নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

madam

I am trying to publish my story, poem etc

মঞ্জু রানী সরকার

I am a house wife, I love to write something

মঞ্জু রানী সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

”আমাদের ছেলেমেয়ে এবং আমরা”

৩১ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২২

দুই:

আমাদের সময়ে প্রযুক্তি এত উন্নত ছিল না, আমরাও এত চৌকষ ছিলাম না। পরীক্ষা দিয়ে বসে থাকতাম। অপেক্ষা করতাম ফল বেরুবার জন্যে। কিন্তু কিভাবে পাবো জানতাম না। আর তখন বোধ হয় স্কুল ছাড়া পাওয়াও যেত না।
এত মিষ্টি বিলির প্রচলন ছিল না। কারণ হাতে গোনা কয়েকজন প্রথম বিভাগে পাশ করতো। আর তাদের বেশীর ভাগই ছিল দরিদ্র পরিবারের। তাই মিষ্টি বিতরনের চেয়ে মিষ্টি মুখটাই বেশী প্রতীক্ষায় থাকতো্।

তখন এস এস সি তে মানবিক বিভাগে প্রথম বিভাগ কল্পনার বাইরে ছিল। যারা বিজ্ঞান বিভাগে পড়তো এবং ১ থেকে ১০ এর মধ্যে যাদের রোল থাকতো তারা একটা প্রথম বিভাগের আশায় থাকতো। কখনও মিলতো, কখনও মিলতো না। কিন্তু এ নিয়ে জীবন বৃথা হয়ে গেল এমন ভাবা হতো না। বাণিজ্য বিভাগও তাই। এখন যেমন গোল্ডেন প্লাস গেতেই হবে, নইলে ডাক্তার /ইজ্ঞিনিয়ার হওয়া যাবে না্, আর মা বাবার সামাজিক মর্যার পরিবর্তন হয়ে যাবে এমসনটাও ভাবা হতো না।

এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে ছুটি কাটাচ্ছি। একদিন বড় দাদা আর দিরিা এসে জানালো আমাদের রজোল্ট বের হয়েছে। ফলটা তারাই বলে গেল। আমরা আর যাচাই করতে যাই নি। কোন মিষ্টি বিতরণ হলো না। কারণ আমাদের সে সামর্থ ছিল না। তবে পাড়াতে বের হলাম। মুরু্ব্বদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে রেজাল্ট জানালাম। তারা খুশী হলেন। বুকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করলেন। সেই আশীর্বাদ আজও পাথেও হয়ে আছে।শুধু আমি এরকম করলাম তা নয়। প্রতি বছর রেজাল্টের দিনে এটাই ছিল এলাকার চিত্র।

এখন প্রযুক্তির কল্যাণে আগে থেকেই জানতে পারি, কবে ফল বের হচ্ছে। নিজের কেউ না থাকলেও সংবাদটা দেখতে খুব ভালো লাগে। হাজার হাজার ছেলে মেয়ে আনন্দে নেচে নচে তা প্রকাশ করছে। ঐ মুহূর্তে নিজেকেও তাদের একজন ভাবতে বেশ ভালই লাগে। ভালো লাগে যখন শুনি লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে।

গতকালেএস এস সি ২০১৫ এর রেজাল্টের পর সন্ধ্যা হতে মিষ্টি আসা শুরু হলো। মায়েরা মিষ্টি হাতে মিষ্টি মুখে এলো। কিন্তু রেজাল্ট কার? সেই ছেলেটি বা মেয়েটির দেখা নেই। সে কিন্ত এলো না আশীর্বাদ চাইতে।যেন আমরা মিষ্টির জন্য বসে ছিলাম, মিষ্টি খেয়ে উপরে হাত তুলে বলবো, ”আরো যেন খেতে পারি। ডায়াবেটিস দিও না প্রভু।”

আমার ছোট একটা প্রশ্ন আছে, মায়েদের কাছে। সন্তানের আনন্দে মা সবচেয়ে বেশী খুশী হবে, এতে কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিটাও তো মাকেই শেখাতে হবে। তারা ছেলেমেয়ে গুলোকে সাথে নিতে পারলেন না? পায়ে হাত না দিতো অন্তত: ”সুন্দর কচি মুখের তৃপ্তির হাসি টা দেখাতে পারতো।” আর আমরাও মাথায় হাত দিয়ে বলতে পারতাম “বড় হও মা/বাবা।”(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.