![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১১ ফেব্রুয়ারি, রোববার। বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ অপূর্ব-প্রভার ডিভোর্সের খবর ছাপা হয়েছে। সারাদিন এ নিয়ে নানা মানুষের কৌতূহল। ওইদিন রাত ৮টা ১২ মিনিটে আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। নিভু নিভু কণ্ঠের উচ্চারণ, 'আমি প্রভা বলছি...'। যাকে কেউ খুঁজে পাচ্ছে না, তার ফোন! বিস্ময়করই বটে। প্রভা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তার কিছু কথা আছে। কথা তো থাকবেই। জল অনেক ঘোলা হয়েছে। কিন্তু কখনো মুখ খুলেননি তিনি। এবার মুখ খুলবেন। বললেন, 'শুধু একতরফাভাবে সবাই আমাকে দোষারোপ করেই গেল। আমি দোষী। কিন্তু সব দোষই কি আমার? এর ভাগিদার কি আর কেউ না?' প্রভার কথায় যুক্তি আছে। এক হাতে তালি বাজে না কখনো। তিনি জানান, ডিভোর্স নেওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না তার। সংসার বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি। তিনি বলেন, 'আমার চৌদ্দ গোষ্ঠীর মধ্যে কারও ডিভোর্স হয় নাই। আমার হইছে। আমি এটা চাই নাই। সংসার করার অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু পারি নাই।' প্রভার এ কথার সঙ্গে অপূর্বর কথার কোনো মিল নেই। অপূর্বও তো সংসার করতে চেয়েছেন। বিয়ের পরপর, এমনকি রাজিবের সঙ্গে প্রভার অনৈতিক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হওয়ার পরও অপূর্ব বলেছিলেন, তিনি প্রভার হাত কখনো ছাড়বেন না। এটিএন নিউজ-এ মুনি্ন সাহার উপস্থাপনায় অপূর্ব ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি প্রভার পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তাহলে সমস্যা হলো কোথায়? সমস্যা আছে। সেই সমস্যার কথা জানিয়ে প্রভা আবারও প্রমাণ করলেন, সত্যিই সর্ষের মধ্যে ভূত থাকে।
একজন ভালো অভিনেতার নাম অপূর্ব
অভিনেতা অপূর্ব সত্যিই একজন ভালো অভিনেতা। পর্দায় তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ অনেকে। কিন্তু বাস্তবেও কি তিনি অভিনয় করেন? প্রভার কথা শুনে এ প্রশ্নই জাগে মনে। প্রভা একটি অতীত মনে করিয়ে দেন। তাদের বিয়ের পরপর বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ বেশ কিছু খবর ছাপা হয়েছিল। তখন অপূর্ব আমাকে ফোন করেছিল। প্রভার দাবি, ওই সময় সে ফোন কনফারেন্সে ছিল। আমার সঙ্গে অপূর্বর আলোচনা সেও শুনেছে। প্রভা সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, 'বলেন ভাই, তখন অপূর্ব আপনাকে বলে নাই, সে আমার পাশে থাকবে? বলছে। আমি সব শুনছি। ও তো আমার সবই জানত। তাহলে এখন কেন উল্টা হইল? ও তো আপনাকে ফোনে বলছিল, অনেকের জীবনেই উল্টা-পাল্টা ঘটনা থাকে, সেগুলো ধরে বসে থাকলে চলে না।' হ্যাঁ, প্রভার কথা সত্য। অপূর্ব কথাগুলো বলেছিল। সে তখন এও বলেছিল, 'অনেক দিনের প্রেম থাকলে সেক্স হতেই পারে। বর্তমানে যারা প্রেম করছে কেউই ভার্জিন না। আমিও ভার্জিন না, তুমিও ভার্জিন না। সমস্যা হলো আমাদেরটা কেউ জানে না, ওরটা [প্রভা] সবাই জেনে গেছে। রাজিব [প্রভার সাবেক প্রেমিক] ট্র্যাপে ফেলে ভিডিও করেছে। এখানে প্রভার দোষ নেই। তাহলে কেন পত্রিকাগুলোতে ওকে দোষারোপ করা হচ্ছে?' অপূর্ব