নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সীমিত জ্ঞান কারো উপকারে আসলে শান্তি পাই...
আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
"দূরত্ব যদিও আমাদের মাঝে বাধা হয়ে আছে
তবুও (মনে মনে) আমি আপনার সাহচর্য ব্যতিত নই, আপনার স্মরণ করা থেকে আমি বিরত নই।
আপন মনে দূর থেকে আপনাকে ডেকে যাবো
(এভাবে) পথ চলতে চলতে পা গুলো যদি ক্লান্ত হয়ে যায়
আমি মদিনাতে একাকীই ছুটে যাবো
মদিনার অলিগলিতে ঘুরে বেড়াবো
এবং সেখানে গিয়ে আমি আর ফিরে আসবো না
আমাকে খুজতে খুজতে সবাই ক্লান্ত হয়ে যাবে
হঠাৎ দূর থেকে যখন সবুজ গম্বুজ দেখতে পাবো
(প্রচন্ড আবেগে) ইবাদাতের নিয়ম-কানুন হারিয়ে যাবে
কিভাবে আপনাকে সম্মান জানাবো ভেবে দিশেহারা আমি?
চোখের পলকে রবের সিজদায় লুটিয়ে পড়বো!
দূরত্ব যদিও আমাদের মাঝে বাধা হয়ে আছে
তবুও (মনে মনে) আমি আপনার সাহচর্য ব্যতিত নই, আপনার স্মরণ করা থেকে আমি বিরত নই।
আপনার নাম যেখানেই উচ্চারিত হবে
আপনাকে যেখানেই স্মরণ করা হবে
নূরে নূরে এ বুক ভরে যাবে
পুরো মাহফিলে সে নূরের ঝলকানি ঠিকরে পড়বে
হে মদিনার মুসাফির, আল্লাহর ওয়াস্তে
সফরের গল্প আমাকে শুনিও না।
বাক্ রুদ্ধ হয়ে যাবে, হৃদ স্পন্দন বেড়ে যাবে আমার
আমার উন্মত্ত অশ্রুরা উপচে পড়বে
(আমাদের) এই অবস্থা তিনি তার দূরদৃষ্টির মাধ্যমে জানেন
কোন মুসাফির তার জন্য কতোটা ব্যাকুল!
আমি যখন একটিবারের জন্য (মদিনায় যাওয়ার) অনুমতি পাবো
আমিও রাসুল সাঃ এর কাছে যাবো
দূরত্ব যদিও আমাদের মাঝে বাধা হয়ে আছে
তবুও (মনে মনে) আমি আপনার সাহচর্য ব্যতিত নই, আপনার স্মরণ করা থেকে আমি বিরত নই।
আপন মনে দূর থেকে আপনাকে ডেকে যাবো
(এভাবে) পথ চলতে চলতে পা গুলো যদি ক্লান্ত হয়ে যায়।।।"
মূল লেখা(উর্দু) - সৈয়দ ইকবাল আজীম (ফাসোলো কো তাকাল্লুফ)
০১.১১.২০২২
মদিনাতে পৌছেছি ৩১ অক্টোবর ২০২২, মাগরিবের ওয়াক্তে। ০১ নভেম্বর মসজিদে নববীতে সালাত, সালাম পেশ করে আর আশেপাশে ঘুরেফিরে দিন পার করলাম। মক্কা থেকেই এপসের মাধ্যমে রিয়াজুল জান্নাতে যাওয়ার পারমিট নিয়েছিলাম। ৩১ তারিখ মাগরিবের পর ট্যাপাট্যাপির বাবা আর দাদার শিডিউল, ০১ তারিখ এশার সালাতের পর আমার আর মা'র পারমিট।
মক্কা থেকে পৌঁছাতে মাগরিবের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ায় ট্যাপাট্যাপির বাবা, দাদা শিডিউল মিস করলেন। গতকাল রোদে অনেকটা সময় দাড়িয়ে থাকায় ট্যাপির শরীরটা তেমন ভালো না। এশার সালাতের পর যেভাবেই হোক আমার রিয়াজুল জান্নাতে যেতে হবে। আবার যাওয়ার সুযোগ পাবো কিনা জানি না। আল্লাহ যেন সবকিছু সহজ করে দেন সেই দোয়া করছিলাম অবিরত।
এশার সালাতের সময় বাচ্চাদেরকে বাবা-দাদার কাছে দিয়েছি। সালাত শেষে কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম ৩৭ নং গেট দিয়ে মহিলারা রিয়াজুল জান্নাতে যায়। আত্মার শান্তির জন্য ১২ নং গেট থেকে ছোট পথে না গিয়ে পুরো মসজিদ এলাকা ঘুরে ৩৭নং গেটের কাছে গেলাম। এই সফরে আর এভাবে পুরো মসজিদ এলাকা ঘোরার সুযোগ যদি আর না আসে! ৩৭ নং গেটে এসে দেখি মহিলাদের বিশাল লাইন! কয়েক স্তরের চেকিং শেষে সবাই যেভাবে মূল মসজিদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছে, তা আমার