![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যি কথা বলতে কী দেশে এখন
চলছে মানসিক বিকারগ্রস্ত শাসক ও
তাদের খুনি বাহিনীর উন্মত্ত মচ্ছব।
বাংলা প্রবাদে আছে চোরে না শোনে
ধর্মের কাহিনী। চোরই
যেখানে ধর্মের কাহিনী শোনে না,
সেখানে খুনি কিংবা ডাকাতরা ধর্মের
কাহিনী শুনবে—এ তো ভাবাই যায় না।
কবি আল মাহমুদ কিছু কর্মকাণ্ডে ব্যথিত
হয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
দিকে তাকিয়ে একবার আক্ষেপ
করে বলেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কি ডাকাতদের গ্রাম? তার
সে কথা নিয়ে সে সময় আলোড়ন
পড়ে গিয়েছিল। এখন অবশ্য
কথা নিয়ে আলোড়িত হওয়ার সময় নয়।
এখন সামনে-পেছনে, ডানে-বাঁয়ে বন্দুক
আমাদের আলোড়িত করছে। আতঙ্কিত
করছে। আমাদের জান কেড়ে নিচ্ছে।
এখন আমাদের শাসকরা বাংলাদেশের
ওপর যে তাণ্ডব চালাচ্ছে,
যেভাবে জনগণকে নিরাপত্তাহীন
করেছে, যে হত্যাযজ্ঞ
চাপিয়ে দিয়েছে দেশবাসীর ওপর,
যেভাবে বাংলাদেশ আজ প্রতিনিয়ত
রক্তাক্ত হচ্ছে, তাতে কেউ যদি বলেন,
বাংলাদেশ কি ডাকাতদের গ্রাম?
তাহলে তাকে দোষ দেব কীভাবে!
অদ্ভুত এক অবস্থায় পতিত হয়েছি আমরা।
বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন
চর্যাপদে আছে, ‘যে চোর সেই আবার
সাধুর ভাব ধারণ করে।’ মানুষ
যাবে কোনদিকে? পুলিশ পাখি শিকার
করার
মতো নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ
হত্যা করছে। সভা সমাবেশ মিছিলের
ওপর কোনো রকম সতর্ক সঙ্কেত
ব্যতিরেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
গুলিতে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে
দেশকে। ভেঙে পড়েছে চেইন অব
কমান্ড। অতি উত্সাহী পুলিশ
নির্বিচারে গুলির খই ফোটাচ্ছে।
কখনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে,
কখনও নির্দেশ ছাড়াই মুহুর্মুহু
গুলি চালাচ্ছে। কোনো পুলিশ
যদি গুলি চালাতে অস্বীকার
করে তাহলে তার ওপর
নেমে আসছে শাস্তি।
এইসব হত্যাযজ্ঞ থামানোর জন্য
সরকারের মধ্যে ন্যূনতম কোনো উদ্যোগও
দেখা যাচ্ছে না। আজ পর্যন্ত
একটি হত্যাকাণ্ডের
ব্যাপারে কোনো তদন্ত কমিটিও গঠিত
হয়নি। এখন এই হত্যাযজ্ঞে যোগ
হয়েছে নতুন মাত্রা। ইসলাম-
বিদ্বেষী ব্লগারদের পক্ষ
নিয়ে সরকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের
নতুনভাবে অপমান করার জন্য
উস্কে দিচ্ছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা।
রাতের অন্ধকারে হিন্দুদের মন্দিরের
ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
ভেঙে দেয়া হচ্ছে প্রতিমা। কোথাও
কোথাও ঘটেছে অগ্নিসংযোগের ঘটনা।
আবার কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই সব দায়
চাপাচ্ছে জামায়াত-শিবিরের ওপর। এ
ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা দিচ্ছে
তাদের কদমবুসি গণমাধ্যম। ধর্মপ্রাণ
হিন্দু-মুসলমানরা ঘটনায় আতঙ্কিত,
বিপর্যস্ত।
যে শতাধিক লোক পুলিশের গুলিতে নিহত
হয়েছে, নিহত হয়েছে পুলিশ, তাদের
ব্যাপারে আমাদের মহামান্য হাইকোর্ট
নিশ্চুপ। কিন্তু জয়পুরহাটে যে কয়জন
আওয়ামী লীগারকে মসজিদে নিয়ে
অপকর্ম
করবে না বলে তওবা পড়ানো হয়েছে,
তাদের পক্ষ
নিয়ে তওবা পরিচালনাকারীদের
বিরুদ্ধে জারি করেছে সুয়োমোটো।তার মানে কি দাড়াল বাংলাদেশ এখন ডাকাত এর খপ্পরে পরে ডাকাত এর দেশ হয়ে গেছে।ডাকাতের সর্দারিনী যা বলে তা হবে।
©somewhere in net ltd.