নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

madam

I am trying to publish my story, poem etc

মঞ্জু রানী সরকার

I am a house wife, I love to write something

মঞ্জু রানী সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

চন্দ্রমুখীরা চাঁদ দেখছে (ছোট গল্প)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫১



সাব্বির কিছুদিন হলো এই জেলাতে ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে জয়েন করেছে।এসপি সাহেব রুহুল হকও বেশীদিন হয়নি এখানে এসেছেন। রুহুল আবার সাব্বিরের বড় ভাই এর বন্ধু। তাই প্রথম থেকেই সাব্বির এসপি সাহেবের কাছে একটু বেশী আবদার পায়।এখানে আসার পর প্রথম রাতেই তিনি বললেন, চলো সাব্বির তোমাকে এক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাই। কোথায় দাদা? আরে চলো না , গেলেই দেখবে। কেমন রোমান্টিক। সাব্বির গেল এবং দেখলো “ রোমান্টিক কবিতা সন্ধ্যার আসর।”কবিতা শুনতে শুনতে কবি হতে খুব সাধ জাগলো। আরো হিংসা হলো যথন রুহুল ভাই তার লেখা কবিতা পড়লো। আর ঐ চাঁদপনা মুখটি মেয়েটা কবিতা পড়ে আর রুহুল ভাই এর দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসে।এক ফাঁকে তাকিয়ে দেখি রুহুল ভাই ও হাসছে। এ হাসির বেড়াজাল তার কাছে অজানা থেকে গেল।মধ্য রাতে কবিতা পড়া শেষ হলো। একই গাড়ীতে ফেরার পথে জানতে চাইলো দাদা আপনি কাবিতা কতদিন লেখেন? বেশী দিন না ভাই। এখানে এলে সবাই কবি হয়ে যায়। মানে? হ্যা, ঐ মাধবী সবাইকে কবি বানিয়ে ফেলে। দেখো ভাই ওকে ধরতে যেও না, ও কিন্তু অধরাতেই সুন্দর। তা বুঝতে পেরেছি। কি ভাবে? ঐ যে আপনাদের হাসি বিনিময় দেখে। কিন্তু ওর নাম যে চন্দ্রমুখী দিতে ইচ্ছে করছে।তুমি তো দেখি এক দেখাতেই কবি হলে।সাব্বির লজ্জা পেয়ে বাসায় ফিরলো। এসে মনে পড়ে কেবল চন্দ্রমুখীর কথা। কি পরিচয় ওর? এক দেখাতে সাব্বির যা ভাবলো তা তো কোনদিন হবার নয়। নাম শুনে মনে হলো সে হবার নয়। তবে কি সে কবি হবে ? তার মনে যে কেবল কবিতা আসছে। সে ঘুমায় না । রাত ভোর হয়, কবিতা শেষ হয় না। লিখতে লিখতে বেশ কতগুলো কবিতা জমা হয়ে গেল। কিন্তু ও গুলো কি কবিতা হলো? এ কবিতা কোনদিন চন্দ্রমুখী দেখতে পারবে না । তবুও মনে হয় যদি তার অন্তরে এ কবিতাগুলো পাঠানো যেত।যা হোক মনে মনে চেষ্টা চলে এবং সুযোগ পেতে চায় কিভাবে এই কবিতা না গওয়া কবিতাগুলো তাকে দেখানো যায়। মাধব শুনতে পেরেছে মেয়েটি প্রায় রুহুল ভাই এর অফিসে আসে। কি কথা হয় তার সংগে। হঠাতই একদিন রুহুল ভাই ডেকে পাঠায় তাকে।সাব্বির অনেক কিছু ভাবতে থাকে
