নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
জুবায়ের সালেহীন। অসম্ভব মেধাবী একজন ছাত্রের নাম। শুধু মেধাবী নয়, তার সমগ্র অবয়ব জুড়ে আছে বিনয়। চোখ দুটি শ্রদ্ধা আর জ্ঞানের গভীরতায় ভরা। আমার কলেজের প্রিন্সিপাল স্যার শ্রদ্ধেয় আনসার স্যার ওর বাবা আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আম্বিয়া আপা ওর মা।ও আমার একেবারে প্রখম জীবনের ছাত্র। এককথায় ছাত্রজীবনের ছাত্র।
আমি এসএসসি দেবার সাথে সাথে আমার বাবা মারা যান। ঐ সময় আমাদের ঘরে ৫ কেজি রেশনের চাল আর ১৫০ টাকা ক্যাশ ছিল। আমার মাথায় তখন একেবারে গৃহিণী ঘরবোলা মা আর বোনের দায়িত্ব এসে পড়লো্. সংগে নিজের বেঁচে থাকার ভারও বইতে হবে। এই নিদারুন দুর্যোগের দিনে যে কয়টি পরিবার আমার প্রতি তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তার মধ্যে আমার এই স্যারের পরিবারও অন্যতম।
এসএসসির রেজাল্টের আগেই অর্থাত বাবার পারলৌকিক কাজ হয়ে যাবার পরই শুরু হলো আমার সংগ্রামের জীবন। যা শুরু হলো প্রাইভেট টিউশন দিয়ে।আমার টিউশন জীবনের দ্বিতীয় বাড়ী হলো আনসার স্যার আর আম্বিয়া আপার বাড়ী।আর ছাত্র হলো অন্যান্য ভাই বোনের সাথে জুবায়ের।
আমি প্রতিদিন সকাল বেলায় জুবায়েরকে পড়াতে যেতাম। এখানে পিতা হিসাবে আমি স্যারকে যেমন দেখিছি তার একটি প্রসংগ না বললেই নয়। জুবায়ের রা ছিল আট ভাই বোন।স্যার আর আপাকে দেখতাম কি সুন্দরভাবে আট ছেলেমেয়েকে হ্যান্ডেল করতে। কখনও রাগ করে উচ্চ:স্বরে ছেলেমেয়েদের সংগে কথা বলতে দেখেনি। কি অপরিসীশ ধৈর্য নিয়ে তাদের সংগে বন্ধুসুলভ আচরণ করতেন। কি রসবোধ ছিল তাদের সংগে কথোপকথনে। আর আজকে একটি সন্তানকে নিয়ে অভিযোগ আর অভিলাসের শেষ নেই। উল্লেখ্য এরা সকলেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্টিত হয়েছে।
যাক যে জন্য এত কথা তা হলো জুবায়ের। আমার ছাত্র। আমি ওদের বাড়ীতে ঘন্টা দুয়েক সময় দিতাম। জুবায়ের আমার কাছে কোন দিন আধ ঘন্টার বেশী পড়েনি। কারণ তার গনিত ছিল মুখস্ত। অংক দেখেই তার উত্তর বলে দিত। আমি যাবার আধ ঘন্টা পরে সে পড়তে আসতো। তার পরে আধ ঘন্টা গল্প হতো। আধ ঘন্টা পড়া আবার আধ ঘন্টা দুষ্টমী্।
এই সময়ে আমার হাত খানি নিয়ে বসে বসে লিখতো গানের কলি,” আমি কি তোর আপন ছিলাম না রে জড়িনা, আমি কি তোর আপন ছিলাম না”।
এই জুবায়ের এসএসসি প্রথম বিভাগে পাশ করলো। সে বারেই প্রথম কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ তার যাত্রা শুরু করলো। জুবায়ের সেই এসএসসি পাশ করা ছেলেটি সমস্ত ফরমালিটিস একা করে কুমিল্রা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলো। আর পিছনে তাকাতে হয় নি তাকে। পরে কমিশন রযং্ কে আরমিতে। আজ বড় অফিসার জুবায়ের্।
মাঝে একবার ওর বিয়েতে সেনাকুজ্ঞে গিয়েছিলাম। আর যোগাযোগ নেই। বহুদিন পর ফেসবুকের ইনবক্সে ওর মেসেজ।আনন্দে মনটা আর বুকটা ভরে গেল। কথা হলো অনেক্।জুবায়ের এখন ফ্যামিলি সহ ওয়াশিংটন ডিসি তে এক বছরের ট্রেনিং প্রোগ্রামে আছে।ও লিখলো, ”For years you live in my heart with deep respect” আমিও ভুলিনি তাকে। কেননা এখনও সে মুরুব্বীদেরকে দেখলে দূর হতে বাই সাইকেল থেকে নেমে হেঁটে এসে সালাম দেয়।
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ছাসা ডোনার বলেছেন: সাবাস জুবায়ের ভাই !!! চালিয়ে যান আপনার জীবনের সিড়ি.।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এমন ভদ্র ছেলেই তো জাতি আশা করে । সপরিবারে ভালো থাকুক জুবায়ের । আপনিও ভালো থাকুন ।
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: সকলের জন্য রইলো ভালোবাসা
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: respect for all teacher also .