্তব্য দেখে এবং লেখকের সাঈদীর ওয়াজের রেফারেন্স দেয়ার প্রেক্ষিতে বলি, কারো ব্যাপারে অযথা সন্দেহ করা, সন্দেহের বশে কোন কাজ করার, কাউকে অপবাদ দেয়ার ব্যাপারে ইসলামের শিক্ষাগুলো কি কি সেগুলো আরেকবার রিভাইস দিবেন।


আমি যদি জামাতীই হতাম, তবে তো বাধ্যতামূলকভাবে নেকাবীই হতাম। নারীদের রসগোল্লা আর খোলা মাংসের সাথে তুলনা করার ব্যাপারে অনেক আগেই এ ব্লগেই সমালোচনা করেছি। সাঈদী সাহেব এবং লন্ডনের ঐ আলেমের কাছে সূরা নূরের ৩০ নং আয়াত কোন গুরুত্বই পেল না ।



এবার আসি মূল প্রসঙ্গে,

Click This Link

আমার পোস্টে ডিজিটালভূতের নেকাবসংক্রান্ত পোস্টের লিঙ্ক ঠিকভাবে দেয়া হয়নি। উপরের লিঙ্কটা দেখুন, সেখানে উমর, ডিজিটালভূত, সন্ধ্যাবাতি এদের আলোচনা থেকেই বোঝা যাবার কথা নেকাবের ব্যাপারে ইসলামে কি কি কথা চালু আছে, আর কি হওয়া উচিত।
তবুও আবার একটু বলার চেষ্টা করি।

প্রথমে বিভিন্ন অনুবাদ থেকে পর্দা/ হিজাব সংক্রান্ত আয়াতগুলো একটু দেখি,

১। সূরা নূরের ৩০-৩১ঃ

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।

সূরা আহযাব, ৫৯-৬০ঃ

হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ "নিজেদের উপর" টেনে নেয়। এতে তাদেরকে "চেনা সহজ" হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।

মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং মদীনায় গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে উত্তেজিত করব। অতঃপর এই শহরে আপনার প্রতিবেশী অল্পই থাকবে।



[নেকাবীদের কি করে চেনা যায়?]

Click This Link

Click This Link



২। ইবনে কাথীরের তাফসীরঃ

সূরা নূরঃ (30. Tell the believing men to lower their gaze, and protect their private parts. That is purer for them. Verily, Allah is All-Aware of what they do.)

(31. And tell the believing women to lower their gaze, and protect their private parts and not to show off their adornment except that which is apparent, and to draw their veils all over their Juyub and not to reveal their adornment except to their husbands, or their fathers, or their husband's fathers, or their sons, or their husband's sons, or their brothers or their brother's sons, or their sister's sons, or their women, or their right hand possessions, or the Tabi`in among men who do not have desire, or children who are not aware of the nakedness of women. And let them not stamp their feet so as to reveal what they hide of their adornment. And all of you beg Allah to forgive you all, O believers, that you may be successful.)

সূরা আহযাবঃ (59. O Prophet! Tell your wives and your daughters and the women of the believers “to draw their Jalabib over their bodies”. That will be better that “they should be known” so as not to be annoyed. And Allah is Ever Oft-Forgiving, Most Merciful.) (60. If the hypocrites and those in whose hearts is a disease, and those who spread false news among the people in Al-Madinah stop not, We shall certainly let you overpower them, then they will not be able to stay in it as your neighbors but a little while.)



Here Allah tells His Messenger to command the believing women -- especially his wives and daughters, because of their position of honor -- to draw their Jilbabs over their bodies, so that they will be distinct in their appearance from the women of the Jahiliyyah and from slave women. The Jilbab is a Rida', worn over the Khimar. This was the view of Ibn Mas`ud, `Ubaydah, Qatadah, Al-Hasan Al-Basri, Sa`id bin Jubayr, Ibrahim An-Nakha`i, `Ata' Al-Khurasani and others. It is like the Izar used today. Al-Jawhari said: "The Jilbab is the outer wrapper. `Ali bin Abi Talhah reported that Ibn `Abbas said that Allah commanded the believing women, when they went out of their houses for some need, to cover their faces from above their heads with the Jilbab, leaving only one eye showing.

Click This Link

Click This Link

Click This Link


ইবনে আব্বাসের হাদীসটিকে অথেনটিক নয় বলেই দাবী করা হয়। এটা ডিজিটালভূতের ব্লগেও পাবেন, এই লিঙ্কেও পাবেন,

Click This Link


ইসলামওয়েবের এই লিঙ্কে নেকাবের ব্যাপারে যাবতীয় যুক্তিই খন্ডন করা হয়েছে।

৩। সূরা আহযাবঃ (58) O Prophet! Tell thy wives and thy daughters and the women of the believers “to draw their cloaks close round them” (when they go abroad). That will be better, so that they “may be recognized” and not annoyed. Allah is ever Forgiving, Merciful. (59) If the hypocrites, and those in whose hearts is a disease, and the alarmists in the city do not cease, We verily shall urge thee on against them, then they will be your neighbours in it but a little while.


Click This Link


তিনটা অনুবাদ দিলাম একটু তুলনা করে দেখার জন্য। ইনভার্টেড কমার ভিতরের অংশগুলোর দিকে খেয়াল করলে এবং সূরা আহযাবের ঐ আয়াতগুলোর শানে নূযুল (আয়েশা(রাঃ) ব্যাপারে যে অপবাদের গুজব উঠেছিল সেটা খন্ডন করা সংক্রান্ত)জানা থাকলে, এটা স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে মদীনার সম্ভ্রান্ত নারীদের অন্যান্য নারীদের থেকে আলাদাভাবে যাতে চেনা যায়, সেটাই বলা আছে। তিনটা অনুবাদে “গায়ের উপরে” বা “নিজেদের উপরে” টেনে নেয়ার কথা বলা আছে, অথচ পোস্টে লেখকের অনুবাদে বলা আছে “নিজেদের চেহারার” উপরে।



লেখক এটা কোন তাফসীর থেকে নেয়া? মূল আরবীতে কোন শব্দ আছে, যেটার অর্থ বেশির ভাগ জায়গায় বলছে শরীর, লেখক বলছেন চেহারা !? গা/শরীর আর চেহারার আরবী কি এক?


এরপর আমরা যদি সূরা নূরের ৩০ নং আয়াত দেখি, সেখানে পুরুষদেরকেই প্রথমে দৃষ্টি অবনত রাখার কথা বলা হয়েছে। নারীরা নেকাব পরার পর পুরুষদের দৃষ্টি অবনত রাখার দরকার কি? লেখকের এ ব্যাপারে কি মতামত?


একটি হাদীস আছে যেটা ইসলামওয়েবের লিঙ্কটিতেও উল্লেখ আছে, এক অন্ধ ব্যক্তির কাছ থেকে দুইজন নারীকে পর্দা করতে বলা হয়েছে, মানে নারীদেরকে দৃষ্টি অবনত রাখার ব্যাপারে রাসূল(সাঃ) তাগিদ দিয়েছেন।


তার মানে দৃষ্টি অবনত রাখার ব্যাপারেই গুরুত্ব বেশি ছিল। তা না হলে মনে রোগাক্রান্ত নারীদের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যতো পুরুষদেরও নেকাব পরানো দরকার হতো, পুরুষের চেহারা দেখেও তো অনেক নারীর মনে খারাপ অনুভূতি হতে পারে, সেটা কি অস্বাভাবিক?




পরিশেষে যারা নিজেদের চিন্তাশক্তি, বুদ্ধি-বিবেচনাকে কাজে লাগায় না, তাদের জন্য সুরা আহযাবের আরো দুটি আয়াতঃ

৬৬-৬৭ঃ

যেদিন অগ্নিতে তাদের মুখমন্ডল ওলট পালট করা হবে; সেদিন তারা বলবে, হায়। আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম ও রসূলের আনুগত্য করতাম।

তারা আরও বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল।




১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৫০

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: ইন্টারনেটের মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেরিতে আসতে হল বলে দুঃখিত।

১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৫৬

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: "এখানে বলে রাখি, নারীদের যীনত বা সৌন্দর্য্যের মূল কেন্দ্র কিন্তু তাদের চেহারা বা মুখমন্ডল। " এটা আমার কথা নয়, যুক্তির কথা। আর অবশ্যই কোরআন-হাদীস, ইজমা-কিয়াস সাপোর্টেড।

"উপরে কারো কারো মন্তব্য দেখে এবং লেখকের সাঈদীর ওয়াজের রেফারেন্স দেয়ার প্রেক্ষিতে বলি, কারো ব্যাপারে অযথা সন্দেহ করা, সন্দেহের বশে কোন কাজ করার, কাউকে অপবাদ দেয়ার ব্যাপারে ইসলামের শিক্ষাগুলো কি কি সেগুলো আরেকবার রিভাইস দিবেন।"

আমার গত পোষ্টটিতে যেভাবে তারা হামলে পড়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই উক্ত ভিডিও দেয়া। তারা দেখুক তিনিও সত্য এড়াতে পারেন নি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১০

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: আপনি নিজের গায়ে না টেনে নিলেই পারতেন! উল্টো আমাকেই সন্দেহপ্রবন হিসাবে সন্দেহ করলেন। আপনার উক্তিটিই আবার উল্লেখ করছি- "কারো ব্যাপারে অযথা সন্দেহ করা, সন্দেহের বশে কোন কাজ করার, কাউকে অপবাদ দেয়ার ব্যাপারে ইসলামের শিক্ষাগুলো কি কি সেগুলো আরেকবার রিভাইস দিবেন।"

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৩৪

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: এরপর ৩৪ নং কমেন্টে দেখুন...

