নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
সময়টা শীতের শেষ দিকের কোন একটা মাস হবে।আমি প্রথম ময়মনসিংহ বি এন এসবি ভিজিট করতে গেছি। আমার গন্তব্য নেত্রকোনার মোহনগজ্ঞ প্রাইমারী আই কেয়ার ভিজিট করা।ভোর থাকতে আমার সফর সংগী নিয়ে ময়মনসিংহ হতে যাত্রা করলাম। আমরা যখন নেত্রকোনা আসলাম তখন শীতের সকালে আগামোড়া ছেড়ে মানুষগুলো চাদর মুড়ি দিয়ে কেবল চায়ের দোকান খুলছে।সারাটা রাস্তা আমরা এসেছি কুয়াশার চাদর সরিয়ে সরিয়ে।গাড়ীর চালক দাদা বললো দিদি একটু চা খাওয়া দরকার ঘুম ঘুম লাগছে।চায়ের কথা শুনে আমার চায়ের নেশাটা দ্বিগুন হলো। আর বাইরে গেলে গাড়ী থামিয়ে গ্রামের চায়ের দোকনে ভাংগা বেঞ্চিতে বসে স্হানীয় গাভীর দুধের চা খাওয়া যে কি মজার! তার উপর আবার শীতের সকাল। তাই আমি আর চায়ের লোভ ধারন করতে পারলাম না্। রাজী হয়ে গেলাম। দেখলাম সকলেই খুশী হলো।দোকানি ভাই চা তৈরী করতে লাগলো। এই ফাঁকে আমার সংগী ভাইরো দূরে চলে গেল ট্যাংকি খালি করতে।আমি একা গাড়ীতে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি আর আমার স্বভাব মতো দোকানগুলোর সাইনর্বোড পড়ছি। এক জায়গায় এসে আমার টোখ থেমে গেল। কি মিষ্টান্ন ভান্ডার যেন। এখানে প্রসিদ্ধ বালিশ মিষ্টি পাওয়া যায়। আমি অবাক হলাম মিষ্টির দোকানে আবার বালিশ। কি না জানি কারিশমা এখানকার লোকদের। চালককে বল্লাম দুলাল ভাই এটা কি। দুলাল ভাই বললো এটা কি জানেন না দিদি? আসার সময় খাওয়াবো। আমি বালিশ খাবার আশা নিয়ে যাত্রা বিরতি ভংগ করে রওনা দিলাম। পথে পড়লো মদন উপজেলা। ততকালীণ আমাদের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা। রাস্তার কাহিল দশা দর্শনে মন্ত্রীর প্রতি এক বুক করুণা নিয়ে ঝাঁকিতে ঝাঁকিতে দোল খেতে খেতে মোহনগজ্ঞে উঠলাম। বিকালে যাত্রা করলাম মোহনগজ্ঞ থেকে।আমি কিন্ত বালিশের কথা ভুলিনি।দোকানের কাছে আসতেই বলে উঠলাম দুলাল ভাই। দুলাল ভাই বুঝে ফেললো। গাড়ী থামিয়ে দোকনে নিয়ে গিয়ে অর্ডার দিল বালিশের।কিছুক্ষন বাদে বালিশ এলো প্লেটে। কিন্তু অতোবড় চমচমতো আমি কখনও দেখিনি। আর একা খাওয়াও সম্ভব নয়। তাই সবাই মিলে একটা বালিশ খেলাম আর বাসার জন্য এক বাক্স বালিশ কিনে ফিরতি পথে রওনা হলাম।
©somewhere in net ltd.