নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সীমিত জ্ঞান কারো উপকারে আসলে শান্তি পাই...
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আমরা ছোট বয়সে নামাজ পড়া শিখি, রোজা রাখা শিখি। উমরাহতে যাওয়ার আগে উমরাহ করা কি শিখে নিবেন নাকি এজেন্সি থেকে মোয়াল্লেম দিবে সেই ভরসায় বসে থাকবেন, এটা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছা। মোয়াল্লেম বা গাইডের মাধ্যমে উমরাহ করাতে কোনো ভুল নেই বরং হেরেমে গিয়ে দেখবেন মালয়েশিয়ান বা ইন্দোনেশিয়ান ১৫-২০ জনের গ্রুপ নিয়ে একই রঙের কাপড়ে বা ব্যাজ লাগিয়ে হাজিসাহেবরা উমরাহ করছেন।
ভুল-সঠিকের দ্বন্দ নেই, বিষয়টা তৃপ্তির! ইবাদাতে তৃপ্তি অনেক বড় বিষয়! একটা বিষয় আপনি জানেন, আপনি আপনার মতো করে আদায় করছেন, তার সাথে বই দেখে দেখে বা আরেকজনের কথামতো কাজ সম্পন্ন করার মধ্যে একটু তো পার্থক্য আছে।
দলবেঁধে উমরাহ পালন করার বিষয়টি আমার ভালো লাগেনি। একটা পিছুটান থাকে। গ্রুপের অমুক কোনদিকে গেল, তমুক কোন দিকে গেল। ঝামেলা!
আরে, আপনি আল্লাহর মেহমান, দাড়িয়ে আছেন তার পবিত্রভূমিতে, কা'বার সামনে! হারিয়ে যান না স্রষ্টার প্রেমে, ক্ষমা চেয়ে কেঁদে কেটে একাকার হওয়া মানুষের মিছিলে! সারাজীবন তো সংসার, পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবকে সময় দিলেন। এবার একটু ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করুন। নিজেকে স্রষ্টার দরবারে মেলে দিন। কখনো তার প্রশংসা করুন, কখনো রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শানে দরুদ পড়ুন, কখনো তার দান করা হাজারো নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করুন, কখনো বা এতো প্রাপ্তির পরও নফরমানি করার জন্য ক্ষমা ভিক্ষা করুন। দোয়া করুন, নিজের মতো করে দোয়া করুন। মাথায় হাজার কিছুর পেরেশানি থাকলে দোয়া করা যায় না। তাই আমার পরামর্শ, গ্রুপের সবাই আলাদা হয়ে যান। ঘাবড়ে গেলেন! ভাবছেন এটাও কি সম্ভব নাকি! আমি প্রশ্ন করি কেন সম্ভব না!? অবশ্যই সম্ভব।
ঐ যে লিখেছিলাম গেট নাম্বার মনে রাখার কথা! মাতাফে নামার আগে, গ্রুপ থেকে সবাই বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে, সবাইকে বলে দিন উমরাহ শেষে এতো নাম্বার গেইটে সবাই অপেক্ষা করবে। ব্যস! ঝামেলা শেষ! আর কোনো পিছুটান নেই! নিজের মতো করে ইবাদাত করুন। কা'বার আঙিনা, মাকামে ইবরাহীম, কা'বার বিভিন্ন পাশের দেয়াল, হাতিম, কা'বার গেট, হাজরে আসওয়াদ- প্রত্যেকটি পয়েন্ট নিজে নিজে আবিষ্কার করুন। ক্ষমা চান, আল্লাহর কাছে বেশি করে ক্ষমা চান। অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত, তিনকালের গুনাহমুক্তির জন্য কেঁদে বুক ভাসান।
মানুষ অনুকরণ প্রিয়! অন্যের অনুকরণ করার আগে চিন্তা করুন, কাজটা ঠিক তো!? আবার নিজে কিছু করার আগে সতর্ক হোন, আবেগের আতিশয্যে যেন শিরক করে না বসেন। ভয় পাবেন না। আপনার যদি মাজারভক্তি না থাকে, তাহলে শিরক আসার কথা না।
ইহরাম অবস্থায় সেলফি নেয়া বা হেরেমে ছবি যারা তুলবেন বলে প্ল্যান করে আছেন, আমার লেখা তাদের আর পড়ার দরকার নেই। সত্যিই দরকার নেই! আমার এই লেখা ইবাদাতে উপকার আসার জন্য লেখা। যারা পড়বেন, উপকার পেলে নিজের অজান্তেই আমার জন্য দোয়া করবেন, সেই উদ্দেশ্যে লেখা। ঢং চং করতে গেলে, আমার লেখা কষ্ট করে পড়ার দরকার নেই।
যাক! উমরাহ-র কথায় আসি। প্রথম কাজ, তাওয়াফ সম্পন্ন হলে ২ রাকা'ত ওয়াজিবুত তাওয়াফ নামাজ পড়তে হবে। নামাজ পড়ার আগে সময় খেয়াল করুন। নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকুন।
নিষিদ্ধ সময় পার হওয়ার পর নামাজ আদায় করে বাকী কাজ সম্পন্ন করুন। আবার লিখছি, হেরেমে কেউ হারায় না। পথ ভুলে যায়। পথ খুজে পেতে খাদিমদের সাহায্য নিন।
আমার লেখা মতো, মোয়াল্লেম বা গাইড ছাড়া উমরাহ করতে গিয়ে কেউ যদি বিপদে পড়েন। মানে, পরবর্তী কাজ ভুলে যান বা দোয়া ভুলে যান, ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই! একটু স্থিরভাবে আশেপাশে পর্যবেক্ষণ করুন। সুবিধামতো পদক্ষেপ নিন যেমন- উর্দুতে/ইংরেজিতে পাশের কাউকে জিজ্ঞেস করুন বা বড় উমরাহ-র গ্রুপগুলোর সাথে মিশে যান। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে আবার নিজের মতো নিজের ইবাদাত করুন। মনে রাখবেন, বুদ্ধি রাখবেন দুইনাম্বার কিন্তু কাজ করবেন একনাম্বার!
জাজাকাল্লাহ খাইরান
চলবে...ইনশাআল্লাহ
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯
মায়মুনা আহমেদ বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান!
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০১
শেখ মফিজ বলেছেন: সব কিছু নিজের ও মনের প্রশান্তির জন্য ।
পিছুটান না থাকাই ভাল ।
কাজগিুলি একলা করতে পারলে যথেষ্ট সময় দেওয়া যায় ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
মায়মুনা আহমেদ বলেছেন: হুম
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব সুন্দর।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
মায়মুনা আহমেদ বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান!
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।