নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

madam

I am trying to publish my story, poem etc

মঞ্জু রানী সরকার

I am a house wife, I love to write something

মঞ্জু রানী সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ছেলেমেয়ে এবং আমরা

০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

তিন:(এ+ পাবার বিড়ম্বনা)

আমার জানা মতে একজন দরিদ্র বাবার সন্তান গ্রামের (আধা গ্রাম) স্কুল থেকে এস এস সি এবং এইচ এস সি উভয় পরীক্ষাতে এ + পেয়েছিল।

পরিবারটি তো দারুন খুশী। ছেলেটির ক্লাশে তেমন কোন পজিশন ছিল না। যাই হোক দরিদ্র অশিক্ষিত বাবার পুত্র সন্তান বিজ্ঞান বিভাগ হতে ডবল এ+। কম কথা নহে।।

ছেলেটি এবার ডাক্তার হবে। এই সুখচিন্তায় বাবার দিন কাটছে। ছেলেটি মেডিক্যাল থেকে শুরু করে তার আওতার মধ্যে পড়ে যতগুলো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ও দিল। কিন্তু কোথাও ভর্তির সুযোগ হলো না। এখন তো মান সম্মান আর থাকে না। ছেলে ডাক্তার না হোক ইজ্ঞিনিয়ার তো হবে। তবুও তো মান থাকে?
সব দ্বার যখন বন্ধ তখন তো একটি দুয়ার খোলা। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এরই অপেক্ষা করে বসে আছে। অমনি ছেলেটি টপ গিললো।

সেখানে সে ইলেক্ট্রিক্যাল ইজ্ঞিনিয়ারিং সাবজেক্ট পেয়ে গেল। বাবা আর পরিবারে সকলে খুব খুশী। চৌদ্দ পুরুষের মধ্যে এবার একজন শুধু শিক্ষিতই না, একবারে ইজ্ঞিনিয়ার। তাও আবার ইলেক্ট্রিক্যাল্।

বাবা দুই সন্তানের পড়ার খরচ চালাতে পারবেন না বলে তাড়াতাড়ি করে পরের মেয়ে সন্তানটি লেখাপড়ায় ভালো হওয়া সত্বেও যৌতুক বিহীন পাত্র পেয়ে বিয়ে দিয়ে দিলেন।

বাবা বেচারী বিভিন্ন খাত থেকে ধার করে আর ছেলেটির টাকা পাঠায়। ছেলেটি যে টিউশনি করে দুপয়সা রোজগার করবে এ সাহস তার নেই। সে নাইন টেনের অংক করাতে পারে না। এর চেয়ে ছোট ক্লাশ পড়ালে আবার ইজ্ঞিনিয়ারের মান সম্মান থাকে না।
বাবা তো স্বপ্নে বিভোর। ছেলে পাশ করে বড় ইজ্ঞিনিয়ার হবে। লাখ লাখ টাকা আনবে। সব ধার দেনা শোধ হয়ে যাবে। এই আশাতে দিনের পর দিন বিভিন্ন সমিতি থেকে টাকা ধার করতে লগলো। ছেলে তো পাশ করলো কোনরকম গ্রেড পেয়ে সে ইজ্ঞিনিয়ার হলো্।

বাবা হিসাব করে দেখেন তার ১২ লাক টাকা দেনা আছে। সে ভিটে বাড়ী বেচে দেনা শোধ করলো।
ছেলেটি রেজাল্ট খারাপ করাই চাকরীর আবেদনই করতে পারে না। শেষে কোন রকমে একটি বেসরকারী সংস্থায় মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে একটা চাকরী হলো্।
ছেলেটি কি পারবে এই ১০ হাজার টাকায় খেয়ে পড়ে বাবার ভিটে বাড়িটি পুন:স্থাপন করতে?(চলবে)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

বর্ণিল হিমু বলেছেন: ছেলেটি যে টিউশনি করে
দুপয়সা রোজগার করবে এ সাহস তার নেই। সে
নাইন টেনের অংক করাতে পারে না। → এইটা কেমন কথা....... :O

০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: এটা অতি বাস্তব চিত্র। যাহা খেয়াছি, তাহাই বলিয়াছি

২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

জাহাঙ্গীর গুরু বলেছেন: ভাই A+ রে এতো নীচে নামাইলেন! এতো সস্তা না। আমার ছোট ভাইও মেট্রিক, ইনটারমিডিয়েট কোনটাতেই A+ পায় নাই। কিন্তু এখন অস্ট্রেলিয়াতে একটা ভার্সিটিতে পড়ে। রেজাল্ট ভাল না হওয়ায় scholarship পায় নাই। পার্ট টাইম জব কইরা খরচ মিটায়। সবার মধ্যেই একটা সারভাইবাল গুণ থাকে। যাই হোক আপনার গল্প লেখার স্বাধীনতা আছে।

০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: আমি এইটাই বলতে চেয়েছি, এ+ না পেলে জীবন বৃথা নয

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

ভিটামিন সি বলেছেন: দাদি যেভাবে গল্পে বলেছেন ছেলেটি বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ছে অথচ নাইন টেনের অংক পারে না - এটা যতই পরাবাস্তব যুগে বাস করি না কেন, মানা অসম্ভব। ভিতরে একবারেই কিছু না থাকলে দুইটা এ+ পাওয়া সম্ভব নয়। (একটা পেতে পারে শিক্ষকদের সহানুভবতায়)। আর তুইটা এ+ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রী বেসরকারী ভার্সিটিতে সম্পূর্ণ ফ্রি পড়তে পারে বলে আমি জানি (বিভিন্ন বেস. ভার্সিটির বিজ্ঞাপন দ্রষ্টব্য)। ইঞ্জিনিয়ারিং এর কঠিন একটা মাখা হলো ইলেকট্রিক্যাল। এখানকার প্রতিটি সাবজেক্টই সুত্র আর ইলেকট্রিক হিসাব নিকাশে ঠাসা। বেশিরভাগই বই ই বিদেশী লেখকদের এবং বইয়রে ভাষাও ইংরেজী। তাই আপনার দৃষ্টিতে বা অদৃষ্টিতে সৃষ্ট মাননীয় আবুলটি যদি সত্যিকারের খারাপ ছাত্র হয় তাহলে এক যুগেও পাশ করে বেরুতে পারবে না বলেই আমি মনে করি।
(অ.ট. আমি কম্পিউটার কৌশল ছাত্র ছিলাম; আমাকে সহায়ক সাবজেক্ট হিসেবে তড়িৎকৌশল বিভাগের কিছু বই পড়তে হয়েছে। আমার রুমমেট ছিলো আবার তড়িৎকৌশল বিভাগের ছাত্র; তাই বেশি কিছু না, সামান্য কিছু জানি আর কি)। গল্প হিসেবে এ+ হইছে। এ+ ধারীদের পচায়ালছুইন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.