![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
poet-novelist-editor & development researcher.
অফিসের পথে যেতে যেতে মনে পড়লো, আজ থেকে বাংলা একাডেমি অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হচ্ছে ঢাকায়।
দৈনিকের পৃষ্ঠা ভরা থাকবে বইয়ের বিজ্ঞাপন। সবচে' বড় বিজ্ঞাপন থাকবে টাকাওয়ালা অলেখকদের! কাগজের পাতা ভরা রঙিন বিজ্ঞাপন, নিজেই নিজের বিশেষণভূষিত! খ্যাতি ও নামের লোভে মেধাবীদের এই ক্ষেত্রটি এখন রাজনৈতিক কর্মী, আমলার স্ত্রী, কোচিং মাস্টার, মাছবিক্রেতা, কন্ট্রাক্টর, ডাক্তার, ডেভেলপাদের দখলে(** উল্লেখিত পেশার মানুষেরাও লেখক রয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি। এলেখা জোর করে লেখক হওয়া দখলদার, অলেখকদের বিরুদ্ধে!)। অনেকটা নদী দখল, বাড়ি দখল, ফুটপথ দখলের মতো।
অধিকাংশ মিডিয়া, কাগজের মালিকেরা, প্রকাশকেরা, পয়সাওয়ালা ও ক্ষমতাবানদের পাশেই থাকেন। আবার এ সকল কু-লেখকদের নিজেরও কাগজ/মিডিয়া রয়েছে কারো। এদের বড় বড় ‘বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকে যায়’ প্রকৃত লেখকদের। মনে রাখতে হবে প্রকৃত লেখকের, শিল্পির মৃত্যু হয় না। শিল্পের মৃত্যু নেই। মেধার আলোয় যা উজ্জ্বল তা অবিনশ্বর। সৎ শিল্পের উদ্ভাসিত দ্যুতি ঢেকে রাখা যায় না কখনও।
প্রকৃতপক্ষে লেখা কিংবা কোন শিল্প ও সৃষ্টিশীলতা কোনো প্রতিযোগিতার বিষয় নয়। ইচ্ছে হলেই কেউ লিখতে পারবে, কেউ পারবে না, বিষয়টি আদৌ এরকমও নয়। মেধা, পড়াশোনা, চিন্তাশক্তি, উপলব্ধি, অনুভুতি, দার্শনিকতা এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে লেখা তৈরি হয়। এর সঙ্গে প্রয়োজন ইচ্ছেশক্তি; অধ্যাবসায়। সমন্বিত প্রচেষ্টায় লেখা দাঁড়ায়। যে যত সমন্বিত প্রচেষ্টায় ভালো তার লেখাও ততোটা ভালো।
মনে রাখা প্রয়োজন, কোনো সৃষ্টিশীল কাজ গভীর মননিবেশ এবং শিল্পের প্রতি কমিটমেন্ট ছাড়া হয় না। নিজেকে সমর্পন করে, বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে এবং শিল্পে সৎ থাকলেই মহৎ সৃষ্টি সম্ভব।
শিল্পের কোনো শর্টকাট নেই!
.......................................
মাহমুদ টোকন
(পথজার্নাল/১ ফেব্রয়ারি ২০১৭)
©somewhere in net ltd.