নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
শীতের সকালে রোদে পাটি পেতে চাদর গায়ে জড়িয়ে সুর করে পড়তাম,
”ভোর হলো দোর খোল খুকুমনি ওঠরে,
……খুকু চোখ খুললো।”
এটাই ছিল নজরুলের সংগে পরিচিত হবার প্রথম কবিতা।
সেই যে পরিচয় আজও চলছে আদান প্রদান, আবেদন নিবেদন।
এর পরে হলো,
“আমি হবো সকাল বেলার পাখী,
…..
পড়ি আর দৌড়ে গিয়ে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে বলি,
”আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?
তোমার মেয়ে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।”
আর ”খাদুদাদু” পড়ে মায়ের সংগে যে কত খুনসুটি করেছি তার শেষ নেই।
এরপরে যে লেখাটি মনে রং এবং ছন্দ আনলো তা হলো ”ঝিঙে ফুল”
গুল্মে পর্ণে লতিকার কর্ণে
ঢল ঢল দোলে দুল
ঝিঙে ফুল।”
তারপরে খুকী ও কাঠ বিড়ালি। সবই ছিল পাঠ্য বই এ। আর বাইরে পড়েছি লিচু চোর, সাম্যের গান,নারী বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি. বিদ্রোহী আরও কত কি?
বান্ধবী স্নিগ্ধা স্কুলে ফাংশনে আবৃত্তি করেছিল, “হে সিন্ধু, হে বন্ধু মোর, হে মোর বিদ্রোহী
তিন ভাগ গ্রাসিয়াছ এক ভাগ বাকী
সুরা নাই পাত্র হাতে কাঁপিতেছে সাকী।”
এই না পাওয়ার বেদনার সুর বাজতে লাগলো প্রাণে। বাড়ীতে এসে বসে গেলাম সঞ্চিতা নিয়ে। বের করলাম সিন্ধু কবিতা। বলবো কত, এ বলার শুরু আছে শেষ তো নেই। এ যে মহা সমুদ্র। এ খানে শুধু অবগাহন করতে হয়। আর আস্বাদন করতে হয়।
এর পরে আছে সুরের রাজ্য। ”আমি বনফুল গো”, ”শুকনো পাতার নূপূর পায়ে,” ”আমি যার নুপুরের ছন্দ,” “আমার গানের বুলবুলি,” “দেবো খোঁপায় তারার ফুল(প্রিয়াকে এত আপন করে কে কবে সাজিয়েছে আমার জানা নেই)।” কিন্তু এ ই বয়স থেকে প্রিয়ের হাতে সাজতে শুরু করেছি।
”সবার কথা কইলে কবি,” ”মসজিদের ঐ পাশে আমার কবর দিও ভাই” ”আমায় নহে গো ভালোবাসো”, আর সমান তালে লিখেছেন ইসলামি গান আর শ্যামা সংগীত।
আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে আর বেশী বলা সম্ভব নয়। তবে এটুকু বলতে পারি, তার আবির্ভাব না হলে অসম্পূর্ণ থাকতো বাংলা সাহিত্য, সংগীতের রাজ্য। তৃষ্ণার্ত থাকতো প্রেমিকের হৃদয়।
তিনি তার জীবন দিয়ে যে উচ্ছ্বাস আর উদ্দীপনা এনে দিয়েছেন, তাই বাঙালিকে বাঁচতে শিখিয়েছে। তার গড়া ”মুকুল ফৌজ” এখনও সেরা শিশু সংগঠন।
কিন্তু আজকাল কবি প্রেম দেখাতে গিয়ে যখন দেখি বন্ধুরা ভাই বোনেরা অবলীলায় নজরূল আর রবীন্দ্র নাথের সংগে তুলনা করে চলেছেন তখন বড় ব্যথা পাই্, এই জ্ঞানী জনেরা কেন বোঝেন না, এতে উভয়কে ছোট করা হয়।
উভয়ের অবদানকে খাট করে দেখা হয়। তারা বসে আছেন যার যার আসনে গুনী সমাসীন হয়ে। কেন তাদের প্রতি বেশী প্রেম দেখাতে যেয়ে তাদের সৃষ্টির অব মূল্যায়ণ করবো? বরং আমরা এই মহাসমুদ্রে অবগাহন করে নিজের পাপ, আর মনের ক্ষুদ্রতাকে বির্সজ্ন দেব।
একই উপকরণ, এবং প্রণালী অনুসরন করে যদি ১০০ জন রাঁধুনী একই রান্ন্ করেন আমার মনে হয় স্বাদের দিক দিয়ে ১০০ রকম হবে। তাই বলে তো তারা রান্না জানেন না এ কথা বলা যাবে না।যার যার সৃষ্টি তে কে সে সে অনন্য।
আর আমাদেরকে এও জানতে হবে যে তাদের সৃষ্টি নিয়ে এই দুই মহান হৃদয়ের মধ্যে কোন বিরোধ ছিল না। কারণ তারা দুজনই ছিলেন বিশাল হৃদয়ের অধিকারী, সকল ক্ষুদ্রতা এবং সাম্প্রদায়িকতার উর্ধে।
আমাদের খুব সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। যেন কোন প্রকারে আমরা যেন এই তুলনা বীজ আমাদের প্রজন্মের মননে বপন না করে দিই।। তা হলে তো আমরা সৃষ্টি করে দেব বিভেদ আর জাতিগত বৈষম্য। বৃথা হবে তাদের গড়া ভাতৃত্ববোধ।
সে দিন কোন এক চ্যানেলে নজরুল গীতির অনুষ্ঠান হচ্ছে। এক ভক্ত ফোন দিয়ে বলতে শুরু করেছেন, মানবেন্দ্র দাদারা নাকি নজরুল গীতিকে ধংস করে দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ সম্ভবত তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে লাইন টি কেটে দিয়ে বাঁচেন। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে যে, পাকিস্থানীরা যেমন রবীন্দ্র সংগীত সৃষ্টি করতে পারেন নি, তেমনি মানবেন্দ্র দাদারা নজরুল গীতিকে ধংস করতে পারবেন না।
১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: দুজনই ছিলেন বিশাল হৃদয়ের অধিকারী, সকল ক্ষুদ্রতা এবং সাম্প্রদায়িকতার উর্ধে।
২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
বর্ণিল হিমু বলেছেন: এই লিখাটায় কিছু ভুল আছে.......
৩| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
বর্ণিল হিমু বলেছেন: এই লিখাটায় কিছু ভুল আছে.......
৪| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
বর্ণিল হিমু বলেছেন: এই লিখাটায় কিছু ভুল আছে.......
১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০০
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: েইচ্ছাকৃত কোন ভুল করিনি। ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে শুধরে নিতাম। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দু:খিত
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: পাকিস্থানীরা যেমন রবীন্দ্র সংগীত সৃষ্টি করতে পারেন নি, তেমনি মানবেন্দ্র দাদারা নজরুল গীতিকে ধংস করতে পারবেন না।
আচ্ছা, কবি নজরুল আল রবি ঠাকুরের মধ্যে কি কোন বিরোধ ছিল। তাদের মধ্যকার সু-সম্পর্কের কথা কি আমরা আল্প বিস্তর জানি না ? তবে কেন আমার নিজেরা বিরোধ সৃষ্টি করি?
লেখায় সহমত।