নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

poet-writer and editor. founder of a development organisation, a promotional agency, printers & publications. co-founder of an IT, Web Solutions Service and WEB Training Institute. Obtained masters in english literature & language...

মাহমুদ টোকন

poet-novelist-editor & development researcher.

মাহমুদ টোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথজার্নাল ............................

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪


ভূমিকম্প বা অন্য প্রাকৃতিক দূর্যোগে আমার তেমন ভয় হয় না। প্রকৃতি্র তীব্রতার বিরুদ্ধে আমরা তেমন কী করতে পারি! অস্থির হয়েও তো লাভ নেই বরং মাথা ঠান্ডা রেখে করণীয় বিচার্য!কিছু করার নয়া থাকলে দেখা, বোঝা এবং অন্যকে স্থির হতে বলা। আমি শুধু জানলায় তাকিয়ে ছিলাম...।

স্বভাবগত কারণে নিজে দিশেহারা না হলেও স্বজন কী জনমানুষের জন্য বেশ আতংকিত হয়ে পরি! মানুষের দূর্ভোগ, কষ্ট, দূর্দশা ভীষন বিহবল করে আমাকে ভেতরে ভেতরে। বাইরেও। চিন্তা-চেতনা, জীবনযাপন এমনকি খাদ্য গ্রহণেও এর প্রভাব পড়ে।গতকাল ভূমিকম্পের সময় যেখানে ছিলাম, ভবনটি অনেক পুরাতন। ফলে ভূমিকম্পের তীব্রতা খুবই বাজে ভাবে অনুভূত হয়।
প্রথমে মাকে ফোন করি, তারপর ভারত বাংলাদেশের সকল প্রিয় পরিচিত জনের নম্বরে একটির পর একটি ফোন করেও কাউকে পাই না! কী ভীষণ এক আতংকের দোদুল্যমানতায় অসার লাগে সবকিছু! তাহলে কী মারাত্মক কোন বিপর্যয় ঘটে গেছে? মাকে পাচ্ছি না, তটিনীকে-গৌতমদাকে পাচ্ছি না। দেবযানী, বুবুন, হাসান মোরশেদের ফোনও সংযোগ দিচ্ছে না। বোন-ভাই, ঘনিষ্ঠ, স্বল্প পরিচিত সবার সংযোগ ভুতুরে হয়ে পড়ছে! পাইনি ভাইপো, ভাগ্নি, সামাজিক-পেশাগত অনেককেই!
কিছুটা ধাতস্ত হবার পরে কমল ভাইকে বলি টেলিভিসন চালাতে, বাংলাদেশে কোনো খবর নেই, একটু পরে স্ক্রল- 'ভুকম্পন অনুভুত'! স্বস্তি পাই না, বাধ্য হয়ে ভারতীয় চ্যানেল। সেখানে স্পট রিপোর্টিং! কোলকাতায় তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে! ঢাকার রিপোর্টিং এলেই নিউজ প্রেজেন্টার রিপোর্টারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেন।ফিরলাম ঢাকার চ্যানেলে, সেই একই অবস্থা! নামকরা এক সাংবাদিক একজনকে নিয়ে এসেছেন তিনি কী করবেন, খাবেন পহেলা বৈশাখে ইত্যাদি!কী ননসেন্স! গণমানুষকে তো তথ্য দিতে হবে! মানুষের ভীতি কমাতে হবে! কোথায় কী!

যাহোক ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই ঢাকা-কোলকাতা, গ্রাম-শহর এমনকি বার্মাও সংযোগে এলো। স্বস্তি এলো। পরিচিত, স্বজন-প্রিয়জন সবাই ভালো আছে! ভালো থাকুক সবাই। সঙ্গে এরকম দূর্যোগ মোকাবেলা, যোগাযোগ এবং নিরাপত্তার বিষয়টি সবাই মাথায় রাখুক। রাস্ট্রের ভূমিকাটিই এখানে মুখ্য, সামাজিক সংগঠন এবং মিডিয়ারও!
আরেকটি বিষয়ও খুব কাজের হবে যে সবাই যাতে নিজের মতো করে সামাজিক মাধ্যম কি মুঠোফোনে নিজের অবস্থা জানিয়ে দেয়া!
মানুষ প্রকৃতির স্বাভাবিকতার বিপরীতে যে সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে, কাজ করছে এবং তার শৃঙ্খলা ভেঙ্গে দিচ্ছে তাতে এরকম বিপর্যয় তো অনিবার্য!আর এও তো খুব নিষ্ঠুর শোনালেও সত্যি যে এরকম কোনো মহাবিপর্যয়ের ভেতর থেকেই আরেক নতুন ভারসাম্যের পৃথিবী তৈরি হবে!
.........................................
১লা বৈশাখ ১৪২৩ । ১৪ এপ্রিল ২০১৬

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

রাবার বলেছেন: ++++++

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.