২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৩০

নাজনীন১ বলেছেন: নাজনীন১ এর একটি মন্তব্যের অংশ- 'আজকের বাংলাদেশে বেশির ভাগ ইসলামী আলেমরাই নারী নেতৃত্বকে বিশেষ অবস্থায় সমর্থনযোগ্য বলেছেন।'


প্রত্যক্ষ রাজনীতি করা আর রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকা --- পার্থক্য আছে। যদি আবার আপনার মনে হয় মেয়েদের আবার এতো রাজনীতির খবর রাখার দরকার কি? তাহলে শুনুন, দিন বদলাইছে না, হে দিন কি আর আছে? :P

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৫২

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: "আশরাফ আলী থানভী নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করেছেন"- আমাকে বিশ্বাস করতে বলেন? হা হা হা

২৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:০৭

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: দাসত্ব বলেছেন: হায়রে দুনিয়াতো নাকি কানাডা প্রবাসী মেয়ে , আপনারা সবাই তাকে ভাই বলতেসেন । নাকি আমার জানার ভেতরেই ভুল
---------------------------------------------
সর্বনাশ!!! এই তথ্যটা কই পাইলেন?? :D :P =p~

২৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:১১

দাসত্ব বলেছেন: @ হায়রে দুনিয়াঃ আমার জানাটা কি ঠিক না ভুল। দরকার হইলে প্রাইভেটে জানাইতে পারেন । কানাডা থাকলে বইলেন। আমি কানসাস আছি। কানাডায় আমার কল-মেসেজ ফ্রী। যাইহোক গালাগালি কইরেন না। যা বলসেন বড়ই অশ্রাব্য। কারো বাজে কথার জবাব হিসাবে বললে সেইটা ১ কথা , বাট নিজে থেকে বলা টা ঠিক না।

২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:০৭

ডিজিটালভূত বলেছেন: নাজনীন১ সুন্দর জওয়াব দিয়েছেন। তাই আমার কিছু বলার দরকার ছিল না।
কিন্তু মনে করলাম, যখন পোষ্টটি আমাকে উতসর্গ করা হয়েছে তখন কিছু না বলাটা ঠিক হবে না।
এক. সহজ সমাধান হল না।
দুই. চেহারা মেয়েদের সৌন্দর্যের সদর দরজা, এটি আপনার একটি যুক্তি। কুরআন বা হাদীসের কথা নয়। আমার যুক্তি হল, এর বিপরীত। সমাধানতো হল না, এখন কোথায় যাবেন? এখন আপনাকে অবশ্যই কুরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে যেতে হবে।
তিন. ইহুদী ও খৃষ্টানদের কাছেও ইসলাম এসেছিল। কিন্তু তারা নিজেদের পক্ষ থেকে কঠোরতা, বাড়াবাড়ি আর ছাড়াছাড়ি করে ইসলাম শেষ করে দিয়েছে। এ স্বভাবটা উত্তরাধিকার হিসাবে যেন আমরা গ্রহণ না করি। কঠোরভাবে নিষেধ আছে।
চার. এ নিয়ে অবশ্য বিতর্ক চলে আসছে বহু কাল থেকে। আপনি নিচের লিংক থেকে আল্লামা আলবানীর একটি বই ডাউন লোড করে পড়তে পারেন। ওখানে বিপক্ষের সকল যুক্তির জওয়াব উনি দিয়েছেন, কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে। তবে উনি কোন যুক্তি বা গল্পের ব্যবহার করেননি।
http://www.waqfeya.com/book.php?bid=176
এরপর যদি আপনি সন্তুষ্ট হতে না পারেন তবে আমি নিকাব বিতর্ক: কিছু না বলা কথা শিরোনামে একটি পোষ্ট দেব।

আপনি সামাজিক আচার হিসাবে নেকাব ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ইসলামের নামে ব্যবহার করলে সেটা বিদআত হবে।
আমার পরিবারের সকলে নেকাব ব্যবহার করে। তাই বলে এটাকে জোড় করে ইসলামী আচার বলতে হবে, এটা ঠিক নয়।
আমাদের সমস্যা এখানে। আমরা যা করি সেটাকে ইসলাম বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করি। প্রতিটি দল, ফেরকা, পীর সাহেবরা তাই করেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৩৩

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @নাজনীন১: এই সংক্রান্ত একটি হাদীস চোখে পড়েছিল এখানে
Click This Link

আয়াতের পর নিচে গেলেই হাদীসটি পাবেন।

২৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০৩

শ্রাবনের ফুল বলেছেন: ইসলামে হিজাব কে আবশ্যকীয় করা হয়েছে এবং এ সম্পর্কে আয়াত আলোচনা উপরে অনেক উল্লেখ দেখলাম, কিন্তু 'নিকাব' 'নিকাব' বা মুখাবরন হিজাবের অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা এ নিয়ে ইসলামী স্কলারদের মধ্যে মতবিরোধ আছে, অনেকে মনে করেন নিকাব জরুরী অনেকে এটাকে অপশনাল হিসেবে দেখেন, তবে রাসূল(সাঃ) এর সম্মানিত সহধর্মিনীদের কেউ কেউ নিকাব ব্যাবহার করতেন আবার কেউ কেউ শুধু হিজাব ব্যাবহার করতেন, সেক্ষেত্রে কেউ যদি বলেন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বা ইসলাম পালনের জন্য নিকাব ব্যাবহার ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে বিদআত সেটা ভূল হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিকাবকে আবশ্যকীয় বিবেচনা করা হয়।

Click This Link লিংকে ঘুরে আসতে পারেন সাহায্য করবে।


হাজ্জ্বের সময় ইহরাম বাঁধা অবস্থায় নিকাব নিষিদ্ধ, কিন্তু পর-পুরুষের সামনে মাথার কাপড় একটু বেশি করে টেনে দেয়ার কথা উল্লেখ আছে, যাতে চেহারা স্পষ্ট না হয়, নিকাব যে জরুরী এটা নিশ্চিত নয়, বরং স্কলাররা এটাকে অপশনাল হিসেবে দেখতে চান। কেউ যদি নিকাব ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে তিনি স্বাধীন তাকে বাঁধা দেবার অধিকার কারো নেই, এবং নিকাব ব্যবহারে বাঁধা দিলে উক্ত নারীর এর বিরুদ্ধে অর্থাৎ নিকাব পড়ার স্বপক্ষে বলার অধিকার আছে। তবে চাকরী বা সরকারী কার্যক্ষেত্রে আইনের নিয়ম কানুন পালনের ক্ষেত্রে মূল কথা আইডেন্টিফিকেশনের প্রয়োজনে কেউ নিকাব নাও পড়তে পারেন। নিকাব কে অনুৎসাহিত করা হোক এমনটি কখনো বলা হয় না, বরং নিকাব ব্যাবহার উত্তম, নারী যদি নিজের নিরাপত্তার খাতিরে নিকাব ব্যাবহার করতে চান বা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিকাব ব্যবহার করতে চান তাহলে তিনি সেটা স্বাধীন ভাবেই করতে পারেন। সুতরাং পরিস্থিতি বিবেচনায় নারী নিকাব ব্যবহার করতে পারেন নাও পারেন, তবে এটা ব্যবহারে নারীর সুরক্ষার খাতিরেই উৎসাহিত করা হয়। নিকাবকে নিরুৎসাহিত করার কোন কারন নেই, এটাকে হিজাবের সমপর্যায়ের অত্যবশকীয় স্বীকার করা হয় না, তবে নিকাব হিজাবের একটি অপশনাল অংশ, অপশনাল এ কারনেই বলা যেতে পারে এটা পরিস্থিতি বিবেচনায় নারী ব্যাবহার করতে পারেন।

উপরের কমেন্ট গুলো দেখে একটা কথাই মনে হলো, ইসলামে অতি বাড়াবাড়ি নিষিদ্ধ, অনেকে অতি আবেগী এমন কথা বলেন যা এই অতি বাড়া বাড়ি পর্যায়েই পড়ে, মুসলিমরা নিজেদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য ইসলাম নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, কিন্তু জ্ঞান জাহির করতে গিয়ে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিবেন এটা কাম্য নয়। যেহেতু এটা নিয়ে দ্বিমত আছে স্কলারদের মধ্যে এবং রাসূল(সাঃ) ও সাহাবাদের সহধর্মিনীদের মধ্যে কেউ কেউ নিকাব ব্যাবহার করতেন কেউ কেউ নিকাব ব্যতীত হিজাব ব্যাবহার করতেন তাই এটা নিয়ে বিতর্ক না করে নিজেদের আত্মার কাছে সঠিক থাকার চেষ্টা করে আল্লাহ সন্তুষ্টির নিমিত্তে কাজ করা উচিত। আ

২৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:৪৮

মেরিনার বলেছেন: প্রথমে আপনাকে স্বীকার করতে হবে যে, এটা এমন একটা বিষয় যা নিয়ে প্রথম যুগ থেকেই খিলাফ বা মতপার্থক্য আছে এবং "অধিকংশ" স্কলার মনে করেন যে, হাত ও মুখমন্ডল খোলা রাখা যাবে - যদিও মুখমন্ডল ঢাকাটা recommended বলবেন অনেকেই। এধরনের যে সব বিষয়ে প্রথম থেকেই মত-পার্থক্য আছে, সেগুলোর ব্যাপারে "আদাব" হচ্ছে অন্যের মতটাকে respect করা। গত এক শতাব্দীর সবচেয়ে influential স্কলারদের মধ্যে ২ জন হচ্ছেন নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহ.) ও ইউসুফ আল কারযাবী - তাঁরা দু'জনেই মনে করেন মুখমন্ডল ও কব্জি পর্যন্ত হাত খোলা রাখা জায়েয! এখানে আমাদের অত্যন্ত সাবধানে কথা বলা উচিত - ভাবা উচিত যে সত্যি আল্লাহ্ যদি মেযেদের মুখ খোলা রাখার right দিয়ে থাকেন, তবে আমাদের সেটা হরণ করার মত সাহস হওয়া উচিত না। আপনি যে সব যুক্তি বা "রায়" দিয়েছেন - সেগুলোর ভিত্তিতে কোন কিছুকে "অতএব প্রমাণিত" মনে করাও বিপজ্জনক। "আক্বল" বা যুক্তি এবং "নকল" বা text - এই দুইয়ের মধ্যে ইসলামের ruling-এর ব্যাপারে "নকল" বা text প্রধান্য পাবে! আমি আপনার position-কে respect করি - আশাকরি আপনিও অন্যটাকে করবেন!

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:১৮

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: "এটা এমন একটা বিষয় যা নিয়ে প্রথম যুগ থেকেই খিলাফ বা মতপার্থক্য আছে"

ইসলামের স্বর্ণযুগে "ইখখিলাফ বা মতপার্থক্য" ছিল প্রমান করতে পারবেন?

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:২২

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: আর, " "অধিকংশ" স্কলার মনে করেন যে, হাত ও মুখমন্ডল খোলা রাখা যাবে- "

উল্টো বললেন, বরং "অধিকাংশ" স্কলার মনে করেন যে, হাত ও মুখমন্ডল খোলা রাখা যাবে না। "

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:২৭

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: যুক্তি বা কিয়াস শরিয়তের একটি দলীল। আর ইসলামের এমন একটি বিধান দেখান যেটি যুক্তির বাইরে বা অমানবিক।

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৩১

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: কে কি বললেন সেটা দলীল না। দলীল হচ্ছে কোরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস।

৩০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:১০

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: @ নাজনীন,
আপনার দেয়া লিংকগুলো দেখলাম। ১ম লিংকের পোষ্টের শিরোনাম দেখেই আৎকে উঠতে হল। - "আসুন নেকাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি"

পড়লাম, বুঝলাম, অতঃপর লেখক ডিজিটালভুতের বিভিন্ন কমেন্টের জবাব থেকে আংশিক উক্তি কপি-পেষ্ট করছি-

16 - ইসলাম নেকাব ব্যবহারের স্বাধীনতা দিয়েছে।

36- আমি আমার বউকে নেকাব না পরার পরামর্শ দিয়েছি। তার স্বাধীনতা আছে। সে নেকাব পরতে চায়। আমার কিছু করার নেই।

40- আপনার বলুন, আমাদের মেয়েদের জন্য আমরা নেকাবকে নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা মনে করি।

45- আমি আবারও বলি নেকাব পরা অন্যায় নয়।

48- অবশ্য নেকাব একটি সামাজিক সুরক্ষাও বটে।

49- রাসূলুল্লাহ সা. এর সম্মানিত স্ত্রীগণসহ অন্যান্য মহিলা সাহাবীগণ মুখ ডাকতেন স্বভাবগত লজ্জায়। এ মর্মে একটি সহীহ হাদীস এসেছে যে এক মহিলার পুত্র জিহাদে শহীদ হল, মহিলার নাম ছিল উম্মে খাল্লাদ তিনি রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে তার শহীদ ছেলের অবস্থান জানার জন্য আসলেন। তখন তার মুখে নেকাব ছিল। সাহাবীরা তাকে বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ কাছে এসেছো আবার মুখ ঢেকেছো? মহিলা উত্তর দিলেন, আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি তাই বলে আমার লজ্জা হারাবো? হাদীসটি আবু দাউদ জিহাদ অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন।


দেখুন, নিকাবের বিরুদ্ধাচারন সত্ত্বেও লেখক ডিজিটালভুতের অবচেতন মন থেকে নিকাবের সুফল বেরিয়ে পড়েছে, আর নিকাবের কুফল? তার ভাষায়- "আমার ছেলে অন্যকে মা ডাকে" আর এতবড় মারাত্মক(!) কুফলের কারনেই তিনি নিকাবের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করলেন।

ইসলাম যখন কোনঠাসা, মুসলিম যখন কোনঠাসা, চারিদিকে আইয়্যামে জাহেলিয়ার গন্ধ, নিপীড়ন, শোষন, জুলুম, সুদ, ঘুষ, যিনা-ব্যাভিচারে সমাজ আকন্ঠ নিমজ্জিত, তখন কোন এক মর্দে মুজাহিদ কিনা নিকাবের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন!

হে প্রভু! তুমি আমাদের হেদায়াত দাও ও ক্ষমা কর।

@ ডিজিটালভুত, ইসলাম যেটাকে নিরুৎসাহিত করেছে , বিপক্ষে বলেছে, সেটা সামাজিক রীতি হিসাবেও পালন করা বিদআত, নিশ্চই স্বীকার করবেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউই নিকাবকে 'সামাজিক রীতি' হিসাবে পালন করেন নি, ধর্মীয় কারনেই সেটা করেছেন। এটা যদি সামাজিক রীতিই হত ইসলামপূর্ব যুগে কিম্বা অমুসলিম সমাজেও কিছুনা কিছু পরিলক্ষিত হত।

আর নিকাবকে বিদআত বলার অধিকার কারো নেই। আমি আবারও বলছি, নিকাবকে বিদআত বলার অধিকার কারো নেই।

৩১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৪৩

মেরিনার বলেছেন: দেখুন: www.muhajabah.com/finalrule.htm

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:১৬

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: সেই একই নাসীরুদ্দিন আলবানীর মতামত।

৩২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৩৬

ডিজিটালভূত বলেছেন: মেরিনারের মন্তব্য খূবই গুরুত্বপূর্ণ। তাকে ধন্যবাদ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৬

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: হ্যা, তিনি ভালই বলেছেন-"আক্বল" বা যুক্তি এবং "নকল" বা text - এই দুইয়ের মধ্যে ইসলামের ruling-এর ব্যাপারে "নকল" বা text প্রধান্য পাবে!


কিন্তু text টা অবশ্যই নির্ভরযোগ্য হতে হবে।

৩৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৫১

মুনীর উদ্দীন শামীম বলেছেন: এ পোস্টের মূল থীমটি রীতিমত অশ্লীল। যৌনতা সংশ্লিষ্ঠ বিষয় ও উপবিষয়গুলোকে (এবং বলে রাখা ভাল, এ বিষয়গুলো সমাজ ও কাল ভেদে এক নয়, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রকাশিত হয়, বিবেচিত হয়) নারীর জন্য সব চেয়ে মূল্যবান বলে নারী কে মানবিক মর্যদাসম্পন্ন মানুষ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার প্রয়াস রয়েছে লেখায়। লেখার শুরুতেই উদাহরণ টি দিয়ে লেখক নারীকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সাথে তুলনা করেছেন। যার অর্থ হচ্চে নারী লেখকের কাছে কোন বিষয় নয়, বস্তু, আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে যৌনবস্তু। নারীকে এ রকম ভাবে দেখার প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:১২

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: তাহলে কোরআন, হাদীস ও ফিকাহ এর গ্রন্থকে ও অশ্লীল বলবেন? সেখানেও তো নারী বিষয়ক অনেক আলোচনা এসেছে। বরং অনেক খোলামেলাভাবেই এসেছে।

৩৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৫৫

মুনীর উদ্দীন শামীম বলেছেন: আরেকট কথা বলি সাঈদীর বক্তব্যের যদি একটি কন্সেন্ট এনালাইসিস করেন তবে তার বড় একটি অংশ অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হবে। সে রকম অশ্লীল বক্তব্য পোস্ট করা কি ঠিক হলো???

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:১৫

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: শ্লীলতার সংজ্ঞা কী ভাই?

৩৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৫৭

মুনীর উদ্দীন শামীম বলেছেন: শব্দটি কন্সেন্ট নয়, কন্টেন্ট হবে...............

