![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক
ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করেছে। বিগত ২২
ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের
রাজনীতি উত্তাল। পুলিশসহ শতাধিক
মানুষ নিহত হয়েছে। দেশ আজ স্পষ্টতই
দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
একদিকে আছে ১৪ দলীয় মহাজোট ও তার
কিছু বাম সহযোগী দল,
অপরদিকে আছে ১৮ দলীয় জোট ও
উলামা মাশায়েখদের বিভিন্ন সংগঠন।
দিন যতই যাচ্ছে এ দ্বিমেরু
প্রবণতা বেড়েই চলছে। এর
পরিণতি কি হবে এখন পর্যন্ত
তা নিশ্চিত নয় । ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের
পর মাত্র কয়েকদিনে এত লোকের
প্রাণহানি বাংলাদেশের রাজনীতির
ইতিহাসে আর হয়নি। সত্যিই
পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। এ
অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কোথায়?
এটি আজ বড় প্রশ্ন।
একটি পন্থা হচ্ছে সরকারি দমননীতির
মাধ্যমে এর উত্তরণ। দৃশ্যত সরকার ও
তার মিত্রপক্ষ এ পথটিই
বেছে নিয়েছে। এর শেষ পরিণতি শুভ
হবে মনে হয় না।
আরেকটি পন্থা হচ্ছে দেশের বাস্তব
অবস্থাকে আমলে এনে সবার
সঙ্গে বিশেষ করে প্রধান
বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে এক
সমন্বিত বাস্তবসম্মত পন্থা গ্রহণ
করা।
একটি প্রশ্ন হচ্ছে, এমন অবস্থা কেন
সৃষ্টি হলো? পরিস্থিতির কারণ
হিসেবে প্রধানত দুটো বিষয় মুখ্য
ভূমিকা পালন করেছে : তত্ত্বাবধায়ক
সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি ও
’৭১-এ মানবতাবিরোধী বিচার প্রসঙ্গ।
এক দশকের বেশি সময়
ধরে বাংলাদেশে চালু তত্ত্বাবধায়ক
সরকার ব্যবস্থা সরকার
তড়িঘড়ি করে বিলুপ্ত করে দেয়।
এতে করে দেশের রাজনীতির মাঠ
উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বলা হয় যে,
আদালতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল
হয়ে যাওয়ার পর এ ব্যবস্থার সুযোগ
সাংবিধানিকভাবেই নেই। অবশ্য
দেশের সামগ্রিক স্বার্থে দু’
মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ব্যবস্থা রাখার তো সুপারিশ আদালতই
করেছিল। দেশের প্রায় সব বিজ্ঞ
আইনজীবীসহ সব মহল থেকেই
কমপক্ষে দু’মেয়াদ এ ব্যবস্থা চালু
রাখার কথা বলা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও
কোনো কিছুতে কান না দিয়ে পূর্ণাঙ্গ
রায় বেরুবার আগেই সরকার তা বাতিল
করে দেয়। বিরোধীদলগুলো সরকারের
সঙ্গে কোনো অবস্থায়ই একমত
হতে পারেনি বরং তাকে পুনর্বহাল
করার দাবিতে আন্দোলন
চালিয়ে গেছে।
তাছাড়া এর মধ্যে শেয়ারবাজার
কেলেঙ্কারি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি,
পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি ও বার বার
জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম
বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারির ও
ব্যর্থতার ঘটনায় সরকারের
জনপ্রিয়তা তলানিতে নেমে আসে।
পদ্মা সেতুর কেলেঙ্কারির
কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের
ভাবমূর্তি প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এমনি বেহাল অবস্থায় সরকার তার
ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে।তাই
সরকার যুদ্ধাপরাদ এর রায় এবং গনহত্যার
মাধ্যমে চাপা দিতে চাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.