নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
প্রসংগক্রমে বলতে হয়: ২০১২ সাল। ২৭শে ফেব্রুয়ারী্ । টুনটুন স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি আগের দিন যেয়ে হোটেলে থাকলাম, পরদিন সকালে পরীক্ষা শুরু হবার বহু আগে স্কুলে যেয়ে বসে আছি।*(হিমালি বোর্ডিং স্কুল, কার্শিয়ং, দার্জিলিং)।
ভাবছি হয়তো আরো গার্জেন আসবে। কিন্তু কেউ আসে না।আমি পথপানে তাকিয়ে আছি। কখন আমার টুনটুন পরীক্ষার হলে আসবে। দেরী দেখে আমি শিক্ষক রুমে যেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ”অমিয়া আসে নি পরীক্ষা দিতে?”
তিনি বলেলন, ”অমিয়া তো আসে নি, তবে অমৃতা ক্লাশে এসেছে।”( অমৃতা আমার ছোট মেয়ে)।
এদিকে ক্লাশ চলছে, দলে দলে ছাত্র ছাত্রী ক্লাশে আসছে। অনেক পরে টুনটুনকে দেখা গেল। ও এসেই ওর শিক্ষকদের কাছে চলে গেল। শিক্ষকবৃন্দ সারিবদ্ধভাবে গেটের মুখে রেকাবীতে দই, পুজোর আশীবৃাদগ আলো চাল, ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের প্রণাম করলো্, তারা কপালে দই এর ফোঁটা দিয়ে আশীর্বাদ করলেন। টুনটুন আমার দিকে হাত নাড়িয়ে পরীক্ষার হলে চলে গেল।
আমি একা তীর্থের কাকের মতো বসে আছি। কখন পরীক্ষা শেষ হবে। মেয়েটার সাথে দুটো কথা বলবো। আশে পাশে তাকিয়ে দেখি, কোথাও কোন অভিভাবক নেই। আমি একা। শেষে রোদ তাপানোর ভান করে বসে থাকলাম।
পরীক্ষা শেষে মেয়ে বের হয়ে বলে, ”মা পরীক্ষা ভালো হয়েছে, চলো তোমকে জীপে উঠিয়ে দিয়ে আসি। তুমি শিলিগুড়ী চলে যাও। এখানে এলে আমার লজ্জা লাগে।”
ও আমাকে জীপে তুলে দিয়ে হোস্টেলে ফিরে গেল। এর পর আমি এক মাস শিলিগুড়ীতে থেকে ওর পরীক্ষা শেষ হলে ২৬ শে মার্চ ওকে নিয়ে বাংলাদেশে আসলাম। (চলবে)
প্রসংগক্রমে বলতে হয়: ২০১২ সাল। ২৭শে ফেব্রুয়ারী্ । টুনটুন স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি আগের দিন যেয়ে হোটেলে থাকলাম, পরদিন সকালে পরীক্ষা শুরু হবার বহু আগে স্কুলে যেয়ে বসে আছি।*(হিমালি বোর্ডিং স্কুল, কার্শিয়ং, দার্জিলিং)।
ভাবছি হয়তো আরো গার্জেন আসবে। কিন্তু কেউ আসে না।আমি পথপানে তাকিয়ে আছি। কখন আমার টুনটুন পরীক্ষার হলে আসবে। দেরী দেখে আমি শিক্ষক রুমে যেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ”অমিয়া আসে নি পরীক্ষা দিতে?”
তিনি বলেলন, ”অমিয়া তো আসে নি, তবে অমৃতা ক্লাশে এসেছে।”( অমৃতা আমার ছোট মেয়ে)।
এদিকে ক্লাশ চলছে, দলে দলে ছাত্র ছাত্রী ক্লাশে আসছে। অনেক পরে টুনটুনকে দেখা গেল। ও এসেই ওর শিক্ষকদের কাছে চলে গেল। শিক্ষকবৃন্দ সারিবদ্ধভাবে গেটের মুখে রেকাবীতে দই, পুজোর আশীবৃাদগ আলো চাল, ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের প্রণাম করলো্, তারা কপালে দই এর ফোঁটা দিয়ে আশীর্বাদ করলেন। টুনটুন আমার দিকে হাত নাড়িয়ে পরীক্ষার হলে চলে গেল।
আমি একা তীর্থের কাকের মতো বসে আছি। কখন পরীক্ষা শেষ হবে। মেয়েটার সাথে দুটো কথা বলবো। আশে পাশে তাকিয়ে দেখি, কোথাও কোন অভিভাবক নেই। আমি একা। শেষে রোদ তাপানোর ভান করে বসে থাকলাম।
পরীক্ষা শেষে মেয়ে বের হয়ে বলে, ”মা পরীক্ষা ভালো হয়েছে, চলো তোমকে জীপে উঠিয়ে দিয়ে আসি। তুমি শিলিগুড়ী চলে যাও। এখানে এলে আমার লজ্জা লাগে।”
ও আমাকে জীপে তুলে দিয়ে হোস্টেলে ফিরে গেল। এর পর আমি এক মাস শিলিগুড়ীতে থেকে ওর পরীক্ষা শেষ হলে ২৬ শে মার্চ ওকে নিয়ে বাংলাদেশে আসলাম। (চলবে)
©somewhere in net ltd.