৩৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১২

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: @ নাজনীন১, আপনি বলেছেন-এটা কোন তাফসীর থেকে নেয়া?

আপনি যে লিংক দিয়েছেন সেখানেই মায়ারেফুল কোরআনের সুরা আহযাবের ৫৯নং আয়াতের তাফসির দেখুন:
View this link

৩৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮

নাজনীন১ বলেছেন: @ লেখক, আপনার দেয়া লিঙ্ক থেকে আয়াতের অনুবাদ দেখলাম, সেখানে তো "চেহারা"র কথা বলা নেই। আর মারেফুল তাফসীরের পুরোটা কি আপনি নিজে পড়েছেন?

সেখানে ১০৯৬ পৃষ্ঠায় ওবায়দা সালমানীর(রাঃ) উদাহরণের কথা বলা হয়েছে (রাসূল(সাঃ) বলেছেন এমন কিছু বলা হয়নি), আবার ১০৯৭ পৃষ্ঠায় এটা ঠিকই বলা হয়েছে "মুখমন্ডল ও হাতের তালু" সতরের অন্তর্ভুক্ত না, তবুও ঢাকা জরুরী "সালমানীর" দৃষ্টিতে এবং তাফসীরকারক সেটা সমর্থন করেছেন। কোন হাদীসের রেফারেন্স নয় সেটা।

মারেফুল কোরআন আমি আগেও পড়েছি, এই তাফসীরটি সৌদি অর্থায়নে বাংলাদেশে ফ্রি বিতরণ করা হয়, সবার ঘরেই মনে হয় একটা একটা আছে।


তাই সৌদিদের মতো করেই এর সবটুকু ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। আর মরুভূমির দেশে প্রচন্ড রোদে মাথা-মুখ ঢাকার অভ্যাস আগে থেকেই ছিল। যার প্রয়োজন হতো ঢাকতো। প্রচণ্ড শীতের দেশেও একই কথা।


আমার ও ফিউরিয়াস ওয়ান কিছু হাদীসের রেফারেন্স দিয়েছি যেখানে সরাসরি রাসূল(সাঃ)-এর বক্তব্য আছে। কই, তিনি কেন এ ব্যাপারে স্পষ্ট উচ্চারণ করলেন না? যদি ইসলামের জন্য এটা খুব বেশি দরকারী হতো, তাহলে রাসূল(সাঃ) নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে সতর্ক করতেন। তাঁর চেয়ে কি তাঁর অনুসারীরা বেশি বোঝেন? কোন কোন উম্মুল মোমেনীন নেকাব পরেছেন, রাসূল(সাঃ) তাঁদেরকে নিষেধ করেননি, আবার যারা পরেননি তাদেরকে পরতেও বলেননি। নিশ্চুপ ছিলেন।

তাহলে আমাদের ইসলামের প্রতি এতো বেশি ভালোবাসা!!!! আমরা উনার অনুচ্চারিত কথাকে উচ্চারণ করে বেশি ঈমানদার হতে চাচ্ছি?


[আপনার ১৬ নং কমেন্টের জবাবের প্রেক্ষিতে আমি না চাইলেও কিছু কথা আমার উপর এসে পড়ে, আর আপনার আগের পোস্টে আমিই শুরু থেকে অনেকবার কমেন্ট করেছি, তাহলে আপাতদৃষ্টিতে দেখলে তো মনে হয় আমিই ঝাঁপাইয়া পড়েছি। যাই হোক, সেটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। ]


আমি আশরাফ আলী থানভীর যে কথা বলেছি, সেটা রেফারেন্স দিয়েই বলেছি। উনার ফতোয়া নাম্বারের রেফারেন্স দেয়া ছিল। এখন সেখানে যদি ভুল বলা হয়ে থাকে, তাহলে এ ব্যাপারে আমি কি করতে পারি?


অনেক আগের একটা পোস্ট খুঁজে পেলাম, এক মাদ্রাসার ছাত্রীর পোস্ট (তাও আবার কওমী মাদ্রাসার), তিন পর্বের এই পোস্টটা একটু দেখতে পারেন।

Click This Link


নেকাব বিদআত কিনা, এটা ঠিক আমি জানি না, তবে কোরআনে সরাসরি বলা নেই, তার মানে ফরজ নয় এটাই বুঝি। আর সুন্নত কতটা বলা যায় সে ব্যাপারেও আমি সন্দিহান। রাসূল(সাঃ) উদ্ধৃতি দিয়ে কোন হাদীস পেলে না হয় সুন্নত বলা যাবে।



আমাদের যারা নেকাব পরেন, তারা আলেম পুরুষদের নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী পর্দার ব্যাপারে যে ইজমা-কিয়াস তৈরী হয়েছে, তার ভিত্তিতেই পরেন। তাদেরকে বোঝানো হয়, এটা অবশ্য করণীয়। সমস্যা হলো সেসব নারীদের অনেকেরই নিজস্ব চিন্তা করার ক্ষমতা থাকে না। এতে করে পুরুষদের দৃষ্টি অবনত রাখার মতো ফরজ অনেকটা পালনই করা লাগে না!!!! আমার ব্লগে গিয়ে একজন বললেন, মেয়েদের কন্ঠস্বরও নাকি সতরের মধ্যে পড়ে!!!!

সামাজিক নিরাপত্তার হানি ঘটে তখনই, যখন পুরুষেরা তাদের ফরজ পালন করে না। নেকাব পরে মেয়েরা নিজেদের ঘাড়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে পুরুষের দায়িত্ব হালকা করে দেয়!!!



কোন নারীর ভালো লাগলে পরুক, কিন্তু বাধ্য যেন না করা হয়। আবার যেহেতু ফরজ না, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার খাতিরে (তবে ফাউ আধুনিক হবার জন্য নয়) প্রয়োজন হলে (যদি কখনো নেকাবধারীরা অপরাধের সাথে যুক্ত হয়) হয়তো নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে। তবে ধর্মীয় ব্যাপার জোর করে চাপিয়ে দেয়া (ফরজ হোক আর অন্য কিছু হোক), বা জোর করে পালন করতে না দেয়া কোনটাই ঠিক নয়।



বাংলাদেশের কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের এখন হিজাবই করতে দেয়া হচ্ছে না বা বোরকা পরতে দেয়া হচ্ছে না, এটার অবশ্যই নিন্দা জানাই।




১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪৫

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: "এতে করে পুরুষদের দৃষ্টি অবনত রাখার মতো ফরজ অনেকটা পালনই করা লাগে না!!!!"
পূর্বের কমেন্টে বলেছেন- "নারীরা নেকাব পরার পর পুরুষদের দৃষ্টি অবনত রাখার দরকার কি? লেখকের এ ব্যাপারে কি মতামত?"



দেখুন, পুরুষ-নারী উভয়কেই দৃষ্টি অবনত রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু এই হুকুম সকল পুরুষ-নারী মানবেনা সেটাও আল্লাহ তায়া'লা জানেন। তাই নারীদের অতিরিক্ত পর্দার বিধান। পুরুষের তুলনায় নারীর চেহারা আল্লাহ তায়া'লা অধিক কমনীয়তা, রুপ-লাবণ্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। একজন পুরুষ নারীর প্রতি যতটা আকর্ষিত হয়, নারী পুরুষের প্রতি ততটা আকর্ষিত হয়না, এটাই প্রকৃতির নিয়ম। যে কারনে পুরুষকে নেকাব পরতে হয়না।

আপনি অমুসলিম পুরুষদেরকেও দৃষ্টি নত রাখার হুকুম জোর করে পালন করাবেন মনে হচ্ছে। তা কি সম্ভব? মুসলিম পুরুষরা দৃষ্টি নত রাখলে অমুসলিম নারীদের থেকে না হয় বেচে গেল, কিন্তু অমুসলিম পুরুষরা যখন আপনাদের দিকে (অবশ্যই মুখের দিকে) ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে তাদের মানসিক তৃপ্তি মেটায় তখন আপনাদের করুণ অবস্থা দেখে আমাদের করুণাই হয়।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৩৩

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: আপনার দেয়া লিংক হতে পোষ্টগুলো পড়লাম। শেষমেষ এক আত্মস্বীকৃত হাদীস অস্বীকারকারীর কাছ থেকে শিক্ষা নিতে বললেন ?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪১

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: "মারেফুল কোরআন আমি আগেও পড়েছি, এই তাফসীরটি সৌদি অর্থায়নে বাংলাদেশে ফ্রি বিতরণ করা হয়, সবার ঘরেই মনে হয় একটা একটা আছে।


তাই সৌদিদের মতো করেই এর সবটুকু ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।"


এই তাফসীরটি লেখার আগে পাকিস্থানের মুফতি শফী (রহ.) কিন্তু জানতেন না এটি সৌদি অর্থায়নে বাংলাদেশে ফ্রি বিতরণ করা হবে।

আপনি মুফতি শফী (রহ.) কে অপবাদ দিলেন।

৩৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১১

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: বাংলাদেশের গ্রান্ড খতীব সালাউদ্দিন সাহেব যেমন বিতর্কিত, তেমনি ছিলেন মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি ড. শায়খ সাঈদ তানতাভী। সরকারি হস্তক্ষেপে যারা নিয়োগ পায় অধিকাংশ এমনই হয়ে থাকে। দেখুন-
হাজারো বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলে গেলেন মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি ড. শায়খ সাঈদ তানতাভী।

