নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
২৮ তারিখ যত কাছে আসছে, মাইকের শব্দ তত বেশী শোনা যাচ্ছে আর বাজছে দরজার কলিং বেলও।প্রাথীদের প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে মনে হচ্ছে নির্বাচনেরে পর এই বাংলাদেশ আর সেই বাংলাদেশ থাকবে না।পূণ্য হবে শূণ্য যত, ধন্য হবো, আমরা যারা ভাগ্যহত।
গত কয়েক দিন আগে কলিং বেল বাজলে খুলে দেখি, একজন প্রার্থীর পক্ষে তার আত্মীয় স্বজন ভোট প্রার্থনা করছেন। ভালো রাগলো জানতে পেরে যে, আত্মীয় স্বজনের সংগে তার গভীর সম্পর্ক।তিনি কিছুটা অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে তারা ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। কারা একটা লিফলেট দিয়ে গেল। পরে পড়ে দেখি, দানে তিনি হাজী মহসীন, শাসক তিনি খলিফা ওমর গরীবের বন্ধু ইত্যাদি যত সত গুণাবলী আছে সবই তার আছে। অথচ এই এলাকায় ৫ বছর গ্যাস ছিল না, তখন চোখ মেলে তাকিয়ে তারে দেখা যায় নি, পাওয়া তো দূরের কথা। এরকম এলাকার রাস্তা খনন করা থাকলে, বিদ্যুত না থাকলে আশে পাশে হাহাকার ছাড়া াউকে পাওয়া যায়না।
লিফলেট পড়ে আরো জানতে পারলাম, তিনি এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির , গীর্জার প্রতিষ্ঠাতা। হায়রে বয়ান। এই এলাকায় কোন মন্দির বা গীর্জা নেই।
আজকে মাইকে শুনছি, “তারেক জিয়ার সালাম নিন,----মার্কায় ভোট দিন।প্রচারটা ঠিক কিনা তার জন্য নির্বাচন কমিশন আছে, দেখবে।
আমার যে জন্য এত কথা বলা তা হলো আমাদের শৈশব আর কৈশরে যখন ভোটের হাওয়া লাগতো, সেই হাওয়াটা ছড়িয়ে দেওয়া।
ছোটবেলায় যখন ভোটের কথা শুনতাম, কি যে এক আনন্দে মনটা ভরে যেত। দলে দলে লোক দেখবো, মাইক শুনবো, ব্যান্ড নিয়ে মিছিল দেখবো।
তখন যেই মিছিলের আওয়াজ কানে আসতো, ওমনি দে দৌড়। পাল্লা চলতো , কার আগে কে যাবে। কিছুই না, দাঁড়িয়ে ব্যান্ডের বাজনা শুনা আর চেয়ে চেয়ে মিছিল দেখা। আর ওরা চলে গেলে শ্লোগান গুলো বলতে বলতে বাড়ী ফেরা।
ফেলে দেওংয়া কাগজ দিয়ে প্লাকার্ড বানিয়ে মিছিল করা আর অমুক ভাই এর জন্য ভোট চাওয়া্, ভোট পর্যন্ত এটাই ছিল খেলা আর খেলা।
তখন শুধু মনে হতো আহা আমি যদি মাইক্রোফোনটা হাতে নিয়ে রিক্সায় চড়ে সারা শহর ঘুরে বলতে পারতাম,”আসছে এলাকার শুভ দিন,----মার্কায় ভোট দিন।”
©somewhere in net ltd.