![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজতন্ত্র উৎখাতের মধ্য দিয়ে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র কায়েম হয়,এবং ধর্মীয় নেতারা আয়াতোল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
গত কয়দিন যাবত ইরানে সাধারণ মানুষের দ্রব্যমূল্য উর্ধগতি ইসু নিয়ে যে আন্দোলন কর্মসূচী চলছে, তা আরকিছু না হোক কিছুটা সন্দেহজনক বটে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে ইসলামের পক্ষপাত মূলক আচরণ, ফিলিস্তিনি ইসুতে আমেরিকার বিরুদ্বে অবস্থান, সৌদিআরবের সাথে মতাদর্শের অমিল এবং বর্তমানে ধারণা করা হয়, ইরানের কাছে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এসব মিলিয়ে ইরানের এখন ঘরে বাইরে শত্রুর অভাব নেই।
ছোট খাটো বিক্ষোভ, আন্দোলন ইরানের নতুন কোনো বিষয় নয়। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবে রাজশাসনের অবসানের পর ২০০৯ সালেই প্রথম বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিল দেশটিতে। যা ”গ্রিন মুভমেন্ট বা সবুজ আন্দোলন” নামে অভিহিত করা হয়। ওই সময়ের নির্বাচনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের বিতর্কিত বিজয়ের প্রতিবাদে বিরোধীদলীয় সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে এসেছিল। সেই বিক্ষোভে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছিল। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হাজারো বিক্ষোভকারীকে। কিন্তু ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৭ সালের বিক্ষোভ অনেক দিক থেকে আলাদা। ২০০৯ সালের বিক্ষোভ ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক। আর এখনকার বিক্ষোভ মূলত অর্থনৈতিক সংকটকেন্দ্রিক।এবং যা ধীরে ধীরে রাজনৈতিক রূপ নিচ্ছে।
যার ইঙ্গিত পাওয়া যায় ইরানে বিক্ষোভের সূচনা হওয়া মাত্রই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লাগাতার টুইট করে চলেছেন। তিনি বলেছেন, জবরদস্তিমূলক শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী নয়।এমন দিন আসছে, যখন ইরানের জনগণের সামনে বেছে নেওয়ার মতো সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অন্যদিকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন 'হিটলার' বলে আক্ষায়িত করেছেন। সব মিলিয়ে এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে ইরান ।
সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তাঁদের দেওয়া স্লোগানগুলো এমন: ‘রুহানির মৃত্যু হোক’, ‘ফিলিস্তিন ভুলে যান’, ‘গাজা নয়, লেবানন নয়, আমার জীবন ইরানের জন্য’ ইত্যাদি। যার ফলশ্রুতিতে এখন প্রযন্ত ২২ জন লোক নিহত হয়েছে। ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাদের আন্দোলন সংগ্রাম। অন্দোলন কারীরা রাস্তায় আগুন জ্বালাচ্ছে,জনগনের সম্পদ নষ্ট করছে। কিন্তু তারা বলছে অর্থনৈতিক মুক্তি ও বেকারত্ব দুর করার জন্য এ আন্দোলন করছে।আমার প্রশ্ন হলো দেশের সম্পদ নষ্ট করে কি কখনো উন্নতি করা যায়??
তাহলে কাদের ইন্দোনে তারা এই আন্দোলন করছে?
প্রথম আলোর একটা নিউজে দেখলাম আন্দোলন কারীদের নির্দিষ্ট কোনো নেত্রিত্ব নেই। বিচ্ছিন্ন ভাবে তারা আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। তা হলে কি বিষয়টা এরকম,বাহিরের মদত দাতারই এটা করাচ্ছে ? হ্যা সবার কাছেই বিষয়টা ক্লিয়ার। বিশ্ব অশান্তির মূল হোতা আমেরিকার ইন্দোনই এখানে যে কেউ ধরে নিবে। আর তার সাথে যুক্ত আছে ইসরাইল,সৌদি আরব সহ কিছু ইহুদিদের দালাল রা।
আমেরিকা জেরুজালেম ইসুতে ইরানের অগ্রনী ভূমিকার কারনে জাতিসংঘ সহ বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যান হয়েছে।
সৌদির বর্তমান বাদশাহ এবং যুবরাজ এর সাথে আমেরিকা এবং ইসরাইলের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কারনে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ক্রমশেই প্রভাব হারাচ্ছে ।আর ইরান ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে। এমতাবস্থায় ইরান কে নিজদেশীয় সংকটে ফেলে দিলে যে তাদের লাভ হবে এবং তাদের ক্ষমতা পুনরায় যে প্রতিষ্ঠিত হবে তা যে কেউ সহজেই আচ করতে পারে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
মামুন আকন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: অনেক দিন পর ইরানের আন্দোলন দেখলাম।
স্বদেশীয় রাজনীতির অস্থিরাতয় বাঁচা যায় না, আর এতো আন্তজাতিক।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়ার ঘটনাবলী থেকে ইরানীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়ার ঘটনাবলী থেকে ইরানীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা রাস্তায় নামছে, তারা কি ইরানী, নাকি আমেরিকান? যারা রাস্তায় নামছে, তাদের গড় পড়ালেখা আপনার সমান, নাকি বেশী? যারা রাষ্তায় নামছে, তাদের জীবনযাত্রার মান, গড়ে আপনার সমান, নাকি কম?
তেল বেচা টাকার পর, বেকারত্ব কেন? ইরানকে কে দখল করছে যে, তারা সবচেয়ে বেশী আধুনিক ক্ষেপনাস্ত্রের (আপনার কথানুযায়ী) মালিক? ওদের ক্ষেপনাস্ত্র কোন দেশ অবধি যাবে?
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্ব ইহদীবাদের দালাল কারা? আপনি কোন ইহুদী দালালের কথায় ইরান, সিরিয়া না ফিলিস্তিনের বিপক্ষে যুদ্ধ করতে ভলনটিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
বাংলাদেশে কোন কোন রাজননৈতক দল ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করছে? ইউরোপে কোন কোন দেশ ইসরায়েরলের পক্ষে কাজ করছে? বিশ্বে কয়টি দেশ ইসরেয়েলের পক্ষে যুদ্ধে যাবে?
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: আরব শান্তি যারা বিনষ্ট করছে তারাইতো মদদদাতা।
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ইরানীদের মধ্যে মাঝে মাঝে কী ভূত চাপে কে জানে...
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা পড়লাম।
তবে মন্তব্য করতে পারব না।
আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমার জ্ঞান কম।