মাওলানা মওদুদীকে উপমহাদেশের আলেম সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
উপমহাদেশের উলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতে জামায়াতে ইসলামী ও মাওলানা মওদূদী।

আর নাসীরুদ্দিন আল বানী কে সারা বিশ্বের আলেম সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

৩৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৭

আমি এবং আঁধার বলেছেন: লেখক ভাইজানের জন্য দুক্যু হইতেসে! আল্লা যে ক্যান মাইয়াজাতি বানাইলো! এক্কেরে পাপের আখড়া! শুধু পোলা বানাইলেই হইতো! আর যদি মাশাল্লা দাঁড়িগোপ সহ পয়দা হইতো, তাইলে আরো ভালো হইতো(লুতের কৌম যা করলো!!)।

পাপ আপনার মনে, মাইয়াগো সাত তবক জমীনের নিচে পুইত্যা থুইলেও আপনার মনের কুপ্রভাব যাইবো না। কুনো মাইয়া যদি স্বেচ্ছায় নেকাব পড়ে তাইলে আমার কিছুই বলার নাই, কিন্তু আপনার লাহান লুকেরা যদি তা চাইপ্যা দ্যায় এই কইয়া-
যে জিনিস যত বেশী মুল্যবান তাকে তত লুকিয়ে বা গোপন করে রাখাই যুক্তিযুক্ত। নারীদের ইজ্জত-সম্মানের যে মুল্য তাকে সুরক্ষিত ও সর্ব্বোচ্চ সতর্কাবস্তায় রাখার নিমিত্ত পর্দার বিধান।

আমার বোনেরা, আব্বাস আলির মত আপনারাও সকল গেট-দরজা বন্ধ করে ‘সদর দরজা’ খুলে ঘুমাচ্ছেন নাতো!

আপনি অমুসলিম পুরুষদেরকেও দৃষ্টি নত রাখার হুকুম জোর করে পালন করাবেন মনে হচ্ছে। তা কি সম্ভব? মুসলিম পুরুষরা দৃষ্টি নত রাখলে অমুসলিম নারীদের থেকে না হয় বেচে গেল, কিন্তু অমুসলিম পুরুষরা যখন আপনাদের দিকে (অবশ্যই মুখের দিকে) ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে তাদের মানসিক তৃপ্তি মেটায় তখন আপনাদের করুণ অবস্থা দেখে আমাদের করুণাই হয়।

তখন স্রেফ আইন কইরা আপনাগো খাঁচায় রাখা জরুরী! সাইনবোর্ডে ল্যাহা থাকবো,
২০১০ সালের দেহে ৫৫০ সালের ব্রেন! বিশ্বাস করুন আর নাই করুন!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:০৩

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: আর আপনাদের ২০০১০সালের ডিজিটাল ব্রেন কিনা!

৪০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৪

মেরিনার বলেছেন: ৪৪ নম্বর মন্তব্যে আপনি তানতাভী ও মৌদুদীর সাথে নাসিরউদ্দিন আলবানীকে তুলনা করলেন? আমি বিশ্বাস করতে পারছি না! ছিঃ!!!! আপনার এই কথাটা কত বড় মিথ্যাচার: আর নাসীরুদ্দিন আল বানী কে সারা বিশ্বের আলেম সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আল্লাহকে ভয় করুন:। দেখুন বিশ্ববরেণ্য 'আলেমরা তাঁর সম্বন্ধে কি বলেছেন:

What great scholars used to say about Allama Albani:

Al ‘Allaamah ‘Abdul ‘Azeez ibn Baaz also known as Bin Baaz the Grand Mufti of Saudi Arabia (1993-till his death in1999)stated:

“I have not seen a scholar of Hadeeth under the shade of the skies like al ‘Allaamah Muhammad Naasir ad Deen al Albaanee in this time period.”

He was also asked: ‘Who is the Mujaddid (reviver) of this century?’ He replied: ‘In my opinion, the Mujaddid of this time period is Shaykh Muhammad Naasir ad Deen al Albaanee and Allaah knows best.’

Al ‘Allaamah Muhammad ibn Saalih al ‘Uthamymeen(*), may Allaah have mercy upon him, stated:.

“…he possesses vast knowledge of Hadeeth, whether it is in the chains of narration or the understanding of the texts. Allaah has benefited many people through his written works, in terms of knowledge, Manhaj, and inclination to the knowledge of Hadeeth. He has had an enormous influence over the Muslims, and all praise is due to Allaah.”

Al ‘Allaamah Muqbil ibn Haadee al Waadi’ee(**) stated:

“What I firmly believe and worship Allaah with is that Shaykh Muhammad Naasir ad Deen al Albaanee, may Allaah preserve him, is from the Muhadithoon, those whom the following statement of the Messenger of Allaah – صلى الله عليه وسلم – falls true upon: “Indeed Allaah sends someone who revives the affair of the religion at the end of every hundred years.’

Al ‘Allaamah ‘Abdul Muhsin al ‘Abbaad(***) stated:

“I do not know anyone of his caliber in this time period, in caring for Hadeeth and the extent of his knowledge. I or other than me cannot do without his books and benefiting from them.”


সোর্স:

www.studying-islam.org/articletext.aspx?id=1222

১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৩১

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: "আর নাসীরুদ্দিন আল বানী কে সারা বিশ্বের আলেম সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছেন।" -কথাটি আসলেই শক্ত বলে ফেলেছি।
নাসিরুদ্দিন আলবানী'র প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, ইসলামের জন্য তার অবদান স্বীকার করছি। কিন্তু আলেম সমাজে তাকে নিয়ে বিতর্ক হতে দেখেছি বিশেষ করে নামাজ পড়ার কিছু পদ্ধতি ও নিকাবের বিরূদ্ধে তার অবস্থান এবং অন্যান্য আরো কিছু বিষয় তাকে বিতর্কিত করে তোলে।

৪১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪১

নাজনীন১ বলেছেন: অমুসলিম পুরুষেরাও আল্লাহ্‌র সৃষ্টি, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ্‌কেই ভাবতে দিন না। আপনাদের এতো আগ বাড়িয়ে ভাবতে হবে কেন?

আমি আগেই বলেছি নারীরা দরকার মনে করলে পরবে। জোর করে যেন চাপানো না হয়।

বরঞ্চ অমুসলিম দেশে হিজাব পরা মেয়েরাই টিজিং-এর স্বীকার হয় বেশি (মারওয়া শেরবানী), কারণ সেটা তাদের সংস্কৃতি থেকে আলাদা। আরো অনেক উদাহরণ জানি হিজাব করার কারণে তারা আরো বেশি টিজিং-এর স্বীকার হয়। তাই বলে কি হিজাব করা ছেড়ে দিবে? না, যা ফরজ, তা ছাড়া যাবে না। টিজিং সহ্য করে হলেও পরা লাগবে, সেটাও একটা জিহাদ।

না পারছেন ফরজ প্রমাণ করতে, না পারছেন সুন্নত প্রমাণ করতে, অযথাই বিতর্ক। আল্লাহ্‌ হাফেজ । ভাল থাকুন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৫৭

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: আমি ফরজ, সুন্নত কোনটাই প্রমাণ করতে আসিনি। ইসলামের স্বর্ণযুগ হতে সেটা প্রমাণিত হয়েই আছে।

০৩ রা মে, ২০১০ বিকাল ৫:৪৪

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: .

৪২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪২

মেরিনার বলেছেন: ছিঃ ইবনে হাবিব! ছিঃউমর!!, ছিঃ আব্দুর রহমান!!! ছিঃ ম্যান উইথ এ মিশন!!!! - আপনি তওবা করুন - কেবল তর্কে জেতার জন্য আপনি আলবানীর মত একজন স্কলারের চরিত্র হনন করলেন! আপনার সকল প্রচেস্টা স্পষ্টতই ড্রেনে বয়ে যাচ্ছে!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: Nasir ud Din Albani লিখে সার্স দিয়ে দেখুন, তার সম্পর্কে ভালভাবে জানুন।

৪৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১৯

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: সন্ধ্যাবাতি-র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক তার একটি পোষ্ট হুবহু তুলে দিলাম...

নিকাব = প্রতিবন্ধক?