সেদিন সন্ধ্যায় তো এমন কিছু করে নি সে, কবিতাগুলোও দেখায়নি তবে কেন ডাকলো তাকে। সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে এলো রুহুল ভাই এর অফিসে। রুমে ঢুকতেই রুহুল ভাই তাকে বসতে না বলে বললো ’যাও তোমার চন্দ্রমুখীকে রক্ষা করো। সাব্বির কিছু না বুঝে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো। আজ বিকালে আমার ফোর্স থাকবে সংগে তুমি থাকবে। আমি ডিসি সাহেবকে বলে রেখেছি। কোথায় থাকবো? ঐ যে নদীর ধারে চন্দ্রমুখীদের বাড়ীর কাছে।শোন চন্দ্রমুখীরা ৪ বোন, বাবা নেই। মাকে নিয়ে নিজেদের বাড়ীতে থাকে। আমার কাছে রিপোর্ট এসেছে, আজ সন্ধ্যায় পাড়ার বখাটে ছেলেরা নদীর ধারে পিকনিক করবে, আসলে ওরা চন্দ্রমুখীদের বাড়ী ঘেরাও করে একটা কেওয়াজ সৃষ্টি করবে। তুমি যেয়ে প্রথম ওদের পিকনিক বানচাল করবা।এই তোমার কাজ। আমি অন্য কাউকে দিতাম কিন্তু কেন জানি মনে হলো তুমি কাজটা পেলে খুশী হবা। একটু লজ্জা পেল সে। তবে মনে মনে খুশী বৈকি। রাত তখন ৯টা হবে। নদীর ধার দিয়ে হেটে ঠিক রুহুল ভাই এর নির্দেশিত জায়গায় এসে দেখে সত্যিই একদল ছেলে রান্নার আয়োজনে ব্যাস্ত। সাব্বির যেতেই তারা বুঝে ফেলে এবং চাটি বাটি গুটিয়ে চলে গেল। এত সহজে কাজটা হবে ভাবেনি সাব্বির। আসলে ওদের মন ছিল পুলিশ পুলিশ।সাব্বির তার পুলিশ বাহিনীকে চলে যেতে বল্লো। কিন্তু এখন কি করবে সে? এদিকে আকাশ জুড়ে সন্ধ্যা থেকেই মেঘের খেলা চলছিল। এখনই বোধ হয় ঝরো ঝরো বাদল নামবে। ভাবতে ভাবতেই এলো বৃষ্টি। কি করবে সে? কোথায় যাবে?যেতে লাগলো নদীর পাড় বেয়ে ক্রমে উপরের দিকে। তারপর চলে এলো লোকালয়ে।কোথায় চলেছে দেবদাস? হ্যা নিজেকে তার এই মুহূর্তে দেবদাসই মনে হলো। কারণ সেতো চলেছে তার চন্দ্রমুখীর খোঁজে।সে তো খোঁজ করে জেনেছিল এখানেই কোন জায়গাটাই যেন চন্দ্রদের বাড়ী। ভেজা কাক হয়ে সে খুঁজে পেল তার চন্দ্রকে।কিন্তু কি দেখলো সে, দেখতে পেল অসুস্থ মা এক পাশে শুয়ে আছে। তাকে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঘরের মধ্যে এখানে ওখানে অনেক থালা, গামলা পাতা। আর উপরের চাল থেকে টপ টপ করে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে।বৃষ্টি তো বাইরে কম পড়ছে। ঘরে যে এর চেয়ে অকে বেশী। চন্দ্র বসে আছে যেন চালের ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো দেখবে বলে সারাটা মুখে তৃপ্তি জড়ানো প্রতীক্ষা। চারধারে ৪ বোন। অপেক্ষা কখন বৃষ্টি থামবে। তাকে দেখতে পেয়ে বসতে দেবার জন্য ব্যাস্ত হলো সে বা তাহারা। বসলো না। দাঁড়ালোও না্। চলে এলো। ভিজতে ভিজতে পথ চলছে আর মনে মনে ভাবছে পরীক্ষায় ব্যাখা আসতো রবি ঠাকুরের পোষ্ট মাস্টার থেকে ”ঘরের জীর্ন চাল ভেদ করিয়া একটি মাটির সরার উপর টপ টপ করিয়া বৃষ্টির জল পড়িতে লাগিল।”

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো।

লেখাটা কয়েক প্যারায় এবং কথোপকথনগুলো আলাদা করে দিলে ভালো লাগত আরও।

অনেক শুভকামনা।।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.