এ কথাগুলো শুধু আমাকে না, অনেক সাংবাদিককেই বলেছিলেন। সবার কাছে তখন সে মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন একজন বিশুদ্ধ মানুষ। অপূর্ব কি আসলেই তাই? প্রভা এর উত্তরে বলেন, 'সবই ওর ঢঙ, অভিনয়। বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, ও আমার গায়ে হাত তুলত। প্রায়ই মারধর করত। আগেকার দিনের সিনেমায় দেখেন নাই, শাবানা-ববিতারা কত কষ্ট করে সংসার করত, আমিও ওইভাবে সংসার করছি। মার খেয়ে ব্যথা পাইছি। ব্যথা নিয়ে অপূর্বর জন্য রান্নাও করছি। আমি সংসার করতে চাইছিলাম। তাই মুখ বুঝে সব সহ্য করছি। কিন্তু পারি নাই। ও আমাকে সহ্য করতে পারত না।'
অনেকেই জানে, অপূর্বর মাথা কিছুটা গরম। প্রভাও সেটা জানত। অপূর্বর আরও কিছু মানবিক সমস্যা আছে, প্রভা সেটাও জানত। তবুও কেন প্রেম হলো? এ বিষয়ে প্রভা বলেন, 'আমি জানি না, কিচ্ছু জানি না। কিভাবে যেন কি হয়ে গেল। বিশ্বাস করেন ভাই, আমি কোনো দিনও ওরে পছন্দ করতাম না। অনেকেই জানে। আমি সবার কাছে অপূর্বরে নিয়া হাসহাসি করতাম। বলতাম, কাইল্লা পোলা, ও আবার নায়ক হইছে। একসাথে কাজ করলে কি হবে, দূরে দূরে থাকতাম। মোটকথা ওরে ভালোই লাগত না।' ভালো লাগা প্রসঙ্গে প্রভা বলেন, 'অপূর্ব খুব ভালো করে জানে, কিভাবে মেয়েদের দুর্বল করতে হয়। ওর কেয়ারিং দেখে আমি পাগল হইছি। পাগলের মতোই ভালোবাসছি।' প্রভার কথায় বোঝা যায়, অনেক মেয়ের সঙ্গে অপূর্বর প্রেম ছিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'একটা কথা শুনলে অবাক হবেন, আমাকে বের করে দেওয়ার পনের দিনের মাথায় ওর বাসায় একটি মেয়ে আসে। ওর কাছে প্রায়ই মেয়ে আসত। তারা বাসায় বউদের মতোই থাকত। রান্নাবান্না করত। আর এ নিয়া ওর বাসার মানুষের কোনো মাথাব্যথা নাই।'
ডিভোর্সের ব্যাপারে প্রভা বলেন, 'অনেকে বলছে, ডিভোর্সে আমার মন খারাপ হয় নাই। আরে কষ্ট তো আমার হইছে, হয় নাই অপূর্বর। ও তো ডিভোর্স দিয়া বাঁইচা গেছে।' দেনমোহরের ব্যাপারে প্রভার ভাষ্য : 'সবাইকে বলা হচ্ছে, আমি দেনমোহরের টাকা পাইছি। আসলে আমি টাকা পাই নাই। অপূর্ব আমাকে বলছে কোর্টে গিয়া টাকা নিতে। আমি এটা চাই না। কোর্টে গেলে নোংরামি আরও বাড়বে। আর আমি এত ছোটলোক না যে ডিভোর্সের পর অপূর্বর টাকা নেব।'
জীবন ধ্বংসের গুটিবাজ
প্রভার জীবন কিভাবে কাটছে তা কিন্তু সহজেই উপলব্ধি করা যায়। ভালো নেই, একদমই ভালো নেই। নিজের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে_ এমনই ধারণা তার। দু'জন মানুষ তার জীবন ধ্বংস করেছে। প্রথমজন রাজিব, আর দ্বিতীয়জন অপূর্ব। প্রভা বলেন, 'ওরা তো ভালোই আছে। একজন [রাজিব] ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে, আরেকজন ফূর্তিতে আছে। আমি জানি ওরা আমার সাথে কি করছে। উপরে তো একজন আছে, সেই বিচার করবে।' প্রভা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, 'আমি চাই না ওরা শাস্তি পাক। আমি চাই ওরা বুঝতে পারুক ওরা কি ক্ষতি করছে আমার। আল্লাহ যেন ওদের বোঝার ক্ষমতা দেয়।'
এখন যেভাবে আছি বেঁচে