অনার্সের অরিয়েন্টেশনের দিন দূর থেকে নিকোলের সাথে মেয়েটাকে দেখে আমি একটু চমকে গিয়েছিলাম। আমার চেয়ে বেশ লম্বা। ৫'৯ এর মত হবে উচ্চতা। আরও লম্বা লাগছে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো কুচকুচে বোরখা পরে আছে তাই। দুই চোখ ছাড়া আর কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। চোখের যতটুকু শুধু দেখার জন্য দরকার, ঠিক ততটুকুই খোলা। ভুরু দুইটাও ঢাকা। শুধু বুঝা যাচ্ছে, বেশ ফর্সা মেয়েটা। একটু চমকে গিয়েছিলাম, কারণ আমাদের পুরা ফ্যাকাল্টিতে অনার্সের মুসলিম স্টুডেন্ট এতদিন দুই জন ছিল, কিন্তু আমি একাই হিজাবী/ব্যক্তিগত পর্যায়ে সিরিয়াস প্র্যাকটিসিং ছিলাম। প্রেজেন্টেশন করার সময় পুরা হলের সামনে একা হিজাবী দাঁড়াতে একটু সাহস সঞ্চয় করতে হতো! ফর্মাল পোশাক কি পরব, সেই চিন্তায় তটস্থ থাকতাম। এখন আরেকজন দলে জুটলো, তাও একেবারে কালো বোরখা আর চোখ ছাড়া সব ঢাকা! ধারণা করলাম, আরব টারব হবে হয়তো। মুখ খুলতেই আরব উচ্চারণে কিছু শোনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখনই দ্বিতীয় চমক পেলাম। 'হাই, আই অ্যাম ফেইথ, ফেইথ মরিস*, হাউ ডু য়ু ডু', হাত বাড়িয়ে দিলো মেয়েটা। ফেইথ মরিস নামটা আরব দূরে থাক, মুসলিমই শোনাচ্ছে না, আর উচ্চারণ আরবদের ধারে কাছে নেই, পুরাপুরি সফিস্টিকেটেড, প্রফেশনাল ইংরেজি!

আমাদের ফ্যাকাল্টি এক হলেও ডিপার্টমেন্ট আলাদা, সেই সুবাদে খুব নিয়মিত দেখা হয় না, কিন্তু আস্তে আস্তে অনেক কথাই হলো। ও কনভার্টেড মুসলিম। সতের বছর বয়সে মুসলিম হয়েছে নিজে পড়াশোনা করে। ও অন্য ইউনিভার্সিটিতে পড়েছে আন্ডারগ্র্যাডের গত তিন বছর। আমাদের ইউনিভার্সিটির ডিগ্রী থাকার প্রেস্টিজ বেশি, তাই এখানে অনার্স করতে চেয়েছে। জানলাম, দুই বছর আগে বিয়ে করেছে। আমার খুব মজা লাগল। আমি বেশ কয়েকজন হিজাবীকে দেখলাম বিয়ের পর রেজাল্ট বাড়াবাড়ি রকমের ভালো করা শুরু করেছে। অথচ, ঢাকায় ফেলে আসা স্কুলের বান্ধবীরা যারা এখন ঢাবি, বুয়েট আর মেডিকেলে পড়ছে, ওরা পড়াশোনা শেষ করার আগে বিয়ে করবে না। পড়াশোনার পাঠ চুকাতে হবে সেই ভয়ে! হিজাবী মেয়েদের জামাইরা কি বেশি ভালো হয়? :) (প্লীজ কেউ আহত হবেন না, আমি জানি এটা অ্যাবসুলুউট সত্যি না!)

অনার্সের প্রথম প্রেজেন্টেশনের দিন ফেইথ যখন বিশাল বড় লেকচার থিয়েটারের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো তখন হঠাৎ করেই সব কথা বন্ধ হয়ে গেল। হল ভর্তি বিজ্ঞানীরা নড়ে চড়ে বসলেন। উচ্চারন বুঝা যাবে তো? ফেইথ কথা শুরু করতেই সবাই হতভম্ব। দারুন প্রেজেন্ট করলো, প্রশ্নোত্তর পর্বের উত্তরগুলোও দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিল। আমার কেমন অদ্ভূত একটা ভালো লাগা হচ্ছিল।

অনার্সের ফাইনাল প্রেজেন্টেশনটাও যথারীতি ফাটাফাটি। এক অডিটরিয়াম ভর্তি ডাক্তার, ইউনিভার্সিটি প্রফেসার, অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন প্রথম সারির বিজ্ঞানীর সামনে শুধু চোখগুলো ছাড়া আর সব ঢাকা এই মেয়েটার আত্মবিশ্বাস আর সাবলীলতা রীতিমত ঈর্ষনীয়।

প্রেজেন্টেশনের পরে কথা হচ্ছিল ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে। জানলাম ও সিডনী ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট গ্র্যাড মেডিসিনে চান্স পেয়েছে!!!! এতগুলো আশ্চর্যবোধক চিহ্নের কারণ হচ্ছে, সিডনী ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়ার প্রাচীনতম এবং মহা ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা। সিডনী ইউনির মেডিসিন ভীষণ রকমের প্রেস্টিজাস, চান্স পাওয়াটাও তাই খুবই কঠিন। সাবকন্টিনেন্টের মানুষজন গাল ফুলিয়ে বলে মুসলিম, হিন্দু আর বাদামী চামড়ার কেউই নাকি চান্স পায় না, হিজাবী মুসলিম তো দূরের কথা (নিকাবী তো অকল্পনীয়)! শুনেছি, বিবাহিতদেরও নাকি নিতে চায় না, ক্যারিয়ার ফোকাস কমে যাবে তাই।

আর এই মেয়ে, সবগুলো প্রচলিত ধারণার বিপরীতে গিয়ে তিন ধাপের সিলেকশন স্টেইজ পার হয়ে, সামনা সামনি মৌখিক পরীক্ষাতেও উতরে গেল! আমার অদ্ভূত ভালো লাগা হলো।

মেইকআপ আর আমি তেল আর জল, এক সাথে মিশ খাই না। এ যুগের মেয়ে হয়েও কাজল ছাড়া আর কিছু দিতে জানি না, সেটাও খুব মাঝে মাঝে। কিন্তু পোশাক আশাক ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলার জন্য খুব দরকার, সেটা সব সময় বিশ্বাস করতাম। বোরখা পড়ব, কিন্তু ফুল তোলা নাকি মেটে আর ফর্মাল রঙের, এসব সিদ্ধান্ত নেই পরিস্থিতি বুঝে। এই মেয়েটাকে দেখে মনে হয়, হয়তো ব্যক্তিত্বে ঘাটতি আছে বলেই পোশাক আশাক দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করাটা এত দরকারি মনে হয়! বুঝি, নিকাব পরতে অনেকটুকু সাহসের দরকার হয়। অতটুকু সাহস আমার নেই। আমার ফাইনাল প্রেজেন্টেশনের পরে একজন বুড়ো প্রফেসর মন্তব্য করেছিলেন, 'তোমার প্রেজেন্টেশন দারুণ হয়েছে। স্লাইড, স্টাইল সুন্দর। আর তোমার হাসিটা চমৎকার, সবাইকে মাতিয়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট।' সেদিনই ফেইথের প্রেজেন্টেশন দেখে মনে হলো, মেয়েটাকে কেউ কখনও শেষের লাইনটা বলবে না। ওর সুন্দর প্রেজেন্টেশনের সেকেন্ডারী কৃতিত্ব কখনও সুন্দর হাসির হবে না। সব সময় ওর আসল মেধা, ব্যক্তিত্ব আর একেবারে ভিতরের সত্ত্বাটাই মানুষের শ্রদ্ধা কুড়াবে!

৪৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪৮

উমর বলেছেন: @মেরিনার, আসসলামু আলাইকুম,
ভাই আপনার হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে।
আমি আর এই ব্লগার এক মানুষ না, ভিন্ন মানুষ।

৪৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৭

উমর বলেছেন: @ইবনে হাবীব,
ইসলাম লিখে সার্চ দিলেও ইসলামের বিরুদ্ধে হাজারটা মিথ্যার বেসাতী তথ্য পাওয়া যাবে, অনেক ভিডিও পাওয়া যাবে যেখানে ইসলামের বিরুদ্ধে লেকচার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুসলিম হিসেবে আপনি তো জানেন ইসলাম কি, তাই না?

নাসিরুদ্দিন আলবানী'র বই একটু পড়ে দেখুন, ঢালাওভাবে মিথ্যার বেসাতী ছড়াবেন না। নাসিরুদ্দিন আলবানীর বিরুদ্ধে এরকম ভিডিওর অভাব নাই কিন্তু আমি জানি শায়খ কেমন মানুষ ছিলেন, আমি উনার বই পড়েছি, আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই তিনি এতই চমৎকারভাবে বুঝিয়ে দেন আর তিনি দলীল ছাড়া কোন লেখা লেখেন নাই। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন। আমীন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৩২

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: নাসিরুদ্দিন আলবানী'র প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, ইসলামের জন্য তার অবদান স্বীকার করছি। কিন্তু আলেম সমাজে তাকে নিয়ে বিতর্ক হতে দেখেছি বিশেষ করে নামাজ পড়ার কিছু পদ্ধতি ও নিকাবের বিরূদ্ধে তার অবস্থান এবং অন্যান্য আরো কিছু বিষয় তাকে বিতর্কিত করে তোলে।

৪৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫৯

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: @ উমর , ডিজিটালভুতের ব্লগে তাকে উদ্দেশ করে দুটি কমেন্ট দিয়েছিলেন,মনে হয় একারনেই মেরিনার আপনার প্রতি খেপেছে -

কমেন্ট দুটি হল-

উমর বলেছেন: লেখাটিও পড়লাম আর মন্তব্যগুলোতেও চোখ বুলালাম আর যা মনে হলো একটু বাড়াবাড়িই হয়েই গেছে। নেকাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন?

