নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রাথর্না বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখ তাপে ব্যথিত চিত্তে নাই বা দিলে সান্তনা,দুঃখে যেন করিতে পারি জয়। আমার ভার লাঘব করি নাই বা দিলে সান্তনা বহিতে পারি এমনি যেন হয়।

মামদুদুর রহমান

বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রাথর্না বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখ তাপে ব্যথিত চিত্তে নাই বা দিলে সান্তনা, দুঃখে যেন করিতে পারি জয়। আমার ভার লাঘব করি নাই বা দিলে সান্তনা বহিতে পারি এমনি যেন হয়।

মামদুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধ্যান, মুরাকাবা বা মেডিটেশন আত্মার সুস্থতার জন্য দরকার।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮



ধ্যানের জগতে আপনাকে স্বাগতম!
কখনো কি ভেবে দেখেছেন??

নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বে রাসুল (সাঃ) হেরার গুহায় কি করতেন! জি, ধ্যান বা মেডিটেশন আরবিতে বলে মুরাকাবা। তিনি সাধারণ একজন মানুষ থেকে এই ধ্যানের মাধ্যমে হয়ে গেলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ।

কেনো তিনি ধ্যান করতে গেলেন? কে তাকে বলেছিল ধ্যান করতে? কি পদ্ধতিতে তিনি মেডিটেশন করতেন? এই প্রশ্ন গুলো সব সময় মাথায় ঘুরপাক খায়।

আল্লাহর রহমতে, গতো এক বছর যাবত গতানুগতিক পদ্ধতিতে মেডিটেশন করছি প্রায় প্রতিদিন। দারুণ উপকার পাচ্ছি।কিন্তু

ইসলামে এই ধ্যান, মুরাকাবা বা মেডিটেশন সম্পর্কে কি বলে? হেরার গুহায় এবং পরবর্তীতে রাসুল (সাঃ) কোন সময় এবং কি পদ্ধতিতে ধ্যান করতেন এই বিষয়ে গভীর ভাবে জানার ইচ্ছে আছে কিন্তু কোন বই এখনো খুঁজে পাইনি এই বিষয় সম্পর্কে। আপনাদের কেউ যদি জেনে থাকেন দয়া করে জানাবেন।

একের অধিক আলেমের সংগে কথা বলেছি এই বিষয়ে; তেমন কোন উত্তর পাইনি। কোয়ান্টাম মেথড নামে একটা বই এখন পড়ছি, অনেক কিছুই জানতে পারছি কিন্তু এইগুলা সব মেডিকেল টার্ম। আমার জানার আগ্রহ, ইসলামে কি বলে ধ্যান সর্ম্পকে আর ধ্যান করার সঠিক পদ্ধতি কী??

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:২২

মোগল সম্রাট বলেছেন:


নবীর পর এগুলো উল্লেখযোগ্য ভাবে এরকম ধ্যান কেউ করেনি। এসলামে এগুলো নিরুৎসাহিত করে সবাই।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩

মামদুদুর রহমান বলেছেন: কিন্তু কেন? নবী তো করেছেন। তিনি ধ্যান করেই তো আল্লাহর কাছ থেকে মহা মানব হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। হেরার গুহায় তিনি ধ্যান করতেন। রাসুল সাঃ এর ধ্যান নিয়ে কি ভাবনা ছিলো তা আমার জানার খুব ইচ্ছে। কোথাও কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শহীদ আল বুখারি ওরফে মহাজাতক একজন ভণ্ড। ওনার জীবনী পড়লেই বুঝতে পারবেন। উনি জ্যোতিষ শাস্ত্র এবং রাশিফল নিয়ে কাজ করতেন এক সময়। এগুলি ইসলামে পুরোপুরি হারাম। ওনার কোয়ান্টাম মেথডের মূল বিষয়টা নতুন কিছু না। সিল্ভা মেথড বা আরও অনেক মেথড আছে ধ্যানের। উনি এগুলির সাথে ইসলাম আর হিন্দু ধর্মের অনেক কিছু মিশিয়েছেন। ধ্যানের মধ্যে 'কুন' বলে থাকেন। 'কুন' বলার অধিকার শুধু আল্লাহর আছে। তাই এগুলি পরিষ্কার কুফরি। মুসলমান হিসাবে এই মেথড অনুসরণ করা উচিত হবে না। আমি ১৯৯৬ সালে কোয়ান্টাম মেথডের প্রথম দিকের ব্যাচের একজন গ্রাজুয়েট। এগুলি বহু আগেই ছেড়ে দিয়েছি।