আমাদের নারী নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী তখন বলেছিলেন, 'অপূর্ব অনেক ভালো একটি ছেলে। ও বিয়ে করে প্রভাকে বাঁচিয়েছে।' এখন প্রশ্ন জাগে, তাহলে ডিভোর্স কেন হলো? ডিভোর্স দিয়ে কি মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিল প্রভাকে; একজন মানুষকে? প্রভা এখন একাকী পার করছেন তার জীবন। কোথাও বের হতে পারছেন না। তার পৃথিবী এখন একটি ফ্ল্যাটের মধ্যে আটকে গেছে। জানালা দিয়ে যতদূর চোখ যায়, ততটুকুই তার আকাশ। প্রভা বলেন, 'আমি কিভাবে বেঁচে আছি তা আমি জানি। আমাকে যদি মেরে ফেলত তাও ভালো ছিল। আমি এখন যাবজ্জীবনের আসামি।' বাবা-ভাইকে মুখ দেখাতে পারেন না প্রভা। এক বাসায় থেকেও স্বজনদের সঙ্গে দূরত্ব অনেক। তিনি বলেন, 'আমি আমার বাবা-ভাইয়ের দিকে তাকাতে পারি না। আমি ওদের মাথা নিচু করে দিছি।' প্রভা এখন নিজের ভুল বুঝতে পারছেন। কিন্তু এর কোনো সমাধান নেই। সব ভুলের সমাধান হয় না। তিনি বলেন, 'আমি ভুল করছি। এর জন্য সবসময় তওবা করি। বলি, আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দাও।' প্রভা তিলে তিলে টের পাচ্ছেন বাংলাদেশের নাটকে তার কি অবস্থান ছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার কাছের ডিরেক্টর যারা আছে, তারা ভালো একটা স্ক্রিপ্ট পেলে আমারে ফোন দেয়। তখন আমার বুকটা ফেটে যায় ভাই। আমি কাঁদি। আমি এখন বুঝি আমি কি হারাইছি। প্রেম-ট্রেমের দিকে না তাকাইয়া যদি শুধু কাজ করতাম তাহলে আজকে আমার এ সর্বনাশ হইত না।'
ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা...
প্রভার জীবন শেষ। এটাই সবার ধারণা। কিন্তু মৃত্যু ছাড়া মানুষের শেষ বলে কিছু নেই। প্রভা বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। এখন তাকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আবার কাজে মনোযোগী হতে হবে। প্রভা বলেন, 'কাজ করব কিনা জানি না। আমার বাবা চাচ্ছে না আমি আর কাজ করি। তবে পড়াশোনাটা এখন শেষ করতে চাই। খুব তাড়াতাড়ি পড়াশোনা শুরু করব।'
মানুষের জীবনে ভুল থাকতেই পারে। ভুলের ঊধর্ে্ব নয় কোনো মানুষ। অনুশোচনা মানুষকে আবার শুদ্ধ করে। প্রভা নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত। তিনি এগিয়ে যাবেন বাকিটা পথ সুন্দরের সঙ্গে_ এটাই প্রত্যাশা।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩০
মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন: ওর দোষ নাই সব দোষ ওর অংগের।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩২
স্বাধীকার বলেছেন: প্রভা তার ভুলের শাস্তি পেয়েছে এবং পাচ্ছে। তবুও আমাদের সমাজ তাকে সহজে ছাড়বেনা। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, সে আবার লেখাপড়া শুরু করুক, কাজ করুক এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। তার মৃত্যু বা ধ্বংস চাইনা।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৩
রাতুল রেজা বলেছেন: মাইনাস তা কই গেল, একটু কেই খুজে দেন তো, পাচ্ছিনা
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৪২
চ্যাংড়া বলেছেন: প্রভাকে বলছি, আপনি আপনার প্রেমিক বা স্বামীকে বিশ্বাস করে ছবি তুলতে দিয়ে ভুল করেছেন যার খেসারত আপনাকে দিতে হবে। আমাদের সমাজ কঠিন।
আপনি বরং পারলে বিদেশে চলে আসুন পড়াশুনার জন্য। আপনার বয়স কম। নিজে অন্য কোন যোগ্যতা অর্জন করুন। অভিনয় নিয়মিত ভাবে নাই বা করলেন!
