নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রাথর্না বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখ তাপে ব্যথিত চিত্তে নাই বা দিলে সান্তনা,দুঃখে যেন করিতে পারি জয়। আমার ভার লাঘব করি নাই বা দিলে সান্তনা বহিতে পারি এমনি যেন হয়।

মামদুদুর রহমান

বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রাথর্না বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখ তাপে ব্যথিত চিত্তে নাই বা দিলে সান্তনা, দুঃখে যেন করিতে পারি জয়। আমার ভার লাঘব করি নাই বা দিলে সান্তনা বহিতে পারি এমনি যেন হয়।

মামদুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঙ্গু আর্ট শিল্পী ইব্রাহীম ।মুখ দিয়ে ছবি আঁকেন। পঙ্গু হয়েও তরুনদের মডেল।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬


এমদাদুল মল্লিক ইব্রাহিম বাড়ি নওগাঁ, জেলার মান্দা থানার চককেশব (বালুবাজার) গ্রামে। তার দুই হাত নেই। হুইলচেয়ারে বসা দুই পা পুরোপুরি অবশ। তবে মল্লিকের মাথা ও মুখ খুব ব্যস্ত। মুখে তুলি। ঘাড় ঘুরিয়ে বারবার রং নিচ্ছেন আর ছবি আঁকছেন। হুইলচেয়ারের সঙ্গে বিশেষ উপায়ে লাগানো ক্যানভাসে তুলির আঁচড়ে বিভিন্ন জিনিসের ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দুই হাত নেই, পা দুটোও অচল। তারপরও শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতা দমাতে পারেনি এমদাদুল মল্লিককে। নিজের প্রতিভাকে তিনি বিকশিত করেছেন। ঠোঁট দিয়ে তুলি চেপে ধরে এঁকে চলেছেন একের পর এক ছবি।

মুখ দিয়ে ছবি আঁকার ইতিহাস জানলে একটু অবাকই হবেন। এমদাদুলের দুই হাত ছিল। পা সচল ছিল। পড়াশোনা করেছেন এইচএসসি পর্যন্ত। কাজ করতেন দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান হিসেবে। ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর সব ওলটপালট হয়ে গেল। কাজ করতে গিয়ে ঘটল দুর্ঘটনা। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পক্ষ থেকে তাঁকে বলতে বলা হয়েছিল ব্যক্তিগত কাজ করতে গিয়ে তাঁর দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এতে তিনি রাজি হননি। তাই এ পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ বহন করতে হয়েছে তাঁর পরিবারকে। এখন পর্যন্ত মাসে প্রায় দেড় হাজার টাকার ওষুধ খেতে হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসা নেন আট বছর।

সিআরপিতে থাকা অবস্থায় সবার কাছে শুনেছেন লাভলী নামের একজন মুখ দিয়ে ছবি আঁকতেন। লাভলীর সঙ্গে তাঁর কখনো দেখা হয়নি। লাভলীর গল্প শুনেই অনুপ্রেরণা। মল্লিক ভাষ্য, ‘প্রথম দিকে ছবি আঁকতে বসলে মাথা ঘুরত। বমি করতাম। এখন আর সমস্যা হয় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছবি আঁকতে পারি। বেশি ভালো লাগে প্রাকৃতিক দৃশ্য আঁকতে। এ পর্যন্ত দেড় হাজার ছবি আঁকছি। প্রায় সবই বিক্রি হইয়া গেছে। এ ছাড়া আমি মুখ দিয়া কম্পিউটারও চালাইতে পারি।’

এই শিল্পীর মনে একটাই দুঃখ, গ্রামের লোক ছবি বা শিল্পীর কদর বোঝে না। ২০১২ সালে সিঙ্গার চ্যানেল আই কিংবদন্তি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টেলিভিশনে আসা এবং দেশের মানুষের সঙ্গে পরিচয় ঘট. ।সিআরপিতে থাকা অবস্থায় আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ এখনো আছে। তাঁদের মাধ্যমেই তাঁর ছবি আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি হচ্ছে। ছবির দাম নিয়ে দেনদরবার তেমন একটা করা হয় না। বেশির ভাগ সময়ই একেকজন খুশি হয়ে যা দেন, তা-ই নেন। সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি তাঁর কাছ থেকে ২০টি ছবি নিয়ে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন, আবার হোটেল সোনারগাঁয়ে বিক্রি করেছে ১২ টা ছবি।

