নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
প্রফেসর লতিফা আকন্দ আর নেই। কথাটা শুনে যতটা আমার বুকের বেদনা অনুভব হয়েছিল লিখতে যেয়েও একই বেদনা আমাকে পরশ করছে। লতিফা আপা একটি যুগের নাম, একটি আদর্শের নাম, একটি মানবতার নাম, এক উজ্জ্বল প্রাণের নাম। একজন চির সবুজ মন চির তরুনীর নাম। যে ক জন মহত জনের জন্য আজকে আমার এই সামাজিক মর্যাদার আসন তাদের মধ্যে অন্যতম বন্ধুপ্রতীম আমার মাতৃস্থানীয়া একটি নাম লতিফা আকন্দ। ঢাকাতে পড়তে আসার পর আমি যখন কচুরীপানার মত ঢাকা শহরে ভেসে বেড়াচ্ছি তখন যে হাতটি আমার সামনে তার দ্বার খুলে দাঁড়ালো তিনি লতিফা আপা।তার মতো এত বড় মানুষের কথা লিখবার ক্ষমতা আমার নেই, শুধু মাত্র মনের আবেগ প্রকাশ করছি। ১৯৮৮ সলের কথা। কোন এক বিকালে আমি ওয়াই ডব্লিই সি এর জেনরেল সেক্রেটারী মিসেস সবিতা ডি’ কস্তার দেওয়া িএকটা ভিজিটিং কার্ড হাতে খুঁজে ফি৳রছি ৩২ নং পুরানা পল্টন লাইন।তখন পায়ে হেঁটে নয়া পল্টন পার করে খুঁজে পেলাম সেই আকাংখিত ঠিকানা, সংগে মানুষটিও। সোফায় বসে বিকালের চা পান রত রবি ঠাকুরের কৃষ্ণকলি।আমার মুখে কেবলমাত্র আমার সমস্যার কথা শুনে আমার বাবা কে, কোথায় আমার ঠিকানা কিছু না শুনে কেবল বললেন, তোমার জন্য আমার দরজা সবসময় খোরা , তুমি যে কোন সময় আমার হোমে চলে আসতে পারো। আজকে এর বেশী লেখার মানসিকতা আমার নেই। তবে ইচ্ছা থকলো ধারাবাহিকভাবে লেখার।সেদিনের সেই খোলা দরজা আমার জন্য আর বন্ধ হয়নি। তারপর আমার পড়ালেকা বিসিএস পাশ, বিয়ে চাকুরী সন্তান সব কিছুতে যাকে কাছে পেয়েছি অভিভাবক আর বন্ধুসম তিনি লতিফা আকন্দ। তার সাথে আমার শেষ কথা। মঞ্জু তোমার মেয়ে স্কলাশিপ পেয়েছে, আমি বুঝলাম। আমি বাইরে আছি, বাড়ীতে যেয়ে আরো কথা বলবো। আর কথা ঞয় নি। কিন্তু “মোর জীবন যৌবন মোর …..ভুবন, তুমি…..নিরবে।।
©somewhere in net ltd.