![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির বয়স অনেক পুরোনো, যে কোনো সরকার চাইলেই সেটাকে নিষিদ্ধ করতে পারবে না, আর সেখানে ছাত্ররাজনীতির সুফলগুলা কি সেটা দেখতেই পাচ্ছি !
গত তিন দশকে ছাত্ররাজনীতির সুফলতা কি আসলে ?
ছাত্ররাজনীতি আসলে প্রয়োজন কেনো ?
ভবিষ্যতের নেতা হতে ? ট্রাম্প কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সভাপতি ছিল ভাই ? মোদী ?..... আর থাকলো মেজর জিয়া ?
সে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা ছিল ? খালেদা জিয়া কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা? তারেক রহমান ? বাকীসবার কথা আপাতত pause.
তার মানে It's not important to involve with student politics to be a leader. তাদের যদি নেতা হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাটফর্ম প্রয়োজন না হয়, তাহলে আপনার কেনো প্রয়োজন হচ্ছে ?
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এতো মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি হয় অথচ দেখেন তাদের উল্লেখযোগ্য একাডেমিক কোনো অর্জন নাই, বিশ্বের নামকরা ৫০০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমরা নাই, হাজারের দিকে মাঝে মাঝে ঢুকি আবার বাইর হই, তো এইসব ধান্দাপানি বাদ দিয়া যেটা করতে বাপ মা পাঠাইসে, সেটা করাই উচিত নয় কি ?
বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর উদ্দেশ্যটাকে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছি এই লাইনে যে, "বিশ্ববিদ্যালয় কি শুধু পড়াশোনার জন্যে?"
নাহ, শুধু পড়াশোনার জন্য না, ভার্সিটিতে থিসিস করেন, ক্লাবিং করেন, ডিবেট করেন, গবেষণা করেন, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীই হয়েছে এজন্যে ! শুধু ছাত্ররাজনীতিটা কইরেন না, তারপরেও এতো ইচ্ছা থাকলে পড়াশোনা শেষ করে লীগ/বিম্পি/শিবির/জামায়াতে... যোগ দিয়েন, অনেক সুযোগও পাবেন, কেও বাধা দিবে না।
আপনারা ২/৩ জন একটা পলিটিক্যাল মিট আপ করলেন সেটার জন্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রাখতে হলো, আজ ১০ জন আছেন, কাল ৫০ হবেন, পরশু ৫০০, তারপর বলবেন, এবার আমাদের ভেতরে ঢোকার পালা। তারপর আবরার হবে কোনো এক সাধারন শিক্ষার্থী যে কি না শুধুই একজন গবেষক হতে চেয়েছিলো...
যদি আপনার কথাকে সত্য ধরেও নিই, তবুও ২০ বছর পরে আপনাদের অনুজরাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও তান্ডব চালাবে, তখন আপনি আর সেটাকে ঠেকাতে পারবেন না, এই শুরুর দায় সেদিন নিবেন ? যদি সেইদিনের সেই দায় না নিতে পারেন, তাহলে ভাই প্লিজ, বাদ দেন । আপনি হয়তো রাজনীতির সুফল ভোগ করবেন কিন্তু আপনার রাজনীতির কারনে যে শিক্ষার্থীদের বৃহৎ একটা অংশ তাদের নিয়মিত কার্যক্রম করতে পারলো না, তাদের এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার আপনি কে ?
গাছের মাথায় উঠতে হলে কিন্তু আগে গোড়া ধরতে হয় ভাইয়া ! এটা বোঝেন তো? বেসরকারীগুলোতে প্রবেশ করে আপনারা গোড়া ধরার চেষ্টা করতেছেন কেবল! যখন মাথা ধরা শিখবেন তখন আর আপনার অনুজদেরকেও হেলমেট/হকিস্টিক বাহিনী হওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না, লিখে নেন।
আমরা কোনো আবরারদেরকে দেখতে চাই না, সাদ্দামদের তান্ডবলীলাও দেখেছি, সুতরাং এবার অন্তত বেসরকারিগুলোকে ক্ষমা করেন ! তবুও একান্তই যদি আপনার/আপনাদের রাজনীতিটা মেইন উদ্দেশ্য হয় তাহলে কোনো একটা ন্যাশনাল কলেজে ভর্তি হন, আরো ব্যাপক আকারে নিজেরে নেতা প্রমান করতে পারবেন, তাও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলাকে ক্ষমা করেন !
স্বৈরাচার তাড়ানোর সময়ে সকল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একত্রিত হয়েছিলো কোনো প্লাটফর্ম ছাড়াই, তারা সফলও হয়েছে, স্বৈরাচার তাড়ানোর পরে তারা আবার টেবিলে ফিরেও গেছে, ভ্যাট আন্দোলন করেছি, সফল হয়েছি, টেবিলে ফিরেও এসেছি, সড়ক আন্দোলন করেছি, সফল হয়েছি, আবার টেবিলে ফিরে এসেছি, কোনো লীগ/দল/শিবিরের প্লাটফর্ম বেছে নিতে হয় নি, যদি আবারো প্রয়োজন হয়, আমাদের অনুজরা আবারো রাস্তায় নামবে অন্য কোনো স্বৈরাচার তাড়াতে কিংবা জনতার অধিকার আদায়ে । দেশের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই তারা আবারো একত্রিত হবে কিন্তু কোনোভাবেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে ছাত্ররাজনীতির ট্যাগ লাগতে দেওয়া যাবে না, না মানে একদম না । একদম মোটাদাগে "না"।
আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা এইসবের প্রতি কঠোর হন, ওরা ছাত্ররাজনীতির যতই সুযুক্তি দেখাক, ওটা শুধু খাতায় লেখা রচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, বাস্তবতা আমরা স্বাধীনতার পর থেকেই দেখছি, থিওরির চেয়ে বাস্তবতার ভ্যালু অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ ! যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যটা ধরে রাখতে চান তাহলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন, আগাছা ছোট থাকতেই ছাটতে হয় । ছারপোকা খুব বেশি দরকার হয় না, পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত করার জন্য এরকম ২/৪ টা ছারপোকাই যথেষ্ট ! এদেরকে যত শুরুতে বিনষ্ট করা যাবে ততই মঙ্গল !
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ছাত্রদের রাজনীতি করতে সমন্বয়করাই উৎসাহ দিচ্ছে। সারজিস আলম বেসরকারি ভার্সিটতে গিয়ে বলেছে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। গাজীপুর যে ছেলে মারা গেছে সে ক্লাস এইটে পড়তো।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধু থাকবে
সকলের সমন্য়য়ে শক্তিশালী ছাত্র প্রতিনিধি টীম
যা ছাত্রদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে কর্তৃপক্ষর সাথে দাবী দাওয়া পেশ করবে ।
....................................................................................................
রাজনীতি করতে হলে যা ক্যান্পাসের বাহিরে করবে
আর লেজুর বৃত্তি ছাত্র রাজনীতি কোন ভাবেই কাম্য নয় ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ছাত্রদের প্রধান দায়িত্ব হলো পড়ালেখা করা এবং ভবিষ্যতের কর্মজীবনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। কিন্তু যখন তারা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে, তখন মূল দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে বিভিন্ন অন্য কাজে লিপ্ত হয়। অর্থের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও ছাত্রজীবনে তাদের হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে, অনেকেই রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নেয় এবং চাঁদাবাজি ও দখলবাজির মতো অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে তাদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটে, যা ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে ক্ষতিকর।