ইব্রাহিম বা এমদাদুলের ভাষায়, তিনি তো এখন ‘মরা লাশ’ ছাড়া আর কিছু নন। শরীরের খুব সামান্য একটু অংশ শুধু সচল। এখন দৈনন্দিন কাজ ও ছবি আঁকায় সহায়তা করেন তাঁর অসুস্থ মা। বড় ভাই ও ভাবির সঙ্গে থাকেন। ভাইয়ের পাশাপাশি ছবি বিক্রির টাকা থেকে সংসারের খরচ দেন তিনি। জন্মের আড়াই বছর বয়সে বাবা মারা গেছেন। মা আছেন বলে পরিবারের অন্য সদস্যরা খুব একটা খারাপ ব্যবহার করেন না। গ্রামের মানুষও তাকে খুব ভালোবাসে। তবে মা মারা গেলে কী হবে, এ চিন্তার কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পান না এমদাদুল। তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।। এ পর্যন্ত অনেক জায়গায় চাকরির চেষ্টা করেছেন। তবে দুই হাত নেই শুনে কেউ তেমন একটা অগ্রসর হয় না। বিয়ে করবেন না, এ প্রশ্নে খানিকটা মুচকি হেসে এমদাদুল বলেন, ‘আমি করতে চাইলেও তো কোনো মেয়ে আমারে বিয়ে করতে চাইবে না। তাই চিন্তা করি নাই।’পল্লী বিদ্যুতের অফিস থেকে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য এক ভুয়া মানবাধিকার সংগঠনের খপ্পরে পড়েছিলেন এমদাদুল। তিনি জানালেন, ওই সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের বিভিন্ন আবদার মেটাতে হয়েছে। এমনকি গাড়িভাড়া দিয়ে বাড়িতে এনে রাজহাঁসও খাওয়াতে হয়েছে।

এখন আগের মতো আর ছবি বিক্রি হয় না গ্রামে থাকার কারণে। তবে পিডিএফ নামে একটা সংগঠনের সঙ্গে মাঝে মাঝে কাজ করে আর বাকি সময় কাটে গ্রামের তরুণদের নিয়ে ফুটবল আর ক্রিকেট খেলে । অবাক হবেন শুনলে যে অটো বা ভুটভুটি ভাড়া করে নওগাঁ রাজশাহী সহো আসে পাশের সকল থানায় গ্রামের ছেলেদের নিয়ে খেলতে যায়। মল্লিকের যখন হাত পা ভাল ছিল দুই চার গ্রামে নাম ছিলো ভাল গোল কিপার হিসাবে। ভাল ক্রিকেট ও খেলতে পারতো।

এখন খেলতে পারে না তো কি দুই চার থানা চুষে খেলায় গ্রামের ছেলেদের। এমন উসাহি উদ্দমি তরুণ অকালে সব কিছু হারিয়েও আলো দিচ্ছে আমদের । তাকে দেখলে খুব কষ্ট হয় । তবে এখনো যে উদ্দম তার মধ্যে আছে তাকে যদি কাজে লাগানো যায় তবে দেশে ও বিদেশে প্রতিবন্ধিদের মডেল হয়ে থাকবে আমাদের মাঝে। https://youtu.be/vjUGJxJMc_g https://youtu.be/duxWA3X2sRU



[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/mamdud/mamdud-1527677827-d8f8f4a_xlarge.jpg

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

কাইকর বলেছেন: অনুপ্রেরণা

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

মামদুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। জি ঠিক বলেছেন দারুন অনুপ্রেরণা

২| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: গুনীর সঠিক কদর হোক!

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

মামদুদুর রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই । গুনির কদর আমরা দিতে এখনো সিখিনি। যেই দেশে গুনির কদর নাই সেই খানে গুনি জন্মাতে পারেনা।। এমন মানুসগুলো কে যদি একটু সাহায্য করা হয় তাহলে তারা তাদের ক্ষমতা দ্বারাই অনেক দূর যেতে পারবে।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

উদাস মাঝি বলেছেন: ওমা এই ছেলে দেখি আমার এলাকার !

