![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
poet-novelist-editor & development researcher.
রায়েরবাজার বধ্যভূমি
............................................
আমার অফিস থেকে ২০মিনিট লাগে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে যেতে। মনখারাপ বিষণ্ন বিকেলে কাল গিয়েছিলাম।
ভেবেছিলাম ভরাবর্ষার নদীটিও দেখা হবে স্মৃতিসৌধ এর পাশাপাশি। ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যাকাণ্ডের পরে
হাজার হাজার মানুষের লাশ এখানে নদীর কিনারে এই স্থানটিতে ফেলতো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের
দোসরেরা। সে সময়ে অনেক বুদ্ধিজীবীর লাশও এখানে পাওয়া যায় অর্ধগলিত অবস্থায়। এখানেই গড়ে উঠেছে স্মৃতিস্তম্ভ।
বুড়িগঙ্গার এ অংশটিকে বলা হতো 'কহর দরিয়া'। নদীটি নেই, নেই তার প্রবাহের চিহ্ন। আশেপাশে ভরাট করে সরকার
সেনাতত্ত্বাবধানে গোরস্থান , আবাসন কিছু একটা করতে যাচ্ছে। তারও আগে ক্ষমতাবান নদীদস্যু-ভূমিদস্যুরা দখল করে
অনেকখানি। চারপাশটা এতো নোংরা হয়ে আছে। সাধারণ একটি স্থানের মতোই অবহেলা আর তাচ্ছিল্যে জায়গাটি দেখলে
মনে হবে সেই নৃশংসতা যেন এখনো চলছে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী বর্তমান সরকারের সময়ও এমন নিধন আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির অবমাননা একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মনকে আরো বিষাদময় করে তোলে। নদী হত্যা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি হত্যা, সংস্কৃতি হত্যা কোন অনিশ্চয়তার কথা জানাচ্ছে আমাদের!
©somewhere in net ltd.