নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
গতাকাল গেছে অষ্টমী। শ্রী কৃষ্ণের জন্ম তিথি। এই দিন বাবা লোকনাথেরও আবির্ভাব তিথি গেছে। বাবা লোক নাথ তার সাধনায় এক সাধক পুরুষে পৗছে গিয়েছিলেন।
তার অমর বানী, রনে বনে জংগলে যেখানেই বিপদে পড়বি, আমাকে স্মরন করবি। তিনি তার সাধনা বলে আমাদেরকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিজ কাধেঁ নিয়েছেন। শ্রদ্ধা আর প্রনাম এই মহামনবকে।
আজ লোকনাথের পজ্ঞিকা অনুযায়ী নবমী তিথি। শ্রী কৃষ্ণের জন্মের পর কংসের রোষানল থেকে বাঁচাবার জন্য বাসুদেব সেই ঝড় বৃষ্টির রাতে নবজাতক শ্রী কৃষ্ণকে গোকুলে নন্দ বাবা আর মা যশোদার কাছে রেখে গেলেন।
পরদিন অর্থাত নবমী তিথিতে গ্রামবাসী দেখতে এলো শিশুকে। সংগে আনলেন নানা উপহার। আপ্যায়ন হলো লুচি, তালবড়া, মালপোয়া রস বড়া ইত্যাদি দিয়ে। চলতে লাগলো জন্মোতসব। শাস্ত্রের ভাষায় নন্দোতসব। তাই আজ নন্দেসব। তালের বড়া খাবার উতসব। এই জন্য তাল থেকে বানানো যায় এরকম ৩টি রেসিপি দিলাম। সকলে আমার নন্দোতসবেরর শুভেচ্ছা নিন।
১)তালের বড়া:
উপকরন: একটা পাকা তালের ক্বাথ, দুই কাপ ময়দা, এক কাপ চালের গুড়ো, এক কাপ নারকেল কোড়া, চিনি এক কাপ, ভাজা বাদাম গুড়া আধ কাপ, বেকিং পাউডার এক চিমটি(ঐচ্ছিক), ভাজবার জন্য সোয়াবিন তৈল।
প্রনালী: একটি বোলে সব উপকরন গুলি(তৈল বাদে)মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। কড়াইতে তৈল গরম হতে দিন। বড়ার আকার করে ডুবো তৈলে ভেজে তুলুন।গরম বা ঠান্ডা খেতে পারেন্
২) তালের পিঠা:
উপকরন: : একটা পাকা তালের ক্বাথ, দুই কাপ ময়দা, এক কাপ চালের গুড়ো, চিনি এক কাপ, কলার পাতা প্রয়োজন মতো।
প্রনালী: সব উপকরন গুলো মেখে নিন। উনানে শুকনা তাওয়া গরম হতে দিন। এক টেবিল চামচ গোলা এক খন্ড কলার পাতায় মুড়ে তাওয়াতে সেঁকে তহুলুন। কলার পাতা পোড়া পোড়া হয়ে যাবে। পাতা থেকে খুলে ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
৩) তালের ক্ষীর:
উপকনণ;: একটা পাকা তালের ক্বাথ, এক কাপ নারকেল কোড়া, চিনি এক কাপ,ক্ষীর আধ কাপ দুধ আধ লিটার।
প্রনালী: দুধটা গাঢ় করে জ্বাল দিয়ে নিন। ডেকচিতে সব উপকরন মিশিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। খুব সাবধান একটু অন্যমনস্ক হলেই নীচে ধরে যাবে।শুকিয়ে ক্ষীরের মতো হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন। এটি মুড়ী দিয়ে খেতে ভালো লাগে।
সকলের দিনটি ভালো কাটুক্
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার লেখা খুব সুন্দর!
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন নিরন্তর।