নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন সিদ্দিক

একাকিত্বের আনন্দে আমার আমিকে খুঁজে ফিরি বারবার

মামুন সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় শোক দিবসঃ শোক হয়ে ওঠুক জাতীয় ঐক্য ও শক্তির প্রতীক

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪২

১৯৭৫ সালের ১৫-ই আগস্ট, এই দিনের সূর্যটি বাংলার আকাশে অন্যান্য দিনের মত সোনালী আভা নিয়ে উদিত হল না! প্রতিদিন যেখানে দিবাকর তার ঝলমলে কিরণ দিয়ে পূর্বাকাশে সতেজ স্নিগ্ধ রেখা দিয়ে উদিত হয়ে মানুষের কাছে নিবেদন করে নতুন দিনের; সেখানে এই দিন রবির উন্মেষ হয়েছে সত্য, কিন্তু সে মোটেও মিহির ছিল না। শুভ্র প্রভাতেই সে যেন বাংলার আকাশে আদিত্য হয়ে রক্তিম আভা মেখে দিয়েছে চারিদিক।



দিবেই বা না কেন! তারই বা কি দোষ!! তার উদয়নের পূর্বেইতো যার জন্য স্বাধীন জাতি হিসেবে বুক ফুলিয়ে চলার অধিকার পেয়েছে তাকেই-তো রাজধানী ঢাকার নীজ বাসভবনে ধানমন্ডীর ৩২ নম্বরের তার বুকের তাজা খুনে সীড়িকে লাল রক্তের বন্যা বাসিয়ে দিয়েছে কতগুলো বিপদগামী নির্বোধ।



১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম নেয়া হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যখন স্বাধীনতা সংগ্রাম চলছিল তখন তিনি পাকিস্তানের কয়েদখানায় বন্দী থাকলেও কার্যত তিনি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণা। তার অনুপস্থিতিই যেন রক্তের ত্যাজ আরো বহু গুন বাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলার প্রতিটি মানুষকে। শেখ মুজিবুর রহমান জেলে থাকলেও হৃদয়ে ধারণ করে ঝাপিয়ে পড়া বাংলার বীর জনগণ মাত্র নয় মাসেই চিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল টকটকে সূর্যটি।



দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের শাসন ভার হাতে নিয়েই তিনি আত্ম মগ্ন হলেন নতুন দেশটিকে তার স্বপ্নে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজে। এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রথমেই তিনি দেশেকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে আত্ম নিয়োগ করলেন। এটি তার জন্য মোটেও সহজকাজ ছিল না। কারণ দেশ স্বাধীন হলেও তখনও স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ হয়ে কার্যত দেশ দ্বিধা-বিভক্ত ছিল। তার উপর মুক্তি যোদ্ধারাও যে ঐক্য বদ্ধ ছিল এমনটি নয়। ১৫-ই ডিসেম্বরের ক্শানিক পরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে নয় নম্বর সেক্টরে দায়িত্বে থাকা সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ জলিলকে। এছাড়াও আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে আনাও ছিল অত্যান্ত দুরূহ কাজ। এত কিছুর পরও তিনি সুন্দর ভাবেই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।



কিন্তু তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু চাটুকার তার চারপাশে বাসা বাঁধে। ক্রমেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। মরার ওপর খরার গা হয়ে আসে ৭৪’র দুর্ভিক্ষ। পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে সেনাবাহিনীর একটা অংশে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বীজ রোপন করে। যে সেনাবাহিনীতে মুজীব বলতে ছিল মাথার মুকুট, সেই সেনাবাহিনীর ভেতর তার বিরুদ্ধে ক্ষোভের জন্ম নিতে থাকে। মুজীব হত্যার পর আত্ম-স্বীকৃত খুনি মেজর ফারুক এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, “তিনি আমাদেরকে যদি ঘাস খেতে বলতেন আমরা কাই খেতাম, যদি তিনি আমাদেরকে খালি হাতে মাটি খুঁড়তে বলতেন! আমরা তাঁর জন্য তাই করতাম”। অচ এমন একজন নেতাকে তারা হত্যা করল। তারা শুধু তাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তার পুরো পরিবারকেই তারা হত্যা করেছে।



তুমি যাই বল বাংলাদেশ! তোমার শরীরে মিশে আছে অভিষাপের কালো রক্ত পিচ। এই পরিতাপের বোঝা তুমি কি করে সইবে..? শিশু বাংলাদেশের অংকুরেই নেমে এসেছিল দুর্যোগের ঘনঘটা। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফলে সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত মানচিত্রের স্বাধীনতাকে গিলে খেতে উঠে পরে লেগেছিল একটি চক্র। আর তাদের ষড়যন্ত্রের রসদ জোগিয়েছিল এদেশেরই কিছু দুষ্কিতিকারি।



বাংলাদেশের স্বাধীনতা-স্বার্ভভৌমত্বে ওপর ষড়যন্ত্র আজোও থেমে থাকেনি। আজও আছে মীর জাফরদের দল। যারা নিজেদের স্বার্থে দেশকে বিপদে ফেলতে মোটেও পিছপা হচ্ছে না। তাই এদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রয়োজন ১৫ আগস্টের শোককে শক্তি ও জাতীয় ঐক্যের। একমাত্র জাতীয় ঐক্যই পারে বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানা অক্টোপাশের হিংস্রতাকে রুখে দিয়ে সমহিমায় সামনে এগিয়ে যেতে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