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

মামদুদুর রহমান বলেছেন: জি ভাই এক দিন সময় করে চলে আসবেন নিজেই দেখে যাবেন । কিছু না হলেও তো ছেলেটা উৎসাহ পাবে।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তার আরো সাফল্য কামনা করি...

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩০

মামদুদুর রহমান বলেছেন: জি ধন্যবাদ ভাইয়া।

৫| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড। স্যলুট।

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২০

মামদুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর মন্তবের জন্য ধন্যবাদ

৬| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এই রকম গুণী মানুষগুলো পড়ে থাকে আমাদের দেশের আনাচে কানাচে কিন্তু বিদেশে হলে এদের কদর আরো থাকতো।

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

মামদুদুর রহমান বলেছেন: জি আপু আপনি খুব বাস্তব কথা বলেছেন। তবে আমরা এই মানুষ গুলোকে একটু সাহায্য করলে বা সরকার এমন মানুসদের একটু নজর দিলে এই অবোহেলিত মানুসগুলো আরো অনেক দূর যেতে পারতো। দেশের নাম তারা উজ্জল করতে পারতো পৃথিবীতে।

৭| ৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

তারেক ফাহিম বলেছেন: উনার জন্য শুভ কামনা।

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

মামদুদুর রহমান বলেছেন: মন্তবের জন্য ধন্যবাদ

৮| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৪

হবা পাগলা বলেছেন: অনেক সুন্দর বিবরণের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ব্লগে আমি নতুন। আমার ব্লগটা একটু ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ রইলো।

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

মামদুদুর রহমান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মতামতের জন্য । আপনাকে ব্লগে আসার জন্য আরেক বার ধন্যবাদ। সময় করে আপনার ব্লগে ঘুরে আসব কথা দিলাম। আপনিও আমার ব্লগে আসবেন আশা রাখলাম।

৯| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৬

হবা পাগলা বলেছেন: পড়ে হৃদয় ছুঁয়ে গেল।

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

মামদুদুর রহমান বলেছেন: মন্তবের জন্য ধন্যবাদ

১০| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৭:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উফফ! এমন নানা মানুষের গল্প পড়ি, দেখি টিভিতে। অবাক হয়ে যাই। আমরা দু হাত পা চোখ ওয়ালা মানুষেরাও জীবনের নানা চ্যালেন্জের সামনে হার মেনে নেই। কষ্টে বুক ভাসিয়ে দেই। আর এরা? আল্লাহ! আমি জানি না কোন ভাষায় এমন মানুষদের সম্মান জানাতে হয়! সত্যিই জানিনা।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অজানা গুণী, সাহসী মানুষটিকে জানানোর জন্যে।
শুভকামনা।

০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

মামদুদুর রহমান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য । জি ঠিক বলেছেন আমরা সব থাকার পরো কিছু করতে পারিনা কিন্তু তারা এমন প্রতিবন্ধকরা ঠেলে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে আর আমাদের দারুন সব ম্যাছেজ দিচ্ছে ।আমারা তো নিতে পারছিনা সেই ম্যাসেজ । তবে এমন গুনের প্রশংসা না করলে লুতফর রহমানের সেই কথাই ফলবে যেখানে গুনের কদর নেই সেই খানে গুনি জন্মাতে পারেনা। তাই তাদের আমাদের
কদর করতে হবে।আপনার জন্যও শুভকামনা।

১১| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা এই মানুষটির জন্য। কারণ জীবন সংগ্রামে পরাজিত না হওয়ার জন্য। কতটা পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে একজন এভাবে গড়ে তুলতে পারে? সত্যিই অবাক হলাম।

এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সময় হলে উনার সাথে দেখা করার ইচ্ছে নিয়ে পোস্টটি প্রিয়তে নিলাম।

১২| ০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:১২

মামদুদুর রহমান বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য। জি! জীবন সংগ্রাম এমনেই অনেক কঠিন আর এমন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে সামনের দিকে যাওয়া অনেক কঠিন। এমন অনেক মানুষ আছে যাদের আমরা মুল্য দিতে চাই না কিন্তু তাদের থেকে আমাদের অনেক শিক্ষার আছে । জি চলে আসবেন নওগাঁ মান্দা। আর যদি ঢাকা থাকেন তাহলে আমাকে একটু জানায়েন মাঝে মাঝে উনি মানে এমদাদুল উঙ্কেল ঢাকা যান ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.