নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
সবে মাত্র এস এস সি পাশ করেছি। বহু দিন হতে মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা ছিল কলেজে যাবার স্বপ্ন।আমি পড়তাম মেয়েদের স্কুলে। কলেজে গেলে ছেলেদের সাথে এক সাথে পড়বো। ভাবতেও ভালো লাগতো। অন্য রকম এক ভালো লাগা তৈরী হতে লাগলো মনের অজান্তে। মায়ের মুখে শুনেছি কলেজে বলে অত ধরা বাঁধা নিয়ম মানতে হয় না। ইচ্ছে মতো আসা যাওয়া করা যায়। সব কিছু মিলে তখন আমরা সকলে খুব চলনসই মুডে আছি।আমাদের বাংলা গল্প হৈমন্তি” ছিল সিলেবাসে। আমরা পরিচিত হলাম হৈমন্তির বাবার সাথে।মানে আমাদের একজন শিক্ষক ছিলেন তাঁর নাম আজকে মনে নেই। কারন তিনি হৈমন্তির বাবা নামেই ছিলেন সমধিক পরিচিত।কি করে তিনি হৈমন্তির বাবা হলেন। তিনি ১ম বর্ষের এক বছর ধরে হৈমন্তি গল্প পড়াতেন। ক্লাশে এসেই বোর্ডে ব্যাখ্যা লিখতেন হৈমন্তি……. এদিকে কোমড় থেকে স্যারের প্যান্ট খুলে যেতো আর তিনি দুই হাতে প্যান্ট ধরে বলতেন হৈমন্তি…….। সেই থেকে তিনি হৈমন্তির বাবা।আর একজন জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন ইয়া কামাল। উনি কামাল স্যার।পড়াতেন ইয়া শব্দটি ব্যবহার করে। যেমন মানুষের শরীরে ইয়াটি ক্রমোজোম আছে।অর্ধেক পড়া থাকতো ইয়ার ভিতরে।আর একজন ছিলেন বাংলার কাদির স্যার। জনাব আব্দুল কাদির। তহার বিশুদ্ধ উচ্চারণ এবং শ্রুতিশীল বাচন ভংগী মনে রাখার মতো। স্যার আমাদের কবিতা পড়াতেন।একদিন তিনি “আমার পূর্ব বাংলা ” পড়াচ্ছেন। পড়াতে যেয়ে বর্ণনা করছেন একজন ষোড়শী কণ্যা যখন স্নান সেরে পুকুর ঘাট থেকে উঠে আসে।….. আর ছেলে সহািঠিদের শীশের ধআনিতে ক্লামরুম মুখরিত হলো। স্যার পড়াতে লাগলেন, বললেন, ”যখন দেখবে মেয়েরা খোপায় ফুল গুঁজছে, অমনি জানবে তাদের মনে ঘুন ধরেছে।”
©somewhere in net ltd.