তবে কোয়ান্টাম মেথড বা অন্য যে কোন ধ্যান শরীরের শিথিলতার জন্য উপকারী। ফলে শরীর এবং মনের উপকার হয়। কোয়ান্টামের সমস্যা হোল এটা আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সাঙ্ঘরশিক। তাই কোয়ান্টাম বাদ দিয়ে সিল্ভা বা অন্য কোন মেথডে ধ্যান করা ভাল। তবে এক্সট্রা সেন্সরি পারসেপশনের মধ্যে কিছু সত্যতা আছে। অর্থাৎ দূরে কি ঘটছে বা দূরে অবস্থিত অন্য মানুষের কি অবস্থা এটা ধ্যানের মাধ্যমে জানা সম্ভব। এটার পিছনে হয়তো কোন বিজ্ঞান আছে যেটা এখনও আবিষ্কৃত হয় নি। আমি দেখেছি কোয়ান্টামে ধ্যানে বসে অনেকে অচেনা লোক সম্পর্কে অনেক গোপন কথা বলে দিতে পারে এবং সত্যি হয়। পৃথিবীতে ব্ল্যাক ম্যাজিক আছে বা জীন আছে। এদের দ্বারা অনেক তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। ভণ্ড পীরেরা জীনের সাহায্যে এই কাজ করে থাকে। এমন কিছু বলে দিবে যেটা পীর সাহেবের জানার কথা না। কিন্তু জীনের মাধ্যমে পীরেরা আগেই জেনে ফেলে। ব্ল্যাক ম্যাজিক করা হয় শয়তান জীনের সাহায্যে। শুধু আমাদের দেশে না পৃথিবীর সব দেশে ব্ল্যাক ম্যাজিক আছে।

রসূলের (সা) হেরা গুহা সম্পর্কে বেশী কিছু আসলে কেউ বলতে পারবে না। কারণ এটা ওনার নবুয়তের আগের সময়ের কথা। তাই যা শুনবেন বা পড়বেন তার বেশীর ভাগই মিথ্যা হওয়ার সম্ভবনা আছে। আল্লাহর ইচ্ছাতেই উনি সঠিক পথ প্রাপ্ত হয়েছেন।

ধ্যান করে নাস্তিক বা ইসলাম থেকে দূরে চলে যাওয়াও সম্ভব। তাই ধ্যান মানেই ভালো না। আল্লাহর ধ্যান করতে হবে। শরিয়তের পরিপন্থি বা শরিয়তের সাথে সাঙ্ঘরশিক পদ্ধতিতে ধ্যান করা যাবে না। তাহলে ইসলাম থেকে নাম কাটা যাবে। ধ্যান করে সাধু্‌, সন্ন্যাসী হয়ে গেলে ইসলাম থেকে নাম কাটা যাবে।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: এমন কিছু বলে দিবে যেটা পীর সাহেবের জানার কথা না। কিন্তু জীনের মাধ্যমে পীরেরা আগেই জেনে ফেলে। -- অনেক চেষ্টা করে মন্তব্যকরা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু শিক্ষিত লোকের এই সব লবা লছা কথা শুনলে মাথা গরম হয়ে যায়। আপনার সেই কামেল পীরের গিয়ে জিগান আমি কোথায় থাকি? বলতে পারলে, সারা জীবন আমি তার গোলাম হয়ে থাকব। ধার্মিক হতে গেলে কি মগজ নর্দমায় ফেলে দিতে হয়????

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: নবীজি ধ্যান করা শিখেছিলেন গৌতম বুদ্ধের কাছ থেকে।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজন।আত্মার কোন প্রমান নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.