নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
বর্তমানে ভারতীয় ভিসার জন্য দরখাস্ত জমা দেওয়া , বিশ্ব জয় করার চেয়েও কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কারন এখানে কোন নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন নেই। সবই চলে কাউন্টারে যারা জমা নেয় তাদের মেজাজ মর্জি মতো। তারা যা ইচ্ছা করে সেই রকম সাপোর্টিং কাগজ চায়। এক জনের কাছে এক এক রকম।অথরিটির কোন আদেশের কপি তাদের কাছে নেই বলে মনে হয়। না দিতে পারলে এত খারাপ আচরণ করে মনে হয় যেন তারা যেন কি হয়ে গেছে আর যারা দরখাস্ত জমা দিতে গেছে তারা আসামী। ন্যুরতম ভদ্র আচরন করে না। এর সাথে আছে গ্রুপ ৪ এর দারোয়ান।এরা সবই আমাদের দেশের ছেলেমেয়ে।
আগে থেকেই এখানে সকালে এক নিয়ম তো বিকালে আর এক নিয়ম চলতো্ ইদানিং তা আরও বেশী হয়েছে।
ই টোকেনে তারিখ নিয়ে তো ব্যবসা পুরোদমে চলছে এখন নতুন ব্যাবসা শুরু হয়েছে ভিসা প্রসসিং ফিস নিয়ে। আমরা জানি টাকা জমা নেওয়া হয় কোন বিষয়ের চূড়ান্ত ধাপ। সব ইনভেস্টিগেশন শেষে টাকা জমা নেয়। এখানেও আগে তাই ছিল। এখন আগেই ৬০০ টাকা জমা দিতে হয়।তারপর শুরু হয় ঐ কর্মচারীদের ইন্টারভিউ নামের দৌরাত্ম।
ওদের খুশী করা আর বদমেজাজী স্বামীকে খুশী করা এক কথা। এ প্রসংগে একটা গল্ মনে হলো।
এক স্বামী বাড়ীতে ফিরে কোন না কোন অজুহাতে প্রতিদিন বউ পেটাতো। যে দিন সব কাজ ঠিকঠাক হোতা, সেদিন বলতো কুকুরকে ভাত দিয়েছিস? না দিলে পেটানো শুর হতো।
এক দিন বউ বেচারী সব কাজ ঠিক করে কুকুরকেও ভাত দিল। জানে আজ সে মার খাবে না। শেষে তার স্বামী সব জেনে বলে এই কুকুরকে বিছানা দিয়েছিস? কেন দিস নি? মার শুরু করে দিল।
এদের অবস্থা অনেকটা এ রকম। এ কাগজের ফটোকপি দিলেন কেন? মূলটা দেন আর মূলটা দিলে বলে ফটো কপি দেন। ওটা দেন নি কেন আজ আর জমা দেওয়া হবে না যান, কাগজ নিয়ে আসুন। আর ঢাকা শহরে ফিরে এসে আর জমা দেওয়া সম্ভব না।
আপনার গেল ই টোকেনের ৩০০০ টাকা আর প্রসেসিংন এর ৬০০ টাকা। এই ৬০০ টাকা হলো স্টেট ব্যাংকের ব্যবসা।
হাই কমিশন একটু নজরদারি করলে এটা এড়ানো যায়। কোন ভিসার জন্য কিকি সাপোটিং কাগজ লাগবে তার তালিকা গেটে দিয়ে দিতে পারে আর পারে নেটে দিতে।
আর আমাদের দেশর কি কোন সংশ্লিষ্ট বিভাগ নেই এগুলো থেকে জনসাধারনকে একটু পরিত্রাণ করবার?
২| ১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: হায় দেশ!
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে পড়শি দেশের দূতাবাস কর্তৃক, তথা আপন দেশের স্বজাতীয় কর্মচারী কর্তৃক এহেন নিগৃহীত হওয়াটা রীতিমত লজ্জাস্কর। তবে আমি অনুমান করি, এতদিনে পরিস্থিতির কিছুটা হলেও, উন্নতি হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৭
সুমন কর বলেছেন: প্রতিকার চাই.............!