নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আছি কোনরকমে এই শহরে

আমার কমেন্টস ব্যান করে দিছে তাই নিজের পোস্ট ছাড়া কাউকে কমেন্টস দিতে পারছিনা

টেকি মামুন

এদিক সেদিকে ঘুরতেই মজা লাগে .....................:)

টেকি মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ২৫ শে ফেব্রুয়ারী : কলংকময় যে দিনটি হয়তো আমরা ভুলে যাবো

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৫

জাতি হিসেবে আমরা অনেক অদ্ভুত আমরা দ্রুত সবকিছু ভুলে যেতে পারি,সেই স্বভাবের কারণেই হোক অথবা অন্য কারণেই হোক ২৫ শে ফেব্রুয়ারি তারিখটা মনে হয় অনেকেই ভূলে গেছে ।



আজ ২৩ ই ফেব্রুয়ারি একদিন পরেই ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ সালের পর বাংগালি জাতির সবচেয়ে কলংকময় অধ্যায় ।এই দিনে বিডিআরের কিছু সদস্যের বিদ্রোহ এবং তাতে সরকার এবং বিরোধীদল সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদদের ষড়যন্তের বলি হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাহসী ৫৭ জন অফিসার সহ মোট ৭৩ জন শহীদ হয় ।



২৫ শে ফেব্রুয়ারী সকালে যখন আমি টিভি অন করি তখন সকল চ্যানেলেই দেখি বিদ্রোহ নিয়ে ব্রেকিং নিউজ দেখাচ্ছে তবে আমার মনে পড়ছে আমি প্রথম যে নিউজটি দেখেছিলাম তা হলো "রাইফেলস মার্কেটের ভিতরে বিডিআর অবস্হায় নিয়েছে"

তার কিছুক্ষণ পরেই বিডিয়ারের কিছু জওয়ান টিভি মিডিয়াকে জানালো তারা বিদ্রোহ করেছে এবং বিদ্রোহী জওয়ানরা তাদের বিদ্রোহের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সেনাবাহিণীর অফিসারদের বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ জানাচ্ছে কিন্তু ভেতরে যে তারা কত বড় গণহত্যা চালিয়েছে তা তারা বেমালুম চেপে গেলো ।





এরই মাঝে আমরা আমাদের স্বভাবে ফিরে গেলাম শুধুমাত্ত বিডিআরের কথা শুনেই দেশের মানুষও আর্মির বিরুদ্ধে ফুসে উঠলো কিছু ব্লগার আর্মির বিরুদ্ধে পোস্ট দিতে থাকলো,কিছু মানুষ দেখা গেলো বিডিআরের সমর্থনে পিলখানার গেটে মিছিল করতে থাকলো ,টিভি মিডিয়াগুলোও একতরফা বিডিআরের পক্ষে ব্রেকিং নিউজ দিতে থাকলো আমার মনে হলো দেশে উৎসব শুরু হয়ে গেছে এবার সেনাবাহিনী মুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়বে এদেশের মানুষ ।এরই মাঝে দেশের বিভিন্ন স্হানে বিডিআর সেক্টরেও বিদ্রোহ শুরু হলো ,সারাদেশে গৃহযুদ্ধের আশংকা দেখা দিলো ।





আমি টিভির সামনেই বসে রইলাম বিকেল পযর্ন্ত কিন্তু কোন কুল কিনারা করতে পারলাম না কি হচ্ছে তবে এতটুকু প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিলাম বিদ্রোহ করার মতো কিছুই হয়নি তবে যুদ্ধের দামামা আমার মনেও বেজে উঠেছিলো যে আর্মি পিলখানাতে এ্যাটাক করে ১০ মিনিটেই সব ক্লিয়ার করে দিবে কিন্তু হায় আমার মনে যে দামামা বেজে উঠেছিলো তা আমাদের সরকার বা সেনাপ্রধানের মনে জেগে উঠেনি ।



২৫ শে ফেব্রুয়ারী রাত কাটলো অস্হির ভাবে কি হচ্ছে কি হচ্ছে এরই সরকারের কিছু মন্তী পিলখানা পরিদর্শন করেছে বিডিআরকে আত্নসমপর্ন করানোর চেষ্টা করলো কিন্তু কিছুতেই কিছুই হলোনা ,প্রধানমন্তীর সাথে বিদ্রোহীদের একটি গ্রুপও দেখা করে কিন্তু অগ্রগতি কিছুই হলোনা ।



২৬শে ফেব্রুয়ারি আমি আমার ফ্যামিলির সাথে চলে গেলাম কক্সবাজার কিন্তু কিসের অবকাশ যাপন আমার মাথায় সারাক্ষণ শুধু বিডিআর বিদ্রোহ । গাড়িতে রেডিও অন করে প্রতি মুহুর্তে আপডেট শুনতে ছিলাম হোটেলে উঠে টিভিতে আপডেট দেখতেছিলাম ।



অবশেষে ২৬শে ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে কয়েকজন সেনা কর্মকতা জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন অবশেষে সরকারের ঘুম ভাঙ্গে প্রধানমন্তী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনে বিডিআর সদস্যদের হুশিয়ারী দেওয়ার পর ধীরে ধীরে পরিস্হিতি শান্ত হয়ে আসে বিদ্রোহীরা আত্নসমর্পন করে এবং পুলিশ পিলখানার ভিতরে প্রবেশ করে ।







