নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
স্বজন হারানোর ব্যাথা শুধু মাত্র তারাই অনুভবে আনতে পারে যারা স্বজন হারিয়েছে। তাও আবার অকালে।জানোয়ারের হাতে।
তখনও হয়তো কারও কারও হাতে ছিল মেহেন্দী, কারও কারও গর্ভে ছিল বাংলা মায়ের সন্তান। আর যারা একটু বুঝতে শিখেছিল, তারা দেখেছে কি ভাবে পশুর থাবা গ্রাস করলো বাংলা মায়ের অতি প্রিয় সন্তানদের।
তারপর আজ এতোটা বছর- কত লড়াই বেঁচে থাকতে, কত নিদ্রাহীন রাত, কত অনিশ্চিত দিন গেছে।
আমরা আজ স্মরন করি সেই সব সন্তানদের যারা সে দিন জান দিয়েছে তবু মান দেই নি।আমাদের জন্য দিয়ে গেছে একটা মান চিত্র আর পতাকা।
পরাজয় নিশ্চিত জেনে আল বদরদের সহযোগিতায় বাঙালীকে মেধাশুন্য করতে যারা সেদিন অট্ট হাসি হেসেছিল আজ তাদের মুখে থুথু ছিটিয়ে দেই।
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের প্রাক্কালে তোমাদের জন্য রইলো অসীম শ্রদ্ধা।
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
আদিম রাজা বলেছেন: হাজার সালাম তাঁদের প্রতি ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮
গোর্কি বলেছেন: জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার দায় অবশ্যই রাষ্ট্রের। আমরা আশা করি নিশ্চয়ই রাষ্ট্রের এই রূপকারদের নৃশংস হত্যাকান্ডের সুবিচার হবে, এসব হত্যাকান্ডের ঘাতক, নেপথ্য ষড়যন্ত্রী কেউই এর দায় এড়াতে পারবে না। জেল হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রকারী-ঘাতকদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতি কিছুতেই এই কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে না। বিচারের সে বাণী আজও নীরবে-নিভৃতে কাঁদছে!
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দেশ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের স্বপ্ন ছিল। দেশের মানুষের সর্বাঙ্গীন মুক্তির স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম – সে মুক্তি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক। আমরা ভেবেছিলাম, আমরা এমন একটা দেশ গড়ে তুলতে সমর্থ হবো, যেখানে সর্বাধিক সংস্কার থেকে মানুষের মুক্তি ঘটবে, শোষণ-বঞ্চনার অবসান হবে, প্রত্যেক নরনারীর সৃজনশীলতা অর্গলমুক্ত হবে। সুপ্ত প্রতিভা ও সৃজনশীলতার বিকাশের মধ্য দিয়ে দেশে উন্মোচিত হবে নতুন নতুন দ্বার, তার অগ্রগতি ঘটবে নিত্য নবীন ক্ষেত্রে। আমাদের দুর্ভাগ্য, তা ঘটে নি। আমাদের দুর্ভাগ্য, স্বপ্ন দেখার সাহসও আমরা অনেকে হারিয়ে ফেলেছি।
সে সাহস ফিরিয়ে আনতে হবে। আবার স্বপ্ন দেখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদীপ্ত বাংলাদেশের। কী আমরা করতে চেয়েছিলাম, কী আমরা করেছি, তা যদি আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়, তবে কী করতে পারি নি, তা জানতে বাকি থাকে না। আর তার সঙ্গে যদি যোগ করি, ৪৪ বছর পরে নতুন কী করণীয়, তাহলে তালিকা হয়তো দীর্ঘ হবে, কিন্তু লক্ষ্য হবে স্থির। জনগণ ব্যর্থ হয় নি – বারবার মূল্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে ও গণতান্ত্রিক অধিকার সুনিশ্চিত করে তারা তার প্রমান দিয়েছে। তাই আজ প্রয়োজন আছে তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রাম হোক আজকের দিনের শপথ।