//আসলে ইসলামে মুখ ঢেকে রাখার কোন বিধান নেই। এমনকি এটা কোন নফল কাজও নয়। কুরআনে কোথাও মেয়েদের মুখ ঢেকে রাখতে বলা হয়নি। হাদীসেও নয়। বরং বহু সংখ্যক হাদীস নেকাব ব্যবহারের বিরুদ্ধে রয়েছে।//
এই কথাটি কি আপনার না কি ঐ মুফতি বলেছেন?

আচ্ছা এখন আসি আসল কথায়, এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কিছুই হয় নাই, আপনি একটা ফিতনা টাইপ ব্লগ লিখেছেন।

আসুন দেখি কুরআন ও সহীহ হাদীসে কি আছে।

“বিশ্বাসী নারীদেরকে বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে (নিষিদ্ধ জিনিস থেকে), এবং তাদের লজ্জা স্থানকে হিফাজত করে (অবৈধ সম্পর্ক থেকে) এবং তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করে না বেড়ায় তবে যা স্পষ্টত দৃশমান (যেমন: পথ দেখার জন্য দুই চোখ, হাতের তালু) এবং চাদর দিয়ে যেন তাদের সমগ্র যুয়ূবিহিন্ন্া(যার মানে হলো- তাদের শরীর, মুখ, গলা, বুক) ঢেকে রাখে;... (সূরা নূর: ৩১)

যুয়ূব এর উপর চাদর ঢেকে রাখা বলতে মুখ ঢাকাও বুঝায়।

যখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) কে নিন্মোক্ত আয়াতটির ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলো:
“হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রী, কণ্যা এবং বিশ্বাসী নারীদেরকে বলো, তারা যেন তাদের চাদর দিয়ে তাদের সমগ্র শরীর ঢেকে নেয়।” (সূরা আহযাব : ৫৯)

তখন তিনি তাঁর চাদর দিয়ে চোখদুটি ব্যতীত মুখটি ঢেকে ফেললেন। অর্থাৎ মুখ ঢাকাও এই আয়াতের ব্যাখ্যায় নির্দেশ করে। এই আয়াতের ব্যাখ্যা এই ভাবেই দিয়েছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা), আর এটি বর্ণিত হয়েছে উবাইদাহ ইবনে সালমানির দ্বারা, এই প্রশ্নটি তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন।

আর এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসেও রয়েছে: তিনি বলেছেন: “যেসব মহিল ইহরাম বাধা অবস্থায় থাকবে তারা যেন তাদের মুখ ঢেকে না নেয়”।
যেটা নির্দেশ করে ইহরাম ব্যতীত অন্যসময় নারীরা মুখ ঢেকে রাখতো।

আয়শা (রা) এই বিষয়টি চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন:
“আমরা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ইহরাম বাধা অবস্থায় হজ্জ্ব করছিলাম তখন কোন গায়রে মাহরাম আমাদের সামনে এলে আমরা মাথার চাদরটি টেনে নিয়ে মুখটি ঢেকে নিতাম আর তারা যখন চলে যেত তখন আবার তা উঠিয়ে ফেলতাম”

অর্থাৎ এই ফেস ভেইল বিষয়টি কাদের জন্য প্রযোজ্য তা চমৎকারভাবে উপরোক্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যায়। সূরা নিসায় যাদের সামনে পর্দা করার দরকার নেই তাদের সামনে মুখ খোলা রাখা যাবে। কিন্তু গায়মে মাহরাম অর্থাৎ যাদের সাথে বিবাহযোগ্য তাদের সামনে মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

হিজাব অর্থ স্বাভাবিক পোষাক আর এই জিনিসটা আমরা গুলিয়ে ফেলেছি। আসুন একটু পর্যালোচনা করি, সূরা নূর এর ৩১ আয়াতে স্বাভাবিক সৌন্দর্য বলতে কি বুঝাচ্ছে? বুঝাচ্ছে তাদের মুখ এবং হাত। আর এই দুইটি তারা কাদের সামনে খোলা রাখতে পারবে তারও তালিকা দেওয়া আছে আলোচ্য আয়াতে "তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে" (সূরা নূর : ৩১)

অর্থাৎ এদের সামনে স্বাভাবিক অবস্থায় মুখ খোলা রাখলে কোন অসুবিধা নেই কিন্ত চাদর বা ওড়না দ্বারা কিন্তু শরীরটি ঠিকই ঢাকা থাকতে হবে। এখানে শরীর ঢেকে রাখা হচ্ছে স্বাভাবিক পোষাক।


হিজাব বলতে কি বুঝায়?
হিজাব আরবী শব্দ, যার অর্থ হলো ঢেকে রাখা। অর্থাৎ হিজাব সে অর্থে ব্যবহৃত হয় যার দ্বারা কোন কিছু ঢেকে রাখা হয়। হিজাবের মাঝে যা আসবে তার সবটুকুই ঢেকে রাখা।

এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা হলো: এমনভাবে ঢেকে রাখা অর্থাৎ যে জিনিসটাকে ঢেকে রাখা হয়েছে তা অন্য কিছু কে সেখানে যেতে বাধা দেয়।

আরো বিস্তারিত জানার জন্য: http://islam-qa.com/en/ref/21134/Niqaab




comment by: উমর বলেছেন: আপনি আরবী জানেন কিনা জানি না, যদি অনুবাদ পড়ে মনে করেন যেটা পড়েছি সেটাই ঠিক তাহলে ভুল করবেন।

//সূরা নূরের ৩১ আয়াতের ব্রাকেটে যা দিয়েছেন তা সব নিজের কথা। আল্লাহর কথা নয়।//
তাহলে তো কোন তাফসীর পড়াই ঠিক না, কারণ সব তাফসীরই কারো না কারো মনের ব্যাখ্যা, ঐগুলো আল্লাহর কথা নয়, আল্লাহর কথা প্লেইন আরবী টেক্সট।
যুয়ূবিহিন্না দ্বারা যা বুঝায় তা আমি বলে দিয়েছি।

//সূরা আহযাবে ৫৯ আয়াতে আপনি অনুবাদে সমগ্র শরীর লিখেছেন। এটি একটি জালিয়াতি। আয়াতে এ শব্দটি নেই।//
এটি একটি জালিয়াতি.... আপনার এই কথা দ্বারাই বুঝায় আপনি আরবী জানেন না।
তাফহীমুল কুরআন পড়েই মনে করবেন না তাফহীমের লেখক যা লিখেছেন তাই ১০০% সঠিক।
দেখুন আপনাকে আমি বুঝার সুবিধার্থে নীচে কতগুলো অনুবাদ দিয়ে দিচ্ছি:
মালিক আলোচ্য আয়াতটির যে অনুবাদ করেছেন:
O Prophet! Enjoin your wives, daughters and the believing women that they should draw their outer
garments over their persons. That is more proper, so that they may be recognized and not bothered.
Allah is Forgiving, Merciful.

ইউসুফ আলীর অনুবাদ:
O prophet! tell thy wives and daughters and the believing women that they should cast their outer
garments over their persons (when abroad): that is most convenient that they should be known (as
such) and not molested: and Allah is Oft-Forgiving Most Merciful.

Pickthall এর অনুবাদ:
O Prophet! Tell thy wives and thy daughters and the women of the believers to draw their cloaks
close round them (when they go abroad). That will be better, that so they may be recognized and not
annoyed. Allah is ever Forgiving, Merciful.


ইউদনিনা = টেনে নেওয়া
আলাইহিন্না = তাদের উপর
জালাবিবিহিন্না = তাদের বাইরের চাদর

আর উপরোক্ত আয়াতের তাফসীরে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) দেখিয়ে দিয়েছেন কি করে চাদর টেনে নিতে হয়। (আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বিখ্যাত সাহাবী ছিলেন যার কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর, সাহাবীরা মক্কায় তার নিকট কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করতেন)

//তখন তিনি তাঁর চাদর দিয়ে চোখদুটি ব্যতীত মুখটি ঢেকে ফেললেন।//


আর শেষকথা, আপনি নিকাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন, জানি আপনি কেন এই কথা বলছেন, কারণ আপনি একদিন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলেন আর এই জন্যেই আপনার কাছে মুহতারাম মুফতির কথা ভালো লেগেছে।
এই বিষয়টি নিয়ে কে কি বললো, তার গুরুত্ব না দিলেই ভালো করবেন, কুরআন এবং সহীহ হাদীসে কি আছে তা কষ্ট করে একটু অনুসন্ধান করুন, হুট করে কিছু লিখে বা প্রকাশ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না, তা না হলে মানুষগুলোর বিভ্রান্ত হওয়ার দায় আপনার উপরই বর্তাবে।

আর মানুষের ভিতর একবার যা ঢুকে যায় তা পরিবর্তন করা কষ্টসাধ্য, আমি আপনার মনোভাব পরিবর্তন করতে পারবো না। আপনি স্বাধীনভাবে যেটা বুঝেছেন সেটাই আপনার নিকট থাকবে, আপনি এর পিছনে অনেক যুক্তি উপস্থাপন করবেন, তর্ক করবেন।