াহো বলেছেন:
মুজিব রাষ্টনায়ক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন বলে যারা গ্যাজান শুধু তাদের জন্যে এই পোষ্ট,


আপনাকে এমন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হল,
১। যে দেশী মাত্র যুদ্ধ বিধ্বস্থ- বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল)
খ) ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই
গ) পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন।
ঘ) লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর হাজার দালালের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র অসংখ্য উপদল, বিপ্লবী
ঙ) দেশে পুলিশ, সেনা বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
চ) ফেরত আসা কোটি শরনার্থী
ছ) খাদ্যের ফাকা গুদাম, ব্যাংকে কোন রিজার্ভ নেই, যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের বেতন দেবার মতো কোন তহবির আপনার হাতে নেই। (যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।)
জ) মুদ্রা ছাপানোর মতো পর্যাপ্ত স্বর্ণ বা বিদেশী মুদ্রার তহবিল নেই।
ঝ) সামগ্রিক শিল্প উত্পাদন ব্যবস্থা শুণ্য
ঞ) নৌবন্দরে মাইন, বিমান বন্দর ধ্বংশপ্রাপ্ত


=============================


==============================


শেখ মুজিব মৃত্যুর 10 দিন পরে, বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ শেখ মুজিবের নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে.পুরো বাংলা পড়ুন. লিঙ্ক শেষে.

মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু ---টাইম সাময়িকী USA
আগষ্ট ২৫,১৯৭৫

তাঁর প্রশংসনীয় উদ্যোগঃ
স্বাধীনতার পরের তিনবছরে ৬০০০ হাজারের ও বেশী রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটে । সহিংসতা সারাদেশব্যাপি ছড়িয়ে পরার আশংকা তৈরী হলে মুজিব রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষনা করেন । চরমবাম ও চরম ডানপন্থী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা হয়, পত্রিকাগুলোকে নিয়ে আসা হয় সরকারী নিয়ন্ত্রনে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয় ।
এ উদ্যোগগুলো বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে গৃহীত হলেও অনেকেই সমালোচনামুখর হয়ে উঠেন । সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মুজিব তার স্বভাবসুলভ ভংগীতে বলেনঃ-'ভুলে যেওনা আমি মাত্র তিনবছর সময় পেয়েছি । এই সময়ের মধ্যে তোমরা কোনো দৈব পরিবর্তন আশা করতে পারোনা' ।
যদি ও শেষ সময়ে তিনি নিজেই হতাশ ও বিরক্ত হয়ে কোন দৈব পরিবর্তন ঘটানোর জন্য অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন ।
সন্দেহাতীতভাবেই মুজিবের উদ্দেশ্য ছিলো তার দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ঘটানো । শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মুজিব একটা 'সোনার বাংলা' গড়তে চেয়েছিলেন, যে 'সোনার বাংলা'র উপমা তিনি পেয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে, ভালোবেসে মুজিব সেই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নকে তার দেশের জাতীয় সংগীত নির্বাচন করেছিলেন ।
Click This Link

পুরো বাংলা link
http://www.sachalayatan.com/hasan_murshed/7973


===========================


আমি এ সব 1971/1972 সংবাদপত্রে জিয়ার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে


======================


বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973

৭)বাকশাল ---প্রেসিডেন্ট সরাসরি নির্বাচিত হবে ,একটি নির্বাচিত সংসদ আইন পাস করতে পারেন,
According to Time Magazine USA--Feb. 10, 1975,
Under the new system, executive powers are vested in the President, who will be elected directly every five years, and in a Council of Ministers appointed by him. Although an elected Parliament can pass legislation, the President has veto power and can dissolve Parliament indefinitely.Parliament may remove the President, however, by a three-fourths vote "for violating the constitution or grave misconduct" as well as for physical or mental Incapacity. The amendment also empowers Mujib to set up a single "national party," thus shutting off any political opposition.
http://www.imagesup.net/?di=0140770259211



=================


একাত্তর সালের ২৬ মার্চ
পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান

‘‘শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক শুরু করা অসহযোগ আন্দোলন (মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয়েছিল অসহযোগ আন্দোলন) রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। তিনি এবং তার দল গত তিন সপ্তাহ ধরে আইনসিদ্ধ কর্তৃপক্ষকে অস্বীকার করে চলেছে। তারা পাকিস্তানের পতাকা এবং জাতির পিতার (জিন্নাহ) ছবিকে অসম্মান করেছে। তারা একটি সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করেছে। … এই লোকটি (শেখ মুজিব) এবং তার দল (আওয়ামী লীগ) পাকিস্তানের শত্রু এবং তারা দেশ থেকে পূর্ব পাকিস্তান অংশটুকু ভেঙে সম্পূর্ণ আলাদা করতে চায়। তারা দেশের ঐক্য ও সংহতির উপর আঘাত হেনেছে। এই অপরাধের শাস্তি পেতেই হবে।’’

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.