নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

madam

I am trying to publish my story, poem etc

মঞ্জু রানী সরকার

I am a house wife, I love to write something

মঞ্জু রানী সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বউমা ষষ্ঠি

২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩২

আমার দিদিমা জামাই ষষ্ঠি করতে পারেন নি। কারণ তাঁর মৃর্ত্যুর পরে আমার মায়ের বিয়ে হয়। অতএব আমার বাবার ভাগ্যে শশুড়ীর হাতের তালের পাখার বাতাস কোন দিন জুটেনি। আমার মাও জামাই ষষ্ঠি করতে পারেন নি। কারন আমারও বিয়ে হয় আমার মায়ের মৃত্যর পরে। তাই অশোকও সেই বাতাস হতে বঞ্চিত।

আমার খুব সখ আছে আমার জামাই নিয়ে ষষ্ঠি করার। জানি না ঈশ্বর আমাকে সেই আয়ু দান করবেন কিনা।হিন্দু লৌকিকতায় জামাই ষষ্ঠি, ভাই ফোঁটা, রাখি বন্ধন সবই পুরুষ প্রধান অনুষ্ঠান।

মেয়েদের প্রধান করে একটি অনূষ্ঠান আছে তা হলো মেযেরা যখন মা হতে চলেন এমন সময়ে। ”সাধ ভক্ষণ।” এটি নিরেট মেয়েদের অনুষ্ঠান, মায়েদের অনুষ্ঠান্। এ সময়ে মেয়েরা শ্বশুর বাড়ী বাবার বাড়ী দুই বাড়ী হতেই পছন্দনীয় খাবার , উপহার দাবী করতে পারে।

আমার বাবার বাড়ী নেই। শ্বশুর বাড়ীতে কি অজানা কারণে আমাকে দুই বারের এক বারও সাধ দেওয়া হয় নি।অতএব সুযোগ একটা থাকলেও আমার ভাগ্যে জোটে নি।
আমার একটা সখ ছিল বৌমা ষষ্ঠি চালু করা। কিন্তু সম্ভব না। যেখানে প্রাপ্যটাই পাই নি। সেখানে নতুন সংযোজন কি করে হবে?
আমি শাশুড়ী হয়ে চালু করবো সেটিও সম্ভব না কারন ঈশ্বর আমাকে পুত্র সন্তান দেন নি।

আমার দুই কন্যা তারা নিজেরাই ভাই ফোঁটার দিন ওরা বোন ফোঁটা দেয়। রাখি পরাই একে অপরকে। আমি অবশ্য এতে খুব খুশী। এক কথায় গর্ববোধও করি।

আমি মনে প্রাণে চাই আমি যেমন জামাই ষষ্ঠি করবো আমার মেয়েও যেন তার শাশুড়ীর কাছে ”বউমা ষষ্ঠি” হিসেবে একটি দিন পেয়ে থাকে।

তবে এটার জন্য হয়তো আরও সংগ্রাম করতে হবে। কারণ পুরুষতান্ত্রিকতা আমাদেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে গেঁথে গেছে। আমাদেরকে তারা এমন ছাঁচে ফেলেছে যে, জগতে যা কিছু আশীর্বাদ সব যেন পুরুষকে করতে হবে। আর অভিশাপ দাও বউদের।

এটা অবশ্য শাশুড়ীরাই করে থাকেন। কারণ তিনিও তো একদিন বউ ছিলেন্, তিনি যেমন তার শাশুড়ীর কাছ থেকে পেয়ে এসেছেন তাই দিতে চেষ্টা করেন তার ছেলের বউকে।

আমাদের জামাইরা যদি শাশুড়ীর মেয়েকে ভারোবাসে, তবে শাশুড়ীরা খুব খুশী হন আর যদি তার ছেলে তার বৌমাকে ভালোবাসে তা হলে ছেলে শুধু বউ এর কথা শুনে।

কিন্তু আসল রহস্য কোথায়? এই জামাইর শাশুড়ীও একজন মা, আবার বৌমার শাশুড়ীও এক জন মা। তা হলে বিভেদ কোথায়? এই বিভেদ না গেলে বৌমা ষষ্ঠি সম্ভব না।
তবে দাবী আমাদের থাকবেই। আমরা না পারলাম তাই কি? আমাদের প্রজন্ম তো পারবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

জহিরুল ইসলাম কক্স বলেছেন: আপনার লেখার স্টাইল সাবলীল। পড়ে ভাল লাগলো

২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:০৩

আয়রন ম্যান বলেছেন: “ আমাদের জামাইরা যদি শাশুড়ীর মেয়েকে ভারোবাসে, তবে শাশুড়ীরা খুব খুশী হন আর যদি তার ছেলে তার বৌমাকে ভালোবাসে তা হলে ছেলে শুধু বউ এর কথা শুনে”
এই কথাটা এক্কেবারে ঠিক বলেছেন, হিন্দু-মুসলিম সব ক্ষেত্রেই আমাদের সমাজটা এমনই।

২৫ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: আমরা যেন এরকম শাশুড়ী না হই, ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.