পুলিশ,র‍্যাব আর সেনাবাহিনী পিলখানাতে প্রবেশ করার পর ৭১ সালের পর দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলংময় গণহত্যা প্রকাশ হতে থাকে । পিলখানার বিভিন্ন নর্দমায় ভেসে উঠে সেনাকর্মকতাদের লাশ ।মাটি খুড়ে পাওয়া যায় গণকরব, সেনা কর্মকর্তাদের গলিশ খন্ডিত পচাগলা লাশ পাওয়া যায় বিভিন্ন নর্দমায় ।

স্বজনের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠে পিলখানার আকাশ বাতাশ ।সন্তানের আর্তনাদ বাবার জন্য, স্ত্রীর আর্তনাদ স্বামীর জন্য, মায়ের আর্তনাদ সন্তানের জন্য চারদিকে শুধুই হারানোর আর্তনাদ।গলিত আর ক্ষত বিক্ষত লাশ দেখে নিজের চোখের পানি আমি নিজেই ধরে রাখতে পারিনি ।





একে একে ৫৭ জন অফিসারের শহিদী লাশসহ মোট ৭৩টি লাশ উদ্ধার করা হয় পিলখানা থেকে



পরিবর্তীতে জানা যায় বিদ্রোহের ২৫ ফেব্র”য়ারি দরবার শুরু হলে সিপাহি মইনুদ্দীন প্রথমে মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের দিকে অস্ত্র তাক করলে উপস্থিত কর্মকর্তারা তাকে নিরস্ত্র করে। এর পরপরই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের আরেকটি অংশ এর আগেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে। হলের ভেতর একজন ‘জাগো’ বললেই শুরু হয়ে যায় গোলাগুলি। এরপর বিদ্রোহীরা পাইকারিহারে হত্যাকাণ্ড ও লুটপাট চালায়।



ব্যাক্তিগত মতামত







বিদ্রোহের প্রথম দিকে আমাদের দেশের মিডিয়া এক তরফাভাবে সংবাদ পরিবেশন করেছে এবং শেষের দিকে বার বার অফিসারদের গলিত লাশগুলো মিডিয়াতে প্রদর্শন করেছে যা আমার একেবারেই পছন্দ হয়নি ।এতবড় বিদ্রোহের ঘটনা যেহেতু ঘটে গেছে তাই তথ্য পরিবেশেনের বেলায় সরকারের নিয়ন্তণ থাকার দরকার ছিলো ,বিদ্রোহীরা যদি টিভি মিডিয়ার মাধ্যমে বাইরের সব খবরই জেনে যায় তাহলে বিদ্রোহ দমন আমরা করবো কি করে।





আমাদের এত বড় চৌকষ সেনাবাহিনী থাকার ফলেও যদি দেশের সন্তানেরা ৩৩ ঘন্টা টানা জিম্মি থাকে তাহলে তার জন্য কে দায়ী সেটাও একটা দেখার ব্যাপার ।





আমাদের আছে সেনাবাহিনী র‍্যাব পুলিশ তারপরেও কি করে পিলখানা থেকে বিদ্রোহীরা সহজে পালিয়ে যায় ? একটা পিলখানা যদি আমরা ঘেরাও করে রাখতে না পারি তবে এই বাহিনী রেখে কি লাভ ?





যারা আড়াল থেকে কলকাটি নাড়াচাড়া করেছেন তাদেরও বিচার হবে ইনশাল্লাহ ।







আমি চিৎকার করে কাদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার

বুকের ব্যাথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার



[পুরো লেখাটা আমার ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে লিখেছি ,আমি কখনোই আমার মতের সাথে সহমত প্রকাশ করার জন্য কাউকে উৎসাহিত করিনা]





আমার ব্যাক্তিগত ব্লগেও প্রকাশিত

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৭

মোসাজস বলেছেন:
লেখক বলেছেন:


দিনে বিডিআরের কিছু সদস্যের বিদ্রোহ এবং তাতে সরকার এবং বিরোধীদল সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদদের ষড়যন্তের বলি হয়ে........




------->> বিরোধী দলের কোন কোন নেতা জড়িত ছিল??? নাম বলেন|

না-কী আম্লীগকে রক্ষা করতে গিয়া বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টা?

আমাদেরও চোখ কান আছে, আমরা সব দেখছি, শুনছি|

বিডিআর সেনারা ঘটনার তিনমাস আগে থেকে মিটিং করছে আম্লীগের তাপস, নানক-আযম,মখা আলমগীর,শেখ সেলিম,তোরাব আলী,লেদার লিটন|

এরা সবাই আম্লীগের নেতা, বিরোধী দলের নাম জড়ানোর ধান্ধা না করাই ভাল|

সময় আসলেই সেনা বাহিনী শোধ নিব, টেনশন নিয়েন না|

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৪

মনে নাই বলেছেন: সেনাবাহিনীতে যারা বিদ্রোহ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছে, তাদের সবাইকে সাইজ দেয়া হয়েছে, সর্বনিম্ন শাস্তি- নো প্রোমশন, সর্বোচ্চ শাস্তি-একমাত্র হাসিনা জানে।
তবে আমরা যদি কোনকালে ১টা ভালো গবঃ পাই (অবশ্যই হাসিনা, খালেদার বাইরে), সেদিন হয়ত দেশবাসী সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে, সেদিনের অপেক্ষায় থাকলাম।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৪

দারুচিনি বলেছেন: বিরোধী দলের কোন কোন নেতা জড়িত ছিল??? নাম বলেন|

না-কী আম্লীগকে রক্ষা করতে গিয়া বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টা?

আমাদেরও চোখ কান আছে, আমরা সব দেখছি, শুনছি|
একমত

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩০

ঘুমরাজ বলেছেন: আমি চিৎকার করে কাদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যাথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.