নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
আজ ইচরের তরকারী রান্না করলাম। আমার একটা প্রিয় খাবার আইটেম। তাই তো অশোক বহু যত্নে পুরাতন ঢাকা থেকে প্রতি বৈমাখে বয়ে আনে।পাকা কাঠাঁল সকলেই চেনে এবং প্রিয় ফলও বটে। কিন্তু কাঁচা কাঁঠাল অর্থাত ইচরের তরকারী অনেক অঞ্চলে খেতে জানে না।
আমাদের বাড়ী খরা অঞ্চলে। তখন আদি প্রথায় বছরে ২টা ফসল চাষ হতো। তাও আবার খরাতে মাঠ পুড়ে ছারখার। ফলে বৈশাখ জৈষ্ট্য মাসে থাকতো গ্রাম জুড়ে অভাব। ভাতের অভাব। সারাদিন পর বাড়ীতে জ্বাল হতো এক হাঁড়ী যবের ভাত আর এক কড়াই ইচর সিদ্ধ। কি আনন্দে চাষী শ্রমিক এক ঘর ছেলেমেয়ে নিয়ে হাসি মুখে সারাদিন পরে তা খেয়েছে।
গ্রামের বাড়ীতে আমাদের একটা কাঁঠাল গাছ ছিল। শ্রাবন মাসে পাকতো। ফলে আমাদের ভাগ্যে পাকা কাঁঠাল জুটতো না। সবাই এসে বাবাকে ধরতো, ”বাবু একটা ইচর দেন । বাল বাচ্চার মুখে দেই।” এই জন্য বাবা এই কাঁঠাল গাছটি রেখে দিয়েছিলেন। আর এ জন্যই আমাদের অঞ্চলে ইচরের তরকারী একটি অতি পরিচিত, প্রিয় খাবার।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: লেখাটা পড়ে ইচর কি অন্তত: এটা বুঝা যায়, ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
ইচরের তরকারী !!!
এটা আবার কী জিনিস ?
জানিনা, বুঝিও না ।