আপনার সামনে সম্ভাবনা অনেক। ঐ রাজিব বা অপুর্বদের ভয়ে আপনার সম্ভাবনা নষ্ট করবেন না। পড়াশুনাকে প্রধান হিসাবে নিন।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০৩
কমান্ডো বলেছেন: কথা সত্য। প্রভা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
দ্যা ডেডলক বলেছেন: অপেক্ষায় আছি
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩১
জাগরূ৪৯ বলেছেন:
প্রভার কথায় কথায় বৈপরিত্য আছে। তার কথায় ''আমার কাছের ডিরেক্টর যারা আছে, তারা ভালো একটা স্ক্রিপ্ট পেলে আমারে ফোন দেয়। তখন আমার বুকটা ফেটে যায় ভাই। আমি কাঁদি। আমি এখন বুঝি আমি কি হারাইছি।" কথার মানেটা কি? কি হারিয়েছে প্রভা,অভিনয়?অর্থ?খ্যাতি?
এগুলো এতই মূল্যবান?
'আমি ভুল করছি। এর জন্য সবসময় তওবা করি। বলি, আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দাও।' ভাল কথা।তবে প্রশ্ন থাকে এরপর কি? কাজ করার ইচ্ছা এখনো থাকে কিভাবে?
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫০
মাইন রানা বলেছেন: কিছু কাজ এমন যার সাস্তি ভয়াবহ
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫২
মোঃ সুজন বলেছেন: ভাই লোভী মানুষ নাকি বেহেস্তে যায় না। প্রভার ক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছে। বেশী খেতে চাইলে নাকি কিছুই পাওয়া যায় না প্রভার ক্ষেত্রে ঠিক তাই। সে কিসের লোভে রাজীব এর সাথে বাগদান হওয়ার পরেও আবার অপুর্বকে বিয়ে করতে যায়।
১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫৩
মুভি পাগল বলেছেন: আমি চাই প্রভা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। আসলে স্বাভাবিক জীবন বলতে কি বুঝানো হয়েছে আমার জানা নেই
১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫৬
সৃজন বলেছেন: কার দোষ কার গুন বুঝিনা....................প্রভার ছেক্স ছবি দেখার পর ওর ছবি দেখলেই এখন আমার কুটকুটায়..........দোষ মনে কয় আমারই......কোন আদর্শই আমার এই কুটকুটানি থামাইতে পারতাছেনা
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০১
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: মিডিয়া জগৎ এর কর্মকান্ড বড়ই অদ্ভুদ।একজন দোষী যদি তার ভুল বুঝতে পারে তাহলে তাকে ক্ষমা করাই শ্রেয়।
১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১৬
মান্ুষ মরণশীল বলেছেন: সে কিসের লোভে রাজীব এর সাথে বাগদান হওয়ার পরেও আবার অপুর্বকে বিয়ে করতে যায়
১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৮
আসিফ এম, সালেহীন বলেছেন: ভাবিয়া করিও কাজ,করিয়া চিল্লাইওনা..............................
১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১০
আসিফ এম, সালেহীন বলেছেন: ভাবিয়া করিও কাজ,করিয়া চিল্লাইওনা..............................
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:২৪
পাঠ পক্রিয়া বলেছেন: আগ্রাসনে কে বেশি শক্তিশালী
Click This Link