যেমন আপনি না বুঝেই হুট করে বলে দিলেন এটা জালিয়াতি, এটা কি ঠিক হলো? আগে জেনে নিন তারপর অগ্রসর হোন।












৪৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:০২

উমর বলেছেন: @ইবনে হাবীব, এটা http://islam-qa.com/en/ref/21134/Niqaab
রেফারেন্সের আদলে লিখেছিলাম আর তখনও আমি নাসিরুদ্দিন আলাবানীর The Face Veil লেখাটি পড়া হয়নি। এরপর যখন পড়েছি তখন আমার ভুল ভেঙ্গেছে। কাজেই আমি আমার পূর্বোক্ত মন্তব্য থেকে সরে এসেছি। ইনশাল্লাহ আমি ঐ পোস্টে বিষয়টি উল্লেখ করে দিব।
The Face Veil
বইটি ডাউনলোড করে পড়ে নিবেন।

৪৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:১২

উমর বলেছেন: @মেরিনার, ভাই, দয়া করে ভুলটা ভেঙ্গে দিবেন। আমি আর এই ব্লগার এক মানুষ না, আর আপনি যদি আমার ঐ মন্তব্যগুলোর কারণে কথাগুলো বলে থাকেন সেটাও আমি পরিস্কার করে দিয়েছি।

৪৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মেরিনার বলেছেন: জ্বি উমর, বুঝেছি! আমি কেন ভুল করেছি বুঝেছেন তো?

আসলে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে আমরা কি বলে ফেলি - কত damaging মন্তব্য করে ফেলি ইসলামের বিরুদ্ধ, স্কলারদের বিরুদ্ধে, নিজেদের বিরুদ্ধে। ‘Abdul ‘Azeez ibn Baaz যাকে মুজাদ্দিদ মনে করেন, এই ব্লগের লেখক তাকে মির্জা গোলাম আহমাদ ক্বাদীয়ানির সাথে তুলনা করেছেন
সব বিশ্বাসী মুসলিমকে বলছি - ইসলামের স্কলারদের মাংস বিষাক্ত হয়ে থাকে। গীবতের মাধ্যমে তাঁদের মাংস চিবানোর আগে চিন্তা করে দেখুন, আপনি কোন জাহান্নামে নিজের আসন করে নিচ্ছেন!!!

৫০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০০

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: View this link

View this link

View this link

৫১| ০৩ রা মে, ২০১০ বিকাল ৫:৫০

মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: এপোলোজেটিক(দোষ স্বীকার সূচক) ব্যাখ্যার মইধ্যে কি 'ইসলামী গনতন্ত্র' কিম্বা 'আধুনিক ইসলাম' এইসব পড়ে না ?

০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:৩৬

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: হ্যা, পড়ে।

৫২| ০৩ রা মে, ২০১০ বিকাল ৫:৫৪

উমর বলেছেন: মাহমুদ ভাই, নিশ্চয়ই প্রত্যেকটা কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আপনার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।

আমার ইমেইল এ্যাড্রেস এ আমার নামঃ Mohammad Ibn Habib, যারা আমার ইমেইল পেয়েছে তারা জানে।
আর এই কারণেই মেরিনার ভাই ভুল করে মনে করেছিলেন আমি আর আপনি একই ব্যক্তি। কারণ, আপনার নামও ইবনে হাবীব। এটা নিয়ে পানি ঘোলা করার কিছু নাই। ধন্যবাদ।

৫৩| ০৩ রা মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫

উমর বলেছেন: ঐ সাইটে যারা আমাকে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করেছে, যারা সেই উপাধির সাথে ১০০% সহমত পোষণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনই অভিযোগ নাই। কারণ, মানুষ মাত্রই ভুল করবে, ইনশাল্লাহ হয়তো এক সময় তাদের ভুল ভেঙ্গে যাবে। আল্লাহ তাআলা তাদের সুস্থ রাখুন। আমিন।


৫৪| ০৩ রা মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: @মেরিনার: স্যালুট প্রথম মন্তব্যের জন্য। এই ব্যাপারটাই সহজে কেউ বুঝতে চায়না কেন ???!!!
লেখা প্রসঙ্গেঃ
বিশাল বিশাল ডিবেট দেখিনা ছেলেরা নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলবে কি বল্বেনা তা নিয়ে, কিছু মানুষের কাজ ই "নারীর প্রতি ইসলাম" এই টাইপ অপ্রয়োজনীয় জিনিশ নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে! আশ্চর্য লাগে, পুরুষের প্রতি কি ইসলাম নাই ????
হিজাবের লেভেল আছে, হিজাব একটা নির্দিষ্ট নিয়ম না... এটা একটা বাউন্ডারীর নাম। এর ভেতরে অনেক স্তর আছে। যে যার তাক্বওয়া অনুযায়ী স্তর বেছে নেবে, বা ফলো করবে। আমি আপনি কেউ না সেটা ঠিক করে দেবার! কেবল বাউন্ডারী ভ্যালু টা বলতে পারি, হ্যা হাত এবং মুখ খোলা রাখা , ঢোলা পোশাক ... ... ... মেয়েদের ক্ষত্রে, ছেলেদের ক্ষেত্রেও এমন কিছু। এটার আরো বিস্তৃতি ঘটতে পারে, কেউ যদি সেভাবে ফিল করে।
সাঈদী কি নবী হয়ে গেছেন ??!!! ওনার কথা মানেই সেটা পুরো শুদ্ধ, সেটা মানতে হবে কেন ????? কেউ এটা অপছন্দ করলে তা করার স্বাধীনতা আছে। কেউ সাঈদীর অনুসারী না, কেউ নাসিরুদ্দীন আলবানীর অনুসারী ও না। প্রয়োজনে ওনাদের ব্যাখ্যা কারো ইচ্ছে হলে, ঠিক মনে হলে গ্রহন করবে। ওনারা জাস্ট ব্যাখ্যাকারী, গুরু না!!!!! কোন ব্যাখ্যাকারীকেই আমরা গাল দিতে পারিনা, যতক্ষন না শিরক করে ফেলছেন! বা কন্ট্রাডিকটরী কথা বলছেন!
@ লেখকঃনারীদের জন্য ফতওয়া বাজদের অভাব নেই। কুরয়ান হাদীস এর অর্থ অসীম, এটাকে দয়া করে সীমাবদ্ধ করে ইসলাম কে কঠিন করে ফেলবেন না!!!!!! দয়া করে, কেমন !?

৫৫| ০৩ রা মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন: পোষ্ট এবং কমেন্ট দুইটাই পড়ার ধৈর্য্য সংগ্রহ করতে পারি নাই!

তয় একটা কুয়েশ্চান ছিলো,



এইরাম হিজাব করা যাইবে তো? ;)

০৩ রা মে, ২০১০ রাত ১১:৫২

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: উপসংহার টেনে দিলেন!
এরপর আর আলোচনা সামনে এগোনোর দরকার আছে বলে মনে হয় না।
আক্বলমানদের আক্বল থাকলে তারা ঠিকই বুঝবে।

৫৬| ২৩ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:৫২

সীমাহীন সমুদ্র বলেছেন: ভাল পোস্ট।কিন্তু শিরোনা্ম দেখে ভাল লা্গল না।তবু +

৫৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৫৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: Click This Link

৫৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৬

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: লেখক @নাজনীন১ :আপনি অমুসলিম পুরুষদেরকেও দৃষ্টি নত রাখার হুকুম জোর করে পালন করাবেন মনে হচ্ছে। তা কি সম্ভব? মুসলিম পুরুষরা দৃষ্টি নত রাখলে অমুসলিম নারীদের থেকে না হয় বেচে গেল, কিন্তু অমুসলিম পুরুষরা যখন আপনাদের দিকে (অবশ্যই মুখের দিকে) ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে তাদের মানসিক তৃপ্তি মেটায় তখন আপনাদের করুণ অবস্থা দেখে আমাদের করুণাই হয়। =p~ =p~

৫৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৮

আব্দুল্লাহ (রাইয়ান) বলেছেন: +++++++++++

৬০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:১৭

ফটো পাগল বলেছেন: ++++++

৬১| ০৯ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:২১

সাইফ বাঙ্‌গালী বলেছেন: নাজনীন১ বলেছেন: নাজনীন১ এর একটি মন্তব্যের অংশ- 'আজকের বাংলাদেশে বেশির ভাগ ইসলামী আলেমরাই নারী নেতৃত্বকে বিশেষ অবস্থায় সমর্থনযোগ্য বলেছেন।'


প্রত্যক্ষ রাজনীতি করা আর রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকা --- পার্থক্য আছে। যদি আবার আপনার মনে হয় মেয়েদের আবার এতো রাজনীতির খবর রাখার দরকার কি? তাহলে শুনুন, দিন বদলাইছে না, হে দিন কি আর আছে? :P


ওনাদের উপর ওহি নাজিল হচ্ছে নাকি আজকাল? যত্তসব ভন্ড!!

৬২| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:০৬

শায়েরী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লিখাটি।

৬৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৩

মন্জুরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ . . .

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.