আগের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আমি আর মা লাইনে দাড়ালাম। একবার মনে হয় লাইনের ডান দিক তাড়াতাড়ি সামনে এগুচ্ছে আবার মনে হয় বাম দিক এগুচ্ছে। বেশিরভাগ জিয়ারাতকারীই অধৈর্য হয়ে যাচ্ছে। সমানে দরুদ পড়ে যাচ্ছি আর আল্লাহর সাহায্য চাইতে চাইতে কখনো লাইনের ডানে, কখনো লাইনের বামে নিজের জন্য জায়গা বের করছি। পারমিট দেখাতে না পারায় ভিনদেশি একদল বোনকে লাইন থেকে বের করে দিল। বুক ধুকপুক করা শুরু করলো। বারবার মোবাইল চেক করছিলাম, নিজেদের পারমিট ঠিক আছে তো? অবশেষে আমাদের পালা এলো। সালাম দিয়ে মোবাইল এগিয়ে দিলাম। ভলিন্টিয়ার বোনটি পারমিট দেখে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দিতেই মনে হচ্ছিল কৃতজ্ঞতায় রবের সেজদায় পড়ে যাই!
ধীরে সুস্থে হেটে ৩৭ নং মূল গেইটের সামনে এলাম। গেটের সামনে দাড়িয়ে একজন ভলিন্টিয়ার বোন আরবিতে বলে উঠলো "আহলান-সাহলান, নবীর মসজিদে স্বাগতম!" সালাম দিয়ে ভিতরে যেতেই আরেক ভলিন্টিয়ার বোন ঠান্ডা জমজমের পানি হাতে দিলো। লাইন ধরে হেটে হেটে এগিয়ে যাচ্ছি আর দোয়া করছি, "হে আমার রব, যে জায়গায় আমার সেজদা দেয়াটা তুমি পছন্দ করো, সেখানে সহজে আমাকে পৌঁছে দাও"। সামনে এগিয়ে একেবারে মূল রিয়াজুল জান্নাতে গেলাম। গতবারে যেমনটা দেখেছি, মূল রিয়াজুল জান্নাতে সালাত আদায়ের জন্য মহিলারা কেবলমাত্র এককাতার পরিমাণ জায়গা পেত। এবার দুই/তিন কাতারের মতো জায়গা বরাদ্দ করেছে। পর্দা ঘেঁষা, সবার সামনের কাতারে সালাতের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি। পৌঁছে গেছি, আমার সেজদার জায়গাও পেয়ে গেছি কিন্তু সামনে একটি পিলার আর একজন সালাত আদায়কারী বোনকে ডিঙিয়ে আমার সেখানে যাওয়া প্রায় অসম্ভব! হঠাৎ আল্লাহর সাহায্য নেমে এলো। হাত বাড়িয়ে দিলেন আরেক ভলিন্টিয়ার বোন! একপ্রকার আমাকে টেনে নিয়ে আমার সালাতের জায়গায় দাড় করিয়ে দিলেন। কি করে এই শুকরিয়া আদায় করবো! আল্লাহ আপনাদের উত্তম জাযা দান করুন।
সালাত শেষে মা-কেও সামনের কাতারে নিয়ে এলাম। পিছনে দাঁড়িয়ে একে একে সবগুলো পিলার, পয়েন্ট দেখিয়ে দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ মন শান্ত হয়েছে। দুনিয়ার চিন্তা এখন আমার মাথায় ভর করছে। আট মাসের বাচ্চাটার জ্বর আসবে হয়তো, দাদার কাছে রেখে এসেছি, কি করছে? বিরক্ত করছে না তো? তাড়াতাড়ি রুমে ফেরা দরকার। আগামীকাল জিয়ারা আছে। সব কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে। আরো কতো কিছু!
ছবি - নেট
জাজাকুমুল্লাহ খাইরান
২০ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮
মায়মুনা আহমেদ বলেছেন: জ্বি না, থাকলে ভালো হতো।
২| ২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো লেখা।
৩| ২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে যদি আমি মন ভরে মন্তব্য করি, তাহলে এডমিন সাহেব আবার আমাকে কমেন্ট ব্যান করে দিবেন।
২০ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
মায়মুনা আহমেদ বলেছেন: শেষ পাতা লেখা শেষ। এতোদিন কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার কি হজ্ব ওমরাহ ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা আছে?